একদিনের ভ্রমণ আর কিছু ছবি

কামাল উদ্দিন ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০, শুক্রবার, ০৬:৩৩:৫৭অপরাহ্ন ছবিব্লগ ২৬ মন্তব্য

ঘোরাফেরার নেশাটা আমার অনেক পুরোনো। সুযোগ পেলেই বনে বাদাড়ে ঘুরে বেড়াই, পাখি দেখি, ফুল দেখি, আর মাঝে মাঝে ছবি তোলার চেষ্টা করি। ইচ্ছে করে পাহাড়ে হেলান দিয়ে নীল আকাশ দেখি, ইচ্ছে করে ঘাস ফুলদের সাথে চুপি চুপি কথা বলি, ইচ্ছে করে সাগর, নদী খাল-বিলে সাতার কাটি রাজহংসের মতো। ইচ্ছে করে ঝুম বৃষ্টির আলিঙ্গনে মনের ভেতর সজীবতার সৃজন করি। ইচ্ছে করে বাংলার প্রতিটি ইঞ্চি মাটির সুবাস নেই।

ইচ্ছেগুলো কতটা সফল হবে জানিনা, তবে সংসারের যাতাকল থেকে সুযোগ পেলেই আমি হারিয়ে যাই আমার ইচ্ছে ভুবনে। সেই সাথে আমার দেখা সৌন্দর্যকে ধরে রাখার জন্য তুলে রাখি অঢেল ছবি, আর সেই ছবিগুলো নিয়েই আমার "একদিনের ভ্রমণ আর কিছু ছবি" নামক সিরিজটা শুরু করতে চাচ্ছি, আপনাদের ভালো লাগলে এটা চালিয়ে যাবো, অন্যথায় এটাই এই সিরিজের শেষ পোষ্ট।

(কয়েদিন আগে নৌকা ভ্রমণে বের হয়েছিলাম সারাদিনের জন্য তার কিছু ছবি নিয়েই আজকের পোষ্ট)


(২) বৃষ্টি ভেজা একজন জেলে।


(৩) পারাপার।


(৪) মাটির পাতিল নিয়ে কোথায় চলছে কে জানে?


(৫/৬) নদী, নৌকা, জেলে।


(৭/৮) ড্রেজার চালিয়ে নদীর তলদেশ থেকে বালি তুলে বোঝাই করা হচ্ছে কার্গো বোট।


(৯) এমন পাল তোলা নৌকাগুলো এখন কিছুটা দূর্লভ হয়ে গেছে।


(১০) আগে ভাটিয়ালি সুর তুলে মাঝিরা এমন নৌকাগুলো বেয়ে যেতো, এখন শুধু ইঞ্জিনের গানই শুনা যায়।


(১১) প্রায় ছয় ঘন্টা ট্রলার চলার পর আমরা দেখা পাইলাম ভৈরব ব্রীজের।


(১২) আশুগঞ্জ সার কারখানা।


(১৩) সার কারখানার পাশ ঘেষে চলে যাচ্ছে একটা ছোট লঞ্চ।


(১৪) ভৈরব ব্রীজের নিচে। দুটো রেল ব্রীজ চলে গেছে চট্টগ্রাম আর সব থেকে বাম পাশেরটা ঢাকা সিলেট মহাসড়কের গাড়ি চলার ব্রীজ।


(১৫) এক সময় আমাদের ট্রলার থামলো ভৈরবের ঘাটে।


(১৬) ভৈরবে দুপুরের খাওয়া দাওয়ার পর পানিতে কিছুটা দাপাদাপি করে ফিরতি পথ ধরলাম।


(১৭) ভৈরবের ঠিক উল্টো পাড়েই আশুগঞ্জ শহর।


(১৮) পানিতে রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে, ব্রীজের অবকাঠামোটাই শুধু দৃশ্যমান।


(১৯) বৃষ্টি থেকে বাচতে বাপ বেটা এক ছাতার নিচে।


(২০) এক সময় পশ্চিমাকাশে মেঘনা নদীর ঐ পাড়ে সূর্য্যটা হেলে পড়লো, আমাদের গন্তব্য দূরে বলে ট্রলার ছুটিয়েছিলো দ্বিগুণ গতিতে।

0 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ