বেলা অনেকটা পড়েছে।
শরৎ শেষে হেমন্তের মাঠ জুড়ে কেবল ধানের সুধাময় গন্ধ বহির্ভূত হচ্ছে। আরক্তভায় সেজে আছে বিকেলের রক্তিম গোধূলি। পড়ন্ত বিকেলের সে রক্তিম সূর্যের পাশ ছোঁয়ে যায় মেঘছায়া।

সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে।
চারদিক জুড়ে কেবল মাতাল করা হাসনাহেনার গন্ধ।
দিব্যভাবে স্নাত হচ্ছে মোহনীয় অনুরাগ।
আকাশের এককোণে প্রস্ফুটিত পূর্ণচন্দ্র ধীরে ধীরে রক্তিম থেকে গৌরবর্ণ ধারণ করছে।

আজ রাসলীলা, প্রেমময়ীর চোখে প্লাবিত হচ্ছে জ্যোৎস্নাময় রাত্রি।
সে জ্যোৎস্নাময় আলোয় যমুনার সরোবরে রাতভর খেলা করে যাচ্ছে বনহাঁসের দল।
গ্রহ নক্ষত্রের গাঁ জুড়ে আছে জ্যোতির্ময় চাঁদ।

প্রেমময়ীর কপাল ছোঁয়ে চাঁদের উদয়।
ঈশ্বরের সমস্ত আশীর্বাদ আজ তাকে ঘিরে। কত পাখি সে সময় গান গেয়ে যায় অনায়াসে। প্রেম কেলিতে মত্ত হয় কত অগণিত তারার দল।

আমরা সে রাতে জাগতিক পৃথিবীর নিয়ম ভেঙে চাঁদের আলোয় বসে গল্প লেখি। হেমন্তের গাঁয়ে কেবল শীতের আনাগোনা। নদীতে জমেছে চোরাবালি।
সে বালিতে গল্প গুলো লুকিয়ে গেলে আমরা খুঁজতে থাকি।

পূর্ণিমার আলো গাঢ় হয়ে উঠলে অতীতের সমস্ত ক্লান্ততা গ্রাস করে ফেলে। সে আলোতে আমরা আবার ব্যাকরণের নিয়ম ভেঙে কবিতা লিখতে বসি।
রাতের জোনাকি পোকারা তখন তোমার কণ্ঠে কবিতা শুনতে আসে।

আহা, কী মধুঢালা সুর!
আমি মুগ্ধ হয়ে কেবল তোমার পানে চেয়ে থাকি।
কুমকুম রক্তরাগে সাজাব বলে তোমার অরূপময়ী মূর্তি খানি।

.

ছবিঃ শ্রদ্ধেয় ব্লগার তৌহিদ, দাদার ওয়াল থেকে সংগৃহীত।।

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ