কোন ভাবেই কিছু হবে না জেনো, ক্রান্তির কাল এসে যাবে,
পৌঁছানো হবে না দারুচিনির দূর দ্বীপে।
আই ফোনের গিজগিজ এ্যাপে, মুহূর্তেই দিগ্বিজয়!
পা গুলো মঙ্গলমৃত্তিকা ছুঁই ছুঁই, হরহামেশা বদল হৃদপিণ্ডের!
রোবট পাঁজরে কি প্রাণ থাকে?
তুমি বরং অপেক্ষায় থাকো বুকে নিয়ে আশার লাশ!
কবর বিন্যাসের আঁকিবুঁকি এঁকে এঁকে,
পাথর বনে গোলাপের কুঞ্জ!
খোয়াবের ঝর্ণায় উদোম স্নান! মৃত্যু মিছিলের সুরধ্বনি!
কৌমার্যের নিখাদ নির্জন উদাসী গর্জনে
নিঝুম মৌচাক হয়ে ঝুলে থেকো।
অপেক্ষায়—
সুবর্ণ মৌমাছির।
২৯টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
আহা এত হতাশায় গড়া আশার প্রদীপ কেন?
আশা ভঙ্গ হবে যেনেও এত স্বপ্ন দেখা কেন?
কেন এত দূর মাইলের পর মাইল পথ পেরিয়ে তার উঠোনে আগমন?
আহা শূন্যতা মুঠি ভরে নিয়ে ফিরে যেতে হবে জেনেও ফিরে আসা কেন?
ছাইরাছ হেলাল
আমার আশা ভঙ্গের তো কিছু নেই। আমি তো অন্য কারও আশায় থাকার কথা বলতে
চেয়েছি। যে ভাবছে এই বুঝি তাবৎ পৃথিবী জয় করে ফেলবে বলে বসে আছে। যে স্বপ্নস্নানের স্বপ্ন দেখে
অলীক সরোবরে। অধরা সে দূরের দারুচিনি দ্বীপ।
একটি মৌ এর মাছির অপেক্ষায় মধুর চাক সাজিয়ে বসে আছে!!
অরুনি মায়া
পোস্টের মাঝে কেমন যেন এডাল্ট এডাল্ট গন্ধ পাচ্ছি :p
তো থাকনা সে আশার অপেক্ষায় | যেদিন আশা ভঙ্গ হবে সেদিন নিজেই চাক ভেঙে দিবে | তাতে কবির কি? সে তখন ভেঙে যাওয়া মৌচাক দিয়ে কিভাবে মোম তৈরি হয় সেই কাহিনী লিখবে |
ছাইরাছ হেলাল
শিশুরা, যাও ঘুমাও, এখানে বড়রা গল্প করছে, বাবা-মা দেখলে নাগ দেবে,
পালাও বলছি, বড় হলে এসো তোমার সাথে ও গপ্পো দিবো!!
চাক ভাঙ্গুক বা ঝুলে থাকুক তাতে কারো কিচ্ছুটি যায়-আসে না, এভাবে মধু নিয়ে বসে থাকা ঠিক না,
নিরাপদ ও না। আকামা লেখক কিছুই করতারবে না, শুধু চাইয়া থাকপে।
অরুনি মায়া
আপনিকি আমারে শিশু বলতে চাইছেন!
আচ্ছা চোখ বন্ধ করলাম আর কিছুই দেখবনা | আপনি ঝুলে ঝুলে মধু খেতে থাকেন মাছি হয়ে |আমি একটুও চোখ খুলবনা | তবে শুন্যাপু কিন্ত আড়ালে থেকে সব দেখে নিবে :p
ছাইরাছ হেলাল
শিশুদের আড়ালে-আবডালে থাকাই শ্রেয়।
মধুতে আবার ফরমালিন কিনা তাও দেখতে হবে।
তাঁকে বলে দেবেন, ডরাই না আর।
অরুনি মায়া
মনে সন্দেহ থাকলে মৌচাক থেকে দূরে থাকবেন, মধু না খাওয়াই উত্তম |আজকাল সব কিছুতেই ভেজাল | সাবধান 🙂
ছাইরাছ হেলাল
মধু না হলে যে চলেই না, শীত কাল!!
খালি ডর দ্যাহায়!
শুন্য শুন্যালয়
😮 ( আশ্চর্য্য হইবার ইমো )। লেখক কি এইখানে মৌচাক, মধু এইসব অশালীন কথাবার্তা লিখছিল? আয় হায় কিছুই তো বুঝবার পারিনাই। মায়াপু, ঠিকই আছে এই কবিতা তোমার জন্যই, আমি আবার আড়ালে আবডালে ভাগলাম। @মায়াপু।
শুন্য শুন্যালয়
কি বললেন, আপনি আমারে ডরান না? তবেরে!!! আমার জালিবেত টা কই? নন্দিনীর আম্মুর ফেসবুকের আইডির কথা কিন্তু সব বলে দিব, সাবধান ^:^
ইলিয়াস মাসুদ
কৌমার্যের নিখাদ নির্জন উদাসী গর্জনে
নিঝুম মৌচাক হয়ে ঝুলে থেকো।
ভাই মন কে কত দূর ছেড়ে দিলে মন এমন শব্দ খুঁজে আনে ??
ছাইরাছ হেলাল
শব্দেরা আশেপাশেই আছে, কায়দা করে টুপ করে তুলে নিলেই হয়।
এ এমন কিছু না।
অনিকেত নন্দিনী
“খোয়াবের ঝর্ণায় উদোম স্নান!”
কী যে সব দেখছি আজকাল! একলা কিছু কইতেও ডরাই। 🙁 শুন্যাপু কই? ;(
“কৌমার্যের নিখাদ নির্জন উদাসী গর্জনে
নিঝুম মৌচাক হয়ে ঝুলে থেকো।”
তা উনি যদি নিঝুম মৌচাক হয়েই ঝুলে থাকবেন তো কবি সাহেব কী হবেন? মৌয়াল? মৌচাকে কইলাম মধুর পাশাপাশি মৌমাছিও থাকে। কবি সাহেব মৌমাছির হুল সইতে পারবেন তো? 😀 :p
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, খোয়াব ও দ্যাক্তারমু না দেকছি।
আমার নিভাঁজ শত্রু সে, তাঁকে ডরাই, সে নাই বুঝতে পেরে একটু খোয়াবের লাইনে গেলাম,
সেখানেও শান্তি নেই, এ আপনাদের ভারি অন্যায্য কর্ম।
ভয়ের কিছু নেই যা কওনের সে আসার আগেই কইয়া ফ্যালান!!
মৌয়াল হওয়ার সাহস নেই, তবে মৌ এর মাছি হইতাম ছাই।
অনিকেত নন্দিনী
খোয়াবের ঝর্ণায় উদোম স্নান বুঝি খুব ন্যায্য কর্ম? :p
সে আসার আগেও কমু, সে আসলেও কমু। পাইছি যহন এত্ত সহজে আর ছাড়তাছিনা। 😀
মৌয়াল হওয়ার সাহস নাই? আচ্ছা। মৌ এর মাছি যে হইতে চান, তা কী মাছি হইতে চান? বাচ্চা মাছি না কর্মী মাছি?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ধ্মকাচ্ছেন কেন! আমি কিচ্ছু জানি না।
‘কর্মী’ হইতে চাই!
হতভাগ্য কবি
অদ্ভুত সুন্দর হেলাল ভাই, দারুন , অপেক্ষা মধুর হোউক 🙂 🙂 আবারো বলি দারুন -{@
ছাইরাছ হেলাল
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
সুহৃদ কে দেখে ভালই লাগল, ভালো ও লাগল অনেক, ভুলে যাননি দেখে।
কৈ কৈ ছিলেন এতো দিন?
হতভাগ্য কবি
🙂 🙂 ভাই পথ হারিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছিলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
ওড়াউড়ি বন্ধ করুন, সাথে থাকুন।
জিসান শা ইকরাম
ঝুলে থাকা ভালো
ঝুলে না থাকলে কাব্য হপে?
দারুচিনির দূর দ্বীপে যেতে চাই………
ছাইরাছ হেলাল
ঝুলেই আছি,
কাপ্য হচ্ছে, কাব্য কৈ পাই!
দ্বীপের নাগাল পাওয়া চাট্টিখানি কথা না।
জিসান শা ইকরাম
”দ্বীপের নাগাল পাওয়া চাট্টিখানি কথা না।”
অসম্ভব তো আর নয়………
ছাইরাছ হেলাল
সত্তুর পয়সা পাওয়া যায়, পিঠে পিঠ থাকে না।
নাসির সারওয়ার
এ কি রকম যন্ত্রণা!
“অপেক্ষায় থাকো বুকে নিয়ে আশার লাশ”
কি সব অলুক্ষনে কথা!
তার চাইতে গান গাই আর দারুচিনি যাবার জোগার দেই- দূর দ্বীপ বাসিনী …।।
ছাইরাছ হেলাল
দ্বীপ-দ্বুপ যাওয়া এত্ত সোজা না,
আরে এর মধ্যে আবার বাসিনী এলো কোত্থেকে!!
নাসির সারওয়ার
না মানে আপনি দূর দ্বীপে ই থেমে গেলেন, তাই ভাবলাম একজন বাসিনী থাকলে আর এত্তু আগে বাড়তে পারেন, এই আর কি।
আপনি ত জানেনই, আমি আপনার লেখার একজন ভক্ত যে কিছু না বুজেও খোঁচা দেবার অভিপ্রায় রাখে ক্ষন খন্দে।
ছাইরাছ হেলাল
তবে ঐ যে ‘বাসিনী’ তা পেলে মন্দ হয় না,
চোখানন্দে দিন গুজরান,
এ্যাহে বারে মন্দ কন নাই।
শুন্য শুন্যালয়
ফাঁকে ফুঁকে এত্ত লেখা কবে লিখলেন? আমি কই আছিলাম?
আচ্ছা যাউক। মৌ এ মাছি, আর মৌমাছি কিন্তু এক না। ধরে নিলাম অপেক্ষায় আছেন সূবর্ন এক মৌমাছির। তবে কি শুরুটুকু এক ভাড়ার মৌ এর স্বপ্নে আহত মাছির মতো কিছু হানা দিলো?
কি এমন আশা নিয়ে আছেন? কি আছে দারুচিনি দ্বীপের দেশে? এক সন্ন্যাস জীবন এ পাড়েই জগদ্দল ভিরে দম আঁটকে মরছে, ওই দ্বীপে কোন মৌমাছি নেই। হয়তো কোন বিষাক্ত স্পাইডার আট পদে অপেক্ষায়, আপনার মতই সূবর্ন কোন এক কবির।
লেখা বরাবরের মতই, এবারে একটু ভাল লেখায় ক্ষান্ত দিন। গালিবাজির সুযোগ দিন।