চায়না সরকার প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে উচ্চ শিক্ষার জন্য বৃত্তি দিয়ে সহায়তা করে থাকে। চায়নাতে সাধারণত দুইটি সেশনে ভর্তি ও বৃত্তি পাওয়া যায়।
১। মার্চ সেশন (অনিয়মিত সেশন)
২। সেপ্টেম্বর সেশন (নিয়মিত সেশন)
১। মার্চ সেশনঃ
এই সেশনে গুটিকয়েক বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি ও বৃত্তি দিয়ে থাকে তবে এই সেশনে CSC (China Scholarship Council) কতৃক পরিচালিত CGC (China Govt, Scholarship) পাওয়া যায় না। এই সেশনে শুধু মাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব তহবিল ও অন্যান্য কিছু বেসরকারি সংস্থার কিছু বৃত্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়গুলা এই সেশনে বৃত্তি দেয় না। তাই এই সেশনে না যাওয়াই ভালো।
আবেদনের সময়ঃ এই সেশনে আবেদন শুরু হয় শাধারণত প্রতি বছরের আগষ্ট মাস থেকে এবং ডেডলাইন থাকে ক্ষেত্র বিশেষে নভেম্বর/ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হয় মার্চের ১ তারিখ থেকে।
২। সেপ্টেম্বর সেশনঃ এই সেশনে CSC (China Scholarship Council) কতৃক পরিচালিত CGC (China Govt, Scholarship) আবেদন করা যায়। China Govt. Scholarship নিয়ন্ত্রন করে China Scholarship Council তাই অনেকেই এই স্কলারশিপকে CSC Scholarship হিসেবেই জেনে থাকেন। এটি একটি প্রেস্টিজিয়াস Scholarship এবং এই Scholarship দুইটি ক্যাটাগরিতে আবেদন করা যায়।
আবেদনের সময়ঃ আবেদন শুরু হয় নরমালি প্রতি বছরের ডিসেম্বরের ১ তারিখ থেকে এবং ডেডলাইন থাকে ক্ষেত্র বিশেষে মার্চের ৩১ তারিখ পর্যন্ত। ক্লাস শুরু হয় সেপ্টম্বরের ১ তারিখ থেকে।
আবেদনের ধরনঃ ক্যাটাগরি A Type
ক্যাটাগরি B Type
ক্যাটাগরি A Type- বাংলাদেশ এডুকেশন মিনিস্ট্রিতে প্রতি বছর সার্কুলার প্রকাশ করে ( ২০২০ সালের সার্কুলার ইতিমধ্যে প্রকাশ হয়েছে)। অবেদন ১০০% অনলাইনে করতে হয়। আবেদনের পর প্রাথমিক সিলেকশনের পর ভাইভার জন্য ডাকা হয় এনং ভাইভাতে সিলেকশন হলে চূড়ান্ত মনোনোয়ন দেওয়া হয়।
এই ক্যাটাগরিতে সিলেকশন হলে বিমান টিকেট CSC থেকে দেওয়া হয়। আপনি যদি চূড়ান্ত মনোনিত হয়ে থাকেন তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনামূল্যে পড়াশুনা, ফ্রি বাসস্থান এবং সেই সাথে প্রতি মাসে বৃত্তি দেওয়া হয়ে থাকে। একজন ছাত্র এই ক্যাটাগরিতে দুইটি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবে।
ক্যাটাগরি A Type এর জন্য একজন শিক্ষার্থী মাসিক বৃত্তির পরিমানঃ
#ব্যাচেলর প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ২,৫০০ আর,এম,বি
#মাস্টার্স প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ৩,০০০ আর,এম,বি
#পিএইচডি প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ৩,৫০০ আর,এম,বি
কারেন্সী রেটঃ চায়না ১ আর, এম, বি= বাংলাদেশী ১১ থেকে ১২ টাকা (নির্ভর করে ব্যাংক কারেন্সীর রেটের উপর)
ক্যাটাগরি B Type: http://www.campuschina.org/ এই ওয়েবসাইট থেকে আপনার পছন্দমত ইউনিভার্সিটি ও সাবজেক্ট সিলেক্ট করে সরাসরি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে আবেদন করবেন। একজন ছাত্র এই ক্যাটাগরিতে তিনটি ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করতে পারবে। আপনি যদি ইউনিভার্সিটি কতৃক নির্বাচিত হয়ে থাকেন তাহলে সুযোগ সুবিধা সব Category A এর মতই পাবেন শুধু বিমান টিকেট নিজে করে নিতে হবে।
ক্যাটাগরি B Type এর জন্য একজন শিক্ষার্থী মাসিক বৃত্তির পরিমানঃ
#ব্যাচেলর প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ২,৫০০ আর,এম,বি
#মাস্টার্স প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ৩,০০০ আর,এম,বি
#পিএইচডি প্রোগ্রাম প্রতি মাসে ৩,৫০০ আর,এম,বি
কারেন্সী রেটঃ চায়না ১ আর, এম, বি= বাংলাদেশী ১১ থেকে ১২ টাকা (নির্ভর করে ব্যাংক কারেন্সীর রেটের উপর)
এই আবেদনগুলি আপনি নিজে নিজে করতে পারবেন তবে যদি নিজে না করতে পারেন তাহলে অভিজ্ঞ কারোর সহযোগিতা নিতে পারেন। তবে ভুলেও আনাচে কানাচে গজিয়ে উঠা এজেন্সির কাছে যাবেন না তারা আপনাকে কিছুতেই CSC (China Scholarship Council) পরিচালিত CGC (China Govt, Scholarship) পাইয়ে দিতে পারবে না।
আপনারা যারা নিজে আবেদন করবেন তাদের সহায়তার জন্য আমি একটি টিউটোরিয়াল ভিডিও বানিয়েছি এবং যারা ২০২০ সালের জন্য ব্যাচেলর, মাস্টার্স, পিএইচডির জন্য আবেদন করবেন তারা এই ভিডিওটি দেখে নিজে নিজেই আবেদন করতে পারবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
১৬টি মন্তব্য
মনির হোসেন মমি
প্রথম পোষ্টই বেশ গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট। অভিনন্দন এবং স্বাগতম সোনেলা পরিবারে। প্রোফাইলের ছবিটা দিয়ে দিবেন।
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
উপকারী পোস্ট দিলেন।
আপনার শেষ পোস্ট ছিলো ২৫ শে নভেম্বর ২০১৮ইং। প্রায় ১ বছর পর সোনেলায় ফিরলেন। আপনাকে স্বাগতম। আশা করছি এখন থেকে নিয়মিত লিখবেন।
ভালো থাকুন,
শুভ কামনা 🌹🌹
★ প্রোফাইলে একটি ছবি এ্যাড করুন প্লিজ।
ইকবাল কবীর
নানা কারনে ব্যাস্ত ছিলাম। আশা করি নিয়মিত লিখা হবে আবার। ধন্যবাদ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট। ধন্যবাদ আপনাকে
ইকবাল কবীর
আপনাকেও ধন্যবাদ সময় নিয়ে পড়ার জন্য।
বন্যা লিপি
উপকারি পোস্ট। বিস্তারিত তথ্যসমৃদ্ধ পোস্ট।ভালো লাগলো সচেতনার দিকটি।
শুভ কামনা।
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ
জিসান শা ইকরাম
খুবই জনগুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট, এটি পড়ে অনেকেই উপকৃত হবেন।
এমন পোস্টের জন্য ধন্যবাদ কবীর।
একবছর পর পোষ্ট দিলেন,
ভালো থাকুন সারাক্ষণ।।
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ জিসান ভাইয়া। একটু ব্যস্ত হয়ে গিয়েছিলাম নানান কারনে। আশা করি এখন নিয়মিত হতে পারবো।
আরজু মুক্তা
গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। অনেক কিছু জানলাম।
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ
সুরাইয়া পারভিন
চমৎকার গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট। উপকারী পোস্ট
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ
তৌহিদ
তথ্য সমৃদ্ধ লেখাটিতে পাঠকের উপকার হবে নিশ্চিত। আশাকরি নিয়মিত লিখবেন। শুভকামনা।
ইকবাল কবীর
ধন্যবাদ আপনাকে।