অপরিণত বয়সের প্রেম কোন দিনও পূর্ণতা পায় না। কিংবা এ সময়ের প্রেম প্রেমই নয়। জীবন গঠনের মতো শ্রমসাধ্য ও দুর্গম এই সময় যারা প্রেম নিবেদনে লিপ্ত থাকে তারা প্রায়শঃই অনাকাঙ্খিত মূহুর্তে অনাকাঙ্খিত সমস্যার সম্মুখীন হয়। নিজে জড়িয়ে পড়ে নেতিবাচক ঝামেলায় এবং পরিবারের সকল সদস্যকে করে তুলে অসহায়। জীবনে নেমে আসে অন্ধকার। সেই অন্ধকারে কেবল ছেলে মেয়ে দু’জনেই নয় তার সাথে সাথে তাদের পরিবারের অন্যান্যরাও ভোগ করে সামাজিক ও আইনী জটিলতার তিব্রতা।
অপরিণত বয়সের অপরিপক্কতা, বিবেক বিরুদ্ধ ক্রিয়াকলাপের মন্দভাল বিবেচনা শক্তি কাজ না করা, তীব্র আবেগময়তা, অভিভাবকের সীমাহীন আদর-সোহাগ কিংবা মাত্রাতিরিক্ত শাসন-বারণ অথবা মাত্রাতিরিক্ত স্বাধীনতা- কোনটি দায়ী?
সন্তানদের বোধবিবেক পরিচ্ছন্নতার জন্য আমরা কি কোন ভূমিকা রাখতে পারি কিংবা রাখি? সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের সন্তানদেরও চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে। আমাদের শৈশবে আমরা দুই টাকার চকলেট কিংবা এক টাকার মুড়ি আর এক টাকার চানাচুর খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতাম। আমাদের সন্তানরা নাম জানা না জানা হাজারো বাহারি ফাস্টফুডের স্বাদে ডুবে থাকে আজকাল। লাটিম, ঘুড়ি-নাটাই, হা ডু ডু, গোল্লাছুট, দারিয়াবান্ধা, লুকোচুরি, কানামাছি, বৌছি ইত্যাদি আমাদের খেলার তালিকায় ছিল। আমাদের ব্যস্ততা ছিল দৌঁড়ঝাঁপ আর বনবাদারে ঘুরে ফিরে। আমাদের সন্তানরা ফেজবুক, ইন্ট্রগ্রাম, মেসেঞ্জার, ইমোতে খুঁজে ফেরে তাদের বিনোদন। ফ্রেন্ড রিকেয়েস্ট আক্টসেপ্ট, চ্যাটিংয়ের দুনীয়ায় একসময় তারা হারিয়ে যায় ভাল লাগা আর না লাগার হিসাবের খাতায়। স্বপ্ন দেখে নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার ।
অপরিণত বয়সের অপরিপক্ক সিদ্ধান্তে থমকে যায় চলমান সুখ। দুটি পরিবারে একে অন্যকে দোষাপোপ করার পাশাপাশি বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই থানা ও আদালতের দ্বারস্থ হয়ে সমাধান খুঁজতে সচেষ্ট হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মাইনর প্রেমিকা পরিবারের চাপের মুখে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে করা মামলায় 22 ধারায় জবানবন্দিতে ছেলে কর্তৃক অপহরণের শিকার ও জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে মর্মে জবানবন্দি প্রদান করে। ফেঁসে যায় প্রেমিক, জেলের ঘানি টানে দিনের পর দিন। কখনো কখনো অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েটি তার প্রেমিকের সাথে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছে মর্মে স্বীকার করলেও তাকে তাকে সংশোধনাগারে পাঠানো হয় এবং সেটি একটি ভিন্ন জগত। জেল, জুলুম, জরিমানা কি জিনিস সেটা সেই বুঝে যে আইনের দ্বারস্থ হয়েছে।
কোন কিশোর-কিশোরি এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নেয়, কেন আমার-আপনার সন্তানরা আমাদেরকে তাদের মনের কথা খুলে বলতে পারে না। আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রক্ত পানি করা পরিশ্রমে আমাদের সন্তানদের ভবিষ্যত বিনির্মাণে সচেষ্ট থাকি আর তারা আত্নঘাতি সিদ্ধান্তে আমাদের সুখ স্বপ্ন বিলিন করে দেয়। কিভাবে এর থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব? আমি সমস্যাগুলো দেখিয়ে দিলাম। বন্ধুরা সমাধানের পথ আবিস্কার করবেন আশা করি। মতামত চাইলাম সকলের আর সেই সাথে সন্তানদের প্রতি সুনজরের প্রত্যাশাও ব্যক্ত করলাম।
এই ব্লগ যারা পড়েছেন তাদের জন্য জ্ঞাতব্য : আমি দুই সন্তানের জনক। বড়টি ছেলে 14 বছর আর তার ছোট মেয়ে 10 বছর।
২৫টি মন্তব্য
শামীম চৌধুরী
আপনার লেখাটা পড়লাম। যা যা উপস্থাপন করেছেন সবই বাস্তব।
আসলে পরিবার থেকেই কিশোরদের খুব ভেবে চিন্তে চালাতে হয়। তাদের মস্তিস্কের ভিতর ঢুকিয়ে দিতে হয় ভবিষ্যত জীবন কি সেটার ধারনা। পরিবার যদি সন্তানদের বন্ধুসূলভ মনোভাবে গড়ে না তুলতে পারে তবে সেই সন্তান বিপদগামী হবার সম্ভাবনা বেশী থাকে। শুধু শাসনেই সন্তানদের মানুষ করা যায় না।
আমাদের সময় প্রযুক্তি যা যা ছিল তার সবইআমরা ব্যাবহার করেছি। তখন রেডিও ও টিভি ছিল প্রযুক্তির মূল সাফল্য।
বর্তমানে প্রযুক্তি অনেক উন্নত। তার সুফল কিশোররা নিবেই। এতে আমি দোষের মনে করি না।
বয়সের একটা দোষ আছে। যৌবনে পা রাখার পর পরই কিশোর বা কিশোরীর মনে ও দেহে অনেক উত্তেজনাকর জিনিষের পাদুর্ভাব হয়। তারা যৌবনের সুখ নেবার জন্য প্রেমটাকেই বেছে নেয়। তকন তাদের চোখ থাকে রঙ্গিন। রঙ্গিন চোখে যা দেখে তাই ভাল লাগে। ভবিষ্যত কি তা চিন্তা না করেই অপকর্মে জড়িয়ে যায়। আর এই ভুল থেকেই জীবনের সর্বনাশ ডেকে আনে। এটাকে আমি বয়সের দোষ বলবো।
এখানেই পরিবারের ভূমিকা আছে।
খুব ভাল লাগলো আপনার বিশ্লেষন মূলক লেখাটি।
মোঃ খুরশীদ আলম
প্রযুক্তির ব্যবহারে সীমাবদ্ধতা ও সীমারেখা মেনে চললে সমস্যা হবার কথা নয়। সেজন্য আমাদের সন্তানদেরকে বুঝাতে হবে তারা কতটুকু এবং কিভাব প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারবে। ধন্যবাদ ভাই। আপনার অসাধরণ মতামত ও উপস্থাপনা আমার ভাল লেগেছে।
ইঞ্জা
এমন একটি বিষয়ে লিখলেন যে সত্যি সাধুবাদ না জানিয়ে পারছিনা, এর আগেও আপনার একটি লেখা পড়ে অভিভূত হয়েছিলাম, আজ আবারও হলাম।
সত্যিকার অর্থে এ এক সামাজিক ব্যাধি, এর জন্য প্রথমে আমরা বড়রাই দায়ী, বিশেষ করে পিতা মাতা, আমাদের উচিত সন্তানকে যথেষ্ট সময় দেওয়া, সন্তানদের ভালো মন্দ শেখানো, সন্তানদের মারধর না করে তাদের সমস্যা গুলো উপলব্ধি করা, তাদেরকে ভালো কাজে উৎসাহিত করা, কোনটা খারাপ, কোনটা ভালো তা সুন্দর করে বুঝিয়ে দেওয়া, সাথে সাথে খেয়াল রাখা তারা কাদের সাথে মিশছে, উঠা বসা করছে তা খেয়াল রাখা, তাদের কিছু আবদার কেন আপনি মিটাচ্ছেন না তা বুঝিয়ে বলা সেটা আপনার সামর্থ্য থাকুক আর না থাকুক, তা বুঝিয়ে বলুন।
সন্তানকে বন্ধু হিসাবে দেখুন, তাহলেই সন্তান মানুষের মতো মানুষ হয়ে উঠবে।
মোঃ খুরশীদ আলম
অভিভাবকের ব্যস্ততা সন্তানদের প্রাপ্য সময় মিটিয়ে দেওয়ারপক্ষে বেশিরভাগ সময়ই অন্তরায় হয়ে পড়ে। অভিভাবকগণও অবশ্য সন্তানদের ভূত-ভবিষ্যত চিন্তা করেই কর্মস্থলে নিজেদেরকে ব্যস্থ রাখতে বাধ্য হন। কিন্তু শিশুদের শিশুসুলভ চাহিদা মিটাতে গিয়ে অনেক সময় আমারা ভুল করে বসি। সেক্ষেত্রে আপনার প্রস্তাবনা অনেক সুন্দর ও বাস্তবিক হয়েছে বলেই আমি বিশ্বাস করি। আমি সচেষ্ট থাকবো আপনার পরামর্শ মেনে কাজ করার জন্য।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ ও শুভকামনা ভাই, অনুরোধ করবো অন্যান্য ব্লগারদের লেখাও পড়ুন, এতে আপনার পাঠক বাড়বে এবং ব্লগিং জগতের এই নিয়ম।
মোঃ খুরশীদ আলম
ভাই অনুরোধ করতে হবে কেন? একজন ব্লগার হিসাবে এটাতো আমার দায়িত্বের মধ্যে আসে যে নিজের সাথে সাথে অন্যের লেখা পড়া ও তাতে মতামত ব্যক্ত করা। আসলে আমি কর্মব্যস্ত মানুষ। আমার কোন স্মার্টফোন নেই। তাই যখন তখন বা যেখানে সেখানে থেকে সাইটে প্রবেশ করতে পারি না। অন্য দিকে যতক্ষণ অফিসে থাকি, ফাঁকি ঝুকি দিয়ে হয় নিজের কম্পিউটার থেকে, না হয় সহকর্মীর কম্পিউটার থেকে ব্লগে প্রবেশ করি। এই হলো আমার অবস্থা। তাই ইচ্ছে থাকলেও সকলের ব্লগ পড়া বা মন্তব্য করা সবসময় সম্ভব হয় না।
ইঞ্জা
ধন্যবাদ বিষয়টি জানেন শুনে ভালো লাগলো, বেশি কিছু নয় প্রতিদিন নাহোক, সময় করে সবার লেখা পড়বেন এবং মন্তব্য করবেন সেই আশা রাখছি।
মনির হোসেন মমি
বর্তমান সময়ের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।আসলে এ সব সমস্যাগলো আজকাল সমাজের প্রায় প্রতিটি কোণায় কোণায়। এ ক্ষেত্রে ছেলে মেয়েদের আমি দোষ দিবো না।ওরা কোমল মনের অধিকারী ওদেরকে আমরা যা দিব তাই সয়ে নেবে তাই পাথেয় হবে।
এক্ষেত্র হতে উত্তরণে সব চেয়ে বড় যে বিষয়টি তা হল মা বাবাকেই সন্তানদের সাথে বন্ধুত্ব তৈরী করতে হবে।ওদের সাথে এমন ভাবে সময় দিতে হবে যে ভাবে একজন বাহিরের বা স্কুল কলেজের বন্ধুরা সময় দেয়-মনের ভাব আদান প্রদান করে। তাহলে সন্তানের চলার গতিপ্রকৃতি বিপদ আপদ আগ হতেই আচ করে সমাধানের পথ বাহির করা যাবে।এক্ষেত্রে বলতে পারেন-মা বাবার এতো সময় কই?সময় না থাকলেও অন্তত সকাল আর রাত্রে হলেও সন্তানদের সময় দেবার সময় বের করে নিতে হবে।
দ্বিতীয়ত আমাদের সময়ে আমরা আমাদের কৈশরের উদ্দীপনা মেটাতে অনেক খোলামেলা পরিবেশ পেয়েছি।তাই সর্বোক্ষণ খেলা ধুলায় মেতে ছিলাম এ বয়সে প্রেম ভালবাসা কী জানাই ছিলো না।ছেলে মেয়ে এক সাথে ক্লাশ করেছি,করেছি খেলাধুলা আড্ডা।কখনো নজর বিচ্যুতি ঘটেনি।আজকাল ছেলে মেয়েরাতো সেই পরিবেশটা পাচ্ছে না তাই ওরা অনলাইনেই আনন্দ খুজে বেড়ায় আর অনলাইন আর রেজিষ্ট্রিক নয় এখানে এডাল সহ বিভিন্ন প্রাপ্তবয়স্ক পোষ্টও তাদের চোখে পড়ে।তাই সহজে সন্তান বিগড়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।তখনও মা বাবারই দায়ীত্ব তার সন্তান অনলাইনে সর্বোক্ষণ কী করছেন কেন করছেন এর উত্তোরণে উপায় বের করা।
মোঃ খুরশীদ আলম
সন্তানদের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে- আপনি যথার্থই বলেছেন। সেই সাথে প্রযুক্তির ভুলটুকু যেন তারা গ্রহণ না করে সেক্ষেত্রেও আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ধন্যবাদ।
মনির হোসেন মমি
রাইট।ধন্যবাদ।
রেজওয়ানা কবির
খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেছেন।এ বয়সে খুবই আবেগ থাকে, এ বয়স মানে না কোন নিয়ম।তাই খুব সাবধানে পরিচর্যা করতে হবে।
মোঃ খুরশীদ আলম
এ বয়সটি কোন বাধা মানে না। বয়টা পেরিয়ে এসেছি। কি যে বয়স ছিল সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। ধন্যবাদ, ভাল থাকবেন।
আলমগীর সরকার লিটন
আলম খুব চমৎকার এবং বাস্তবমুখি লেখেছেন কিছু করার নেই সময়টা এখন নেট তার মধ্যে করোনা এসে আর সমস্যা হয়েছে
অনেক শুভ কামনা জানাই
মোঃ খুরশীদ আলম
‘করোনা’ একদিন চলে যাবে। আমার পৃথিবী হাসবে চিরচেনা হাসিতে। ভাল থাকুন, ধন্যবাদ।
ফয়জুল মহী
কিশোর এখন কিশোর নাই বুড়োদের দাদা । যুগ জামনা করেছে এমন। পরিবারকে সজাগ থাকা দরকার
মোঃ খুরশীদ আলম
সচেতনতা, সচেতনতা আর সচেতনতা , সেই সাথে ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রাকটিস। এর কোন বিকল্প নাই কিন্তু।
আরজু মুক্তা
বাবা মায়ের উচিত কোয়ালিটি টাইম দেয়া। তাদের সাথে বন্ধুর মতো মিশে যাওয়া। সৃজনশীল কাজ শিখানো। আর অবশ্যই ধর্মীয় মূল্যবোধ ও শিক্ষা দেয়া। ও যেনো সবকিছু আপনার সাথে সবকিছু শেয়ার করতে পারে, সেজন্য খাওয়ার পর কিছুক্ষণ গল্পের ছলে সমসাময়িক বিষয় আলোচনা করা দরকার।
ভালো থাকুক সবছেলেমেয়ে।
শুভকামনা
মোঃ খুরশীদ আলম
যথেষ্ট ভাললাগা রইল আপনার মন্তব্যে। আপনি সত্যিকারভাবেই পরিবেশটাকে মূল্যায়ন করেছেন। ধর্মীয় মূল্যবোধের কোন বিকল্প নাই। সুস্থ থাকুন, ধন্যবাদ।
আরজু মুক্তা
ভাই দোয়া করবেন
সুপর্ণা ফাল্গুনী
বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। তাদের জন্য সময় দিতে হবে। তাদের চাওয়া পাওয়া গুলোকে দরকারের অতিরিক্ত পূরণ করা সম্ভব নয় বলে বুঝাতে হবে। সবকিছুতেই মানানসই ব্যবহার করতে হবে। অতিরিক্ত শাসন ও করা যাবে না আবার আদিখ্যেতা ও দেখানো যাবে না। স্মার্টফোনের আসক্তি থেকে দূরে রাখতে হবে, শিক্ষনীয় বিষয়গুলো দিয়ে তাদের অবসর টাকে কাজে লাগাতে হবে। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন শুভকামনা রইলো
মোঃ খুরশীদ আলম
স্মার্টফোন আর ইন্টারনেট এর অপব্যবহার আমাদের শিশুদেরকে তাদের লক্ষ্য হতে বিচ্যুত করছে বলে আমি মনে করি। সন্তানের চোখে সেটা ভাল লাগছে যেটা তার জন্য ক্ষতিকর বলে মনে করছেন। তাকে নিষেধ করতে যাবেন সে শুনবে না মানবেও না। জোরাজুরি করলে বাজে রিয়েক্ট করবে। এগুলো আসলেই বিরাট সমস্যা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
সন্তানদেরও চাহিদার পরিবর্তন ঘটেছে। আমাদের শৈশবে আমরা দুই টাকার চকলেট কিংবা এক টাকার মুড়ি আর এক টাকার চানাচুর খেয়ে সারাদিন কাটিয়ে দিতাম। আমাদের সন্তানরা নাম জানা না জানা হাজারো বাহারি ফাস্টফুডের স্বাদে ডুবে থাকে আজকাল। লাটিম, ঘুড়ি-নাটাই, হা ডু ডু, গোল্লাছুট, দারিয়াবান্ধা, লুকোচুরি, কানামাছি, বৌছি ইত্যাদি আমাদের খেলার তালিকায় ছিল। আমাদের ব্যস্ততা ছিল দৌঁড়ঝাঁপ আর বনবাদারে ঘুরে ফিরে। আমাদের সন্তানরা ফেজবুক, ইন্ট্রগ্রাম, মেসেঞ্জার, ইমোতে খুঁজে ফেরে তাদের বিনোদন। ফ্রেন্ড রিকেয়েস্ট আক্টসেপ্ট, চ্যাটিংয়ের দুনীয়ায় একসময় তারা হারিয়ে যায় ভাল লাগা আর না লাগার হিসাবের খাতায়। স্বপ্ন দেখে নিজেদের মতো করে বেঁচে থাকার ।****
এসবের জন্য বাবা মায়েরাও দায়ী।নিজেদের ব্যস্ততার দোহাই দিয়ে সন্তানের হাতে দামি ফোন আর টাকা দেই।তাদের সময় দেইনা। কোথাও বেড়াতে গেলে সন্তান ঝামেলা মনে করি বলেই এসব সমস্যার সৃষ্টি হয়।
খুবই জরুরী একটা বিষয় তুলে ধরেছেন।
শুভ কামনা ভাই।
মোঃ খুরশীদ আলম
স্মার্টফোন আর ইন্টারনেটের কুফল বুঝতে পেরে কোন সচেতন পিতামাতা যদি তার সন্তানকে সেদিকে যেতে নিষেধ করে, সন্তানরা বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মা-বাবার সেই নিষেধ তো শুনছে না। মা-বাবা বাধ্য হয়ে শাসন করছে, মরছে-ধরছে-গালিগালাজ করছে। বিশ্বাস করবেন ক্লাশ সিক্স সেভেনের ছেলে-মেয়েরা বিদ্যালয়ে স্মার্টফোন নিয়ে যায়। মা-বাবা এগুলো কি দেখেনা? এটা একটা বড় সমস্যা হয়ে পড়েছে ভাই।
তৌহিদ
সমসাময়িক এবং সকলের জন্য শিক্ষামূলক অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা পড়লাম। পরিবারই হচ্ছে শিশুদের প্রথম পাঠশালা। সন্তানের বিষয়ে বাবা মাকে নির্দিষ্ট সময়ে যথেষ্ট সচেতন থাকতে হবে যার বিকল্প আর কিছুই নেই।
সময়ের আবর্তে হারিয়ে যাওয়া সময়কে আর খুঁজে পাওয়া যায়না। অনলাইনের এই যুগে শিশুদেরকে সময় দিতে হবে। সুস্থ বিনোদনের মাধ্যমগুলোকে চিনিয়ে দিতে হবে। না হলে মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে নিশ্চিত।
আপনার আগের লেখাগুলোও যথেষ্ট ভালো লিখেছেন। আশাকরি নিয়মিত লিখবেন এখানে। সকলের মন্তব্যের জবাব দিন, আপনিও সকলের পোস্টে মন্তব্য করুন। পাঠক এবং লেখকের মেলবন্ধনে একসাথে এগিয়ে যেতে চাই আমরা সকলেই।
সোনেলায় আপনার বিচরণ দীর্ঘতর হোক এটাই প্রত্যাশা। শুভকামনা রইলো।
মোঃ খুরশীদ আলম
সংসার এবং পরিবার হচ্ছে সন্তানের প্রথম পাঠশালা। আর বাবা-মা সন্তানের প্রথম শিক্ষক। আপনার মন্তব্যে +++ সুস্থ থাকুন।