একটি না-জমে-ওঠা গপ্পো-কথা

ছাইরাছ হেলাল ২০ জুলাই ২০১৯, শনিবার, ০৪:০৯:২৪অপরাহ্ন গল্প ২৬ মন্তব্য

 

অনেক দিন থেকে ভাবছি, আরে নাহ! এই তো একজনের গল্প-লেখা-ভাবনা শুনতে শুনতে ভাবলাম আমিও না হয় লিখে ফেলি একটি যেমন-তেমন মহা-গল্প। সহজ ভাবনা সহজেই ভাবা যায়, কিন্তু লিখতে বসে দেখি, ভাভারে ভাভা! গল্প আবার কেমনে লেখে! ঐ যে ভেতরে/বাহিরে (ইচ্ছে হলে গানটি শুনে বিমলানন্দ নিতে পারেন) ত্যাঁদড় ইচ্ছে তড়পে যাচ্ছে, গাল-গল্প এবার ফাঁদবো-ই ফাঁদবো! অবশ্য এমন আজগুবি ভাবনায় আমার কুন দুষ নেই! হরহামেশা সবাই সব্বাই কত্ত কত্ত সুন্দর ডাঙর ডাঙর চকচকে চকমকে গল্প লিখে ফেলে, এমুন গাল-গল্প/গপ্পো পড়লে কার না লেখা-ইচ্ছের চেকনাই বাড়ে।

মনের এহেন ছটছটানি/ছটফটানি/কটকটানি কাহাতক আর সহ্য করা যায়! এমনিতেই খোলা জানালায় রোদের ঝাজ ঢলে ঢলে ধেয়ে আসছে। এহেন অসহ্য গরমের শরীরী মেলামেশায় কী আর গল্প-ছানা বেরুবে! বুঝছি না তো! তার চেয়ে চটপট ঠাণ্ডা-স্নানে শরীর-মন জুড়িয়ে বসে যাব কোন এক মনোরম/মনোহর হিম ঘরে, যাবতীয় লেখায়োজন নিয়ে, সিলো জেল ০.5, সাথে বিদেশি A4 সাইজের গাদা গাদা না হোক বেশ কয়েকটি ক্লিপ বোর্ডে লটকে গ্যাঁট হয়ে বসে কলম চুষতে শুরু করে দিলে কেমুন হয়! বা ফট করে দৈব-চয়নে গুটি কয়েক বাক্স-যন্ত্র থেকে একটিকে নিয়ে ওয়ার্ড মেলে/পেতে কী-বোর্ড হাতাতে শুরু করে দিলে কেমন হয়!

মনের কু-ডাককে যুপ-কাষ্ঠে বলি দিয়ে হরবোলার ভাব নিয়ে তাইরে নাইরে বন্ধুরে সুরের লহরি খেলিয়ে কে যায়, যায় রে ভাটির গাঙ বাইয়া! নাহ এটি জুতসই মনে হচ্ছে না, সে যাই হোক গল্পে গল্পে গল্পো/গপ্পো সে আমি লিখবো-ই! আকছার সবাই যখন লিখছে।

তুকতাক ওঝা বৈদ্যের চেষ্টা যে করিনি তা নয়, নিদেন পক্ষে তাবিজ কবজ যদি না-ও হয়, তেল পড়া, পানি পড়া, কলম পড়া চেয়েও জুত করতে পারিনি। লেখালেখি সবাই পারে না, হয়-ও না,
দূর অস্ত!

সোনেলার ভদ্র ও ভদ্রে-গন, সহৃদয়তা নিয়ে কেউ কী আছেন চোরা পথে, মুফেতে, বেশি না, মাত্র একখানি শানানো গল্প যদি তাবিজ আকারে দান করতেন, হ্যাঁ, দু-কুলেই অশেষ নেকির নিশ্চয়তা, সুযোগ হেলায় হারানো ঠিক না।

দুশ্চিন্তার অবয়ব নিয়েও হাল্কা-পাতলা এ্যাডভেঞ্চার হতেই পারে, পারে না! লেখকদের প্রাণবন্ত প্রেতাত্মা ভর করলে চট করে আপত্তি করবো না, উল্লসিত উদার হৃদয়ে। ভাববেন যেন, লিখতে পারিনি/পারিনা বলে হাত/পা/নখ/চুলে আগুন জ্বেলে কাঁদতে বসে যাব! এমুন না কিন্তু, লেখক হওয়া, গল্প/গপ্প লেখা এ এমন কুন ব্যাপার না, লিখছি-না এই যা।
বিরক্তির আবরণে বাতিকগ্রস্ততার কুন মানেই হয় না। আচ্ছা গপ্পো কেমতে ল্যাহে!! কেই কি একটু বলবেন!!

সুখবর...... গল্প-বুড়ির সাথে শলা শেষে প্রায় রফা হয়েছে, শর্ত সাপেক্ষে গল্প-প্লট পাওয়া যাবে............

অযথা খুঁচিয়ে ফুলিয়ে দ্বন্দ্ব যুদ্ধে নামিয়ে ক্ষত বিক্ষত হতে হতে নীচে থেকে বলছে, “এখন কেমন লাগে” !

ব্যতিক্রমহীনতায় ঘুরে দাঁড়িয়ে, গল্প! সে আমি লিখব-ই, উদ্ভাসিত পূর্ণাঙ্গ অবয়বে।

27 Shares

২৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ

Thumbnails managed by ThumbPress