গতকাল "The other Boleyn Girl" মুভিটা দেখবার পর থেকে চরিত্রগুলো ভাবনার জায়গা আচ্ছন্ন করেছে। এটি রানী প্রথম এলিজাবেথের জন্মেরও আগের ইতিহাস। তার মা অ্যান বোলিনের গল্প এটি।
Natalie Portman এর দূর্দান্ত অভিনয়ে আমি একদম চরিত্রের মধ্যে ঢুকে গিয়েছিলাম। মনে মনে অনেক ধন্যবাদ দিয়েছি বিধাতা কে অন্তত কিছুটা ভাল সময়ে আমাদের এই পৃথিবীতে আনবার জন্যে (?) কী নির্মম ছিলো নারীদের জীবন!! আজ তারা ইতিহাসের জন্য এক একটা বই হয়ে পড়ে আছে। গবেষকরা সত্য মিথ্যা খুঁজে বের করছেন, নারীর অন্তরাত্মার অভিশাপে কোথাও কী এক ফোঁটাও বদলেছে ইতিহাসের পাতা? এখনো নারীর অবস্থান আসলে কতোটা পরিবর্তন হয়েছে, সে প্রসংগ এই লেখার বিষয়বস্তু নয়।
লেখাটি বোঝার সুবিধার্থে চরিত্রগুলোকে আগে লিখে যাচ্ছি:-
অ্যান বোলিনঃ রানী প্রথম এলিজাবেথের মা
রাজা অষ্টম হেনরীঃ এলিজাবেথের বাবা
মেরী বোলিনঃ এলিজাবেথের খালা
ক্যাথেরিন অফ এরাগনঃ হেনরীর প্রথম স্ত্রী
লর্ড রকফোর্ডঃ এলিজাবেথের মামা
স্যার থমাস বোলিনঃ এলিজাবেথের নানা
রানী প্রথম এলিজাবেথের নানা স্যার থমাস বোলিন ছিলেন লন্ডনের রাজসভাসদ এবং কুটনৈতিক। তিনি তার মেয়ে অ্যান কে ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম হেনরীর দৃষ্টি আকর্ষনের জন্য এগিয়ে দিয়েছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন অ্যান যাতে রাজার বোনের পরিচারিকা (lady-in-waiting) হিসাবে জয়েন করে রাজার সার্বক্ষনিক নজর কাড়তে সক্ষম হন।
অ্যান প্রাথমিক ভাবে রাজাকে আকর্ষন করতে সক্ষম হলেও লোলুপ রাজার দৃষ্টি পরে অ্যানের বড় বোন মেরীর উপরে। রাজা হেনরী ছিলেন অত্যন্ত সুদর্শন এবং তৎকালীন সময়ে নারীভোগী একজন রাজা। তার স্ত্রী ক্যাথেরিন একটি কন্যা সন্তান জন্ম দেয়ায় হেনরী তার উত্তরসূরি পুত্র সন্তানের জন্য পরবর্তীতে একের পর এক অনেক নারীর প্রতিই ঝুঁকেছিলেন। মেরী সদ্য বিবাহিত হলেও বাবা, চাচা এবং স্বামীর ইচ্ছায় রাজার সাথে তার রাজ্যে যেতে বাধ্য হন। কিন্তু সেসময় অ্যানের প্রতিহিংসারও কারন হন, অ্যানের মনে জন্ম নিয়েছিল তার বোনের কারনেই সে রাজাকে আকর্ষন করতে ব্যর্থ হয়েছে।
মেরী বোলিন যখন অন্তঃসত্বা তখন একদিন তার ব্লিডিং হওয়ায় ডাক্তারের পরামর্শে তাকে এক ঘরে বিছানায় শয্যা নিতে হয়। রাজার আসা যাওয়ায় নিষেধ আনা হয়। মেরী এবং অ্যানের বাবা এবং চাচা আবারো আতংকিত হয়ে পড়েন এতে, রাজা মেরীর সংস্পর্শে না যেতে পেরে যদি অন্য নারীর প্রতি ঝুঁকে পড়েন। তাই তারা এবার আবারো অ্যানকে রাজার দিকে এগিয়ে যেতে বলেন। কিন্তু অ্যান তখন অন্য নারী, এবার বুঝেই গেছেন কী করে পুরুষকে আকর্ষন করতে হবে। প্রত্যাখ্যিত হবার শোধ যেন এবার সে পুরোপুরি তুলতে চান। রাজাও ডুবে যান অ্যানের প্রেমে, কিন্তু অ্যান বারবার তাকে ফিরিয়ে দেয়, কারন সে তার বোনকে পছন্দ করেছিল এই বলে। বারবার ব্যর্থ হয়ে রাজা উন্মত্ত হয়ে যায়, অ্যান যা বলবে তাতেই সে তখন রাজী। অ্যান তখন রাজাকে তার প্রথম স্ত্রী ক্যাথেরিন কে ডিভোর্স করবার জন্য বলেন। কারন সে চায়না তাদের বাচ্চা হলে বাস্টার্ড নাম ধারন করুক। ক্যাথেরিনের কোন রুপ দোষত্রুটি না থাকা সত্বেও হেনরী তাকে ডিভোর্স করতে বাধ্য হন। এরপর অ্যান শর্ত দেন, অ্যানকে রাজার বিয়ে করতে হবে। রাজা যখন দ্বিধাদ্বন্দে ভুগছিলেন, তখনই জানতে পারেন মেরী একটি পুত্র সন্তান জন্ম দিয়েছেন। কিন্তু অ্যানের প্রতি তীব্র আকর্ষনের কারনে সে তখন মেরীকেও আর গ্রহণ করেনি।
অ্যান এবং রাজা হেনরী গোপনে চার্চে বিয়ে করলেও পরে তাকে রানির মুকুট পড়িয়ে দেয়, যদিও রাজ্যের সবাই তখন অ্যান কে যাদুকরী বলে ধিক্কার দিচ্ছিলো।
অ্যান এর প্রথম সন্তান কন্যা হবার পরে রাজা হেনরী আবারো তার প্রতি আকর্ষন হারিয়ে ফেলেন। (এই কন্যা সন্তানই হচ্ছে রানী প্রথম এলিজাবেথ) এরপর অ্যানের পরপর দুবার মিসক্যারেজ হয়, সেগুলো পুত্র সন্তান হওয়ায় রাজা হেনরী নিজেকে অভিশপ্ত ভাবতে শুরু করেন, আর অ্যানের সংস্পর্শ থেকে সরে আসতে শুরু করেন। অ্যানের পরিচারিকা জেন সিমোর এর দিকে আকৃষ্ট হন। অ্যান পাগলের মতো রাজাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করতে থাকেন। যে করেই হোক একটি পুত্র সন্তান চাই তার, নইলে এই বিয়ে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবেনা। বিভিন্ন বইতে আছে এরপর অ্যান পাঁচজন পুরুষের সাথে সহবাস করেন একটি পুত্র সন্তানের আশায়। এই পাঁচ পুরুষের একজন হচ্ছে তার আপন ভাই লর্ড রকফোর্ড। The other Boleyn Girl মুভিতে দেখানো হয়েছে সে পাগল হয়ে যখন কিছুতেই রাজাকে ফেরাতে পারছিলেন না তখন একমাত্র উপায় হিসাবে তার ভাইকে অনুরোধ করেন, যদিও তারা শেষ পর্যন্ত তা করতে অক্ষম হন। কিন্তু দুজনকে একত্র অবস্থায় দেখে ফেলে তার ভাইয়ের স্ত্রী এবং রাজা হেনরীকে জানান।
অ্যানকে এরপর এডাল্টারীর অভিযোগে এরেস্ট করা হয়। তার ভাই এবং তাকে জনসম্মুখে শীরচ্ছেদ করা হয়। অ্যান হচ্ছে প্রথম রানী যাকে সকলের সামনে শীরচ্ছেদ করা হয়। ফাঁসির প্রাক্কালেও তার কন্ঠে রাজা হেনরির গুনগান ছিলো,
"a more merciful prince was there never: and to me he was ever a good, a gentle and sovereign lord."
অ্যানের কন্যা সন্তানটিকে মেরী বোলিন তার নিজের পুত্র সন্তানের সাথে পালন করেন। সেই কন্যা সন্তানটিই একদিন রানী প্রথম এলিজাবেথের আসন অলংকৃত করেন।
এটি মুভি রিভিউ না হলেও অ্যানের চরিত্রে Natalie Portman আর মেরী'র চরিত্রে Scarlett Johansson এর অনবদ্য অভিনয় আমি ভুলতে পারছিনা। রানী এলিজাবেথের ইতিহাস কিছুটা জানা থাকলেও তারা দুজন যেই দূর্দান্ত অভিনয় করেছে, তা না দেখলে আমি হয়তো কখনোই আকর্ষন বোধ করতাম না। পুরুষের স্বেচ্ছাচারিতার বিচার করবার কেউ ছিলোনা, নেই।
মজিবর ভাইয়ার মন্তব্যের পরে এই অংশের সংযুক্তিঃ
ইতিহাসে অ্যান কে নিয়ে নানা তর্ক-বিতর্ক রয়েছে, বেশিরভাগ মানুষের চোখে তিনি খল চরিত্র হিসাবে রয়েছেন। সে তার বোনকে বিট্রে করেছে, রাজার প্রথম রানী ক্যাথরিনকে ডিভোর্স করাতে বাধ্য করেছে। কিন্তু অ্যান যদি খল হয় তবে সবার আগে অ্যানের বাবা এবং চাচার বিচার হওয়া উচিৎ যারা নিজেদের স্বার্থ লাভে নিজের মেয়েদেরকে বিক্রি করতেও ছাড়েন না। আমিতো বলি অ্যান প্রচন্ড ব্যাক্তিত্ববান একজন নারী, যিনি নিজের সন্তান কে জারজ নাম না দেবার জন্য এসব করেছিলেন। মেরীর কপালে কিন্তু এটাই ছিল, তাতে অ্যানের কিছুই করার ছিলোনা আর ক্যাথরিন, অ্যান এরা কী সব একজন নারীই নয়? রাজারা গন্ডায় গন্ডায় উপপত্নী রাখলে দোষ ছিলোনা, কিন্তু বিয়ে করতে গেলেই সমস্যা?
যেই অপরাধের জন্য পুরুষের বিচার করবার কেউ নেই, সেই অপরাধের জন্য নারীর বিচার করবার পুরুষ কে?
৪৯টি মন্তব্য
মোঃ মজিবর রহমান
হরে আপু শুধু পুরুষের আর অ্যান নিজ বোনকে ছাড় দিলো না দেখলেন না।
আপু কি জানি সৃষ্টি কর্তায় আপনাদের শক্তি কম দিয়েছেন জাতে অস্ত্র হাতে পুরুষ দমন করতে না পারেন!!!!!!!!!!!!!! ভ
অনেক দিন পরে ১ম হলাম।
শুন্য শুন্যালয়
আপনার মন্তব্যের উত্তর বড় হয়ে যাওয়াতে লেখাতেই সংযুক্তি করে দিয়েছি ভাইয়া। 🙂
আপনি কিন্তু ঠিকই বলেছেন ভাইয়া, হয়তো বিধাতার এমনই ইচ্ছা, তবে শক্তি কিন্তু আমাদের কম নয়, চাইলে পুরুষ দমন করতে পারি আমরা, তবে আমরা নমনীয়, কঠিন নই। 🙂
১ম হলে মিষ্টি খাওয়াতে হয়, মিষ্টি কই?
মোঃ মজিবর রহমান
সবেতে মেলে সহজ সরল
সবেতে আছে ভাল খোয়াল
ভাল হলে তেতুল পাতায় নয় জন মেলে।
মিস্টি ইনবক্সে হা হা হা
মোঃ মজিবর রহমান
সঙ্গে রানী এলিজাবেথের জন্ম কাহীনি জানলাম।
শুন্য শুন্যালয়
রানী এলিজাবেথ কে নিয়ে আরেকদিন লেখার ইচ্ছে আছে। তার জীবনটাও করুন ছিলো। অ্যানের মৃত্যুর পরে তাকে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছিল।
মোঃ মজিবর রহমান
চেয়ে থাকলাম
আপু আপনার মায়ের কি অবস্থা।
শুন্য শুন্যালয়
আম্মা এখন মোটামুটি ভালো আছেন ভাইয়া, ডায়াবেটিস খুব আপ ডাউন করে। ধন্যবাদ জানতে চাইবার জন্য।
ইদ মোবারক ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
অনেক অজানাই জানলাম প্রথম নারী শিরচ্ছেদ প্রথম এলিজাবেদের মা -{@ সে সময় নারীদের কেবল ভোগের বস্তুই মনে করত সবাই -{@
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
প্রিয়তে নিলাম। -{@
শুন্য শুন্যালয়
শিরচ্ছেদ হয়তো আরো নারীদের হয়েছিল আগে, তবে অ্যান প্রথম ব্যক্তি যাকে সকলের সামনে শিরচ্ছেদ করা হয়। নারীদের প্রতি এই দৃষ্টিভংগী এখন অব্দি আছে ভাইয়া। অনেক ধন্যবাদ প্রিয়তে নেবার জন্যে। -{@
লীলাবতী
ইতিহাসটি জেনে খারাপ লাগছে খুব। নারীর অবস্থানের তো একটুও পরিবর্তন হয়নি। নিপীড়ন, নির্যাতন এর ধরনও একই আছে। সমস্ত স্বেচ্ছাচারীতার একমাত্র অধীশ্বর হচ্ছে পুরুষ। এমন ইতিহাস জানতামনা আপু। ধন্যবাদ আপনাকে।
কেমন আছেন?
শুন্য শুন্যালয়
আমিতো ভালো আছি ভত্তাবতী, আপনি কেমন আছেন? কতদিন পরে এলেন, এভাবে আমাদের ভুলে থাকা যায়?
নির্যাতন আগের মতোই আছে, শুধু পদ্ধতি পাল্টেছে। ব্যাপার না, ইতিহাস বারেবারে ফিরে আসে তার প্রতিশোধ নিয়ে।
খোদ আমাদের ধর্মেই আছে নারীর উপরে পুরুষ, আর কী করতে পারি আমরা?
পোস্ট চাই, আপনার দুস্টু মিষ্টি পোস্ট কতদিন পড়িনা।
লীলাবতী
ভাল আছি আমিও আপু। ভুলে ছিলাম কে বললো আপনাকে? দূরে বসে বুঝি মনে করা যায় না? (3
” খোদ আমাদের ধর্মেই আছে নারীর উপরে পুরুষ, আর কী করতে পারি আমরা?” 🙁
পোষ্ট আসবে আসবে, কিন্তু কি লেখবো? ^:^ মাথার চুল ছিড়ে ফেলছি।
শুন্য শুন্যালয়
টাক হয়েও লেখা বের করতে পারছেন না বুঝি? যদিও সুন্দর একটা লেখা শেয়ার করেছেন, পড়লেও মন্তব্য দিতে পারিনি এখনো, সমইয় করতে পারিনি।
দূরে বসে মনে করাটা এক পক্ষীয় হয়ে যায়না?
ইঞ্জা
অনেক অজানাই জানলাম আজ, ধন্যবাদ আপু অসাধারণ এই পোষ্টের জন্য।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ইঞ্জা ভাইয়া।
ক্রিস্টাল শামীম
আপনার লেখাপড়ে মুভিটা দেখার ইচ্ছা জাইগা উঠছে। বাকি মন্তব্য দেখার পরহবে। তবে লেখারমাঝে অনেকটা বুঝিয়ে দিয়েছেন।
শুন্য শুন্যালয়
মুভিতে তাকে ভালো-মন্দের আসল মানুষই ফোঁটানো হয়েছে। দেখবেন সময় করে। এটা যদিও আমি মুভি রিভিউ লিখিনি, তবে ভালো লাগবে আশা করছি।
মৌনতা রিতু
আমি তো এই ইতিহাসটার কিছুই জানতাম না।
আজই এর কালেকশনে নামতে হবে। সত্যি ক্ষমতার জন্য, নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে মানুষ কতো কিছুই না করে !
ধন্যবাদ। ভাল থেকো। -{@
শুন্য শুন্যালয়
কতো ইতিহাসই তো আমাদের অজানা আপু, আমিও খুব সামান্য জানতাম, মুভিটা দেখে অনেকটা জানতে পেরেছি, এরপর অনলাইনে পড়লাম। হ্যাঁ ক্ষমতার জন্যে অনেক কিছুই করে মানুষ। এখনো তো পরিবারে ছেলের জন্য অনেকেই হাহুতাশ করে, বিয়েও ভাঙ্গে।
ভালো থেকো আপু -{@
ছাইরাছ হেলাল
বাহ্, ছবি নিয়ে এমন বিস্তারিত আলোচনা এই প্রথম করলেন,
শুধু তাই নয় নিজস্ব মতামতও দিয়েছেন,
এটাই বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে না খুব প্রাণ-মন দিয়েই মুভিটি দেখছেন,
যদিও কোন দিকেরই রেটিং বেশি না, rotten tomatoes মাত্র 42%,
যেহেতু আপনি বলেছেন, তাই অবশ্যই দেখব।
Lost in Translation (2003), অন্য ঘরানার হলেও দেখে ভাল লাগবে বলেই মনে করছি।
অবশ্য যদি সময় পান।
শুন্য শুন্যালয়
লেখাটা কিন্তু আসলে মুভি রিভিউ লিখিনি ভাইয়া। মুভিতে মেরী আর অ্যান বোলিন দুজনকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে। রাজা হেনরীর প্রথম ওয়াইফ ক্যাথেরিনের চরিত্রে Ana Torrent মাত্র দুইটা দৃশ্যেই চমৎকার অভিনয় করেছেন। আমি আসলে মুভিটা দেখে ভালো লাগায় অ্যান কে নিয়ে অনলাইনে একটু পড়েছি, এরপরেই লেখাটা লিখেছি।
ছবির কারিগরী দিক, আপনি দেখলে ভালো বলতে পারবেন, মুভির পোকা আপনি। পঁচা টমেটো মাত্র ৪২%? 🙂
কতো আগে ডাউনলোড করে রেখেছি, অথচ দেখাই হয়নি 🙁 Scarlett Johansson এর না? দেখে নেবো এইবার।
ছাইরাছ হেলাল
আবার জিগায়!!
সময় করে দেখে ফেলুন।
শুন্য শুন্যালয়
আচ্ছা জানাবো দেখা হলে, পঁচা হলে কিন্তু খবর আছে।
ব্লগার সজীব
আপু বিকেলে একবার পড়লাম, আবার এখন পড়লাম। আমাদের দেশের নারী এবং পুরুষদের সাথে মিলালাম ইতিহাসের এই অধ্যায়কে। নারীর স্থান কোথায়? নারীরা তখনও নির্যাতিতা হয়েছেন, এখনো হচ্ছেন। ধর্মীয়, সামাজিক দৃস্টিভংগি নারীকে ভোগের বস্তুই বানিয়েছে। সমস্ত অত্যাচার নারীদেরই উপর। পুরুষরা অত্যাচার করেও রেহাই পেয়ে যাচ্ছে। এই ইতিহাসের আসলে শেষ নেই। মন খারাপ হয়ে গেল আপু।
শুন্য শুন্যালয়
ইতিহাসের শেষ নেই, তবে প্রতিশোধ আছে। লীলাবতীর শেষ লেখায় পড়ুন।
শুরুতে কিন্তু মাতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ছিলো, পুরুষরা তাদের গায়ের জোর আর বুদ্ধি দিয়ে তা কেড়ে নিয়েছে। আবারো পাল্টাবেনা কী? পাল্টাবে। ইতিহাস ঘুরে ঘুরে আসে।
দুঃখজনক হচ্ছে, এরপরেও অ্যানের মৃত্যুর পরে রানী এলিজাবেথ কে অবৈধ ঘোষনা করা হয়েছিল।
ইতিহাসে এমন অনেক ঘটনা আছে, যা আমাদের মনকে আসলেই খারাপ করে দেয়, কিছুটা তো ভালো আছিই আমরা তাইনা? এবার স্মাইল প্লিজ। -{@
ব্লগার সজীব
লীলাবতী আপুর কোন পোষ্ট বুঝতে পারিনি আপু। আজকাল তেমন পড়া হয়না ইতিহাস। এমন ইতিহাস মাঝে মাঝে শেয়ার করুণ। ভাল থাকুন।
মিষ্টি জিন
সেকাল থেকে একাল আমাদের অবস্হার কতটুকু পরিবর্তন হয়েছে? উচ্চ বিত্ত বা নিম্নবিত্ত সব শ্রেনিতেই নারী নির্যাতিত।
কার বিচার কে করে?
আপু হিন্দি মুভি’ আসতিতভা’ না দেখা থাকলে দেখার অনুরোধ রইল।
মুভি নিয়ে অসাধারন একটা পোষ্ট …ভালো লেগেছে
শুন্য শুন্যালয়
নাতো আপু, দেখিনি মুভিটা। টাবু আমার অনেক পছন্দের। দেখে ফেলবো।
ইতিহাসের এমন নারী চরিত্রগুলো নিয়ে সিরিয়ালি লিখবার ইচ্ছা আছে, নিজের জানবার জন্যেই। দেখি কতদিন ইচ্ছে থাকে।
পরিবর্তন হয়নি আপু, নির্যাতনের ধরন পাল্টেছে শুধু। ভালো থাকবেন প্রিয় আপু।
নীলাঞ্জনা নীলা
এসবের কিছুই জানা ছিলো না আপু। তুমি এজন্যই আলাদা, এমন অনেক অজানাকে জানাও সহজভাবে।
ছবিটা দেখতে হবে।
নারীদের জীবন পৃথিবীর সব জায়গাতেই একই। কোথাও আলো-ছায়া, আর কোথাও অন্ধকার।
নারী সে শিশু থেকে বৃদ্ধ সবারই একই জীবন।
কেউ মানসিকভাবে, কেউ শারীরিক-মানসিক দু’ভাবেই নির্যাতিত হচ্ছে। আর এমনটি যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। এও জানি কম কিংবা বেশী হোক, নারীকে ব্যবহার করেই চলবে এ সমাজের পুরুষেরা।
তোমার লেখার অপেক্ষায় থাকি, জানোই তো! -{@
শুন্য শুন্যালয়
দেখো সময় পেলে, ভালোই লাগবে। অ্যান খল চরিত্রটা বেশ ফুঁটিয়েছে আবার মৃত্যুর আগের যেই এক্সপ্রেশন, ভীষন।
আমার ছেলে Natalie Portman এর বেশ ভক্ত, কারন সে Star Wars এর নায়িকা। বহুদিন ধরে সে বায়না ধরেছে সে star wars এর মুভি বানাবে, তার স্কুলের ক্লাসমেটদের বিভিন্ন জনকে বিভিন্ন ক্যারেক্টার ভাগ করে দেয়া হয়েছে। আর Natalie বানাবে কাকে জানো? তোমার তিলোত্তমা কে 🙂
আমার লেখাতো আমার ইয়াক লাগে, এই পঁচা লেখার জন্য অপেক্ষা! তোমার লেখার কাছে এ হচ্ছে Z আর তুমি A. 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
ওয়াও Natalie তোমাকে!
এই ছেলে বড়ো হয়ে তো আরোও বিশাল প্রতিভাধর হবে।
দেখতে হবে না কার ভাগ্নে! 😀
তোমার লেখার অপেক্ষায় থাকি এটা তো লেখার লেখা(কথার কথা যদি বাক্য হয়, লেখার লেখা কেন হবে না এ নিয়ে কারণ দর্শাও 😀 )।
শুন্য শুন্যালয়
ইশ মায়ের চেয়ে মাসির দিকে বুঝি আগে টান থাকে?
ও আচ্ছা, আমার লেখা তাইলে চাওনা? 🙁 দিমুনা আর যাও। 🙁
নীলাঞ্জনা নীলা
জানোনা মায়ের চেয়ে মাসীর দরদ বেশী! আর এটা কিন্তু সত্যি। আমি কলেজে যখন চাকরী করতাম, চারমাসের মেটার্নিটি লিভ শেষ হয়ে গেলো। আমার ছোট বোন মৌ দেখতো তীর্থকে। আর রোজ বাসায় গেলেই আমায় ঝাড়ি দিতো, “কেমন মা তুমি কতো কাঁদে! ফিডার মুখে দেয়াই যায়না। চাকরীটা ছাড়ো।” রাগের চোট দিয়ে শুরু করতো আর তারপর চোখের জল দিয়ে শেষ করতো আমার প্রতি মৌয়ের ঝাড়ি। 😀
তোমারে লেখা শিখাইতে শিখাইতে আমি ক্লান্ত হইয়া গেছি। তবু একটু আমার মতো ভালো লিখতে পারোনা। :p 😀
অনেক দুষ্টুমী হয়েছে। ঈদের শুভেচ্ছা এবং আস্ত একটা হার্ট ধকধক ভালোবাসা। 😀 (3 -{@
শুন্য শুন্যালয়
মাধুরী দীক্ষিত মনে করাইয়া দিলা 😀
তোমার মতো ভালো লিখলে লোকে তোমার লেখা আর পড়বে ভেবেছো? এই শর্মার লেখা পড়বে বুঝেছো মনু?
আহা বাচ্চাটা কাঁদতো, আসলেই তুমি কেমন মা গো? :@
রিমি রুম্মান
অনেক অজানা বেরিয়ে এলো এই লেখায়। আবারো পড়বো বলে প্রিয়তে নিয়ে রাখলাম।
এমন লেখা চাই আরও।
পড়ার পরও একটা রেশ রয়ে গেছে যেন।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ প্রিয় আপু। ইতিহাস ছোটবেলায় আমার খুব অপছন্দের সাবজেক্ট ছিলো। যত বড় হয়েছি, আস্তে আস্তে আকর্ষন বেড়েছে। আর এখনতো মনে হয়, ইতিহাস নিয়ে পড়তে পারলে কতো ভালো হতো। এখানে এত সুন্দর সব ডকুমেন্টারি দেখায় ইতিহাসের উপরে, চুম্বকের মতো টানে।
লিখবো এমন, ইচ্ছে আছে। ভালো থাকবেন আপু।
প্রহেলিকা
মুভিটি দেখেছিলাম বছর দুয়েক আগেই। ইতিহাস সমৃদ্ধ মুভি। আপনার লেখাটি যখন পড়ছিলাম করুণ এই ইতিহাসটি চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে উঠেছে। বিশেষ করে শিরোচ্ছেদের দৃশ্যটি, করুণ বড়! ব্যক্তিগতভাবে যেটি মনে করি, নাটালি পোর্টম্যান, অ্যান বোলিনের চরিত্রের মাঝেই নিজের সর্বস্বটুকু বিলিয়ে দিয়ে ফুটিয়ে তুলেছেন। নারী-পুরুষের বৈষম্যের বিরুদ্ধে তিনি লড়ে যাচ্ছেন বলেই চরিত্রটি আরো বেশ ফুটে উঠেছে।
চালু রাখবেন আশা রাখি এমন প্রয়াস। সত্যি বলছি, যদি আগে দেখা নাও হতো তাহলে আপনার এমন উপস্থাপনায় মুভিটি দেখিয়েই ছাড়তো। ভাবছি আবার দেখে নিবো।
শুন্য শুন্যালয়
মুভিটি আগে দেখিনি যেমন, তেমনি এই কাহিনীর পুরোটা জানাও ছিলোনা। হ্যাঁ শিরোচ্ছেদের দৃশ্যটি খুবই করুন। আর নেতিবাচক মুভমেন্টগুলোও বেশ ফুঁটিয়েছে।
লেখা দিয়ে এসব বোঝানো কষ্টসাধ্য তবে ইচ্ছে আছে ইতিহাসের কিছু নারী চরিত্রকে তুলে ধরবো।
আপনি যখন দেখেই ফেলেছেন তখন আপনার ভাবনার কিছু শেয়ার করলে ভালো হতো, জানিতো বলবেন সবই তুলে ধরেছি।
দেখুন না হয় আরেকবার।
অনেক ধন্যবাদ আর ঈদের শুভেচ্ছা।
অপার্থিব
পুরুষতান্ত্রিক সমাজে ইতিহাস চর্চার দৃষ্টিকোনটাও পুরুষতান্ত্রীক , কাজেই এখানে অ্যান বোলিনকে নেতিবাচক চরিত্র হিসেবে উপস্থাপনে অবাক হওয়ার কিছু নেই । সিনেমায় কোন একটি ইতিহাস তুলে ধরতে গেলে পরিচালকের পার্সপেক্টিভটা গুরুত্বপূর্ণ। সিনেমাটা দেখিনি তাই এ ব্যাপারে কিছু বলতে পারছি না , সময় করে দেখতে হবে।
শুন্য শুন্যালয়
সিনেমাতে অ্যান আর মেরী বোলিন দুটি চরিত্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে দেখানো হয়েছে, মুভিতে দুই বোনের মধ্যকার সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
অ্যান কে নেতিবাচক এবং ব্যক্তিত্ববান হিসাবে দেখানো হয়েছে, ইতিহাসকে কিছুটা অবিকৃত রেখেই।
দেখবেন সময় করে, ভালোই লাগবে আশা করছি।
ইলিয়াস মাসুদ
সিনেমাটা দেখছি, একবারে বসে শেষ করার মত সময় নেই, একটু একটু করে দেখতে হয়, শেষ করি ,পরে মন্তব্য
দারুণ বিশ্লেষন করেছেন, দেখতে খুব সুবিধা হচ্ছে
শুন্য শুন্যালয়
মুভি এভাবে অল্প অল্প করে দেখে মজা পাওয়া যায়? সময় করে একবারেই শেষ করে ফেলুন। ইতিহাসের প্রতি আস্তে আস্তে আগ্রহ বাড়ছে, আগে ভালো লাগতো না। দেখা হলে জানিয়েন ভাইয়া। ঈদ মোবারক।
নাসির সারওয়ার
আপনি একজন নারী, তাই নিজেদের নিয়ে এমন লেখা বন্ধ করার একটা চেষ্টা চালান। শুরু করুন ধর মার টাইপের লেখা। ভয়ে সমাজ পাল্টাতে শুরু করবে।
অনেক ভালো উপস্থাপনা যা আপনি সব সময়ই করেন।
শুন্য শুন্যালয়
আমি কিন্তু নারীবাদী নই, আমি শুধু অন্যায়টা দেখি, সে নারী পুরুষ যে কেউ হতে পারে, তবে এ সত্যি শরীরের জোর থাকলে সেটা সে খাটানোর চেষ্টা করতেই থাকবে, যদি কন্ঠের জোর না বাড়ে।
সমাজ একদিন পাল্টাবেই, এই বিশ্বাস আমার আছে। আগে পুরুষ কেনাবেচাও হতো, এখন হয়না।
ইতিহাস নিয়ে এমন লিখিনি আগে, সত্যি মিথ্যে যাই-ই বলেন, শুনে কিন্তু আগ্রহ বাড়ছে আরো লিখবার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
তা কোরবানী কেমন গেলো? ঈদের শুভেচ্ছা রইলো, একদিন দেরি করে যদিও, তবু তিনদিন ঈদ। 🙂
নাসির সারওয়ার
আমিও পুরুষবাদী নই। মাঝে মাঝেতো দেখতে হয় যে নারীরা একটু হলেও এ সমাজে কোনঠাসা। আর তা নারীরাই বেশী করে তুলে ধরেন। তবে নারীরা তাদের এই আক্ষেপকে ভিন্ন ভাবেও আনতে পারেন।
কোরবানির আমেজ এখনো চলছে। আশা করি আপনিও আপনার ঈদ আনন্দ ভালো ভাবেই উপভোগ করছেন।
শুন্য শুন্যালয়
ঈদ ভালো যায়নি ভাইয়া, ছেলেটা অসুস্থ। ঈদের আগের বিকেলে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এসেছি।
আর দেশের বাইরে এসে মেয়েদের জন্য ঈদ মানেই কিচেনে সারাবেলা। অনেকে রান্না এনজয় করে, আমি একটু কম বলেই আমার কষ্ট বেশি হয়। কী আর করার?
মাম্মিটা কেমন আছে? ওরতো বোধ হয় প্রথম কোরবানি ঈদ ছিলো এবার। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
প্রজন্ম ৭১
লেখাটি যেদিন পোষ্ট করেছেন ঐ-দিনই পড়েছি। আমরা কি পাল্টেছি মোটেও? (y)
শুন্য শুন্যালয়
আপনি যে আসেন সোনেলায় তাইতো জানতাম না, কত যুগ পরে এলেন মনে করে দেখুন তো!!
আমরা পাল্টাইনি একদমই, খোলস টা কিঞ্চিত পাল্টেছে। শুভকামনা ৭১। -{@