রিমি রুম্মান

একটি বৃদ্ধাশ্রম গড়ার স্বপ্ন দেখি__
সেখানে কারো আসবার প্রয়োজন না হোক
প্রতিনিয়ত সে কামনা করি__

  • নিবন্ধন করেছেনঃ ১০ বছর ৬ মাস ২১ দিন আগে
  • পোস্ট লিখেছেনঃ ৩০১টি
  • মন্তব্য করেছেনঃ ৩০৩৮টি
  • মন্তব্য পেয়েছেনঃ ৫২৯৪টি

ঠিক যেন বিদায়ী সূর্য

রিমি রুম্মান ৭ ডিসেম্বর ২০১৮, শুক্রবার, ০৭:৪৫:২২পূর্বাহ্ন কবিতা ১৩ মন্তব্য
জীবনভর আলো ছড়ানো আমার আব্বা যখন পড়ন্ত সময়ে নিভে যাওয়ার জন্যে অপেক্ষার প্রহর গুনছিলেন, সেই সময়ের কথা_ বলছিলেন, বিপন্ন সময়ের না বলা যত কথা কেমন করে একাকি জীবন যুদ্ধে একটু একটু করে সচ্ছলতার মুখ দেখেছিলেন, পায়ের নিচের নরম মাটিকে শক্ত করেছিলেন কেমন করে আমাদের ভাল রেখেছিলেন। হাজার মাইল দূরের দেশে ফোনের অন্যপ্রান্তে আমি খুব স্পষ্টই [ বিস্তারিত ]
আমার এক নিকটাত্মীয়ের ঘটনা দিয়ে শুরু করা যাক। স্বামীর অকাল মৃত্যুর পর দুই সন্তান নিয়ে জীবন যুদ্ধে দিশেহারা এক মা। পুরোদস্তুর গৃহিণী থেকে জীবন ও জীবিকার তাগিদে কর্মজীবী নারী হয়ে উঠেন। স্বামীর অফিস সহকর্মীদের মানবিকতায় একই অফিসে কোনমতে চলার মত একটি চাকুরি জুটে। ছোট দুটি শিশু সন্তান নিয়ে বিধবা মায়ের যাপিত জীবন হয়ে উঠে খাড়া [ বিস্তারিত ]

দেশীয় আবহে এদেশীয় উৎসব

রিমি রুম্মান ২১ নভেম্বর ২০১৮, বুধবার, ০৪:০৪:০৫পূর্বাহ্ন বিবিধ ৬ মন্তব্য
নভেম্বরের এক রোদেলা বিকেল। পরনে হেভি জ্যাকেট, কান টুপি, হাত মোজা। কনকনে শীতে জবুথবু হয়ে কাজ থেকে ফিরছি। হাঁটছি ডাউনটাউন ম্যানহাঁটনে সাবওয়ে স্টেশনের দিকে, যেপথে বাড়ি ফিরবার ট্রেন এসে থামে, সেইদিকে। আচ্‌মকা তুলার মত কিছু উড়ছিল বাতাসে। আমি ডানে তাকাই, বাঁয়ে তাকাই, উপরে তাকাই। কোথা থেকে এইসব উড়ে আসছে ? কোন বাড়ির ছাদ থেকে কে [ বিস্তারিত ]

বছরের প্রথম তুষারপাত দেখা !

রিমি রুম্মান ১৭ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ০৯:৩৭:০০পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য
এই শহরে আজ ভেজা সকাল। চারদিকে শুভ্র তুষার গলা শুরু হয়েছে।পথ-ঘাট ভেজা। সাথে ঝলমলে রোদ। অথচ গতকাল দিনভর তুষারপাত শেষে রাতভর বৃষ্টি হলো। ঝড়ো বাতাস বইলো। চললো ভোর অবধি। সকালে বাইরে খোলা আকাশের নিচে এসে দেখি বাড়ির সামনের চেরী গাছ হলদে পাতা সমেত ডাল ভেঙ্গে পড়ে আছে। মনটা বিষন্ন হলো। কেননা রোজ আসা যাওয়ার পথে [ বিস্তারিত ]

ভালোবাসার দেশটা আমার

রিমি রুম্মান ৩ নভেম্বর ২০১৮, শনিবার, ০৮:৩৬:১৮অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১০ মন্তব্য
বাড়ির পাশেই বিশাল শপিংমল। হাঁটাপথের দূরত্ব। নানান ব্র্যান্ডের পোশাকের দোকানে ভরপুর। মেসি, জেসিপেনি, গ্যাপ, এইচ এন্ড এম ...। কোন এক বিচিত্র কারনে চমৎকার এবং আরামদায়ক কোন পোশাক পছন্দ করে যখন বাড়ি ফিরি, তখন নজরে আসে লেবেলে লেখা 'মেইড ইন বাংলাদেশ'। কাকতালীয়ভাবে দীর্ঘ দুইযুগের প্রবাস জীবনে এমনটি ঘটেছে একবার নয়, দু'বার নয়, বহু বহুবার। এই ভেবে [ বিস্তারিত ]

শৈল্পিক এক স্থাপত্যশৈলী

রিমি রুম্মান ২২ অক্টোবর ২০১৮, সোমবার, ১০:১৮:০৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য
আমরা যখন শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদের কাছাকাছি পৌঁছাই, তখন দুপুর আর বিকেলের সন্ধিক্ষণ। হাইওয়ে ধরে গাড়ি যতই নিকটে আসছিল, ততই মসজিদের সৌন্দর্য আমাদের আরও বেশি অভিভূত করছিল। যেন এটি শুধু একটি প্রার্থনার স্থানই নয়, শৈল্পিক এক স্থাপত্যশৈলী। বিশ্বের অন্যতম বড় এই মসজিদটির নামই শেখ যায়েদ গ্র্যান্ড মসজিদ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের একটি উপাসনালয়। মসজিদটির নামকরণ করা [ বিস্তারিত ]
নিউইয়র্কে আমি যে এলাকায় থাকি, সেখানে আশেপাশে কোন বাংলাদেশি নেই। মূল সড়কের দিকে যাবার পথে ঢালু যে রাস্তাটি নেমে গিয়েছে, সেদিকটায় একটি ইন্ডিয়ান পরিবার আছে যদিও, বাদ বাকি প্রতিবেশীদের সকলেই চায়নিজ। দীর্ঘ আঠারো বছর যাবত একই এলাকায় বসবাসের সুবাদে প্রতিবেশীদের সকলের সাথে সকলের সখ্যতা বেশ। পাশের বাসার মিস্টার চাও মাঝেমাঝেই ঝকঝকে হাসি হেসে বলে উঠে, [ বিস্তারিত ]

যে অনুভূতি অর্থহীন কড়া নাড়ে অবচেতন মনে

রিমি রুম্মান ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ০৫:১৪:৩৬পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৮ মন্তব্য
২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরের পূর্ব পর্যন্ত টুইন টাওয়ার ছিল নিউইয়র্ক সিটিতে বেড়াতে আসা টুরিস্টদের অন্যতম দর্শনীয় স্থান। ১৯৭৩ সালের ৪ই এপ্রিল এটি খোলা হয়। লোয়ার ম্যানহাটনে ১১০ তলা দুটি সুউচ্চ ভবন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিল। ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার কিংবা বিশ্ব বাণিজ্য কেন্দ্র নামেও এটি পরিচিত ছিল। অনেক দূর থেকে আমরা টাওয়ার দুটিকে দেখতাম একরাশ ভাললাগা নিয়ে। [ বিস্তারিত ]

শেকড়ে ফেরা যখন কেবলই কাঁদায়

রিমি রুম্মান ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১০:২৯:৫৫অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১৩ মন্তব্য
বাবাকে কথা  দিয়েছিলাম, তিনি বেঁচে না থাকলেও আমি এ বাড়িতে আসবো, হাজারো ব্যস্ততা পিছনে ঠেলে হলেও আসবো। গিয়েছি। আগের মতো উচ্ছাস নেই, আনন্দ নেই। পুরোটা পথ অনুভূতিহীন এক প্রাণ নিয়ে গিয়েছি যদিও, কিন্তু রাতে ঘুমোতে গিয়ে আবিস্কার করি, আসলে বাবার বাড়ি, বাবার বাড়িই।যেখানে গেলে কোন দ্বায়িত্ব কিংবা ভাবনা থাকেনা। কেমন যেন এক শান্তি শান্তি ভাব [ বিস্তারিত ]
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ‘জিবেল জাইস’ নামের পর্বত দেখার উদ্দেশ্যে বাসা থেকে বের হই দুপুরের পরই। এখানে বসবাসরত পরিবারের সদস্যরা, এবং তাঁদের বন্ধুরাসহ সবমিলে চারটি গাড়িতে আমরা ১৮ জন সদস্য। দুবাইয়ের প্রশস্ত রাস্তা ধরে যেতে যেতে বেশ অবাক বিস্ময়ে দেখছিলাম রাস্তার দুইপাশের দৃশ্য। যতদূর চোখ যায় শুধুই ধূ ধূ মরুভূমি। এমন দৃশ্য আগে দেখিনি কখনো । [ বিস্তারিত ]

যে দিন যায় চলে, সে দিন আর ফিরে না

রিমি রুম্মান ২৩ আগস্ট ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ০৬:১৬:১৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৬ মন্তব্য
চারপাশে সূৰ্যালোক ঝলমল করছিলযদিও, কিন্তু মাথার উপরে হালকা নীলআকাশে ছাইরঙ্গা মেঘ ভাসছিল বিচ্ছিন্নভাবে।এমন ভরদুপুরে একঝাঁক পাখি উড়ে বেড়াচ্ছিল এদিক ওদিক।অস্বচ্ছ জলের কলকল শব্দ তুলে ইটের দালান একে একে পিছনে ফেলে লঞ্চ ছুটে চলছে আমার ছোট্ট শহরের দিকে।চাঁদপুরের দিকে। বিপরীতমূখী একটি ইঞ্জিন চালিত বড় নৌকা ছুটে গেলো পাশ দিয়ে রাজধানীর দিকে। নৌকাটিতে গাদাগাদি করে শান্তভাবে দাঁড়িয়ে [ বিস্তারিত ]
কে বলে এই বিদেশ বিভূঁইয়ে ইদ নেই, ইদের আনন্দ নেই! ইদের কেনাকাটা অর্থাৎ বাচ্চাদের পাঞ্জাবী, নিজের জামা এসব কিনতে গিয়ে তীব্র ভিড় ঠেলে ঢুকতে হয়েছে দোকানে। দোকানীরা তুমুল ব্যস্ত কাস্টমার সামলাতে। পুরো রমযান মাস নির্ধারিত সময়ের চেয়েও বেশি সময় খোলা থাকছে অধিকাংশ দোকান। বাঙালি, ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি কাপড়ের দোকানগুলোতে ইদ উপলক্ষে মূল্যছাড়ের অফার দিয়েছে। ব্যস্ততার কারনে [ বিস্তারিত ]

মনের কোণে বাংলাদেশ

রিমি রুম্মান ৩১ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ০৭:০৯:১৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ১২ মন্তব্য
আমার ছোটবেলার রমজান ছিল ক্ষুধায় চোঁ চোঁ করা পেট নিয়ে নামাজ আদায় ও কোরআন তিলাওয়াত করা। বিকেল থেকেই ঘড়ি দেখা। আম্মার হাতে বানানো ইফতার প্লেটে প্লেটে সাজানো। সবশেষে ডাইনিং টেবিলে খাবার সামনে নিয়ে বাবা-মা আর আমরা তিন ভাইবোন আজানের জন্য অপেক্ষায় থাকা। কাগজি লেবুর শরবত, চিড়ার শরবত, পেঁয়াজি, ছোলা বুট, মুড়ি আর খেজুর। পরিমিত খাবার। [ বিস্তারিত ]
একদিন আমাদের পাড়ার শেষ প্রান্তের বাড়িটিতে নতুন ভাড়াটিয়া এলো। পরীর মত দেখতে তিনটি ছোট ছোট মেয়ে সেই পরিবারে। ছেলের আকাঙ্ক্ষায় ওদের মা চতুর্থবারের মত সন্তানসম্ভবা। সন্তান জন্মদানের সময়টাতে তিনি হাসপাতালে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। মায়ের আঁচল ধরে ছোট্ট আমিও সেদিন হাসপাতাল বেডের কোণায় দাঁড়িয়েছিলাম। মুখে অক্সিজেন মাস্কসহ হাতে, শরীরে নানান রকম স্যালাইন, সুঁই আর তার প্যাঁচানো। [ বিস্তারিত ]
নিউইয়র্কে রাস্তার পাশে ভ্যান গাড়িতে "জায়রো" নামের একটি জনপ্রিয় হালাল খাবার বিক্রি হয়। বিচ্ছিন্নভাবে এখানে ওখানে বাঙালি মালিকানাধীন এমন অনেক ভ্যান গাড়ি আছে, যেখানে সকাল থেকে রাত অবধি কাজ করেন বাংলাদেশী যুবকেরা। চোখের সামনেই গরম গরম বানিয়ে দেয়া হয় পাঁচ ডলারের এই খাবারের বক্স। গত সপ্তাহে দুপুরের কোন এক সময়ে খাবার অর্ডার দিয়ে অন্য অনেকের [ বিস্তারিত ]

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ