খিদে পেটে কবিতার গলিতে
ঢুকতে ইচ্ছে করে না!
ওসব গলি ওই চামচিকেদের
পতিতালয় আর পান্থশালা!
ওরা ওখানে মুখোস পরে
যখন-তখন ঢোকে আর
নেশার ঘোরে বীর্য বিনিময়,
আবার ভদ্র বেশে বেরিয়ে যায়!
মা বলে ওতো কবিতা মারিও না!
বোনের বিয়ে,বাবার অসুখ!
কোন শতাব্দীতে কবির হাত,
ছেড়া নেকড়ায় চোখের জল মুছে,
কবে ভাত দিয়েছে? বলতো হবু কবি!
কবিরা শুধু নিজে খাই! খেতে দেয় না!
মানুষ আসে! মানুষ কাঁদে!
মানুষ না খেয়ে আদি থেকেই মরে!
কবি শুধু সাহিত্য দিয়ে
আফিং আর গাঁজার নেশা করে!
ক্লান্ত মিটায়!জিরোয়! শোয়!
অমরত্ব নেশার ঘোরে থাকে
সারা চোখে মুখে আজীবন ভোর!
না খাওয়া- ক্ষুধার্ত কবিতা
পড়ে থাকে খিদের জ্বালায়
মায়ের চোখের জলে আর
মহাকালের অন্ধকার গর্ভে!
নর্দমা ঘেটে কেউ কবিতা খোঁজে না!
খোঁজে শুধু ক্ষুধার্ত মানুষ!
@ বাড়ি
তারিখ-৩১/১০/১২
সময়-৪ঃ০৯ বিকেল
১০টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
মা কিন্তু ঠিক কথাই বলেছে ।
তবুও কবি কবিতাতেই বাঁচে ।
লীলাবতী
ক্ষীধের জালায় পুন্নিমার চাঁন্দেরেও রুটি মনে হয় সুকান্তের ভাষায়! ! ! আপনার লেখাগুলো বেশ জীবনমুখি।
প্রজন্ম ৭১
কবিরা শুধু নিজে খাই! খেতে দেয় না!………….বলেন কি ? নিজেও তো কবি আপনি !! ভালো কবিতা।
জবরুল আলম সুমন
আপনার কবিতা সব সময় পোড় খাওয়া জীবনের কথা বলে এবারও ব্যতিক্রম হয়নি…
এই মেঘ এই রোদ্দুর
ওয়াও দারুন লিখেছেন…………
আমিও হাবিজাবি লিখি আমার জামাইতো মোটেও পছ্ন্দ করে না বলে এসব হাবিজানি রাখ পোলাপান দেখ
ইশ বড় আইছে কবিতা লিখনে ওয়ালী । তাই লুকাইয়া লিখি 🙁 🙁
যাযাবর
না খাওয়া- ক্ষুধার্ত কবিতা
পড়ে থাকে খিদের জ্বালায়
মায়ের চোখের জলে আর
মহাকালের অন্ধকার গর্ভে!………. অসাধারন , লিখতে থাকুন ভাই।
শিশির কনা
বাঁচতে হবে কবিতাতেই ।
জিসান শা ইকরাম
এজহারুল ভাই , গত দুদিন ধরে একটু অসুস্থ আমি , সময় নিয়ে এখানে আসতে না পারায় আপনার এত সুন্দর কবিতাটি পড়তে পারিনি।
সব সময়ই আপনি ভালো লিখেন – এটিও তার ব্যাতিক্রম নয়।
নীলাঞ্জনা নীলা
এভাবেই কবিতার বেড়ে ওঠা ।
সুরাইয়া পারভীন
সত্যিই অসাধারণ প্রকাশ
পাঠক হৃদয় তৃপ্ত কবিতা পাঠে