রূপা প্রচণ্ড আঘাত পেয়ে যেনো স্তব্ধ হয়েছিল। ঐ যে বলে না 'অধিক শোকে পাথর'। রূপা যেনো ঠিক পাথর হয়ে গিয়েছিল। একটা ঘটনা বদলে দিয়েছিল ওদের সম্পর্ক। বদলে দিয়েছিল সদ্য কৈশোরে পা দেওয়া রূপার জীবন। তবে আশার কথা হচ্ছে ছোট্ট রূপা দমড়ে মচড়ে গেলেও ভেঙ্গে যায়নি। পাথরের মতো শক্ত হয়ে গিয়েছিল রূপার মন।

রূপা ঠিক করে নিলো সে আর কখনো অনির সামনাসামনি হবে না, কথা বলবে না। কঠোর সিদ্ধান্ত, সে আর কখনো অনির মুখ দর্শন করবে না। ১৫ বছর বয়সের একটা বালিকা কতোটা কষ্ট পেলে এমন কঠিন হতে পারে তা বলা বাহুল্য। অনি বিয়ে করে পুরো দমে সংসারী।

কয়েক বছর পর রূপারও বিয়ে হয়ে যায়। রূপাও ঘরকন্যার কাজে ব্যস্ত হয়ে পরে। কিন্তু অনির প্রতি তার ক্ষোভ কোনদিনও যায়নি। বরং ধীরে ধীরে তা আরো গাঢ় হয়ে গিয়েছিল।

রূপা যতোই বলুক সে অনির মুখ দেখবে না কোনোদিন। কিন্তু এই সিদ্ধান্তে অটল থাকা হয়ে উঠেনি। অনি যেহেতু রূপার কাজিন তাই পারিবারিক অনুষ্ঠানে দেখা হতো। তখন বাধ্য হয়েই রূপাকে অনির সাথে কথা বলতে হতো। কথা হতো বলতে ঐ অনি ভালোমন্দ জিজ্ঞেস করলে রূপা তার উত্তর দিতো। এমনি করেই কেটে গেছে প্রায় দুই যুগ।

এতো গুলো বছর পর আজ অনির সাথে রূপার দেখা।  এতো দিনে হয়তো রূপার মস্তিষ্ক থেকে অনির স্মৃতি ফিকে হয়ে গেছে। কিন্তু অনিকে দেখার পর...

 

ছোট্ট বেলায় মস্তিষ্কে গেঁথে যাওয়া শব্দ(অনির বউ)_১

ছোট্ট বেলায় মস্তিষ্কে গেঁথে যাওয়া শব্দ(অনির বউ)_২

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ