রহস্যঘেরা সোনাবিকেলের সবুজ বনানী ভালোবাসি,
রঙিন প্রজাপতির বিরামহীন ওড়াউড়ি, ভ্রমর গুঞ্জরণের শান্ত ফুল,
হেমন্তের বিকেলের নরম আলোয় স্পন্দমান সবুজ ঘাস,
ঘোর অন্ধকারে জ্বলে থাকা স্বপ্নে আঁকা স্বপ্নচোখ ও
প্রাণপ্রিয় কবিতাদের বড় বেশি ভালোবাসি;
নচ্ছার ফাঁকিবাজ কুঁড়ে হতচ্ছাড়া কবি-ফবিদের একটুও না।
অশান্ত সমুদ্রে বয়ে যাওয়া শান্ত নদী, কচুপাতার শিশির বিন্দু, শিশুর রং ঢং, সাদাসিধে বেঁচে থাকা ভালোবাসি, জীবন ও জীবিকার সীমান্তে ঝুলে থাকা এপার ওপারের ভেদ রেখা, সুখপাখিদের বাসাটাসা, পেয়ারের এয়ারদোস্তদের হৈহল্লা, ভাগে বিড়ি ফোঁকা, বৃষ্টির আলিশান ফোঁটা, উন্মত্ত ষাঁড়ের ছুটে আশা, শিশু হারা বাঘিনীর ক্রন্দন,তীব্র বুনো বৃষ্টি, ভালোবাসি কবিতায় জ্যান্ত বন্দি; ভালোবাসি ভালোবাসি,
বাতাসা খেকো নরকের কীট কবিদের দেখলে শুধুই হাসি;
মগজকে রেখেছি বাটখারার জিম্মায়, দেখেছি দুষ্ট কবিরা ঝিলমিল বিলাসী প্রাসাদে
ফাঁদ পেতে ফাঁদে ফেলে নিপুন হাতে, মগজ ধোলাই বাবদ খাজনা তোলে,
গভীর তৃষ্ণায় মুমূর্ষুকে প্রাণজল দেয়ার ভাণ করে, ঘাগু শিকারীর বেসে!
ধড়িবাজ কবিদের মূল শুদ্ধ উৎপাটনে, চিৎপটাং শব্দ উপবাসে,
বিস্তৃত হাসি হাসি দিনেদুপুরে,
ছোঁয়াচে কবিতা, সহসাই স্পর্শহীন,
অনন্তকাল স্পর্শের লড়াইয়ে ব্যত্যয়হীন;
দূরতম ছায়াপথের রাক্ষসবাড়ীটিতেও তোমাকে চাই,
নক্ষত্রের আকাশবাড়ীতেও চা্ই, তোমাকেই ভালোবাসি,
খুনসুটি মেখে মেখে এখনও সেই ই কবিতার হাসিটি হাসি;
৩১টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
ভালবাসাবাসি অনেক কিছুতেই দেখি,
রহস্যকে ভালবাসেন না?
কবিরা যে ভাল পটাতক এটি সবাই জানি
ফাঁদ পাতে, ফাঁদে ফেলে তুলে নেয় ডাহুক, ঘুঘু 🙂
ভাল্লাগছে।
ছাইরাছ হেলাল
রহস্যকে খুব ভয় পাই, তাই ওদিকে না যাই।
কবিরা খুবই খ্রাপ, খুপ খ্রাপ!!
জিসান শা ইকরাম
ভাবতাছি কবিতা লেখুম,
একারনে কবিদের গায়ে ঘষাঘষি করি, যদি কবিতা রোগটি ছোঁয়াচে হয় তো আক্রান্ত হবো,
কিন্তু কিছুই ঠেহি ঠুহি না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আপনিও অবশেষে খারাপ হতে চান!
ঠেকপেন ঠেকপেন, সামান্য অপেক্ষা মাত্র,
নীলাঞ্জনা নীলা
“নচ্ছার ফাঁকিবাজ কুঁড়ে হতচ্ছাড়া কবি-ফবিদের একটুও না।” একেবারে আমার মনের কথা।
তাইতো “কবি” শব্দটিকেই অপছন্দ করি।
ভালোবাসুন আরোও বেশী বেশী। জানেন ভালোবাসায় কবিরা মারাত্মক দুই নম্বরী? তাই কবিদের কখনোই ভালোবাসতে যাবেন না।
কবিতায় ভালো লাগা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একদমই মনের কথা বলেছেন,
কবিদের খুপ ই অপছন্দ করি,
তবে আপনি ভালকবি!! তাই অনেক অনেক সুলুক সন্ধান করেছেন।
অভিজ্ঞও বটে, সে বুঝতে পারছি।
আপনি কবি না, তাই এ যাত্রা বেঁচে গেলাম।
আপনার কথা মেনে নিচ্ছি, কবিদের থেকে অবশ্যই দূরে থাকব ইঞ্চি খানেক হলেও
কবিতাদের ভালোবেসে।
মিষ্টি জিন
শুটকি , বিড়াল , কবুতর রেখে এতদিন পর ফিরলেন তাহলে!বাব্বাহ বাঁচা গেল।তবে বাটখারা এখনও ছাড়েননি দেখছি 🙂
উন্মও ষাঁড়ের ছুটে আসা, শিশু হারা বাঘিনীর ক্রন্দন ও ভালেবাসেন? ভয় পাইছি
কবির কবিতা ভাল লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
‘শিশু হারা বাঘিনীর ক্রন্দন’ আসলে বলতে চেয়েছি মন দিয়েই অনুভব করেছি, হারানোর যন্ত্রণা,
কাজেই ভয়ের কিছু নেই।
আসলে যখন যা মনে আসে সেদিক পানে ধাই,
ধন্যবাদ,
আপনার সুন্দর লেখার অপেক্ষায় আছি।
মিষ্টি জিন
কোথাওআমার হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা ..মনে মনে ..অনেকটা এই রকম.
.বেশী বেশী ভালবাসুন
আর বেশী বেশী লিখুন আমাদের জন্য ।
চেষ্টা করছি লেখার ।
ধন্যবাদ
ছাইরাছ হেলাল
বেশি এমনিতেই লিখি। শেষে বিরক্ত হবেন!
হারাতে পারিনি, তবে হারাতে চাই অবশ্যই, সুদূরের কোন অজানায়।
লেখার জন্য চেষ্টা করতে হয় আপনার!
অপেক্ষা করছি।
মৌনতা রিতু
ষাড় তেড়ে আসলে কি হবে একবার ভেবে দেখেছেন ? ভাবুন। আমি ঘুরে আসি। কবিতার শব্দ খুঁজে আনি, রঙ্গিন প্রজাপতির অবিরাম ওড়াউড়ি থেকে, ঐ যে শিশির বিন্দু থেকে।
কিন্তু কবি যে আজ হতচ্ছাড়া, কুঁড়ে কবিদের দেখতেই পাচ্ছে না ! এ বড় ভাবনার বিষয় হল। ;?
ছাইরাছ হেলাল
খুব বেশি ভাবতে হবে না, খুঁজতেও হবে না,
দ্রুত কিছু লেখা আমাদের জন্য দিয়ে দিন।
ষাঁড় তেড়ে আসলে ভয়ের কিছু নেই, বাউলি কেটে এড়িয়ে যাব!
শাওন এরিক
ভালোবাসার এক নয়া দিগন্ত… বাহ! 🙂
শুধু ঠাই হলোনা কবিদের 😀
ছাইরাছ হেলাল
ভালোবাসাবাসি থাকে, আছেও।
কবিদের কিছুতেই পছন্দ করি না।
গাজী বুরহান
(y)
নাসির সারওয়ার
এখানে কিছু লিখতে হবে যে! ব্লগ আর ফেইসবুক তো এক মানে ধারণ করে না।
ছাইরাছ হেলাল
খামোখা এত্ত লেখালেখির কী আছে!!
নাসির সারওয়ার
দেখুন, আপনি কিন্তু আমার আঁতে ঘা মারছেন। এ বড়ই অন্যায্য এবং অন্যায়ও বটে।
আমি এমন কি করলাম যে আমাকে আপনি একটা গোপাল ভাঁড় বানালেন!
কবিকে সন্মান দেখাবেন্না আর তার কোবতে পড়বেন, তা হয় কিরে!
ঝাতির সম্মুখে আপনার ক্ষেমা প্রার্থনা দেখতাম চাই…
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কবি! আগে বলবেন্না!
কবিরা অপগন্ডের বাসা, খুব খ্রাপ।
অবশ্যই ক্ষ্যামা চাওয়া উচিৎ! কথা হলো সেই জগৎবিখ্যাত কপির
কোবতে কই!!
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কবি হতে হলে কি কঠিন কঠিন ভাষা রপ্ত করতে হয়।ভাল কবিতা লিখতে জানি না ভালবাসাও হলো না আমার। -{@
ছাইরাছ হেলাল
কঠিন কঠিন শব্দ লিখলে তা কোন কবিতাই না, এজন্যই হেসে ফেলি কবিদের দেখে।
কবি হতে হবে না, তবে ভালোবাসা ভালো, চালু রাখুন।
ইঞ্জা
ভালো লাগা রইল। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা, ধন্যবাদ।
আবু খায়ের আনিছ
ভালোবাসায় ভালোবাসা বেধেঁ রাখি, বেচেঁ থাকুক ভালোবাসা, ভালোবাসায় বেচেঁ থাকুক প্রাণ। শুভ কামনা ভাইয়া।
কবিদের দেখে হাসি পায়. লেখকদের দেখে পায় না?
ছাইরাছ হেলাল
লেখকরা খুব ভাল, কবিরা না কিন্তু।
ভালোবাসায় ভালোবাসা বেঁচে থাকুক।
শুন্য শুন্যালয়
ফাঁদ চিনতে পারলেও, ফাঁদে মনে হচ্ছে আচ্ছামতোই পড়েছেন। তাড়ায় একটু লিখে যাচ্ছি আপাতত, টের পেয়েছেন? আপনার লেখায় কিন্তু বেশ পরিবর্তন এসেছে, ভালো না মন্দ তাতে যাচ্ছিনা। তবে সহজ করে আগের চাইতে। আপনার মতো কবিতাখেকো ছোঁয়াচে রোগ এড়াতে পারবে কী? শব্দ উপবাস, বাহ্ শুনেছি আগেরদিনে জ্বর হলে নাকি উপবাসে রেখে দিতো, এরপর জ্বর ছেড়ে গেলে শিং মাছের ঝোল। শব্দের উপবাস কি ভাউ? তাও আবার যার গায়ে কাব্যরোগ!
ছাইরাছ হেলাল
আপনাদের সাথে থেকে যে রোগ ছড়িয়েছেন তার থেকে বাঁচার উপায় নেই। এ সব লিখছি বলে ভাব্বেন্না
ভালু হয়ে গেছি, অসুখ আরও জটিল, লক্ষণ চেপে রেখেছি, তবে মাঝে মধ্যেই বেড়িয়ে পরবে, তখন কিন্তু
ট্যা ফো করতে পারবেন না, আগেই বলে রাখলাম,
বিটকেলে কবিরা শব্দভূক হয়, তাই শাস্তি সরূপ শব্দ খাওয়া আটকে রেখে প্যাদানো যেতেই পারে।
খুপ খারাপ অসুখ, দাক্তার ধরে পেলেছে!!
মেহেরী তাজ
কবিদের দেখলেই হাসি পায়? ভাইয়া আয়না আপনার নিজের কাছ থেকে দূরে রাখেন!
তাহলেই হাসি পাবে না।
যাকগে সে কথা এবার বলেন এতো ভালোবাসা বাসি কি ভালো? আপনিই না বলেন বেশি ভালোবাসা ভালো না!?
আর শুন্য আপুর মত আমার ও প্রশ্ন ” শব্দ উপবাস ” জিনিস টা আসলে কি?? ;?
ছাইরাছ হেলাল
বড় ভাইয়া আমি কবি না, কবিদের দেখেলেই হাসি পায়, ভাবলেও। বেচারা কবি!!
ভালোবাসা ভালো না, তবে কবিতাদের ভাল না বেসে পারা যায় না, ঠিকও না,
ঐ যে আপনি কবিতাদের মত লেখেন!! ভাল না লেগে পারেই না।
শব্দ উপবাসের কথা আপনার বড় ভুত বলেছে, আমিও বলেছি,
বড় হইছেন, মন দিয়ে পড়ুন।
মেহেরী তাজ
আমার বড় ভূত কবে লিখেছে শব্দ উপবাসের কথা?
ঠিক ঠিক ভুলোমনাদের সাথে বেশি কথা বলার ফল এটা।
এবার থেকে লেখার সাথে মন টা বাধ্যতামূলক যোগ করতে হবে….!
ছাইরাছ হেলাল
আপনার শুন্যাপু উপরের মন্তব্যে কিছু একটি বলেছে এবং তার উত্তরটি
আবার একটু পড়ুন,
আপনার মনের কোন ব্যত্যয় ঘটেনি!! সবই ঠিক আছে,