স্মৃতির গাছেরা

ছাইরাছ হেলাল ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫, সোমবার, ১১:৪১:৫৭পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫১ মন্তব্য

হা হতোস্মি,উদ্ভ্রান্ততার গ্যাঁড়াকল।ফোন,শহুরে নিকট সুহৃদকে।দেরি না করে চলে আসতে বলল উত্তরে বিস্ময় তুলে। ঘরপোশাকে ভর দুপুরে বেড়িয়ে পড়া।আনমনে নিশ্চুপ ইতিউতি খুঁজে ফিরি অচেনায়।এতই বিখ্যাত যে খুঁজছি তা কাউকে বলতেও পারছি না।কখনও আসিনি তাই চিনিও না।আবার ফোন,বুঝতে পেরেছে চিনতে পারছি না।আমাকে পিছিয়ে আসতে বলল,বলল রাস্তায় দাঁড়াচ্ছে আমার অপেক্ষায়।বিশাল নির্মাণযজ্ঞ চলছে তাদের।বাণিজ্যের ব্যাপ্তিতে।
এই সামান্য পথটুকু আসতে আসতে ছোট্ট শিশুটির কান্না-হাসিক্রম।একটু বলে নেই।
আনমনা গুন গুন মনে যেতে যেতে দেখলাম শিশুটি পথের পাশে বসে বিলাপ করে কাঁদছে।সাথে কেউ নেই,রাস্তাও ফাঁকা। জানলাম,গভীর ড্রেনে একপাটি স্যান্ডেল পড়ে গেছে যা তুলতে পারছে না। সমস্যায় আমিও প্রমাদ গুনলাম। অপেক্ষা করে অন্যদের সাহায্যে শেষমেশ শিশুটি জামার খুঁট তুলে চোখ মোছা দেখতে পেলাম।স্বস্তি দেখে আমিও স্বস্তি পেলাম।
ঘুরে ঘুরে একাধিক বিশাল নির্মাণযজ্ঞ দেখতে থাকলাম। এই লেখার দু'একটি শব্দ তখনই মনে পড়েছে, ভুলো মন,হারানোর ভয়ে কাগজ কলম চাইলাম। ভোজবাজির মত মাটি ফুড়ে কাগজ কলম হাজির। সেটি কাগজ কলমের জায়গা ছিল না। পাইক বরকন্দাজের কারবার।
দু'মানুষ সমান নাদুস-নুদুস নারকেল গাছ কাটার আয়োজন।বিনির্মাণের অন্তরায় হিসাবে।কী জানি কী হলো, গাছটির গায়ে হাত বুলিয়ে কাছ ঘেসে দাঁড়িয়ে বললাম 'ওকে কাটা যাবে না'।নিশ্চুপ নিরবতা শেষে শুনলাম'তথাস্তু'।পাষান ভার নেমে গেল।
'তোমার কথা শুনেছি,এভাবে বাঁচব,বাঁচাবে ভাবিনি'
সার বেধে সিধা দাঁড়িয়ে থাকা ঠনঠনে সুখস্মৃতি নিয়ে হনহনিয়ে ফিরতি পথ ধরলাম।
========================================================================
'প্লেনে চড়িয়া মর্দ উষ্টা খাইয়া চলিল' এমন ঝকানো গদ্য রেখে যারা এহেন ভুল-ভাল বিটকেলে লেখা লেখে ও শেখে-শেখায় তারা মোটেই সুবিধের না।

0 Shares

৫১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ