নদীর দু’কুলেও কুল থাকে
কুলে থাকে উপচানো সবুজের ভীর
মেঠো পথ, দেশোয়ারী সুর।
মনেরও কি থাকে কুল, দু’কুল? মেঠো পথ? রাখালীয়া বাঁশি?
প্রলাপ প্রলেপে অকারণ ওঠে মেতে অনুর্বর অনিদ্রারোগীর মনমৃত্তিকা
চোখে দুঃখ-বেধা দীঘল পথে ভরা বর্ষা,
ঐ-তো ঐ দারুচিনির দ্বীপ, স্বপ্নদ্বীপ;
ঝর্ণাজলে ভেসে থাকা টলটলে জ্যোৎস্নাসবুজ দ্বীপ,
পদব্রজে নয়, গুটিগুটি পায়ে হেঁটে হেঁটে বহুদীর্ঘ পথ পেছনে ফেলে
এদ্দুর এসে পৌঁছেছি, ডুব সাঁতারের শেষে,
বিথীপথের বিন্যস্ত চিরহরিৎ বনে।
হয়ত ঐ
আড়াল সবুজে গোপন করে পড়ে আছে উত্তাল পেশীর আদিম বন্যতার
বাঁধভাঙ্গা ভাঙ্গাবাধের জোয়ার জল,
বা অপেক্ষায় থাকা দেব শিশুর ঝাঁপিয়ে পড়া খটখটে মধুর হাসি,
আগাছায় ভরে ওঠা উর্বর জমি,
অধরা, আবশ্যিক সেতু, প্রতীক্ষা পুরাণ অসংখ্য নূতনদিনের ভিড়ে স্ফীত কোলাহলে।
এওতো নয় জেনেছি দৈবাৎ!
ডুবে আছে দু’চোখ, আবিষ্ট শৃঙ্খলিত বোবাকালা আরণ্য হরিতানন্দে,
৩৬টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
খারাপ না। গরু পানিতে হাঁটিবে। রাখাল সাঁতারের মাঝে বাঁশির সুর তুলিবে। সেই দৃশ্য দেখিয়া দেব শিশু হি হি করিয়া হাসিবে। বাহ, চমৎকার।
হাঁটু পানিতে চুবাইয়া দিলে ক্যামন হয়?
ভাবছি আমার লেখার সময় হয়েছে। ২৫ হাজার শব্দের বাকি আছে কিছু এখনো। ও কিছুনা, লাগিয়ে দেবো যত্রতত্র, হয়ে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
খারাপ হতেই পারে না, খারাপ হপে কেনু! গরু শুধু হাঁটিবে না, পানিতে বসে নাচিবে, গাইবেও।
রাখাল কিছু বাড়তি কাজও না হয় করিবে,
তবে আমার দেবশিশু ঠিক ই হাসিবে।
শুরু করে দিন, মাত্র পঁচিশ হাজার!! পঞ্চাশ করুণ প্লিগ লাগে, এ ক’টি শব্দ আপনি বানাতেই পারবেন,
আমি কিন্তু ইতমধ্যেই পৌনে দু’গণ্ডা লিখে পেলেছি।
ব্যাপার না হয়ে গেল বলে।
জিসান শা ইকরাম
মনের কুল তো থাকেই……
ভালো ভাবে বুঝে নেই আগে।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই কুল থাকে, তবে উপকুল থাকলে কিঞ্চিত সমস্যা!!
টাইম নেয়া খুব জরুরী এ সময়ে।
জিসান শা ইকরাম
আপাতত বনজ্যোৎস্নার আহ্বানে স্বপ্নদ্বীপে যাই,
ছাইরাছ হেলাল
তা মন্দ নয়, এ যাত্রায়।
খসড়া
মাঠের পরে মাঠ
মাঠের শেষে গ্রামখানি
আকাশে মেশে
ছাইরাছ হেলাল
মাঠের পরে মাঠ
মাঠের শেষে গ্রামখানি
আকাশে আকাশ মেশে,
ভাল করেই মিশুক যেখানে
যা কিছু মেশার!
নীলাঞ্জনা নীলা
“গুটিগুটি পায়ে হেঁটে হেঁটে বহুদীর্ঘ পথ পেছনে ফেলে
এদ্দুর এসে পৌঁছেছি, ডুব সাঁতারের শেষে,
বিথীপথের বিন্যস্ত চিরহরিৎ বনে।” ———-এ কয়টি লাইন টানছে ছবির ওই সবুজে।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, টানতে পেরেছে এই ই অনেক।
চলুক টানাটানি,
নীলাঞ্জনা নীলা
:=
ছাইরাছ হেলাল
কী-বোর্ড কি ‘চুলোয়’!
নাজমুস সাকিব রহমান
কী শব্দ সম্ভার রে ভাই!
শুভেচ্ছা নেবেন।
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছু না, কুড়িয়ে নেয়া,
আপনাকেও শুভেচ্ছা।
ইলিয়াস মাসুদ
ছবিটা একেবারে আমার প্রান কেড়েছে, দারু…ণ ছবি ভাইয়া…..কত সবুজ, কত স্বচ্ছতা!! সত্যি…. বিথীপথের বিন্যস্ত চিরহরিৎ বন
ছাইরাছ হেলাল
জেনে আনন্দিত বোধ করছি।
আবু খায়ের আনিছ
জিসান ভাই, কবি ত ঠিকই কবিতা লিখে ফেলেছে, ফিরে ফিরে আসা থেকেই এই কবিতার উৎপত্তি মনে হচ্ছে।
ছাইরাছ হেলাল
ধুর, এ ভাবে ধরে ফেলা ঠিক না।
আবু খায়ের আনিছ
তাহলে কি প্যাচ দিয়ে ধরতে হবে?
ছাইরাছ হেলাল
প্যাঁচ-পুছ কিচ্ছুই লাগবে না, তবে সাবধানে ধরতে হবে।
রিমি রুম্মান
মনেরও কি থাকে কুল, দু’কুল? মেঠো পথ? রাখালীয়া বাঁশি?__ জটিল প্রশ্ন …
ছবিটি কি জীবন্ত ! সুন্দর !
ছাইরাছ হেলাল
কোন জটিল না, সবই সহজ।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
লীলাবতী
হেঁটে হেঁটে, সাঁতরে? উহ্ অই জল টলটলে পানিতে নামলে আমি নির্ঘাত মৎস্যকন্যা হয়ে যাবো, তারপর পানি ছিটাতে ছিটাতে পারে গিয়ে উঠবো। দুচোখ ডুবে আছে, তবুও ছবিটা দেখতে পাচ্ছি, অসাধারন। এমন ছবিতে এমন লেখা আপনাকেই মানায়। স্বপ্নদ্বীপ তাহলে আপনারা পেয়েই গেলেন ভাইয়া?
ছাইরাছ হেলাল
দ্বীপ যদি পেয়েই যেতাম তাহলে আর স্বপ্ন দেখতে হতো না।
মৎস কন্যা হওয়ার দরকার নেই, ভত্তাবতি হলেই সই।
লেখা শুরু করুণ।
মোঃ মজিবর রহমান
দারুন ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ ভাই।
মৌনতা রিতু
সব কিছুই সুন্দর। এ কুল ও কুল সব কুল।
ছাইরাছ হেলাল
সব কুল সুন্দর হওয়া খুবই কঠিন কিন্তু।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
ছবিটি কল্পনার চেয়ে অনেক সুন্দর সাথে লেখাটি -{@
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
ব্লগার সজীব
যেমন ছবি তেমন লেখা। এ তো আসলেই স্বপ্ন দ্বীপ -{@ (y)
ছাইরাছ হেলাল
সব দ্বীপে স্বপ্ন ঘুমোয় না।
শুন্য শুন্যালয়
অনিদ্রারোগীর মনমৃত্তিকা, মাঝে মাঝে মনে হয় লেখায় একটা দুটো এমন শব্দই যথেষ্ট, কিন্তু আপনার তাতে মন ভরেনা।
মনের ও কি থাকে কূল? দু”কুল? রাখালীয়া বাঁশি? স্বপ্নের দ্বীপ মেঠো পথ ছাড়া কী সুন্দর হয়!! কোনটা বেশি সুন্দর? ওবু দশ, বিশ, সিংগারা, মস্তক, বুলবুলি। ছবিটা।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন অল্প শব্দবন্দনায় তুষ্ট হওয়ার উপায় আর নেই,
সব দায় শেখাশিখির,
স্বীকার করছি ছবিটি আমার পছন্দের।
যাক, অবশেষে দায়মুক্ত হলেন, মন্তব্যের।
শুন্য শুন্যালয়
দায়মুক্ত? খোঁচা দেয়া কিন্তু ভালো না 🙂 মন্তব্য করি না করি, পড়েছি, পড়ি তা কিন্তু জানেন। আর প্রিয় লিস্টে নিয়েছি তা তো আবার না বললে জানবেন না। যদিও ভয়ে ভয়ে, অন্যের লেখা বলে কথা।
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে খোঁচা দেয়ার দুঃসাহস কন সাহসের নেই, হবেও না।
জানিতো, তবে মনে মনে পড়লে তো হপে না,
ভয় নেই, সব লেখা এখনো যে কেন প্রিয়তে নিচ্ছেন না কে জানে,
আমরা তো আমরাই,