শততম পোস্টে শুন্য শুন্যালয়

ছাইরাছ হেলাল ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৬, শনিবার, ০৮:২৩:৪৪পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৮৪ মন্তব্য

ভয়ে ছিলাম, আছিও, আইডিয়া ‘ছেনতাই’ এর। ভাবছি কেউ এসে ধুপ করে মেরে দিল,
কচি প্রাণ কাঁচা ব্যথা, কেউ বুঝতেই চায় না, বুঝতে পারেও না, পারবেও না, বুদ্ধিমান! হয়ে এবারে আগাম মেরে দেব,
দেখি না কী জয় হয়!! নাহ্‌, আগাম আর দিলাম না।

উপলক্ষ্,
মেধাবী তেজস্বিনী ওজস্বিনী ধর-মার -কাট ব্লগারের শততম পোষ্ট, যদিও সংখ্যানুকূল্য নিয়েছেন ফাঁকিবাজি করে (ধরা ও পড়েছেন সাহস নিয়ে)। সুখ-দুঃখ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির নিকেশহীনতায় সোনেলাকে তাঁর নিজের করে নিয়েছেন নিজ যোগ্য যোগ্যতায়, ইদানিং মনে হচ্ছে দু’জনে দু’জনার (কয়েক কাঠি সরষে), ব্লগেও লেগেছে তার উত্তাপ ঔজ্জ্বল্য!!

সব্যসাচী তিঁনি, ছবি আঁকেন, ছবি তোলেন, লেখেন (সব বলা নিষেধ), শুনেছি গান ও করেন; নিজেকে করে তুলেছেন অনন্যাসাধারণ (বিশ্বাস করুন একটুও বানিয়ে বলছি না, তবে গোপন কথা জানাচ্ছি, ঘুষ সেধেছিলেন ফুলিয়ে ফাঁপানোর জন্য, যুধিষ্ঠিরের শিষ্য হয়ে এহেন জঘন্য কাজে অপারগতা জানিয়ে যদিও নিজের ব্লগ জীবন ঝুঁকির মুখে পতিত করেছি, তবুও সত্য ‘সত্যি’ ইস্পাতের মত নমনীয়; নিদ্রালু ভাব নিয়ে নিস্পৃহ মুখে মুখাচ্ছাদন করে রং ফলিয়ে এখানে সেখানে দরদের ফোঁটা ছিটিয়ে উচা-লম্বা-মোটা করতে রাজি হইনি মোটেই!!!) সর্বশেষ তাঁর অবস্থান(সারাংশ হলো) ‘লেখা! কোন ব্যাপার না’ কয় কী কয় কী?(এ নৈমিত্তিকতাকে ভাল লাগে ভাউ) কী-বোর্ড চুরচুর করে দু’ছত্র বের হয় না যেখানে, সেখানে লেখা নাকি কোন ব্যাপারের মধ্যেই পরে না। নিজ যেখানে মন্তব্যের উত্তর দিতেই লবেজান হই।

ইস্কুল খুলেছেন (গুপনে)! স্বনামধন্য মহামহিম একটি অপদার্থ ছাত্রের শিক্ষার দিক্ষা গুরু হয়েছে, নিয়মিত পৃষ্ঠ তদারকের সাউন্ড পাচ্ছি (লেখা পড়ার নমুনা), কত চিড়ায় কত ধান, কত গমে কত রুটি, তার বিস্তর হিসাব নিকেষ হচ্ছে, রুটি ভাজার উত্তাপের ঘ্রাণ ও পাচ্ছি। লেখা শেখাবেন না ভালো কথা, কিছু নোট-ফোটের ফটোকপি ও কি জাতি আশা করতে পারে না? সক্ষমতার অগাধ পাণ্ডিত্যের ছিটেফোঁটা বিলাবেন কথা দিয়েছিলেন এঁকেবেঁকে!!, কথা রাখেননি, কেউ ই কথা রাখে না।

ব্লগিয় বন্ধুত্বে সখ্যতার অসাধারণত্ব দেখিয়েছেন শুরু থেকে এখন পর্যন্ত অসীম ধৈর্যের সাথে, কী যে জ্বালাতন তাঁকে করেছি তা সে ই শুধু জানে, জোর করে লিখিয়েছি, জোর করে মন্তব্য করিয়েছি, মন্তব্য ঠিক করে করেননি তা বলে আবার মন্তব্য নিয়েছি খুনসুড়ির ছলে, জেরবার করেছি ইচ্ছে করে, খাপ্পা হননি কালেভদ্রে ও। মন্তব্য তিঁনি লেখেন একটি পোস্টের মননশীলতা নিয়ে, এটি কতটা কঠিন তা বলে বোঝানো যাবে না। প্রচুর মন্তব্য করেন প্রচুর খেটেখুটে, নিরলস ভাবে, কোন এলেবেলে না, মন দিয়ে পড়েই তা করেন অনবচ্ছিন্ন ভাবে।

এতটা কিন্তু ঠিক না, ঠিক না। এই তো সেদিন সোনেলায় এলেন, গত কাল বা গত পরশু!! ‘পাখি ওড়ালাম’ কিছুই লিখবেন না, লিখতে পারেন না থেকে শুরু করে আজ পর্বত উচ্চতায় তুলে নিয়েছেন নিজেকে।

ফেবু করেন, না করার মত, খুব হাউশ করে বক্সা-বক্সির প্রস্তাব করেছিলাম! জুত করতে পারিনি, উল্টো বিপুল-তুমুল ঝারি সহযোগে উল্টো পায়ে হাঁটালেন। পাষাণী!!

অসাধারণ তাঁর কলমধার, চোখের পলকে সহজ বা জটিল বিষয় ক্লাসিকে রূপান্তর করে উপস্থাপন!! এ শুধু তাকেই মানায় (কিঞ্চিত মাথার উপ্রে দিয়ে)। পই পই করে বললাম একটু ল্যাহার ছ্যাঁত শেখান, কিন্তু এ ছ্যাঁত বিদ্যা শেখাবেননা বলে পণ করেছেন, ব্যাপার না ভাইয়া, চালিয়ে যান, আছি তো পাশে পাশে কাছেপিঠে দৈনন্দিন নিরবয়াবে।

আপনি মটু/মডু, রূপবতী(ভাবি) ও গুণবতী (যা ইতোমধ্যে কিছুটা প্রকাশিত), ভাগ্যিস গুণিন নন, অদৃশ্য ফাঁকির পানিপড়া হলে মন্দ হত না, এক ফুঁ’য়ের পানি পানে লেখা শিখে যেতাম। আপনার অকৃপণ কৃপণতা জগৎ বিখ্যাত।

…………………………………………………………………………………………......................................................

হিমালয় দেখেছেন?
না,
বরফসকাল এভারেস্ট?
না,
উত্তাল সমুদ্দুর?
নাহ,
পদ্ম সরোবর বা সবুজের বনানী?
নাতো
মেঘাকাশের বিকেলসন্ধ্যা?
না না না না;
শুন্য শুন্যালয়(শুন্যাপুকোথাকার) কে দেখুন,
বন্ধ চোখে।
……………………………………………………………………………………………...................................................

শুন্য শুন্যালয়ের সোনেলা ভাবনা,

শিশিরের নেকাব তুলি আলতো হাতে, জানলায়।
ঈষৎ ভেজা শার্সিটার ওপাশে দিগন্তব্যাপী নীলাকাশে দুধেল বকপক্ষি নিখুতের বিন্যাস তোলে, খসে পড়া পালক পেছনে ফেলে,
ওরা পরিযায়ী নয়, বরফে,তুষারে, ঝড়ে, ঝঞ্ঝায় ও বেঁচে থাকে, বেঁচে থাকে গ্রীষ্মের ত্রিফলা শুষ্কতায়।
নীল-ওগরানো দিগন্তের পেলব হাওয়ায় মনোহর মেঘের বকুল, আমার সোনেলা,
বিনামূল্যে ক্রয়ে রাখি কোঁচড়ে তুলে, নুয়ে পড়া নীরবতায় নয়, সউল্লাস সশব্দ উচ্ছাসে;
নিষ্পত্র বিশীর্ণতায়ও বন্ধচোখ করে হেঁটে হেঁটে দৌড়ে আসি সদা সতেজ সবুজ তৃণের এই সোনেলায়,
যিঁনি আমায় সোনেলায় এনেছেন তাঁর প্রতি!! না, না , কৃতজ্ঞ হতে চাই না, কৃতজ্ঞতার ডালি নিয়ে ঘুরি ও না, সে এক বিরাট বোঝা,
আর, অকৃতজ্ঞতা আজন্ম, সেই তেঁদড় লেখকের প্রতি যে আমার লেখার শ্রীহীনতা ঘটিয়েই চলছে এখানে আসা অব্দি,
তার কচুগাছে মাকড়জাল সখ্যতা কামনা করি,
........................................................................................................................................................

আহারে, কল্পগাঁথার কী ছিরি!! আকাট মূর্খের পণ্ডপাণ্ডিত্যের ফুলঝুড়ি ছোটালাম।
হেসে-খেলে খেলে-হেসে, হৃদয় নেড়ে, হৃদয় বাগিয়ে, রাঙাচোখে নয়,
গোল গোল চোখে, রূপালী নক্ষত্রের দিশায়,
অতঃপর মাইল মাইল জুড়ে শুধুই বন্ধুত্বের নিপুন অবগুণ্ঠন,
যথা পূর্বং তথা পরং,

অধ্মের বেঢপ লেখাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়ে মুখের উপর বলে দিয়েছেন ‘লেখা ভাল হয়নি’, সাবাস এই তো চাই, নিজের লেখায় খামতি আছে, ছিল এবং থাকবেও। তাই বলে তাঁকে ঠোঁটকাটা ভাবিনি, বলিনি, ভালোই লেগেছে। অবশ্য একবার তাঁর লেখা বুঝিনি (মাথার উপ্রে দিয়ে গিয়েছিল) কিন্তু মন্তব্য করে ফেলেছিলাম, উররেবাস, আর যায় কোথায়, রেগে গিয়ে লেখা নামিয়ে নিলেন, অবশ্য চিরতরে নয়, কুল হয়ে আমাদের অনুরোধে আবার ফিরিয়ে ও এনেছেন, সে আর এক গপ্পো..................খুপ ডরাই!!
………………………………………………………………………………………………...................................................

থাকুন সোনেলার সাথে আমাদের ও সাথে নিয়ে, সোনেলা হয়েই।
শিকেয় তোলা প্রিয়’র যত্ন নেবেন!! সারাক্ষণের সারাবেলা,
.......................................................................................................................................................

ত্রস্তব্যস্ত জীবন-স্পন্দনে চিড়িক দিয়ে ওঠা ভাব নেয়ার ভাব লুক্কায়িত রাখা ঠিক না (পাগলাইনাই কিন্তু),
যা লিখতে চাইলাম তা লেখা হলো না, তবে এটি দুই’য়ে (দোহন করে) আরও লিখে ফেলব এ ভাবনা থেকেই গেল!!!!
অলেখাটি নিয়ে মনের মধ্যে কুটিকুটি মোচড়ামুচড়ি সমেতই মুখে একটা কাজ-চালানো হাসি বজায় রাখলাম।

................................................................................................................................................

সজীব (সক্ষম পুরুষ) যা ভাবেন তাই বলেন, তা তো দেখছি আমার থেকেও অনন্য।

যোগ্য মানুষকে যোগ্য সন্মান জানালেন এই লেখায়। শুন্য শুন্যালয় আর সোনেলা দুটিকে আর আলাদা করা যাবেনা কোন ভাবেই। আমার কাছে সোনেলার ব্লগার হিসেবে প্রথমে যে নামটি আসে তা শুন্য শুন্যালয়। শুন্য শুন্যালয় নামটি মনে আসার সাথে সাথেই চলে আসে সোনেলার নাম। কতটা একাগ্রতায় তিনি সোনেলায় ব্লগিং করেন তা ভাবতে অবাক লাগে। যে কোন পোষ্ট এবং পোষ্টের মন্তব্যও তিনি পড়েন। সমানে উৎসাহ দিয়ে যান সবাইকে। আমার মত চাল চুলোহীন একজন ব্লগারকে যে শ্নেহ উনি করেন, তা আমার কত জন্মের পুন্যের ফসল তা আমি জানিনা।
শুন্য শুন্যালয়ের সেঞ্চুরী পোষ্টের জন্য আন্তরিক শুভেচ্ছা -{@

0 Shares

৮৪টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ