ফেবুতে একটি মেসেজ বেশ কয়েকদিন ধরে লাল বাত্তি জ্বালিয়ে রেখেছে, সাথে একটি ফ্রেন্ড রিকু। কালে ভাদ্রে ইনবক্সে মেসেজ আসে, আসবে কি করে, আকামা অকর্মণ্য অপুষ্ট যে। অজ্ঞানতা হেতু ইনবক্সটি আমার কাছে তল বক্সের মত লাগে, যাক যা বলছিলাম। মেসেজ না দেখে ফেলে রাখা খুব পুরনো অভ্যাস, অবশ্য এর জন্য জবর ভুগেছিলাম একবার, সেই মেসেজটির উত্তর দিয়েছিলাম ঝাড়া তিন মাস পর। শেষে হাত পা সহ অনেক কিছু ধরেও কাজ না হওয়াতে নাকে খত দিয়ে মাফ পেতে হয়েছিল। ভাগ্যিস দয়াবান শালিসবৃন্দ শূল দণ্ড থেকে রেহাই দিয়েছেন বার্ধক্যের কারণে, সে এক বিতিকিশ্রি ব্যাপার।
যথা নিয়মমতো উত্তর তো দেই না, দেখি ও না, ব্যামো। সপ্তাহ খানেক পর চেক করি,
*কেমন আছেন?
#ভাল আছি, আপনি কি আমাকে চেনেন? আপনি কি ব্লগার?
*ভাল করেই চিনি, লিখি না, তবে লিখব।
#আমি আপনাকে চিনি না,
*সমস্যা কি? আমি তো চিনি, লেখালেখি করতে চাই।
#কেউ তো নিষেধ করেনি।
*আমি আপনাকেই খুঁজছি।
#আপনি যে কোন ভাল চুলা দেখে আপনার লেখা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ুন।
*সুন্দর করে কথা বলুন। রেকু ঝুলিয়ে রেখেছেন কেন?
#ফেক আইডি নিয়ে আপনার মহামূল্যবান সময় নষ্ট না করে অন্য ঘাটে নাও লাগান।
ভুল জায়গায় এসেছেন।
ফেবু করি নিজের মত, অনেক ঋণ এখানে, অনেক শিখেছি, শিখছি। চোখসুখ ও নিয়েছি, নিরবে দেখেছি নিপুন হৃদ্যতা, কড়া নোংরামি, তল বক্স ছাড়াই। অনলাইনে পৌনে দু’গণ্ডা!মানুষ আমাকে ভাল করে চেনে, জানে, আমিও। আর আশেপাশে সবাই জানে আমি ফেবু করি না, ফেবুতে আমাকে পাওয়া যায় না, আপাতত কবরে পাঠিয়েছি। কোন হেলদোল নেই। তুলব আবার হয়ত, “ফেবু ছাড়া আমার চলেই না বা একবার ফেবু সারা জীবনের ফেবু” এই অপ্ত বাক্যটি ‘অপারগদের’ জন্য কিঞ্চিত অপ্রযোজ্য, এমন মনে হয় মাঝে মাঝে।
এর পর যে মেসেজটি এলো তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না।
*দোস্ত, ডাঁট মারো? পনের দিন ধরে বহুত জ্বালাতন সহ্য করেছি, আর না, ফোন নম্বর দেবে কিনা বল? যদিও ফোন নম্বর নেয়ার আরও রাস্তা ছিল, তোমার কাছ থেকেই নিতে চাই, আর যদি না দাও ফেবুতে তোমার নামে এমন স্টাটাস দেব ঘুম হারাম হয়ে যাবে।
প্রমাদ গুনলাম, তার ফলোয়ারের সংখ্যা হাজার খানেক। তার প্রোফাইল চেক করে পুরনো কিছু ছবি দেখে চোখ মাথায় রাখলাম। আগে দেখার প্রয়োজন ই মনে করিনি। এ নামের আই ডি তখন ছিল ও না।
চার বছর পর আবার কথা হোল, মনে রেখে খুঁজে বের করেছে, নিজেকে অপরাধী লেগেছে অনেক। ব্যক্তিগত ফোন নম্বর দিয়ে বলেছে অষ্ট প্রহর ‘খোলা’ আমার জন্য, খুব ভীত তাই পরীক্ষা নেয়া বা দেয়ার ঝুঁকি নেইনি, ঝুঁকি আছে বলেই,
সে ছিল হাল্কা বিড়ি খোর, নির্দিষ্ট ছিল ব্রান্ড। রাইফেল স্কয়ার ছিল আড্ডার জায়গা। মূল গেটের উল্টো দিকে সিঁড়িতে বসে কত যে বিড়িয়াড্ডা দিয়েছি ভাবলে মন উদাস হয়,
কথা দিয়েছি আবার আড্ডা দেব ম্যারাথন (যদিও দাক্তারের নিষেধ) সকাল-সন্ধ্যার, আমাকে তাঁর জন্য বিড়ি নিয়ে যেতে বলেছে, রাজি ও হয়েছি,
চা-বিড়ি এখন আর খাই না তা বলতে পারিনি।
হেঁজিপেঁজি কেউ না, জবড়জং ও না, জাঁক করে বসে রাজা-উজির মারা বা হা-হুতাশ, কিছুই নেই,
অন্তর্লীন অগভীরতা, বুড়ো ও মুঢ়তার ঝুলি বয়ে ‘দায়িত্ববান পুরুষ’ না হলেও হুশ-হুশ করে তাড়িয়ে-খেদিয়ে বা বিলোল কটাক্ষে চুবিয়ে-ডুবিয়ে ছানাবড়া চোখ লাল করে দেবে ব্যাপারটি এমন তেমন ও না,
তবুও কেউ কেউ বন্ধু থেকেই যায়, বন্ধুত্বের অমলিনতায়।
উড়নচণ্ডী মন
খোঁজে
নিবিড় নিঝুম বন,
ইট্টু বাদ পড়ছে,
শুচিরুচিতা সত্বেও সিঁড়ির কান্দায় বসে গল গল করে ধোয়া ওড়াচ্ছিল, আমিও।
হঠাৎ গায়ের মধ্যে সেঁধিয়ে গেল, আমি চিঁ চিঁ করে উঠলাম, বলে “ গাড়ীতে যাওয়ার সময় বড় ভাইয়া মনে হয় বিড়ির ধোঁয়া দেখে ফেলেছে!” মনে মনে ভাবি, বিড়ির ধোঁয়া দেখে দেখুক, জড়াজড়িটি না দেখলেই এ যাত্রা বাঁচি।
কৃতজ্ঞতা: মায়াবতী পাহলবী কে।
৭১টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন বেঁচে থাকবেন ভাউ। মাত্রই ঢুকেছিলাম চুবিয়ে ডোবানোর অপেক্ষা করছি, কোথায় ভাগলেন?
যাক, এবারের মত ছেড়ে দিলাম।
ছাইরাছ হেলাল
আমি তো আপনার ভয়ে অস্থির,
তাও এবারের মতই রেহাই দিয়েছেন, গীবন খুপ আনন্দের।
ভাগয়াটের পথ রুদ্ধ করে কে যে কোথায় দাড়িয়ে আছে মায়া মায়া ভাব নিয়ে কে জানে!!
আকীর্ণ যে পথ-প্রান্তর।
স্যাঁত করে লেখা, মন্তব্য বা উত্তর সবাই দিতে পারে না,
কেউ কেউ পারে।
শুন্য শুন্যালয়
ভেগে পালাবেন কেনু ভাউ? পাহাড়াদার সদা প্রস্তুত, মাইনে তো আর এমনি এমনি দিচ্ছিনা।
যাক তবু কেউ তো আমারে ভয় পায়। একটু ওজনদার লাগছে নিজেরে 🙂
কেউ কেউ তো পারেই, এই যেমন আপনি।
ছাইরাছ হেলাল
আমি আপনাকে খুপ ভয় পাই,
কিছুই পারি না, ল্যাহা-লুহা তো শিখাইল্লেন না।
এম্নে কেউ মাইনে দেয় না আজকাল, দিন পাল্টাইছে খুপ।
শুন্য শুন্যালয়
সব্বোনাশ এর থেকে তল বাক্সই তো ভালো ছিল, এ যে দেখছি অতলের অতল বাক্স। হৈ হৈ রৈ রৈ করে আপনাকে মন্তব্য দিয়ে মাথায় জোড়া কুঁ ফুঁ নিতে পারবোনা, কত্ত বার যে অস্থির উপাধি পাইছিলাম ভুলিনাই। ধীরে সুস্থে লিখছি। তবে পড়তে পড়তে একবারের জন্যেও মুচকি হাসির ভাঁজ মিশে যায়নি, বরঙ ভাঁজ একটু একটু বেড়েছে। গান এই প্রথম পেলাম বুঝি আপনার লেখায়। বেলা যে যায়—–
ছাইরাছ হেলাল
আপনি অস্থির হতেই পারেন না, এ অসম্ভব, হাক্লা কাব-ঝাপ করতেই পারেন,
তা কিচ্ছুতেই অস্থিরতার প্রমাণ করে না। আপনাকে কুঁ-ফুঁ তো ভাল, ফুঁ-ফাঁ দেয়ার ক্ষ্যামতা কারো আছে বলে মনে করি ই না।
মুচকি’র কি দরকার, খটখট কুরুন।
আপনাদের দেখা দেখি একটু দিলাম আরকি!!
শেষ বেলায়।
শুন্য শুন্যালয়
ফুঁ-ফাঁ না দিলেও হাওয়া কিন্তু একটু একটু টের পাচ্ছি। যাক বাবা লাফ-ঝাপ অনুমোদিত। সবকিছুই একটু চেপে চুপে চিঁ চিঁ করার মত চলছে কিনা তাই আমিও খটখটের বদলে মুচকি। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনি বিরাট বিশাল বিপুল মানুষ, খটখট ই করুন,
তবে দিন পাল্টাইলে মুচকি ও কিন্তু দিমু না।
রাডার ডাউন রাখুন, হাওয়া ধরা ঠিক না।
শুন্য শুন্যালয়
*আকামা অকর্মণ্য অপুষ্ট—মাত্র তিনটি? কিছু বাদ পড়ে গেলোনা?
*হাত পা ধরে শূল দন্ড থেকে রেহাই এর কাহিনী কোন রূপকথায় রেখেছেন? আমরাও পড়ে কর্ন শান্তি দেই। বার্ধক্যের সুবিধা শুনতে শুনতে বার্ধক্য প্রায় পেড়িয়ে এলাম, কিছুই দেখলাম না গীবনে।
*লেখা নিয়ে ঠিক চুলাই খুঁজে নিয়েছে সে :p
*একবার ফেবু সারাজীবনের ফেবু, কথা সত্য 😀 আপনার জন্যেও হইতারে।
*বিলোল কটাক্ষে চুবিয়ে ছানাবড়া চোখ লাল করে দেবে, বাপ্রে বন্ধু হতে গেলে এতকিছু করতে হয়?
—-কিছু বন্ধুত্ব থেকেই যায়, সময়ে হালকা মরচে হয়তো ধরে। তবু উজ্জ্বলতা ঠিক থেকে যায়। সে যাত্রা বেঁচে গিয়েছিলেন তো? ভাগ্যিস বড় ভাইটা এসে পড়েছিল তখন। ঝড়ের রাতে একটা থান্ডারস্টর্ম কিন্তু লাগেই :p
একটা সত্যি কথা বলি। অনেকদিন পর আপনার লেখা পড়ছি, এমন লাগছে। মোটামুটি আস্ত রসুন সহযোগে কড়া করে রাঁধা গরুর কালো ভুনা মাংশ। মজাই মজা।
ছাইরাছ হেলাল
অপক্কতার অনেক ক্ষেত্র আছে সব বলতে সাহস হচ্ছে না, যদিও আপনারা সাহসী বলেই ধ্যান-জ্ঞান করি!!
শূল দণ্ডের রূপকাহিনী বলে ইজ্জতের ফালুদা আপনার হাতে তুলে দিতে পারব না, ভাই।
আপনি এত্ত জানেন কী করে!! কোথায় কে কী লিখছে!! আপনি ও কী রূপকথা লেখেন!!
দেখবেন অনেক কিছুই, সবে তো শুরু, বয়স হোক বটবৃক্ষ সমান!
দেখুন বক্সা- বক্সি করি না তার জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ আপনি, আপনি বা আমি মাথায় হাত রেখে বলতে পারি, এটি
ফেবুর ক্ষেত্রেও সমান সত্যি।
চুবা-ডুবার একটি ব্যাপার থেকেই যায়, ওহ, আপনি এ পাঠের পৃষ্ঠাটি মন দিয়ে পড়ে নেবেন!
দেখুন থান্ডার স্টর্ম বলুন বা যে কোন স্টর্ম বলুন এরা খুব বেরসিক, সময় মত আসেই না!!
ভাইয়াআআআআআআআআআআআআআআ,
আপনি এত্ত দিন আমার ল্যাখা পড়েন নি!! এ কথা জীব্দদশায় আমাকে শুনতে হল!!
এ গীবন আর কিছুতেই রাকপো না।
শুন্য শুন্যালয়
ল্যাখা পড়িনি কি বলছেন? চক্ষু-কর্ণ, বিগলিত মন সব লাগাইয়াই পড়িয়াছি ভাউ, কিন্তু কিন্তু আর কি!! যা শোনার জীবদসশাতেই শুনে যান, ওপাড়ে গিয়ে আপনার মুন্ডু চটকে লাভ নেই।
বক্সাবক্সি খুপ খারাপ তাই বলে মাথায় হাত দিয়ে প্রমাণ লাগপে কেনু ভাউ? বক্স তো কথা বলার জন্যেই। আপনার কথা আলাদা। সব কথা লেখাতেই প্যাচিয়ে পুচিয়ে ছাড়েন যে। 🙂
আমি সব লিখি, অরূপকথাও 😀
স্টর্মের জন্য লাইট, ক্যামেরা, একশান লাগেতো ভাউ। 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যাক, বাঁচালেন এবারের মত, আপনি ল্যাহা পড়েছেন গোল গোল চৌক্ষে!! আপনি না পড়লে কৈ যাই
কী করি!! তবে এপাড়ে যা শোনালেন তাতে ওপাড়ে ও ঠাঁই নাই ঠাঁই অবস্থা দেখতে পাচ্ছি।
বক্সাবক্সি কেমনে কী তাই জানলাম না, আমারে কেউ বক্সায় না ক্যা? উত্তর যেন নাই বা দিলাম, তাই বলে
এক্করে বাদ্দিয়া দেবে!! আমি আবার প্যাচালাম কৈ, সব ই তো কইয়া দেই, বক্সের অভাবে।
আপনার লেখা সবই অরূপকথা অপরূপ সৌন্দর্যে।
এই জন্যই এ্যাকশন হয় না, ক্লিক ই করে না।
অনিকেত নন্দিনী
‘দায়িত্ববান পুরুষ’! কথাটা চেনা চেনা ঠেকে। :p
তবুও কেউ কেউ বন্ধু থেকেই যায়, বন্ধুত্বের অমলিনতায়।” – হ্যাঁ, তা থেকে যায় বটে!
“উড়নচণ্ডী মন
খোঁজে
নিবিড় নিঝুম বন” – সভ্যতা ফেলে আদিম যুগে ফিরে যাবার পাঁয়তারা চলছে নাকি? ;?
“শুচিরুচিতা সত্বেও সিড়ির কান্দায় বসে গল গল করে ধোয়া ওড়াচ্ছিল, আমিও।” সিঁড়ির কান্দায়? 😮
এত ধোঁয়া ওড়ানো ভালোনা। ধোঁয়া ওড়ানো স্বাস্থ্যের জন্য হানিকর। (9)
“হঠাৎ গায়ের মধ্যে সেঁধিয়ে গেল,” ক্যাম্নে! ;?
“আমি চিঁচিঁ করে উঠলাম,” আপনি চিঁ চিঁ করবেন কেনো? দায়িত্ববান পুরুষ মাথা উঁচু করে ভরাট কন্ঠে কথা বলে। 😀
‘বলে “ গাড়ীতে যাওয়ার সময় বড় ভাইয়া মনে হয় বিড়ির ধোয়া দেখে ফেলেছে!” মনে মনে ভাবি, বিড়ির ধোয়া দেখে দেখুক, জড়াজড়িটি না দেখলেই এ যাত্রা বাঁচি।’ মতলবখানা ভালো ঠেকছেনা। ;?
ছাইরাছ হেলাল
আপনার চেনার বাইরের কিছুই না।
সিঁড়ির কান্দায়(আঞ্চলিক শব্দ, সিঁড়িতে বসে) গপ-শপ করার মজাই আলাদা।
রূপকথায় ধোঁয়া ওড়া-উড়ি না থাকলে ঠিক জমে না।
দায়িত্ববান নই তাই চিঁ চিঁ ই সম্বল।
বন-বাদাড় ছাড়া আর নিরিবিলি হওয়ার উপায় নেই। খালি ছি ছি, ক্যামেরা!!
বাহবা, খুব ই শ্যেন,
নির্ভাবনায় লিখছি, দারুণ আনন্দে। ভুলের উপায় নেই।
অনিকেত নন্দিনী
হেহ্! খালি বন বাদাড়েই বুঝি নিরিবিলি হওয়া যায়? তাহলে শহরের জুটিরা বন কই পায়? :p
খুবই শ্যেন! কে? ;?
নির্ভাবনায় থাকাই ভালো। অতিরিক্ত ভাবনা হৃদযন্ত্রে চাপ ফেলে, কষ্ট দেয়।
চলতে থাকুক নির্ভুলতা। (y)
ছাইরাছ হেলাল
হৃদযন্ত্র খুব ই জটিল যন্ত্র, চাপ দেয়া ঠিক না।
নির্ভুলতা চাই ই।
ভোরের শিশির
রূপকথার ঝাঁপি থেকে আরো কিছু বের হয়ে আসুক 😀
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্যই এবারে ঝাঁপি বন্ধ হলো।
ভোরের শিশির
আচ্ছা, তাহলে আমি কমেন্ট করা বন্ধ করলাম :@
ছাইরাছ হেলাল
পড়বেন!! পড়াইবেন না, তা কী করে হয়!
অরুনি মায়া
আমি ফেবু করি কিন্তু তলবক্স এ থাকিনা বর্তমান যুগে খুব নির্ভর্যযোগ্য ব্যক্তি ছাড়া অন্য কেউ একথা বললে আমি বিশ্বাস করতে পারিনা | ফেবুর কাছে আপনার অনেক ঋণ আজ জানলাম | অনেক দিনের পুরনো বন্ধু খুঁজে পেলেন সেটাও ফেবুর কল্যানে |
রূপ কথার ধরণ পাল্টে গেছে | রূপকথার আড়লে বাস্তবতাকে লুকানো হচ্ছে নাকি বাস্তবতার আলোকে রূপকথাকে সাজানো হচ্ছে তা বোঝগা বেশ কষ্টসাধ্য ব্যপার হয়ে যাচ্ছে | প্রযুক্তির উন্নয়ন মানুষকে হারিয়ে যেতে দেয়না |
আপনার নতুন নায়িকা পাহলভীকে অভিনন্দন জানাচ্ছি কবির ভাবনায় নিজেকে আচ্ছন্ন করে রাখার জন্য | লেখকের লেখাকে তার মুখি করে নেবার জন্য | সবাই তা পারেনা | সে পারছে গুটি কয়েকজনের মত |
ছাইরাছ হেলাল
আপনি ঠিক বলেছেন, তল বক্স করে না, এটা বিশ্বাস করা ঠিক না। তবে পৌনে দু’গন্ডা যাদের চিনি/চেনে
তাদের কারো সাথে ফেবুতে চেনা-চিনি হয়নি, অন্য কোথাও পরিচিত হয়ে ফেবুতে এসেছে।
অবশ্যই ঋণ, কত কিছু পড়তে পেরেছি পারছি তার হিসেব নেই। আর যাকে রূপকথায় খুঁজে পেলাম সে ফেবুর কেউ না।
ফেবু না থাকলেও আমাকে পেত।
রূপকথায় লুকোলুকির কিচ্ছু নেই, সবই ফকফকা।
নায়িকা নূতন না হলে জমেই না।
বড় ল্যাখক হতে আর কদ্দুর যেতে হবে কর জানে!!
ল্যাখা ল্যাখাই কিন্তু, গানা শুনুন।
অরুনি মায়া
দু:খিত দিন বদলের সাথে সাথে যেখানে নায়িকা বদল হয় সেখানে আমি সন্তুষ্টি প্রকাশে অক্ষম | এমন রূপকথা আমি সমর্থন করব না 🙁
ছাইরাছ হেলাল
রূপকথা যে রূপের কথাই বলে, কত কিছুই বদলায় শুধু রূপকথা থেকেই যায়।
রিমি রুম্মান
” মনে মনে ভাবি, বিড়ির ধোঁয়া দেখে দেখুক, জড়াজড়িটি না দেখলেই এ যাত্রা বাঁচি”___ 😀
ছাইরাছ হেলাল
ও মোর আল্লাহ!! আপনি ও!!!
অনিকেত নন্দিনী
হে হে হে। পালাবার জো টি নেই উস্তাদ! যেদিকেই যান না কেনো ধরা খাওয়া অনিবার্য। 😀
ছাইরাছ হেলাল
ইস্,
মোঃ মজিবর রহমান
আমার কোন দরকার নাই পরার /
ছাইরাছ হেলাল
ইট্টু কায়-ক্লেশ করি যদি পড়তেন!!
মোঃ মজিবর রহমান
ফেবু বিষয় ভাল লাগেনা।
ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
ও আচ্ছা, বুঝেছি।
অপার্থিব
আমার কাছে এটা রূপকথার অতল বক্স মনে হয় না , মনে হয় একজন মানুষের ভার্চুয়াল গোপন সিন্দুক । মানব মনের অনেক গোপন ইচ্ছার হদিস পাওয়া যায় এখানে। অভিজ্ঞতা শেয়ারিং ভাল লাগলো।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই অনেক ইচ্ছা, অনেক অনিচ্ছার উপত্যকা বলা যেতেই পারে।
আবু খায়ের আনিছ
বিড়ির ধোয়া দেখলাম, আগের দৃশ্য আর দেখতে চাইনি তাই দেখিনি। হা হা হা 😀
ছাইরাছ হেলাল
বিড়ির ধোঁঁয়ার আগে তো কোন দৃশ্য নেই, পরের দৃশ্য দেখলে চোখসুখ হতো।
পুরোটাই মিস দেখছি।
আবু খায়ের আনিছ
কি থেকে কি হয়ে গেল? মিস 😮
ছাইরাছ হেলাল
খুব ই মিস!!
জিসান শা ইকরাম
আপনার লেখা আর সবার মন্তব্য পড়লাম
হাসলামও একচোট একা একা, ভাগ্য ভালো যে কেউ সামনে ছিলো না
থাকলে আমার মাড়ির দাঁত যে সারে তিনটা নাই তা দেখে ফেলতো।
ফেইসবুক যে আপনার জন্য সামান্যতম আকর্ষনের কিছু না তা আপনি মরে গেলেও আজকাল অনেককে বিশ্বাস করাতে পারবেন না
যে যেমন সে তেমনই ভাববে অন্যকে, এটিই বাস্তবতা।
ফেইস বুকের তলবক্স যে কত্ত মজার তা আপনি জানলেনই না
যাহারা জানে তাহারাই বুঝে ইহাতে কত্ত মধু লুকিয়ে আছে 🙂
আপনার এই লেখাটি একটি মাছ ধরার জাল এর মত মনে হচ্ছে
ঝাঁকে ঝাঁকে জাটকা কারেন্ট জালে আটকা :D)
ছাইরাছ হেলাল
তলের অতলে এত্ত মধু কেউ আমারে কয় নাই ক্যা,
নিজের বিশ্বাস কে অতিক্রম করা কোন সহজ কাজ নয়,
ইহা সামান্য ধোঁয়া ওড়ানো রূপকথা মাত্র বৈ অন্য কিছু না।
‘বক্সের’ জয় হোক।
জিসান শা ইকরাম
‘আমি’ হিসেবে লিখলে কত সুবিধা তা এই লেখায় আবার প্রমানিত 🙂
ধোঁয়া ওড়ানো যায় বেশ ভালোভাবেই।
ছাইরাছ হেলাল
সব ‘আমি’ লিখতে হবে, খুব সুবিধা।
লেখা কিন্তু লেখা না, আমার বেলায়।
তল্বাক্স এবার খুলতে হবে দেখছি, যত্ত সুখ লুক্কায়িত সেখানে!!
জিসান শা ইকরাম
লেখা কিন্তু লেখা না, আমার বেলায়। :D) :D)
অনিকেত নন্দিনী
😮 😮 😮
ছাইরাছ হেলাল
লেখা কিন্তু লেখাই।
ছাইরাছ হেলাল
নিতান্তই শূন্য জ্ঞান,
অনিকেত নন্দিনী
নতুন করে ভাবতে হইবেক। ;?
অনিকেত নন্দিনী
শূন্যজ্ঞান! ;?
পাইসি! মহাশূন্যেও শূন্য আছে। 😀
শুন্য শুন্যালয়
আমারে লইয়া কিতা কিতা কন আম্নেরা?
ছাইরাছ হেলাল
আন্নেরে লইয়া কিছু কইয়া কচু কাটা হইতে পারুমন্না,
অরুনি মায়া
আমার পোস্ট টির লিংক দিয়ে আপনি কি বোঝাতে চাইলেন বুঝলাম না | আমি কেবল একান্ত অনুভূতিতে নিজের কথা বলি | এছাড়া এরসাথে গল্প বা কবিতা যুক্ত করে দিলে তা আর আমার ব্যক্তিগত বিষয় থাকেনা | এখানে আমার লেখাকে ঢাল বানিয়ে নিজে বাঁচতে চাচ্ছেন বুঝি | তা হবেনা অন্তত আমার কাছে | এ লেখা বাস্তব জীবন থেকেই নেওয়া | আশাকরি নতুন সাথী নিয়ে ভালই আছেন | পাহলভীকে আবারো অভিনন্দন -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার লেখাটির লিংক দিয়ে বোঝাতে চাইলাম লেখা লেখাই। যিনি গল্প বা কবিতা কিছুই লিখতে
পারেন না বা পাবেন না সে কী করে বিভাগ নির্বাচন করবে!! অবশ্য একটি গপ্পো বা কুবিটা বিভাগ থাকলে
বাঁচা যেত। আপনি বলুন এখন কী করি? ঢাল বা ডাল ব্যবহার করলে উত্তমটি ই করা উচিত, সে ক্ষেত্রে প্রথম
পছন্দ আপনি ছড়া এই মুহূর্তে নয়ন জুড়ে আর কিচ্ছু পাচ্ছি না। অবশ্যই যেবন থাইক্যা নেওয়া, আপনি সেটা ভালই বুঝতে
পারছেন পাহলবীজী,
গানা শোনেন চৌক্ষ দিয়ে, উত্তম গান।
অরুনি মায়া
হুহ আমি পাহলবী নই, আমি মায়া :@
ছাইরাছ হেলাল
চরি, মায়াময় মায়াবতী আপনি!!
অরুনি মায়া
একটি হুশিয়ারি পত্র,
রূপকথার দোহাই দিয়ে যাকে খুশি তাকে আনা যাবেনা | কঠিন ভাবে বারণ করে দেওয়া হল | এর অন্যথা হলে কিন্তু করুণ পরিণতি | শ্রোদ্ধেয় জনাব আপনি সতর্ক হয়ে যান অতি সত্তর :@
মৌনতা রিতু
বন্ধুত্ব এ বড় অধিকারের শব্দ।সুখে দুঃখে,আড্ডায়,সময় কাটাতে,স্মৃতিচারনে এ এক নিবিড় সম্পর্ক।
তুই এখন কোথায়?কেমন আছিস?ছেলেরা কি পোড়ছে?চলে আয় একটু মনটা ভালো নেই,বন্ধু তোর মন ভালো নেই!আসছি এখনি।কি খাবি বল?আহা!সেই দিনগুলি।
ছাইরাছ হেলাল
সুন্দর করে বলেছেন তো,
সবাই বন্ধু হয় না বন্ধুদের মধ্যে ও, কেউ কেউ বন্ধু।
আর এ স্মৃতি অমলিন।
আমিও বলি, আহা, বিড়ি টানা সে সব দিন রূপকথায় কতই না মসৃণ।
নাসির সারওয়ার
ভাবলাম কৃতজ্ঞতা দেখেই খোঁচা দিয়ে দেবো আগের মত। কিন্তু …। তা এ আবার ক্যামন রুপকথা! ঝোলা থেকে রাজারানী বের না হয়ে মায়াবতী পাহলবী!
অনেক ঘোলাটে লাগছে। আগামাথা কিছুই বোধগম্য নয়। অবশ্য কিছু না বোঝারও অনেক সুবিধা আছে যা আমি ভালো ভাবেই বুঝি।
অতএব, নো মন্তব্য!
ছাইরাছ হেলাল
আহা, খোঁচা বন্ধ করা ঠিক না, কিন্তু কী……খুক খুক কাশি দিন, এবারে ঝেড়ে কাশুন,
কেন? হৃদরানী মনে হচ্ছে না কেন?
এই এক মহা সমস্যা সব কিছুই ঘোল ঘোল লাগে, অবশ্য না বোঝার ভাব নেয়ার সুবিধা আরও অনেক বেশি।
আরও ভালো নো মন্তব্য।
নাসির সারওয়ার
আপনার কাশির ঔষধ মনে হয় কাজে দিচ্ছে। না মানে বলছিলাম কি, দায়িত্ববান পুরুষ চিঁ চিঁ না করে গরর গরর করলে ক্যামন হতো। আর কিছুটা ঘোল, ঐযে জড়াজড়ি না জানি কি বললেন! খুবই ঘোলাটে লাগে।
থাউক, চক্ষু দেহামুয়ানে।
ছাইরাছ হেলাল
বয়স কালে সব কিছুই ঘোলা ঘোলা লাগে।
ব্লগার সজীব
শিরোনামেই তো সাস্পেন্স থ্রিল! ভেবেছিলাম অতল জলের আহ্বান জাতীয় কোন এক লেখা পাব।যা পেয়েছি আত আশাকেও অতিক্রম করে গিয়েছে। রূপকথার ধারনাই পাল্টে দিচ্ছেন ভাইয়া 🙂
ছাইরাছ হেলাল
অতল জল আপনার খুব দরকার বুঝতে পারছি, যাক তাও যখন পেলেন চিন্তার কিছু নেই।
রূপকথা কই পেলেন!! আবজাব কথা মাত্র।
মেহেরী তাজ
উ এখানে রুপের তো কোন কথাই হলো না! যা হইছে তা ইনবক্স কথা সাথে বিড়ি কথা! তাইলে শিরনাম এ। “রুপকথা ” এলো কেনো????
ছাইরাছ হেলাল
উহ্, দাঁড়ান দাঁড়ান চশমার কাচটি ঘসে নেই, এ কাকে দেখছি!!
আমিও তাই ভাবছি কিসের মধ্যে কী!!
বিড়ি কথা হলেই ভাল হত।
মিথুন
বক্স নিয়ে এতো বক্সাবক্সি? উড়নচন্ডি মন না খুঁজতেই নিবিড় নিঝুম বন এসে হাজির, কি কপাল আপনার ভাইয়া। ইট্টু টা শুরুতে মনে করে দিলেন কিনা শেষে? 😀
ছাইরাছ হেলাল
আমারে কেউ বক্সায় না, মনের দুঃখে বন বনানী ছাড়া আর উপায় কী!!
ইট্টুটা কিন্তু শেষেই হয়,
আপনাকে তো দেখি ই না।
লীলাবতী
ফেইসবুকে কি আছে আমি আসলে বুঝে উঠতে পারিনি কোনদিন। নিশ্চয়ই এমন কিছু আছে যে কারনে ফেইসবুক এডিকটেড মানুষ বলে একটি কথা আছে, তা সৃষ্টি হত না। বর্তমানে ফেইসবুক ডিএকটিভেট অবস্থায় আছে 🙂 উপস্থাপনাটি ভালো লেগেছে।
ছাইরাছ হেলাল
ওখানে নাকি সব মজা!! আমিও কিছুই বুঝে উঠতে চেষ্টাই করিনি।
তাই এক্টিভ বা ডি এক্টিভের পার্থক্য ও বুঝিনা।
কিছু একটা লিখুন, কোন নূতন ভর্তার রেসিপি।
শুভ্র রফিক
নাইবা দেখল জড়াজড়ি
তাতে তেমন ক্ষতি নেই।
এই কর্মটি ইদানিং ভাই
বেড়ে উঠছে ধেই ধেই।
ছাইরাছ হেলাল
ইদানিং জানা নেই
পুরনো বলি তাই।