বুকের ভেতর একটা রাস্তা, এলিভেটর এর মতো চলে বেড়াচ্ছে, কিংবা আমি চলছি, কে জানে! জংগল, বালি, পাথড়ের মতো বুকের উচ্ছিষ্ট জায়গাগুলোর উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে একদিন এই রাস্তাটা তৈরি হয়ে গেলো। রাস্তার পাশের মানুশগুলোকে আমি চিনতে পারছিনা, তবে তাদের প্রত্যেকের একটা করে নিজস্ব শব্দ আছে। আমি চোখ বন্ধ করে মটকা মেরে রাস্তার উপর পড়ে আছি, রোদ পোহাচ্ছি। অচেনা মানুষগুলোর শব্দ শুনছি। বোকা বোকা ভায়োলিনের শব্দ, সাথে রোদের ঘ্রাণ, রোদের নিজস্ব ঝিমঝিম শব্দ। ভাবছিনা, কিছুই ভাবছিনা।
উহু ভাবছি, ভাবছি রাস্তাটা বাঁধাবো। একদিন হাইওয়ে বানিয়ে ফেলবো। তখন হয়তো এভাবে শুয়ে থাকা কিংবা হাঁটা যাবেনা, তবুও বানাবো। রাস্তাগুলো ক্রমশঃ উন্নত হলে বোধহয় বেশি নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। সবাই চলে যায় খুব দ্রুত গতিতে।
ফাস্ট ব্যাকওয়ার্ডের মতো, হাইওয়ে>বাঁধানো রাস্তা>রাস্তা বাঁধানোর ভাবনা থেকে রাস্তার উপর শুয়ে থাকা আমি, আর আমার ভেতর আরো বেশি একা তুই।
অথচ বুকের রাস্তার ভেতর ভাঙাচোরা আরও এক রাস্তা ডাকে, অশরীরীর মতো, নিঃশব্দে,
৩৮টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে তো নিশি পেয়েছে,
তা নাহলে এত্ত এত্ত ডাক শুনতে পাওয়ার কথা না।
বুকের উচ্ছিষ্টাংশই যদি এই রাস্তা হয়, সোমত্ত অংশটুকুর কথা জানতে চাই না।
বানান হাইওয়ে, সবাইকে দূরে রাখতে;
এতদিন পরে এলেন সমুদ্রজল নিয়ে!!
তাও তো এলেন!!
দুজ্ঞা দুজ্ঞা,
শুন্য শুন্যালয়
সমুদ্রজল কী বলছেন, এক আজলা বৃষ্টির জলও কপালে জোটেনা। খা খা মরুভূমি।
কতো কিছুতে যে পেয়েছে, তা আর কি বলি। জানতে না চেয়ে ভালো করেছেন। আবার বছর খানেকের জন্য ঘাপটি দেয়া যাবে।
ধুপ ধুনো দিলেন নাকি? ধন্যবাদ। তবু তো দিলেন।
ছাইরাছ হেলাল
“অনেক কথোকথার ভিড়ে বুকের ভেতরের হাহাকার ভালো ভাবেই লিখেছেন”
এটি বলতে চাইনি! ( বুললেই তো বুলবেন, বুলেছেন)
আর সমুদ্রজল বলে চৌক্ষের পানি ববলতে চেয়েছি।
নিশি ছাড়াও যা কিছু যতকিছুতে পেয়েছে এবং পাবে সব জানতে চাই!! মনে থাকে যেন।
আহা, দেবীর আবাহন বলে কথা!
শুন্য শুন্যালয়
যতকিছুতে পেয়েছে আর লিখবো কি করে। কাল থেকে গাছের এক ছবি সিলেক্ট করে বসে আছি, কি লিখবো খুঁজেই পাইনা, আর আজ ব্লগে ঢুকে গাছের লেখা। কপাল 🙁 কিছুমিছু লিখে দিলেও পারতেন।
ছাইরাছ হেলাল
না ,মানে আপনি কষ্ট করে লিখবেন!
তাই আপনার কষ্ট লাঘব করার জন্য লিখে-ফিখে দিলাম।
এ সব লেখাই আপনার কাছ থেকে শিখা!!
আপনি শুধু হুকুম করুন, কী লিখতে হবে! লিখে-টিখে ঝালাপালা করে দেয়া কন ব্যাপার না।
একবার বলেই দেখুন।
ইঞ্জা
😮 আপু কি বলেন, তাড়াতাড়ি ডাক্তার দেখান। :D)
শুন্য শুন্যালয়
কিসের ডাক্তার দেখাবো বলে দেন ভাইয়া।
ইঞ্জা
ভূতের ডাক্তার দেখান আপু। :p
এপার্ট দা জোকস, আপু আপনাকে আবার আমাদের মাঝে পেয়ে খুবই খুশি হলাম, আপনি আসায় আজ দেখুন সোনেলা হাসছে, আমরা খুশি হয়েছি, না হলে এতোদিন বল্গটাকে এতিম এতিম লাগছিলো, আপু নিয়মিত লিখে যান, এখন আবার সবাই আছে, শুভকামনা। 🙂
শুন্য শুন্যালয়
ভূতের ডাক্তার লাগবেনা, আমি ভূত পালি। আর এই ব্লগও ভূত-প্রেত-শাকচুন্নির ব্লগ।
মোঃ মজিবর রহমান
শক্ত পাথরে খোদায় রাস্তা বাধ
মচকাবেনা, ভাংবেনা বধ
মন ভেঙ্গনা মন ভালো রাখ।
আপু।
শুন্য শুন্যালয়
বাংলাদেশের রাস্তা হলে যতো খোদাই করেন, ভাংবেই 🙂
জিসান শা ইকরাম
জংগল, বালি, পাথড়ের উচ্ছিষ্ট জায়গাগুলোর উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে এভাবেই একদিন রাস্তা তৈরী হয়ে যায়, অনিচ্ছুক বা ইচ্ছুক ভুমির তোয়াক্কা না করেই। ধরে নেয়া যায় যে ভুমি ইচ্ছুকই ছিল বা সহজাত অভ্যাস।
রাস্তা মসৃন আর হাইওয়ে বানিয়ে সবাইকে দূরে সরিয়ে দেয়ার চিন্তাওকেই দূরে রাখুন ম্যাডাম।
আপনার একা তুই কে আবার ফার্স্ট ব্যাকওয়ার্ড করুন।
রোদের ঘ্রান, শব্দ! বাপ্রে এসব অনুভব করেন আপনি! ভয় পাওয়াতে চান মনে হচ্ছে,
অনেকদিন পরে চেনা কিন্তু অন্য এক শুন্য শুন্যালয়কে দেখলাম। লেখা সেরাম হইছে।
শুন্য শুন্যালয়
ভয় পাওয়ারই কথা। সিজোফ্রেনিয়ার রোগিদের এইসব দেখা, শোনার ব্যাপার স্যাপার আছে 🙂
কাওকেই কেউ দূরে সরাতে পারেনা, ওসব সময়ের কারবার।
মানুষ চেনা ম্যালা কষ্টের। কি যে লিখি, তাও আবার সেরাম 🙁
অনেকদিন পর এসে সব অচেনা লাগছে। 🙂
জিসান শা ইকরাম
মানুষ চেনা ম্যালা কষ্টের আসলেই, নিজকে নিজেই তো চিনিনা আমরা।
অচেনা লাগতেই পারে, তবে সোনেলা শুন্য শুন্যালয় ছাড়া শূন্য শূন্য থাকে -{@
শুন্য শুন্যালয়
দেখলেন তো, আমি ছাড়াও আমি থাকি 🙂
জিসান শা ইকরাম
১৫০ এ এসে টেস্ট ম্যাচ খেলা আরম্ব করলেন, রানই আর করেননা। দীর্ঘ্য দিবস রজনীর পরে ১ রান করলেন। এখন ওডিয়াই আর টি২০ খেলে দ্রুত ডাবল সেঞ্চুরী করে ফেলুনতো 🙂
আপনার ঠিকানা এটি, অন্য কোথায় খুজব আপনাকে!
ইঞ্জা
শতভাগ সহমত জিসান ভাইজানের সাথে।
শুন্য শুন্যালয়
প্রথম ইনিংস শেষ ভাউ, এটা দ্বিতীয় ইনিংস শুরু হলো। পরের ইনিংস দ্রুতই আবার শেষ হয়ে যায় কিন্তু 🙂
মোটে লিখতে পারিনা, আপনি বলছেন সেঞ্চুরি 🙁
জিসান শা ইকরাম
যিনি দের সেঞ্চুরী করেন তিনি ডাবল ট্রিপল সেঞ্চুরীও করার কৌশল শিখে গেছেন,
আমাদের মুগ্ধ করুনতো দারুন কিছু শট খেলে 🙂
মৌনতা রিতু
একার এক রাস্তায় একা থাকা। বোকা ভায়োলিনের শব্দ! জানো, লেখাটা যাস্ট উপলব্দি করার মতো। বুকের কোথায় একটা হাহাকার উঠলো। ব্যাস্ত রাস্তা তবু একা পড়ে থাকে।
এটাই শুন্যের লেখা। চমৎকার লেখ তুমি।
শুন্য শুন্যালয়
জানিনা কেন, মাথার মধ্যে শুধু রাস্তা ঘুরে বেড়াচ্ছে কিছুকাল। কিসব লিখি নিজেই জানিনা। তোমাদের লেখা পড়েই কিছুদিন কাটাতে হবে।
মেহেরী তাজ
বুবু উয়েলকাম ব্যাক। মিসড ইউ মাচ।
লেখা নিয়ে মন্তব্য করা যাবে একসময়…।
আমিও আসছি আগের মত করে উয়েট। আড্ডা হবে…।
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কোন আপুটা যেন? স্যরি আমার মেমোরিতে কিছু সমস্যা হয়েছে। আমিও আপনাকে মিস করি, বাট আপু আপনার নামটা যেন কী? আগে আমরা কি করতাম? মনে করিয়ে দিন তো। (3
মেহেরী তাজ
কি কি করতাম সব বলে দিলে তো সমস্যা। আসেত আসতে ,আড়ালে আবডালে বলা যাবে । ইয়ে আমরা তো পূর্ব পরিচিতই ছিলাম লাগছিলো তাই ভুল করে বুবু ডেকে ফেললাম। রং নম্বর ডায়াল লেগে গেছে মনে হচ্ছে। আচ্ছা আপু সমস্যা নাই। সব কিছু নতুন করেই না হয় শুরু করলাম। সমস্যা তো নাই তাই না?
আসুন পরিচিত হই।
আমি মেহেরী তাজ। কেউ কেউ পিচ্চি ভূত ডাকে। কেউ আবার বন্দুক ওয়ালি ও ডাকে। আমার একটা বন্দুক আছে। আপনার কপাল গান পয়েন্টে । এবার বলুন সব মনে পরেছে?
আগুন রঙের শিমুল
পথের মায়া সবচেয়ে ভয়ঙ্কর মায়া, এমনিতে সব মায়াই ভয়াবহ … পথ একটু বেশী 🙂
ভালো লেগেছে লেখা ছবি দুইটাই
শুন্য শুন্যালয়
পথের মায়া সবসময়ই ভয়াবহ, কিন্তু মনের ভেতর এতো চলাচল করার মানুষরা আসল পথ হারায় ফেলে 🙂
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
এমনি হয় মানুষের পায়ে বানানো মেঠো পথগুলো একদিন হাইওয়ে হয়ে একা হয়ে যায়।দারুণ লিখেন আপনি।তবে কয়েকাল কাল পর এ একটি লেখা!চলবে না নিয়মিত হতে হবে। -{@
শুন্য শুন্যালয়
সুন্দর মন্তব্য মনির ভাই। আমি আপনাদের মতো লেখক ছিলাম না কখনোই, নিজের উপর জোর করা ছেড়ে দিয়েছি। ভালো থাকবেন।
ছাইরাছ হেলাল
আধেক লিখে ফেলে রাখবেন এ বড্ড ন্যায়ের বিপরীত!
বাকিটুকু লিখে পাঠকদের অপেক্ষার হ্রাস টানুন!
বিপ্রতীপতা পরিহারে জেগে উঠুন;
শুন্য শুন্যালয়
আপনি থাকতে বাঁকিটুকু আর বাঁকি কি থাকবে? 🙂
কী সুন্দর করেই না লিখেছেন আজকের কবিতা। ঈর্ষিত।
নীলাঞ্জনা নীলা
বুকের ভেতরের গহীন পথ ধরে মিছিল করে চলে স্বপ্নগুলো
আন্দোলনের বর্ষায় ভিঁজে যায় রাস্তা
কোনো ঝড়ের প্রকোপে নয়,
শূন্যতার নীরবতায়। —-
আপু
“এলে তুমি সেই তো এলে
দেরী করে কী লাভ হলো!
শুধু শুধু ফুঁটলো পলাশ
কিছু পাখী উড়ে গেলো।”—লেখা নিয়ে কী বলবো! তোমার লেখায় যাদু আছে, লিখিয়ে নেয় আমাকে।
শুন্য শুন্যালয়
যাইনি কোথাও নীলাপু, ব্যস্ততা বেড়েছে অনেক। আগের মতো আসাও হবেনা আর। আর লাভ ক্ষতির হিসাবের বয়স পার হয়ে গেছে। এখন শুধুই অপেক্ষা।
তোমাকে লেখাতে তুমিই যথেষ্ট। 🙂
নীরবতায় ভেজা রাস্তা, বেশ বেশ 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
আপু হেব্বি দার্শনিক কথায় চলে গেলে। হিসেবের বাইরে এ জীবন একটুও চলেনা আপু। লাভ-ক্ষতি বুঝেই চলি আমরা সবাই।
ভালো থেকো। 🌺
শুন্য শুন্যালয়
লাভ-ক্ষতির হিসাব ছাড়াই আমরা বেশি চলি। হিসাব যখন পারো, তখন করেই দেখো 🙂
তুমিও ভালো থেকো।
খসড়া
তুমি কি রাস্তা বানানের ঠিকাদারি শুরু করছ? আমি কিন্তু রাস্তা কেন কোন টেন্ডারের আশেপাশে নাই।
শুন্য শুন্যালয়
টেন্ডার দরকার নেই। আপনি নতুন গাড়ি কিনে ফেলুন আপু। আমার হাইওয়ে দিয়ে সবার আগে আপনার গাড়ি চলুক 🙂
তৌহিদ ইসলাম
শুধুমাত্র রাস্তা শব্দটি দিয়ে এত্ত কিছু কল্পনা করা যায় বা সম্ভব তা আপনার লেখা পড়েই বুঝলাম। আমার এখনো অনেক কিছু শেখার বাকী।
শুন্য শুন্যালয়
প্রতিমুহূর্তেই তো শিখছি কিছু না কিছু, আমি, আমরা। আপনার লেখা এখনো পড়া হয়নি বোধ হয় আমার। পড়েই জানাবো আপনার কল্পনা কি নিয়ে 🙂