দিন কাটছিলো অন্ধকার ঘরে, রাত জেগে থাকা আর বই পড়া, পকেটে টাকার পরিমান শূন্যে নেমে এসেছিলো, বাবার কাছে টাকা চাওয়া হয়না আর, রাত তিন টায় ঘুমায়, উঠি সন্ধ্যায়,গোল্ড লিফ সিগেরেট থেকে নেভি অতঃপর সানমুন আর এখন আকিজ বিড়ি খাচ্ছি, মা বেচে থাকলে হয়তো টাকা নিতে পারতাম, সেদিন সন্ধ্যায় যদিও বাবা বাসায় ফিরেছেন, কিন্তু আমি ঘুমাচ্ছি ভেবে আর ডাকেন নি, আসলে আমি ঘুমাইনি, বাবার পায়ের শব্দ শুনেই কাঁথা মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলাম, আমি চাইনা বাবা আমার লাল চোখ দেখুক, হ্যা প্রতিদিন গাজা খাই আমি, আর গাজা খেতেই বিকালে ছাদে উঠা, আমাদের ছাদ টা সাধারনত ফাকাই থাকে, কেউ তেমন একটা উঠেনা, হটাথ একদিন বাম পাশের ছাদে একটি মেয়েকে দেখি আমার দিকে তাকিয়ে আছে, আমি ঘুরে সে পাশ টায় গেলাম , মেয়েটা আসলেই কি আমার দিকে তাকিয়ে ছিলো নাকি অন্য কিছু বুঝার উপায় নেই, যাই হোক আমি তখন দ্বিতীয় ষ্টিক ধরাতে ব্যাস্ত, খেয়াল করলাম মেয়েটার হাতে আগুন জ্বলে উঠল, আমি দেশালায় ব্যাবহার করছিলাম, আর মেয়েটা লাইটার, একটা মেয়ে সিগেরেট খাচ্ছে ব্যাপার টা কেমন যেন লাগল আমার কাছে, যাক গাজা তো আর খাচ্ছেনা, বলা যায়না খেতেও পারে, পৃথিবীতে কত কষ্টের কত মানুষ ই তো আছে সেসব নিয়ে আর মাথা ঘামালাম না, কিন্তু খেয়াল করতে থাকলাম মেয়েটার সাথে আমার প্রায় দেখা হয়, সে কখনই আমার সাথে সাথে সিগেরেট জ্বালায় না, যদি আমার জ্বালানোর সাথে সাথে সে জ্বালাতো তাহলে হয়তো অনুমান করতে পারতাম ভাব জমাতে চাচ্ছে, যদিও সেসব সম্পর্কে আমার না জড়ানোই ভালো , আমার লক্ষ্য মৃত্যু, আমাকে মরতে হবে, আচ্ছা প্রথমেই কুকুর বিড়াল কেনো তাকেও মেরে ফেলা যায় সে লক্ষ্যেই আগানো শুরু করলাম, একদিন ইচ্ছে করে তার সময়মত বিড়ি ধরাতে থাকলাম, সে যিখন সিগেরেট জালায়, আমি বিড়ি জ্বালাই, এইভাবে বেশ কয়েকদিন গেলো, একদিন দেখলাম মেয়েটা আর সিগেরেট জ্বালাচ্ছে না, আমার সিগেরেট খাবার প্রচন্ড ইচ্ছা হচ্ছে, অনেক ক্ষন দেখে আমি একটা বিড়ি জ্বালিয়ে খেয়াল করলাম মেয়েটা সিগেরেট ধরিয়েছে,মেয়েটা তাকালো একবার তারপর আর আসেনি বেশ কয়েকদিন,কিছুদিন পরেই আবার ছাদে তার দেখা পেলাম, যাক তাহলে ফিরে এসেছে। ভাবতে থাকলাম কি করে তাকে ভাগে আনা যায়, আগে প্রেম করবো তারপর ওকে মেরে ফেলবো সাহস অর্জন করবো আমি, অতঃপর মৃত্যু, কাজ টা খুব কষ্টের হবে তবু করতে হবে আমায়।
১৫টি মন্তব্য
কৃষ্ণমানব
ভালোই লাগলো , পর্ব আকারে থাকলে সুবিধা হয়
হৃদয়ের স্পন্দন
ভালো লেগেছে শুনে শিহরিত হলাম, পর্ব আকারেই রাখার চেষ্টা করবো 🙂
মেহেরী তাজ
এ কেমন ইচ্ছে আপনার ভাইয়া ? মেয়েটার সাথে প্রেম করবেন, এরপর মেরে ফেলবেন ? আপনি একটা পচা ভাইয়া।
হৃদয়ের স্পন্দন
এ ক্বমন ইচ্ছে আপু আমাকে জিজ্ঞেস করে তো কোনো লাভ নাই; সম্ভবত যাযাবরের কাছে জানতে চাইলে উত্তর পাওয়া যাবে, তবে যাযাবর কি মেরে ফেলবে নাকি প্রেমে পড়ে হাত পা ভাঙ্গবে নাকি মেয়েটি তাকে ইগনোর করবে আমি জানিনা, পরবর্তী পচা মানুষের পোষ্টে দাওয়াত রইলো ভালো আপু
মোঃ মজিবর রহমান
হু, প্রেম না প্রতারনা কনটি।
গল্প ভালই চালিয়ে যান।
হৃদয়ের স্পন্দন
আমি নিজেও জানিনা প্রেম না প্রতারণা, যাযাবর জানে 😛 অনুপ্রেরণা পেলাম, ধন্যবাদ ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
লিখুন মনের স্বপ্ন রজ্ঞিন করে।
বনলতা সেন
পড়লাম , দেখি কোথায় নিয়ে যান।
হৃদয়ের স্পন্দন
আসলে যাবে আর কই গন্তব্যে, মানে অই যে মোল্লার দৌড় মসজিদ পর্যন্ত এটা তো প্রবাদ ই আছে তাইনা? ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি মন্তব্যের সাথে অনুপ্রেরনা দেবার জন্য
ছাইরাছ হেলাল
লেখার উপস্থাপনাটি ভালই মনে হচ্ছে।
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ
অলিভার
এখনো ঠিক বুঝতে পারছি না শেষটায় থ্রিল হবে নাকি সিরিয়াল কিলারের আত্ম কাহিনী।
ডুবে যাওয়া মানুষকে চমৎকার ভাবে উপস্থাপন করেছেন, সাথে তার প্রবৃত্তি আর খুন করার দারুণ একটা ইচ্ছাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
পরবর্তী পর্বের অপেক্ষাতে রইলাম 🙂
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ ভাই, আপনার মুখে আমার লেখার প্রশংসা, কেনো জানি নিজেকেই বাহবা বাহবা দিতে ইচ্ছে হচ্ছে, যাই হোক ইনশাল্লাহ আজ তারেই আসছে পরবর্তী পর্ব, আর আমার অখাদ্য সময় করে পড়ার জন্য ধন্যবাদ
শুন্য শুন্যালয়
এমন ভিন্ন ধরনের লেখা পড়তে বেশ ভালো লাগে, আপনি লিখছেন ও অনেক সুন্দর।
অপেক্ষায় থাকছি ডায়েরির।
হৃদয়ের স্পন্দন
ধন্যবাদ, আমার লেখার জন্য কেউ অপেক্ষা করবে এতোটা প্রত্যাশা করিনি কোনো কালে, শন্যবাদ আপনাকে