বিশ্বাসে বেশ্যালয়

হৃদয়ের স্পন্দন ৫ এপ্রিল ২০১৭, বুধবার, ০১:৪৬:১২অপরাহ্ন বিবিধ মন্তব্য নাই

পর্বঃ ৫

সীতা রায়ের শরীর টা ভালোনা, অদ্ভুত এক কাজ করতে হয় তাকে। এই কাজটা অবশ্য তার পছন্দ হয়েছে। কাজ তেমন কিছুনা। শুধু দিনে ৪ বার থানা ঝাড়ু দেয়া। ময়লা খুব একটা হয়না, তবু তাকে ৪ বার ই ঝাড়ু দিতে হয়। নুয়ে কাজ করতে কষ্ট হয়, সারাজীবন শুয়ে কাজ করা মানুষটার ঝাড়ু দেয়ার কথা মনে পড়লেই কেমন কেমন লাগে! যদিও সব ব্যাবস্থা করে ফেলেছে সীতা। গত দিন সেকেন্ড অফিসার আবাসিক হোটেল থেকে অনেকগুলো মেয়ে ধরে এনেছে। কাজ টা হয়েছে রুবেল আহমেদ এর অর্ডারে। সমস্ত আবাসিক হোটেল রেইট দিতে বলা হয়েছে। পুরুষ দের ক্ষেত্রে সামান্য ছাড় আছে। যেমন দেখতে বয়স্ক, বয়স ৪০ আপ এমন লোকদের ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। সেকেন্ড অফিসার খুব ভালো কাজ দেখিয়েছে। জনা ২০ ছেলে, আর ৫০+ মেয়ে এনেছে। এদের মাঝ থেকে কিছু সুন্দর মেয়েদের টার্গেট করেছে সীতা। শুধু টার্গেট নয়, ফোন নাম্বার রেখেছে, ঠিকানা রেখেছে। এর জন্য বেশ বেগ পেতে হয়েছে তাকে। এরা সহজেই সঠিক ঠিকানা দেয়না। সীতা রায় কে শোনাতে হয়েছে তার গল্প। কেন গাঙিনার পাড়ের বেশ্যা আজ কুমিল্লা থানার ঝাড়ুদার। এর মাঝে দুজন কে সে তার প্ল্যান খুলে বলেছে। এ দুজন অপেক্ষাকৃত অনেক কম বয়সী। সীতা তাদের পার্টনার হিসেবে রাখবে। জুনিয়র দের পার্টনার করায় লাভ আছে, সিদ্ধান্ত একা নেয়া যায়, আর তা যদি হয় বেশ্যা ব্যাবসা তাহলে তো কথাই নেই। সীতা রায়ের স্বপ্ন প্রায় পূরন হতে চলেছে। আর কয়েকটা দিন, একটি ফ্লাট খোজা, ফ্লাট নেয়ার আগে মেয়েগুলোর সাথে যোগাযোগ, একজন স্বামী যোগার করা, আর ফ্লাট টি নিচতলা নেওয়া। ছেলেটা থাকলে বেশ ভালো হত। মা ছেলে আর ছেলের বউ সেজে বাসা ভাড়া নেয়া যেত। কি এক যন্ত্রণা! অবশ্য রুবেল আহমেদ সব ঠিক করে নেবে বলে বিশ্বাস আছে তার।

**_**
নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ পুলিশ। চারজন বেশ্যা সর্দারনী খুন। প্রথম খুন হয়েছে ময়মনসিংহ গাঙিনার পার। জামালপুর ২য় টা। টাঙাইল বেবি ষ্ট্যান্ড ৩য় আর গতকাল রাতে দৌলতদিয়া। পুলিশের ধারণা ভয়ানক এক সাইকো ঘুরে বেড়াচ্ছে চারপাশে। খুনের সময় গুলো হিসাব করলে বলা যায় একই ব্যাক্তি করেছে। খুনের ধরণ যদিও এক রকম না। প্রতিটা লাশের গায়ে পাওয়া গিয়েছে অজস্র ফিঙ্গার প্রিন্ট। মোবাইল সার্ভার থেকে পাওয়া কিছু ফিঙ্গার ম্যাচ করছে কিছু করছেনা। যেসব করছে সেসব স্বস্থানে বেশ্যাদের ফিঙ্গার প্রিন্ট। এরা বেশ্যা, এরা অন্য নারীদের মত না। রোজ রাতে যারা খদ্দের পালটায়, এক কাপড়েই খদ্দের কে পৌছে দেয় চরম সুখে তারা লাশ ভয় পায়না, হোক সে স্বাভাবিক অথবা এক্সিডেন্ট। চারটি লাশ থেকে পুলিশ একটি কমন ফিঙ্গার বের করতে চাচ্ছে। কিন্তু হচ্ছেনা। এ সাইকো কে ধরতে না পারলে মহাযন্ত্রণা হয়ে যাবে। সিরিয়াল কিলিং বা সেম ভিক্টিম খুন অতীতে বাংলাদেশে ঘটেছে দুইটি। একটি রাসু মিয়ার অন্যটি গত বছর। যার সবগুলার তদন্তে ছিলো রুবেল আহমেদ। এবারো তাকেই কেস্টা দেয়া হচ্ছে। এ নিয়ে খুব একটা খুশি নয়, পুলিশের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র সৈমন্তিক চ্যাটার্জি। ইনি ইন্ডিয়ান আর্ট ফ্লিমের বেশ ভক্ত। তিনি নির্ভরযোগ্য সুত্রে শুনেছেন কুমিল্লা থানায় একজন বেশ্যা ঝাড়ুদার আছেন। যিনি
গাঙিনাপাড় থেকে এসেছেন। এ মহিলা আসার পরেই খুন গুলো ঘটছে। তার এই মনোভাব সহকর্মীরা বুঝেছে, তাকে দেখলেই অনেকে ২২ শে শ্রাবণ শব্দটি ভিবিন্ন ভাবে উল্লেখ করছে। যেমন ২২ তারিখ ছুটি লাগবে, কারো জন্মদিন। প্রসেনজিৎ এর মুভি ভালো বা শ্রাবণ মাসে এখন আর বৃষ্টি হয়না এইসব। এতে সৈমন্তিক চ্যাটার্জির ভ্রুক্ষেপ নেই, তার প্রয়োজন এটার সমাধান করা। হোক না সে আসামী রুবেল আহমেদ নিজেই।

পর্বঃ ৬
কমন একটি ফিঙ্গার প্রিন্ট পাওয়া গেছে, চার টি লাশ মিলিয়ে। একে ফিঙ্গার প্রিন্ট বলবে নাকি অনুমান তা সঠিক বুঝতে পারছেনা বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত ডেভিড। কোনোটাতে ৭০ পার্সেন্ট ম্যাচ করছে, কোনোটাতে ২৫ একটাতে ১০০ শতাংশ ম্যাচ করলেও অপরটিতে ১৮। এইভাবে খুনী ধরা যাবেনা, তাছাড়া এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট অন্তত ৬০ শতাংশ ম্যাচ না করলে কিছু করা যাবেনা। বিষয় টা নিজের কাছে রেখেছে মার্কিন পড়াশোনা আর মার্কিন পুলিশে একসময় কাজ করা ৫২ বছরের বৃদ্ধ ডেভিড। বাংলাদেশ পুলিশে তার জয়েন করার ইতিহাস সুখকর নয়। বইমেলায় ঢোকার পথে বাধা পেয়ে সাদা চামড়ার এই মানুষটির সাথে গোলমাল লেগেছিলো পুলিশের। তাকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তার পরিচয় দেয়ার পরেও কেউ চিনতে পারছিলেন না, একসময়ের পররাষ্ট মন্ত্রী বিষয় টি জানতে পেরে নিজেই ছুটে আসেন। যদিও তিনি আসার আগে ফোন করেছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের উর্ধতন সব কর্মকর্তাকে। কেউ ফোন পিক করেনি, তারা এক জটিল খুনের বিষয়ে বৈঠক করছিলেন, যখন তারা ফোন ব্যাক করলেন ততক্ষণে মন্ত্রী থানায়। ছুটে এসেছিলেন এক সৈমন্তিক চ্যাটার্জি। তিনি পরিচয় শেষে ডেভিডের ইতিহাস নিয়ে ঘাটাঘাটি শুরু করলেন, এবং মন্ত্রীর মাধ্যমে রিকুয়েষ্ট করে তাকে এই মামলায় বহাল করলেন। ২২শে শ্রাবণ প্রেমী সৈমন্তিক সাহেব ঠিক তেমন পাওয়ার ই দিলেন ডেভিড কে যা মুভিতে দেয়া হয়েছিলো। আফসোস তিনি জানলেন না জীবন টা মুভি নয়।

**-**
রাত ৯ টা। আসাদগেট থেকে ফার্মগেট রোড। খদ্দের এর অপেক্ষায় বসে আছে রমা। আজ অবশ্য তাকে মুসলমান পোষাকে বের হতে হয়েছে, স্কার্ফ সাথে হিজাব। স্যালোয়ার কামিজের সাথে ব্যাপারটা মানানসই নয় বলে সে বোরকা পড়েছে। প্রথমদিন শাড়ি পরে এসেছিলো। রাত ১১ টায় তাকে ফিরে যেতে হয়েছে আবাসস্থলে। বেশ্যাদের চেহাড়া বলে দিবে সে বেশ্যা। তাকে দেখে খদ্দেররা ভেবেছিলো কোনো টাকাওয়ালা ছেলের মেয়ে বন্ধু হয়তোবা। সেদিন ও কারো সাথে পরিচয় ছিলোনা তার। পরদিন সে শাড়ি পড়েই আসে, সেদিনো সে বুঝতে পারেনি আসলে কি করত্রে হবে। এক বেশ্যা এগিয়ে আসে তাকে দেখে। তোমাকে গতকাল ও দেখেছি। কারো জন্য অপেক্ষা করো? না খদ্দের? খদ্দের সোজা সাপটা জবাব দেয় রমা। এ লাইনে নতুন নাকি? না, সংক্ষেপে তার অতীত জানায় রমা। মেয়েটাকে বোন বানিয়ে ফেলে তার। কথা প্রসঙ্গে জানা হয়ে যায় দুজন একই এলাকার । ফোন নাম্বার বিনিময় হয় তাদের। খদ্দেরের আহ্বানে চলে যায় মিতু। দু দিনের ক্ষুধার্ত রমা ফেরে বাসায়।
আজ সে বোরকা পরেছে, নেকাব টা ঠিক তার নাকের ডগার এক সুতা উপরে রয়েছে। এটাই বেশ্যাদের সাইন। কেবল নাকের এক সুতা উপরে। চোখের নিচে নয়। চোখ থেকে নাক অব্ধি ছড়াবে কামনার আহ্বান , গায়ের রঙ আর কড়া প্রসাধনীর বাহার। তার কোনোটাই প্রয়োজন হয়না রমার, তার মুখ টাই কেমন এক শীতলতা দিয়ে ভরা, লম্বাটে চেহাড়া বলে এমনিতেই তাকে কামুক মনে হয়, আর ভগবান তাকে গায়ের যে রঙ দিয়েছেন তাতে প্রসাধনীর প্রয়োজন হয়না তার। বেশ্যাপাড়ায় থাকতে শুধু লিপিষ্টিক ব্যবহার করতো সে, আর হরিণ টানা চোখে কাজল। আজ বেশ ঝামেলায় পড়তে হত তাকে। মিতু নিজে বসে হ্যান্ডেল করে সব সেট করে দিয়ে গেছে, এলিয়েনের পইছনের সিটে বসে আছে রমা। খদ্দের গাড়ি চালাচ্ছে আর মাঝে মাঝে হাত দিয়ে স্পর্শ করছে নিজের পুরুষাঙ্গ। এসব দেখছে রমা, ভাবছে এতক্ষণে তারো কামনা জাগত যদি সামনের সিটে বসা ছেলেটা হত অমলেশ। এখন কেবল তার অপেক্ষা। কাপড় খোলা, নির্যাতিত হওয়া টাকা নিয়ে বাসায় ফেরা। নির্যাতিত বলা যাচ্ছেনা এখনো, কেননা বেশ্যাপাড়ায় কোনো খদ্দের কখনোই তাদের আঘাত করতে পারতোনা, তবে মিতু বলেছে এখান থেকে যারা নিয়ে যায় তারা আঘাত ও করে। এসবে মাথা ব্যাথা নেই তার। তার প্রয়োজন টাকা। অমলেশ কে নিয়ে বেঁচে থাকার অবলম্বন টাকা। একমাত্র টাকাই পারে দিতে জগতের সকল জাগতিক সুখ। এই যে রমা দেহ বিক্রি করতে যাচ্ছে তাও কিন্তু টাকার জন্যই।

**-**
হাসান সাহেব বেশ চিন্তিত আছেন, তার খাস চ্যালারাও দেখা করার সুযোগ পাচ্ছেনা, তিনি সাধারণত না ঘুমিয়ে থাকলে সবার সাথে দেখা করেন।চ্যালাদের কেউ এলে ঘুম থেকে উঠে দেখা করেন। আজ তার কিছুই করছেন না। বারান্দায় বসে একের পর এক সিগেরেট খাচ্ছেন। নিচে চ্যালারা বসে আচে, তাদের যাবার অনুমতি ও দিচ্ছেন না, আবার কথাও বলছেন না। চ্যালারা যে সবার সাথে সবার ভালো সম্পর্ক তাও না। এটা হাসান সাহেব ইচ্ছা করে করেছেন। সবার সাথে সবার সম্পর্ক ভালো হলে তারা সিন্ডিকেট করতে পারে, পল্টি নিতে পারে। সে সুযোগ দেয়া যাবেনা। যদ্দিন বেঁচে আছেন তদ্দিন তাকেই টপে থাকতে হবে। হাসান সাহেব আসলে দিলদরিয়া মানুষ। তিনি সমাজের অধপতন মেনে নিতে পারেন না, আবার এই লাইন থেকে সড়ে যেতেও পারেন না। বস্তির এক ছেলে আজ সমাজের শিল্পপতি, অনেকবারচেয়েছিলেন এসব ছেড়ে দিবেন, কিন্তু তা আর হয়ে উঠেনি। শুধু শিপ্লে সব চলেনা, শিল্পপ্রতিষ্টান চালাতে হলে গুন্ডামির মর শিল্পটাকেও আকড়ে ধরতে হয়। আরে জন্য খুব সুন্দরসেটাপ দিয়েছেন হাসান সাহেব। তিনি মরে যাবার পর সব ধংস হয়ে যাবে। পুলিশের হাতে মারা খাবে সব। আবার তিনি যদ্দিন বেঁচে আছেন তদ্দিন তিনি শাহানশাহ। তবে আজকের মত চিন্তিত তিনি কোনোদিন হননাই এই বিষয় টা একদম তিনি নিজেই নিশ্চিত। কে হবে বলির পাঠা? একজন কে তো হতেই হবে। কাকে বানাবেন তিনি? রুবেল আহমেদ ক্লিয়ার বলে দিয়েছেন তিনি তাকে খুনের মামলা থেকে বাঁচাবেন কিন্তু সে কেবল ময়মনসিংহের টা, বাকি তিনটা খুব কে করেছে তা জানতে চান তিনি। অবশ্য এ যে হাসান মহলের কাজ এ নিয়ে কোনো সংশয় নেই রুবেল আহমেদ এর। কি করবেন হাসান সাহেব! চ্যালাদের মাঝে একজন কে এর দায় নিতে হবে। কেউ কি নিবে? নাকি রুবেল আহমেদ কেই সড়িয়ে দিবেন দুনিয়া থেকে, এতে যা হয় হোক। হবেনা কিছুই , ও শালা ডেভিড হোক আর সৈমন্তিকের কেউ হোক, এ খুনে কেউ ফাসাতে পারবেনা হাসান সাহেব কে। তাছাড়া বিনা টাকায় বেশ্যা খুন করে এসপি কথায় এস্পি যদি তাকে অন্য মামলায় উলটা ফাসায় দোষ না থাকার পরেও তখন আর কি বা করার থাকে। হাসান সাহেব তো আর চারটে খুন করেন নি। তিনি করেছেন একটা। বাকি তিনটা খুন ই বা কে করলো! পরে ভাবা যাবে, চ্যালা মানিক কে ডেকে পাঠান তিনি। তার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ে গেছে, তিনি এখন সবার সাথে কথা বলবেন।
**-**
বাসা ভাড়া হয়ে গিয়েছে, নতুন খাট কেনা হয়েছে। সোফা কেনা হয়েছে। খাট আর সোফার বেলায় একটু এক্সট্রা কেয়ার নিয়েছেন সীতা দেবী। তাকে খাট এবং সোফা দুটোই এমন ভাবে নিতে হবে যেন তাতে খদ্দের কে আসনে বসালে খদ্দের খুশি হয়, অপরদিকে তার মেয়েদের কষ্ট না হয়। আসনের অনেক যন্ত্রণা আছে। এখনকার পোলাপান বলে ডগি ষ্টাইল। এটা খুব প্যাড়াদায়ক। দুজনের উচ্চতার মিল দরকার, না হলে এমন টেবিল দরকার যা উচা নিচা করা যায়। দু হাতে ধরতে হবে। সে টেবিলের একটা পা দানি চাই, যা জগ সিষ্টেম, উঠবে নামবে। এসব করতে গিয়ে বেশ টাকা নষ্ট হয়েছে সীতা দেবীর। থানায় তাকে কিছু টাকা দিতে হবে। এ কুমিল্লা দেবিদ্বার থানায় পড়েছে, ময়নামতি না। ময়নামতি হলে টাকা লাগতোনা, রুবেল আহমেদ ছিলেন। অবশ্য এ নিয়ে ভাবছেনা সীতা । ব্যবস্থা হয়ে যাবে। রুবেল তো আছে। তার সেলফোনে গতকাল রমা ফোন করেছিলো, অনেকক্ষন কথা হয়েছে তাদের। আশার আলো দেখতে পাচ্ছে সীতা। অমলেশ ফিরে আসবে, সুন্দরী রমা ফিরে আসবে। কিছুদিন ব্যবসা করিয়ে কিছু সুন্দরী মেয়ে জোগার করে রমার সাথে অমলেশের বিয়ে দেবে সে। হিন্দুধর্মে পতিব্রততা হলোই মূল। যেহেতু তারা একজন বেশ্যা অপরজন বেশ্যার ছেলে তাই রমার এই টুকু দোষ গায়ে লাগবেনা। বিয়ের পর না হলেই হবে। অন্যদিকে কঠিন এক সমস্যায় পড়ছে সীতা, হাসান সাহেব নামে একজন শিল্পপতি দূত পাঠিয়েছেন তার কাছে। দেখা করতে চেয়েছেন। সীতা তা জানিয়েছেন রুবেল আহমেদ কে। রুবেল আহমেদ তাকে যেতে নিষেধ করেছেন। তিনি যাবেন না জানাতেই হাসান সাহেব আবার লোক পাঠিয়েছেন। তার কাছে একটি বিরিয়ানীর প্যাকেট ছিলো। প্যাকেটে ছিলো মানুষের আঙ্গুল। কি করবেন ভেবে উঠতে পারছেন না তিনি। এমন অবস্থায় রমা আর অমলেশ কে আনা ঠিক হবে কিনা তাও ভাবার বিষয়। না আনলে আবার ব্যবসা আগানো যাবেনা। রমা আর অমলেশ কে আনবেন বলেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সীতা। তার আগে তিনি দেখা করবেন হাসান সাহেবের সাথে। যা হয় হোক, নেমেছে মাগি ব্যবসায়, তার আবার জাত পাত, কাটা আকাটা।16938898_1265844663502095_1418740441975113948_n

0 Shares

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ