মায়াবতী

শুন্য শুন্যালয় ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪, শনিবার, ০১:০৮:২১অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৫২ মন্তব্য

মায়াবতী ...

সে আমাকে বলেছিল, ফুলের পরিচয় তার গন্ধে, রূপে নয়। নিজেই তার নিজের বুনো গন্ধে চিনিয়েছে নিজেকে, রূপ দেখার প্রয়োজন পরেনি কখনো। ছায়া দিয়ে ঢেকে রাখা তাকে একটা প্রতিচ্ছবিতে খুব সহজেই এঁকে নেয়া যায়। মায়াবতী। শুধু লেখাতেই মুখপুরি রাতকে আদরে আহ্লাদে জড়িয়ে নেয়নি সে, সোনেলায় আসবার পর থেকে এই আমাকেই বন্ধুর মতো, স্নেহ আদরে ঢেকে রেখেছে। মন খারাপ করে লেখা কবিতা অচিরেই বদলে দিয়ে আমাকে অবাক আর আনন্দে ভাসিয়েছে সে। আমার ভোরকে সে তার মতো করে নতুন করে দেখিয়েছে। সেই মায়াবতী বনলতা দি কে আজ একটা টুকরো স্মৃতি উপহার .......

এস, এস, সি পাশ করবার পর এক ঝড় কন্যার সাথে পরিচয়, তুপা। বড়লোকের খেয়ালী মেয়ে। আমার মতো চুপচাপ আর মাথা নীচু টাইপের মেয়ে ওর কেনো পছন্দ হলো বলতে পারবো না, হুটহাট কড়া দুপুরে বাড়ি এসে বলতো চল বাইরে যাব। বলি অসম্ভব এই রোদে বাইরে যাওয়া যাবেনা। কে শোনে কার কথা, জোর করে ধরে বেঁধে নিয়ে বের হতো। এবং রিক্সায় হুট তোলা বারন। দুপুরের মজাটা বুঝতে হলে নাকি এই রোদ গায়ে লাগাতেই হবে। সারা বরিশাল শহর চক্কর চলতো এবং কেনো এই দুপুর কে ভালোবাসতে হবে তার কাব্যিক কোটেশন।এরপর রয়েল মিনি চাইনিজের ডিম লাইটে চেয়ার টেবিলের গুতো খেয়ে অবশেষে কফি পান। তার সারি সারি বই আমাকে পড়ার নেশারু বানিয়ে ফেললো। তার বইগুলোতে সুন্দর লাইনগুলোর নীচে পেন্সিল দিয়ে দাগ কাটা থাকতো। সুমন, অঞ্জন দত্ত, মেহেদি হাসানের কবিতা কোনকিছুই আমার মস্তিস্কে ঢোকাতে ছাড়েনি সে। তুপার জন্য আমি নিজের মধ্যে একটা আলাদা ভুবন তৈরি করতে পেরেছিলাম। দুই বছর পর তুপাকে কেমন করে যেন হারিয়ে ফেললাম... অনেক খুঁজেছি। অন্যের মধ্যেও আমি তুপাকেই খুঁজতাম, এখনো খুঁজি।

কিছু মানুষের সহজাত বোধ, ইচ্ছেগুলো আরেকজনকে প্রভাবিত করে, হয়তো তার অগোচরেই। মায়াবতীরা এভাবেই ঘিরে থাকুক কাউকে না কাউকে...

0 Shares

৫২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ