বাংলাদেশ ভারত সম্পর্কের ব্যবচ্ছেদ

ইঞ্জা ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০, মঙ্গলবার, ০৮:২৪:০০অপরাহ্ন সমসাময়িক ৪১ মন্তব্য

ভূরাজনীতিতে বাংলাদেশকে পাশে চায় ভারত, গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা বড় ভূমিকা রেখেছে, ট্রানজিট আর ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দিয়েছে, এসবের মধ্য দিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ হয়েছে কিন্তু বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় মোটেও নামেনি, বরঞ্চ বেড়েছে।

প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তি সই হলো না,  কবে অভিন্ন নদীর পানির চুক্তি হবে, সেটা এখনো অজানা বা আদোও হবে কিনা আমার সন্দেহ আছে, এছাড়া ফারাক্কা বাঁধ আমাদের কাছে বিষ ফোঁড়া সম হয়ে আছে, শুস্ক মৌসুমে এপার বাঙ্গলার মানুষ পানি পাইনা, আবার বর্ষা মৌসুমে তারা বাঁধ খুলে দিয়ে আমাদেরকে বন্যায় ভাসিয়ে দেয়। 

সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ-ভারত-চীন সম্পর্ক আলোচিত হচ্ছে নানা মহলে, সেই আলোচনায় উঠে আসছে সম্পর্কের টানাপোড়েনের নানা প্রসঙ্গ।

ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তা শুধুই যেনো কাগজে কলমে কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ প্রতি মুহূর্তেই উপলব্ধি করে ভারতের দাদাগীরি।

এই গতমাসের কথা, ভারত বাংলাদেশকে দশটি রেল ইঞ্জিন দিয়েছে উপহার স্বরূপ কিন্তু আসল ঘটনা উল্টো, পুরাতন ইঞ্জিন যা তারা ব্যবহার করবেনা তাই আমাদেরকে রঙ করে উপহার দিয়েছে, যেনো জুতা মেরে পিন্ডি দান করেছে। 

গত এক দশকে দুই দেশের সম্পর্ক বিশেষ পর্যায়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা সহযোগিতা বড় ভূমিকা রেখেছে, বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীকে নির্মূলে বাংলাদেশ দ্রুততার সঙ্গে ভারতকে সহযোগিতা করেছে, পাশাপাশি ট্রানজিট আর ট্রান্সশিপমেন্টের বিষয়গুলোতে বাংলাদেশ দ্রুত সাড়া দিয়েছে, এসবের মধ্য দিয়ে ভারতের দীর্ঘদিনের চাওয়া পূরণ হয়েছে অথচ বারবার প্রতিশ্রুতির পরও সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় নামেনি, প্রায় ৯ বছর পেরিয়ে গেলেও তিস্তা চুক্তি সই হলো না,  কবে অভিন্ন নদীর পানির চুক্তি হবে, সেটা এখনো অজানা। 

স্থলসীমান্ত চুক্তির প্রটোকল সইয়ের পাঁচ বছর পরও মুহুরি নদীর সীমান্ত চূড়ান্ত করার বিষয়টি এখনো ঝুলে আছে, কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারতে রাষ্ট্রীয় সফরে গেলে ফেনি নদী থেকে পানি দেওয়া শুরু করেন কিন্তু দ্বিপক্ষীয় ক্ষেত্রে এত সহযোগিতার পরও রোহিঙ্গা সংকটে ভারতকে পাশে না পাওয়া বাংলাদেশকে বেদনাহত করেছে, পাশাপাশি ভারতের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে উদ্বেগ আছে।

পরিবর্তিত ভূরাজনীতি আর চীন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বৈশ্বিক রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ক্রমেই ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে, এতে এশিয়ায় যে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তা আরও বাড়িয়ে তুলেছে। 

 কৌশলগত সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে প্রতিবেশী দেশের কাছ থেকে যে প্রতিক্রিয়া ভারত আশা করেছিল, সেটা পায়নি, বিশেষ করে চীনের সঙ্গে সংঘাতের সময় দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশের প্রতিক্রিয়া না পেয়ে ভারত চিন্তিত হয়ে উঠেছে, ফলে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কটা ঠিক আছে কি না, সেটা ভারতকে ভাবিয়ে তুলেছে,এ ছাড়া নেপালের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কটা ঠিকঠাক চলছে না, শ্রীলঙ্কার নির্বাচনের ফলাফলের পর উদ্বিগ্ন হয়ে আছে ভারত, বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের সুসম্পর্কটা বজায় আছে, তবে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন স্তরে চীনের যোগাযোগ নিয়েও ভারত চিন্তিত, বাংলাদেশের বিভিন্ন ধরনের অবকাঠামোতে যেভাবে চীন যুক্ত হচ্ছে, তাতে ভারতের উদ্বেগ লক্ষণীয়।

আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই, কিন্ত একতরফাভাবে কিছু হবে না, আদান-প্রদান থাকতে হবে, ভারতের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ভালো যাচ্ছে না আর আমাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে, কাজেই এ নিয়ে ভারতের একটা উদ্বেগ থাকতেই পারে, ২০১৬ সাল থেকে আমাদের অনেক বড় প্রকল্পে চীন বিনিয়োগ করছে যা নিয়ে ভারতের অস্বস্তি আছে। 

বৈশ্বিক রাজনীতিতে শক্তির ভারসাম্য পাশ্চাত্যের দেশগুলো থেকে ক্রমশ ঝুঁকছে এশিয়ার দিকে, বৈশ্বিক পটভূমিতে দ্রুত পরিবর্তনশীল ভূ-রাজনীতির প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিক উন্মোচন করার উদ্দেশ্যে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা ঢাকায় এসেছিলেন, একজন বন্ধু হিসেবে তাঁরা ঢাকাকে পাশে চাইবেন, এটাই স্বাভাবিক।

দুই নিকট প্রতিবেশীর সম্পর্ক যখন এত বহুমাত্রিক এবং অন্য কোনো সম্পর্কের সঙ্গে তুলনীয় নয়, সেখানে জনগণের স্বার্থে স্বচ্ছতা বাঞ্ছনীয়।

 দুই দেশের সম্পর্ক এখন এমন একটা স্তরে পৌঁছে গেছে, সেখানে সহযোগিতার নতুন নতুন ক্ষেত্র বাড়ছে,  তাই সম্পর্কের স্বার্থেই স্বচ্ছ অবস্থান থাকলে ভালো হয়। 

উন্নয়নের আকাঙ্ক্ষা আর ভারতের দায় কূটনীতিক ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে, বাংলাদেশের উদ্বেগ দূর করার বিষয়ে ভারত তেমন সংবেদনশীল নয়, আবার বাংলাদেশ নিজের স্বার্থে অন্য কোনো দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠলে তাতে ভারতের প্রতিক্রিয়াটা বিস্মিত করার মতো।

বাংলাদেশের সুবিধাটা হচ্ছে ভারত ও চীন দুই দেশের সঙ্গেই আমাদের সম্পর্কটা বেশ ভালো, এই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আমাদেরকে সেতু হিসেবে রেখেছে। 

ভারতের সঙ্গে গভীর সম্পর্কের নিরীখে রোহিঙ্গা সংকটে ভারতের কাছ থেকে যে ধরনের সহযোগিতা আশা করা হয়েছিলো সেটা পাওয়া যায়নি, সারা বিশ্ব যখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে গণহত্যার জন্য দোষারোপ করেছে, তখন মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সঙ্গে ভারতের গভীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে, এতে বাংলাদেশ উদ্বিগ্ন। 

বাংলাদেশ উন্নয়নের স্বার্থেই চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করেছে, এটা না করে বাংলাদেশের কোনো উপায় নেই, কাজেই বন্ধুদেশ হিসেবে বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নিয়ে ভারতের অস্বস্তি বোধ করাটা উচিত নয়। 

বাংলাদেশ এখন চীন থেকে ইন্ডাস্ট্রিয়াল মেসিনারিজ থেকে শুরু করে গাড়ি, পিঁয়াজ সহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করছে যা বাংলাদেশের উন্নতিকে ত্বরান্বিত করছে, এতে বাংলাদেশ যদি উন্নতি লাভ করে ভারতের জন্য ভালো,  ভারতের বাজার বড় হবে, ব্যবসা বাণিজ্যের জন্য সুবিধা হবে, ঘনিষ্ঠ বন্ধু যদি স্বাচ্ছন্দ্যে থাকে, সচ্ছল থাকে, সেটা আপনার জন্য সব সময় সুবিধাজনক। 

এছাড়া ভারতের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাগরিক বাংলাদেশে কাজ করে, বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও বড় হলে, উন্নত হলে, এমন সুযোগ ভারতের জন্য আরও বাড়বে।

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত পৃথিবীর একমাত্র সীমান্ত এলাকা, যেখানে শান্তির সময়ে মানুষকে গুলি করে হত্যা করা হয়, শত্রুদেশ নয়, যুদ্ধ চলছে না; অথচ গুলি করে মানুষ মারা হয়, এটা হতে পারে না, যে অজুহাতই ভারত দিক না কেন, শক্ত সিদ্ধান্ত যদি রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের থাকে, তাহলে এটা হওয়ার কথা নয় কারণ বিশ্বের কোথাও এইভাবে সীমান্ত হত্যা হওয়ার রেকর্ড নেই। 

ভারত জাতীয় নাগরিকপঞ্জি করছে করুক, কিন্তু তারা তাদের নাগরিককে আমাদের নাগরিক বলে আমাদের দেশে ছুড়ে ফেলবে তাতো বলতে পারেনা, তাদের এইসব ধমকি-ধামকির সমুচিত জবাব আমরাও দিতে পারি, সময় হলে এবং দরকার হলে আমরা দিতে প্রস্তুত আছি।

ভারতের উচিত বাংলাদেশকে উপরে উপরে বন্ধু না বলে ভিতরে ভিতরেও বুঝুক বাংলাদেশ তাদের অকৃত্রিম বন্ধু, তাদের এমন কিছু করা উচিত নয় যাতে বাংলাদেশ তথা বাংলাদেশের মানুষ তাদের শত্রু ভাবতে শুরু করে। 

তাদের উচিত দ্রুত সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা, দ্রুত তিস্তা চুক্তি সম্পাদন করা, সাথে সাথে ফারাক্কা বাঁধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ন্যায্য হিসসা দেওয়া, সাথে সাথে সকল সীমান্ত হত্যা বন্ধ করা। 

ভারতের বন্ধু হিসাবে আমরা যেভাবে তাদের অল্প খরচে ট্রানজিট ট্রান্সশীপমেন্টের সুযোগ দিয়েছি, ঠিক একই ভাবে তাদেরও উচিত আমাদের সাথে সহায়তার হাত বাড়ানো। 

ভারতের যেসব মন্ত্রী এমপিরা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কথা বলে, তাদের থামানো জরুরী। 

ভারতল যে ভাবে তার পন্য পাঠানো বন্ধ করে দেয়, তা দ্রুত কন্ট্রোল করা উচিত, পিঁয়াজকে বাংলাদেশের জন্য অত্যাবশকীয় ঘোষণা করে সবসময় রপ্তানি চালু রাখা, যদি কখনো পারা না যায় তাহলে আগাম সর্তকতা দিয়ে তারপর বন্ধ করুক,  তারা যদি তা না করেন তাহলে বাংলাদেশের উচিত ভারতের পিঁয়াজ আমদানি একদম বন্ধ করে অন্য দেশ থেকে আনা, একি ভাবে অন্যান্য পন্যেরও আমদানি অন্য দেশ থেকে আনার চিন্তা করা উচিত। 

পরিশেষে বলতে চাই, ভারত তোমরা আমাদের বন্ধু হয়ে পিছনে ছুরি মেরোনা, যদি মারো তাহলে নিজেও ছুরির বদলে তলোয়ার খাওয়ার জন্য রেডি থাকো, কারণ বাংলাদেশ আর আগের সেই বাংলাদেশ নেই, বাংলাদেশের সাথে দাদাগীরি ছেড়ে দাও, মনে রেখো তোমরা আমাদের বড় ভাই নও। 

আমাদের সোনেলার জনপ্রিয় ব্লগার তৌহিদ ইসলাম বলেছেনঃ

ঠিক কোন অজ্ঞাত কারনে ভারতের সাথে আমাদের পারস্পারিক ব্যবসায়ীক সম্পর্ক মন্দা যায় তা আমার ঠিক বোধগম্য নয়। তবে এটা ঠিক ভারত যেমন নিজেদের স্বার্থ দেখছে তেমনি বাংলাদেশেরও কি উচিত নয় নিজেদের স্বার্থ দেখা? ঠিক এই জায়গাতেই আমাদের ঘাটতি রয়েছে বলে মনে করি।

আমাদের উচিত স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করা। সামর্থ্য থাকা সত্বেও কিছু অসাধু লোকের জন্য এটি সরকারের পক্ষে সম্ভবপর হচ্ছেনা। যেমন- পেঁয়াজের কথাই ধরুন। এত কৃষি অফিসার এদেশে কেউইকি কখনো বলেছে এবারে কৃষক এই পদ্ধতিতে এতগুলো জমিতে পেঁয়াজ চাষাবাদ করলে আমরা এবছর পেঁয়াজের চাহিদা নিজেরাই মেটাতে পারবো? মনে হয় না!

অন্যদিকে সবাই তাকিয়ে থাকে কখন আমদানি করার সুযোগ আসবে। এতে কৃষক লসে পড়লেও পকেটে নদদ নারায়ণ ঢোকে। দেশ গোল্লায় যাক।

পুরো সিস্টেম ঘুনে ধরা পোকায় কাটছে। ভারত তাদের দেশের পেঁয়াজের চাহিদা মেটাতে রপ্তানি বন্ধ করেছে। তাদের দেশের জনু তারা ঠিকই করেছে। আমরা কি করেছি?

বলতে গেলে আরো অনেক কথাই আসবে। ইচ্ছে করেনা।

জনপ্রিয় সিনিয়র ব্লগার মনির হোসেন মমি বললেনঃ

ভারত শুধু স্বাধীনতা যুদ্ধ,ছিট মহল এবং সংকটে বঙ্গবন্ধু কন্যাদের আশ্রয় দেয়া ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য সহযোগীতা বাংলাদেশকে করেননি।ভারত স্বাধীনতা যুদ্ধে যতটা না সহযোগীতা করেছেন তার চেয়ে বেশী যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের পাকিদের ফেলে যাওয়া সামরিক সরঞ্চামাদী নিয়ে গেছেন।আর একটী দুঃখজন জনক কথা হল ভারত তাদের দলিল পত্রে ১৯৭১ এর যুদ্ধকে পাক-ভারত যুদ্ধই লিখে রেখেছেন কখনো ১৯৭১ বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ হিসাবে লিখেননি যার প্রমান আমরা তাদের বানানো সিনেমা মিডিয়াও পেয়েছি।ফারাক্কা সীমান্ত সমস্যতো ঝুলেই আছে।সব চেয়ে দুঃখ লাগল ওরা এতোটা স্বার্থবাজ যে রোহিঙ্গা ইস্যুতে ওরা মিয়ানমার এর গান গাইল আমাদের অকৃত্রিম ভালবসাকে উপেক্ষা করে।
ভারতকে বন্ধু ভাবা আর নাই ভাবা ভারতের কিছু যায় আসে না কারন ওরা এখন একটি পরা শক্তি ওদেরকে কৌশলে পাশে রেখেই আমাদের চলতে হবে এর অলটারনেট কিছুই নেই।কারন আমাদের চারদিকই ভারত।

আরেক জনপ্রিয় ব্লগার সুপায়ন বড়ুয়া বললেনঃ

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক থাকার পরও বেশ কিছু বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ রয়েছে। সেটা আপনার লেখার মন্তব্য থেকে ও বুঝতে পারবেন। একি ভাবে ভারতের জনগনেরও মধ্যেও ক্ষোভ আছে। যেটা প্রতিবেশী হিসেবে হাজারো অভিযোগ আছে কারন বাংলাদেশ অনেক বিষয়ে তাদের থেকে এগিয়ে আছে। আর যারা বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যায় তারা কি বাংলাদেশকে ভাল বলে ? ভারতে যারা যায় তারা ?

আর পেঁয়াজ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে কেন ? এই বন্যা মৌশুমে কোন সব্জিটা সস্তা আছে বলেন ? ৮০ টাকার নীচে কোন সব্জী পাওয়া যায় ? ৪০ টাকার আলু খেলে কত টাকার দেশী পেঁয়াজ খাবেন ?
তৌহিদ ভাইয়ের মতো বলি হয় চাষ করবো না হয় কম খাব আর পেঁয়াজ আমদানি টোটাল বন্ধ করবো।
সেদিক থেকে চায়না ভাল আছে সারা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশের বাজার দখল করেছে। কারন আমাদের ক্রয় ক্ষমতা বেড়েছে।
আন্তজাতিক রাজনীতি বড়ই জটিল ট্রাম্প সেটেলার দৌঁড়ানোর কথা বলে ক্ষমতা গেলেন ???

সমাপ্তঃ

 ছবিঃ গুগল।

সূত্রঃ গুগল এবং দৈনিক অনলাইন পত্রিকা।

0 Shares

৪১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ