নিভৃত মিলেছে দূর-পথের দূরত্বে,
দূরত্ব চোখ ছুঁয়ে যায়নি,
দূরেই মিলিয়েছে দূরের হাতছানি;
এ যেন
অন্তবিহীন পালিয়ে পালানো-খেলা,
গাছগাছালির ভিড়ে ফাগুনের বসন্ত-মেলা;
আজব ছুতোয় স্বপ্ন-স্বপ্ন স্বপ্ন-মেলা।
জাফরান বাতাসের শুভ্র হাসিতে
পুতুল খেলার ব্যস্ত দিনে,
ছায়া-পথের নিভৃত-রাতে অপলক চোখে
আড়াল-নিস্পৃহতায় মরণ খেলার মত্ত নেশা।
২০টি মন্তব্য
মাহমুদ আল মেহেদী
শহরের আবহাওয়ায় বসন্তের ছোয়াটা যে দিয়ে গেলেন মুগ্ধতার সাথে।
ছাইরাছ হেলাল
শহর বা গ্রাম, সে যেখানেই হোক বসন্ত আমাদের চাই-ই।
ধন্যবাদ, পড়ছেন নিয়মিত-ই।
রিতু জাহান
বসন্তের সে ছায়াপথে মেঘমেদুর শ্যাম ছায়ার এক বাসন্তি উঠোনে খুনসুটির এক আসর বসে
জীবনের কঠিন সব বাস্তবতা ঝেড়ে।
স্বপ্ন ভাঙ্গার কষ্ট চেপে অক্ষরের আলোর সঙ্গে একা একাই বসে যাই।
বড় কষ্ট সব স্বপ্ন ভাঙ্গার। জোড়া দেই সকল ভেঙ্গে যাওয়া শব্দে।
সকল জোড়া দেয়া শব্দ তাই স্পষ্টই দেখা যায়।
সালাম রইলো গুরুজী
ছাইরাছ হেলাল
আমাদের চাওয়া গুলো না পাওয়ায় ভেসে যায় প্রতিনিয়ত।
এই চাওয়াগুলো দূরে হারিয়ে না গিয়ে কাছে কাছে-পিঠে দাঁড়িয়ে হাতছানি দেয়।
সে এক দুরূহ যন্ত্রণা।
আপনাকেও ছালাম।
শুন্য শুন্যালয়
যেতে চেয়েও যাওয়া হয়না!
লুকোচুরি খেলা কি চাওয়া পাওয়া নাকি নিজের মধ্যে সব চাওয়ার মধ্যেই।
আপনার লেখা কি আদৌ বুঝতে পারবো, ভাব নিয়ে আর কতোদিন?
আড়াল নিয়ে নিজেকে লুকিয়ে নিজেকে কষ্ট দেয়াও একটা নেশার মতই।
কবিতা ভালো করে বুঝিয়ে দিন।
ছাইরাছ হেলাল
কী যে কী বলেন!! আপনাকে বুঝিয়ে দেয়ার সাধ্য নেই।
দেখুন, আপনি জানেন আমি ফট করে সাধারণত কিছু লিখি না। এটি লিখেছি। কেমন করে তা জানি না।
তার পর থেকে এ লেখাটির প্রেমে পড়েছি, খালি পড়ি আর পড়ি। এক এক বার এক এক রকম অর্থবহতা তৈরি হয়।
ছুঁয়ে ছুঁয়ে না ছুঁতে পারার অনুভূতি তৈরি হয়/হচ্ছে। এ লেখাটিতে আঁটকে আছি। নুতন লেখায় যেতে পারছি না/যাচ্ছি না।
মন্তব্যের উত্তর দেয়াও তো কঠিন কঠিন লাগে!!
তৌহিদ
বসন্তের কিছুই বুঝতেছিনা ভাই। বাইরে গরম, ঘরে লেপ গায়ে। শীতের ভাব যায়নি, আবার বৃষ্টি হচ্ছে কিছু জায়গায়। এ কেমন বসন্ত!!
ছাইরাছ হেলাল
বসন্ত তো খালি আকাশে বাতাসে থাকে না, মন-প্রাণেও থাকতে হয়,
তাই বলে কোকিলের কুহু তান নিস্ফল তা কিন্তু না।
ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
দূরেই মিলাক দূরত্বের হাতছানি,
কবিতা এত কম বুঝি কেন?
ছাইরাছ হেলাল
দূরেই যদি মিলিয়ে যায়, তাহলে তো বুঝতে ঝামেলা হলেই পারে।
এডি না বোঝাই ভাল!
নিতাই বাবু
আমি কঠিন শব্দ দিয়ে কবিতা লিখতে পারি না কেন? আবার আপনার লেখায় কঠিন কঠিক শব্দগুলোর শব্দার্থ খুঁজতে গেলে, লাগে গ্রামার। তাই শুধু পড়তেই পার, কিন্তু বুঝতে খুবই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে পড়ি।
তবু পড়তে ভালো লাগে। ধন্যবাদ অজস্র।
ছাইরাছ হেলাল
অনেক দিন পরে এসে পড়ছেন এ জন্য অবশ্যই ধন্যবাদ।
অন্য লেখার কথা বাদ, এ লেখাটিতে একটিও দুরূহ শব্দ নেই!! এ বাড় কী বলবেন!!
শুধু ভালোলাগাটুকুই লেখকের প্রাপ্তি।
সাবিনা ইয়াসমিন
এ লেখা আপনি লিখেছেন মহারাজ ! আপনি এটি আমার জন্যে লিখেছেন ভাবতে ইচ্ছা করছে, তাই লেখাটিকে প্রিয়তে তুলে রাখলাম। কাজে লাগাবো কিন্তু।
সব খেলাই একদিন মরন খেলার মত্ত নেশায় পরিনত হয় মহারাজ। কেউ বোঝে / কেউ বলে না।
এই খেলার জয় নেই,পরাজয়েও কোনো গ্লানি নেই, পরাজয়টাই এই খেলার পুরস্কার / প্রাপ্তি।
ছাইরাছ হেলাল
এ প্রশ্নটি আমিও করি, এটি কী লিখেছে এর লিখিয়ে!!
সে তো আমার সৌভাগ্য আপনি নিজের করে ভাবতে পারছেন,
আপনার কাজে লাগলে লাগুক-না, বেশি করেই লাগান।
মন্তব্যের দ্বিতীয় অংশ নিয়ে কিছু বলতে চাচ্ছি না। এটি একটি জটিল বিষয়।
তবে আপনার সাথে একমত কেউ কেউ বলে, আমি এ দলে, বলেই ফেলি।
সাবিনা ইয়াসমিন
হচ্ছে টা কি ! লিখিয়ে নিজেই আত্মবিস্মৃত হয়ে যাচ্ছে কেন নিজের সৃষ্টিতে !
লেখাটি আমি সেভাবেই বুঝেছি যেভাবে বুঝতে চাই।
দলাদলির কি দরকার ! আছিতো বেশ দুই বর্ডারে। তীর-কামান ব্যতিত শব্দ জীবন পানসে হয়ে যাবে।
ছাইরাছ হেলাল
কী হচ্ছে সে প্রশ্ন আমিও করতে পারি, তবে করছি না।
যাক আপনি বুঝেছেন সেটিই অনেক, কিন্তু লিখিয়ে নিজে যে কী বুঝে কী লেখে সেটি কুটি টাকার প্রশ্ন।
জয় ও পরাজয়ের মাঝে দূরত্ব চুল বরাবর। যেমন তা প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও।
সাবিনা ইয়াসমিন
আজ আমি গরিব বলে কুটি টাকার প্রশ্ন করা থেকে বিরত রইলাম। বড়লোক হয়ে বিনে পয়সাতেই উত্তর খুজে নিবো।
প্রাপ্তি- অপ্রাপ্তি দিয়ে জয় ও পরাজয় নির্নয় করা যায়না আসলে। কেউ জিতে হারে, কেউ হেরে গিয়েই জিতে নেয়।
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
বড়লুক টাইমে আমাদের সোনেলার দিকে ইট্টু খিয়াল দিয়েন।
জিতে হারাটি কিন্তু মন্দ না, একটু ইয়ে ভাব থাকে, ফুচকার টক/মিষ্টি/ঝাল!!
আপনার জন্য ও একই শুভ কামনা।
বন্যা লিপি
নিভৃত মিলেছে দূর পথের দূরত্ব “…….কি অসাধারন বোধ এর অনূভব!!
এমন লেখায় ভাবনারা খোড়াক পায় ভাবিত হতে। ভালোলাগাটা ওখানেই।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ছেন এটিই অনেক পাওয়া,
ধন্যবাদ।