অনেকেরই মৎস কন্যায় আগ্রহ থাকলেও আমার কখনোই তা ছিলনা।সমুদ্র বিশাল তবে আকাশের কাছে তা নিতান্তই ক্ষুদ্র।স্বপ্ন দেখি এক পক্ষী কন্যার।কোথা থেকে একদিন এসে বলে,এই যে স্বপ্ন দেখতো আমাকে চিনতে পারো কিনা?আমার সোনালী পক্ষী কন্যা 🙂 সেই যে উড়ে চলা তাঁর ডানায় ভর করে এখনো উড়ে চলছি। সীমাহীন আমাদের সাম্রাজ্য।পক্ষী কন্যার ডানার নীচে,ডানার ওমে থাকি সারাক্ষণ। আকাশে ভেসে দেখি নীল সমুদ্র,সুউচ্চ পাহাড়-পর্বত,সবুজ অরণ্য।
আমার পক্ষী কন্যার কথাঃ
স্বপ্ন দেখো দেখো,এই গ্রামকে জানো তুমি?এই যে দেখো ছোট একটি খামার যেটি তুমি দিয়েছো আমাকে।খামার বাড়ির পাশেই রয়েছে ট্রাক্টর।তোমার কি মনে আছে,সেবারের সূর্যমুখি চাষের কথা?পাখি ডাকা ভোরে চলে যেতে চাষাবাদ করতে।ট্রাক্টরের শব্দে কেমন ঝিমুনি ভাব আমার।তুমি তো জানোই আমার একটু ঘুম বেশী।ঘুমিয়ে পরতাম আবার।ঘুমের মাঝেই রোজ তোমার ডাক শুনে দ্রুত নাস্তা বানিয়ে নিয়ে যেতাম খামার বাড়ি।ক্লান্ত তোমার মুখ,এত মায়া।খাবার মুখে দেবার আগে একটি ভিটামিন খেতে তুমি ( এখানে বলা যাবেনা ) ,আবার খাবার পরে একটি :p কোন ডাক্তার যে এই প্রেসকিপশনটা দিলো তোমাকে, খাবার পুর্বে এবং পরে একটি সেব্য প্রতিদিন চার বার ! 🙂 সেবার সূর্যমুখি হেসেছিলো খুব।যখনই সময় পেতাম দুজনে সূর্য মুখিদের সাথে লু্টোপটি আমরাও।
এই যে সেই পাহাড়টি, যেখানে প্রকৃতির সাথে মিতালী করে দুজনে কাটিয়েছি কত সময়।একদিন তো তুমি বায়না ধরলে রাতে পাহাড়েই থাকবে।আমিও খুশি,সারারাত গল্প করা যাবে।কত কথা আমরা বলেছি সে রাতে।যে তারিখ আমাদের আলাপ হয়েছিলো ফোনে,ঠিক এক বছর পরেই সেই একই তারিখে আমাদের বিয়ে এবং বাসর রাত। এটি আমাদের কাছে এখনো মিরাকল এর মত। গান গেয়েছি আমি,কবিতা আবৃত্তি করেছো তুমি। তোমার গলায় কবিতা আবৃত্তি তেমন ভালো না আসলেও আমি কিন্তু হাসিনি একটুও। হাসি অবশ্য এসেছিলো :p
স্বপ্ন এই যে দেখো সেই সমুদ্রের তীর।যেবার সমুদ্র সৈকতে গেলাম।তোমার ইচ্ছেয় সমস্ত দিন ঝিনুকের গয়না পরেছি আমি।আমারো খুব ভালো লেগেছিল।কিছুটা নির্জন সৈকতে ছোটা ছুটি,সমুদ্রের ঢেউ গায়ে নেয়া,আমার ইচ্ছেকৃত ডুবে যাবার অভিনয়,আমাকে উদ্ধার করার তোমার ব্যাকুলতা,দুহাতে পাজা কোলে নিতে আমাকে,ছোট্ট আমি তোমার বুকে লেপটে থেকেছি।
এই সমুদ্রের বালিতে কত কিছু লিখেছি তুমি আমি।আমাদের ভালোবাসার কথা,বিশাল বিশাল হৃদয় এঁকেছি, স্বপ্ন+মিথুন লিখেছি।জোয়ারের পানি এসে সেসব লেখা হয়ত মুছে দিয়েছে,কিন্তু স্মৃতি তো মুছতে পারেনি।এখনো তো সব দেখতে পাচ্ছি আমরা।ভালোবাসাকে কিভাবে মুছে দেবে সামান্য সমুদ্রের পানি?
ভালোবাসা কি মুছে ফেলা যায় বলো?কেউ কি পেরেছে?
৫০টি মন্তব্য
আবু জাকারিয়া
” জোয়ারের পানি এসে সেসব
লেখা হয়ত মুছে দিয়েছে,কিন্তু
স্মৃতি তো মুছতে পারেনি।
এখনো তো সব দেখতে পাচ্ছি আমরা।
ভালোবাসাকে কিভাবে মুছে দেবে
সামান্য সমুদ্রের পানি?” কঠিন আবেগের প্রকাশ। ভাল লাগল।
স্বপ্ন
ধন্যবাদ আপনাকে।
শুন্য শুন্যালয়
ভাবছিলাম কোন লেখাটি দিয়ে শুরু করবো। ভাবতে ভাবতেই পড়া শেষ হয়ে গেলো আপনার লেখা। এতো সুন্দর লেখা কি এটুকুতে মন ভরে? আপনার পক্ষিকন্যার ও কি অর্ধেক পাখি আর অর্ধেক নারী ছবির মতো? 🙂 অনেক কিছু জেনে গেলাম কিন্তু, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন বিনা ফিতেই পেয়ে গেলাম। আপনাদের চমৎকার স্মৃতিগুলো সোনেলাতেও জ্বলজ্বলে হয়ে রয়ে যাবে সবসময়। অনেক ভালো থাকুন দুজন।
স্বপ্ন
এত টুকু লিখতেই আমার প্রান যায় যায়,আর বড় কিভাবে করি?বিনা ফিতে সবাই যেন এই চিকিৎসা নিতে পারে একারনেই তো জানালাম।ধন্যবাদ আপু।
শুন্য শুন্যালয়
লিখতে পারেন না অভিযোগ শুনে শুনে যখন এই রকম লেখা বের হয়, তখন আমাদেরই কপাল খারাপ এমন মনে হয়। কি দোষ করেছি আমরা কে জানে? এই টুকু লিখতেই প্রান যায় যায়, না হয় আরেকটু লিখে নিজেকে আত্মত্যাগ করে দিলেন। :p
লিখেছেন কিন্তু দারুন। আপনার লেখাতে কোন কৃতিমতা নেই, এটা খেয়াল করলাম। পুরোটাই আবেগী। প্রতিউত্তর দিতে আরেকজন কে শিঘ্রই পাচ্ছি?
স্বপ্ন
আসলেই লিখতে পারিনা আমি।কত যে কষ্ট হয়েছে এটুকু লিখতে 🙁 তবে কৃত্রিমতা নেই,এটা ঠিক।ধন্যবাদ আপু,এমন উৎসাহ দেয়ার জন্য।
প্রহেলিকা
বিয়ের পরে জীবন নাকি শুকনো ত্যাজপাতা হয়ে যায় এটাই শুনে আসছি আশেপাশের নৈরাশ্যবাদী লোকজনের কাছ থাইকা কিন্তু এমন সুন্দর করে বর্ণনা যদি করা যায় বিয়ের পরেও তাহলে আর কেন দেরী করি?
বাহ বাহ বাহ! দুজনের আবেগ দেখে নিজেও আবেগিত হয়ে গেলাম না এই বছর এই কাজতা সেরে ফেলতেই হবে তারপর মিতালি করে আমরাও কাটিয়ে দিবো পাহাড়ে হা হা হা।
আচ্ছা ভালো কথা আমরা যে বিয়ের দাওয়াত খেতে পারিনি এখনো, হোক পুরনো কিছু কি জুটবে?
ভালোবাসাকে কেউ মুছে দিতে পারে না, এতো জল কোন সাগরে ভাসিয়ে দিবে ভালোবাসাকে?
স্বপ্ন
বিয়ে করে ফেলুন ভাইয়া,এবছরই নতুন জীবন শুরু হোক।আগাম অভিনন্দন।লেখাটিতে কিছু বাস্তব,কিছু স্বপ্ন, একারনে দাওয়াত পাননি 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
পক্ষী কন্যার কথা এই প্রথম শুনলাম।
আপনার একটি মন্তব্য পড়েছিলাম কোন পোষ্টে, বিয়ের দাওয়াত দিবেন আমাদের
বিয়ে হয়ে গেলো কবে?দাওয়াত তো পেলামই না
এরপর কোনদিন আবার নাতী,নাতনীদের নিয়ে লেখেন তাই ভাবছি।
স্বপ্নর স্বপ্ন দেখা চলুক।
ভালোবাসাকে কিভাবে মুছে দেবে সামান্য সমুদ্রের পানি?
ভালোবাসা কি মুছে ফেলা যায় বলো?কেউ কি পেরেছে? (y)
স্বপ্ন
লেখার কিছুটা বাস্তব,অধিকাংশই স্বপ্ন,একারনেই দাওয়াত হয়নি ভাইয়া।তবে নাতী/নাতনীর পোষ্ট দেখা যেতেও পারে 🙂 ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ভালোবাসা নামক অলীক অবাস্তব জিনিস কল্পনায় অবলীলায় তুলে আনা সহজ নয়।
ফানুশ দেখতে বড়ই সুন্দর।তবে লেখা ভাল হয়েছে।
স্বপ্ন
প্রায় সবটুকুই তো স্বপ্ন 🙂 স্বপ্ন দেখা যায়,স্বপ্নহীন জীবন কেমন পানসে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
স্মৃতির নদীগুলো এলোমেলো...
খুবই চমতকার লেখা। ভালোলাগা জানবেন
স্বপ্ন
ধন্যবাদ আপনাকে ভাইয়া।
সীমান্ত উন্মাদ
না ভালোবাসা কখনই মুছে ফেলা যায় না। আপনার পক্ষী কন্যা গল্পে অনেক অনেক ভালোলাগা রেখে গেলাম।
স্বপ্ন
ধন্যবাদ সীমান্ত ভাইয়া।
স্বপ্ন নীলা
চমৎকার
ভালবাসা মুছে ফেলা যায় না কখনোই
স্বপ্ন
ভালোবাসা থেকেই যায় আপু।
খেয়ালী মেয়ে
বাহ!!!!আপনার পক্ষী কন্যাটা তো দারুন 🙂
বুঝাই যাচ্ছে প্রকৃতির সাথে দুজনের মিতালী করে কাটানো সময়গুলো হিংসা করার মতোই ছিলো 🙂 তবে হ্যাঁ তার গলায় কবিতা আবৃত্তি ভালো না হলেও আপনি যে হাসি আসার পরেও হাসেন নাই, একাজটা খুব ভাল করেছেন…
(এই সমুদ্রের বালিতে কত কিছু লিখেছি তুমি আমি।আমাদের ভালোবাসার কথা,বিশাল বিশাল হৃদয় এঁকেছি, স্বপ্ন+মিথুন লিখেছি।জোয়ারের পানি এসে সেসব লেখা হয়ত মুছে দিয়েছে,কিন্তু স্মৃতি তো মুছতে পারেনি।এখনো তো সব দেখতে পাচ্ছি আমরা।ভালোবাসাকে কিভাবে মুছে দেবে সামান্য সমুদ্রের পানি? (y) )——-অনেক অল্প লিখে শেষ করে দিলেন…
স্বপ্ন
পক্ষী কন্যা হাসেনি আপু।আমার পক্ষী কন্যাটি অনেক অনেক ভালো 🙂 ধন্যবাদ আপু।
খেয়ালী মেয়ে
নিজের ভুলটা ধরতে পেরেছিলাম,কিন্তু সিস্টেম না থাকায় এডিট করতে পারিনি 🙁
স্বপ্ন
এডিট করার সিষ্টেম থাকলে ভালো হতো আপু।আমরা সোনেলাকে বললেই তো পারি।
খেয়ালী মেয়ে
সোনেলার একজনকে আমি অনেকবার কথাটা বলেছি–আগে নাকি এই সিস্টেমটা ছিলো–কিন্তু মাঝখানে একটা সমস্যা হয় কমেন্টস নিয়ে, যেটা পরে কিনা এডিট করে অস্বীকার করা হয়—যার জন্য এরপর থেকে এই সিস্টেমটা বন্ধ রাখা হয়েছে..
স্বপ্ন
এডিট নিয়েও ঝামেলা?অবাক হলাম আপু।
খেয়ালী মেয়ে
অবাক হওয়ার কিছু নেই, এটাই নাকি সত্যি..
স্বপ্ন
আমি জানতাম না এটি আপু।ধন্যবাদ আপনাকে।
শান্তনু শান্ত
অসাধারণ লেগেছে।। (y)
স্বপ্ন
ধন্যবাদ ভাইয়া।
শিশির কনা
পক্ষী কন্যা!! স্বপন ভাইয়ার কত সুখ,পক্ষীর পিঠে ভ্রমন বিনা খরচে ভ্রমন করছেন। আবেগ ভালোই প্রকাশ করতে পারেন। দেখবেন আকাশ থেকে পরে না জান আবার।
স্বপ্ন
হুম বিনা খরচে বিশ্ব ভ্রম্ন।পক্ষী কন্যা আমাকে ফেলে দেবে নাকি যে পরে যাবো?ধন্যবাদ ভাইয়া।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
স্বপ্নের স্বপ্নগুলো স্বপ্নের মতো পক্ষীকন্যা সেতো মনে হয় ভাবছে পক্ষীদেবতাকে।সুন্দর অনুভূতি লেখায় অ্যাবাষ্ট্রাক মেশানো। -{@
স্বপ্ন
ধন্যবাদ মনির ভাইয়া।
নুসরাত মৌরিন
খুব খুব খুউব সুন্দর লেখা।একদম স্বপ্ন দিয়ে মোড়া।
ভালবাসা মুছে ফেলা যায় না,তা থেকে হৃদয়ে অমৃতাক্ষরে…।
ভাল লাগলো লেখাটি। (y)
স্বপ্ন
ধন্যবাদ আপু।অমৃতাক্ষরে শব্দটি লেখার সময়ে মনে আসলে দিয়ে দিতাম লেখার মাঝে 🙂
ব্লগার সজীব
ভিটামিনের কথা এখানে বলা যাবেনা,তাহলে লেখা কেন স্বপ্ন ভাইয়া?একই মেডিসিন খাবার আগে পরে সেব্য? ^:^ আবেগি লেখায় অনেক ভালোলাগা জানালাম।আমারো একটি পক্ষী কণ্যা দরকার।অপারেশন…… খোঁজ দ্যা সার্চ 🙂
স্বপ্ন
এখানে সবাই প্রাপ্ত বয়স্ক নাও হতে পারে ভাইয়া।বুঝে নিতে হবে 🙂 ধন্যবাদ আপনাকে।খুঁজুন খুঁজুন পেয়ে যাবেন।
ব্লগার সজীব
লেখা ভালো হয়েছে,এটা বলা হয়নি।আপনাদের দুজনার জন্য -{@ -{@
স্বপ্ন
আপনাকে আমাদের দুজনের পক্ষ হতে অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া -{@ -{@
আগুন রঙের শিমুল
ভালোবাসা যে পেয়েছে সে আর কিছু পায়না
– ফিরাখ গোরখপুরী
ভালোলাগা জানবেন স্বপ্ন
স্বপ্ন
ভালোবাসা যে পায়,তার অন্যকিছু প্রয়োজন হয়না ভাইয়া।ধন্যবাদ আপনাকে।
খসড়া
ভাল লাগল।
স্বপ্ন
ধন্যবাদ আপু।
মিথুন
কতো আবেগ আর মিস্টি করে লিখেছেন। মধুর সত্যি আর কল্পনায় মেশানো কথাগুলো মন খারাপ করিয়ে দিলো। সত্যিগুলো কেনো এতো ক্ষণস্থায়ী আর কল্পনাগুলো কেনো সত্যি হতে এতো অপারগ। লিখতে পারেন না এই ছুতো কিন্তু আর দেখাতে পারবেন না, বুঝতেই পারছেন এরপর নিয়মিত না লিখলেই ভিটামিন হরতাল।
কার জন্য আপনার টান বেশি বলুন তো? মিথুন নাকি সোনেলা? সব সোনেলায় এসে বলে দেয় 🙁
পক্ষিকন্যাটিতো খুব কিউট, এটা কোন মিথুন?
স্বপ্ন
সত্যি গুলো ক্ষণস্থায়ী হয় হয়ত,অথবা এটিই নিয়ম।একারণেই স্বপ্ন দেখি এমন ভাবে।স্বপ্নের তো সীমা নেই,যা ইচ্ছে দেখা যায় করা যায়।আমার সবকিছুই আপনার ভালো লাগে,একারণে এই লেখাটিও 🙂 ভিটামিন হরতাল প্রতিরোধ করা হবে সোনেলার সমস্ত ভাইয়া আর আপুদের নিয়ে।মিথুনের প্রতি বেশি,তবে আমার ভালোলাগাটা শেয়ার করতে ভালোলাগে সোনেলায়।আমার মিথুন একটিই (3
প্রহেলিকা
আফসোস!
আফসোস কেন জানতে চাহিয়া লজ্জা দিবেন না।
স্বপ্ন
আফসোস কেন ভাইয়া?জানিতে চাহিয়া লজ্জা দিলাম 🙂
লীলাবতী
স্বপ্ন ভাইয়া আপনার স্বপ্ন পুরন হোক।পক্ষীকণ্যা শব্দটি আমি এই প্রথম শুনলাম।ভালোই আবেগ মিশাতে পারেন আপনি। এমন লেখা আরো চাই।
স্বপ্ন
দোয়া করবেন আপু আমার পক্ষী কন্যার জন্য।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার পক্ষী কন্যা তো আকাশেই থাকবে,এমন একজন স্বপ্ন যার আছে সে খুবই ভাগ্যবতী।
স্বপ্ন
আমিও ভাগ্যবান নীলাপু।