নিঃশব্দচারিনীর বিড়ালময়তা

ছাইরাছ হেলাল ২৮ জুলাই ২০১৬, বৃহস্পতিবার, ০৯:৪৮:৪৪অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩৯ মন্তব্য

মেয়ের মায়ের খনখনে কিন্তু চাপা বিস্ফোরক উষ্মায় বিস্মিত না হয়ে ইশারায় মেয়েকে কাছে ডেকে জানলাম, বাড়িময় নিচ্ছিদ্রতার অভেদ্যতা স্বত্বেও বিড়াল ঢুকে পড়েছে, চিলেকোঠায় কবুতর আছে, প্রকট ভয়টি সেখানেই।

ঘটনাঃ এক,
ঝড়জলের বিদ্যুতহীন রাত্তির, রাত একটু বেশিই, এ সময়ে বেলকুনির দরজায় শব্দের কারণ নেই, এর উপর কাকরাত্রি জাঁকিয়ে বসেছে, শব্দের উৎসস্থলে গিয়ে আবিস্কার করি মেয়ে বাটিতে করে বিড়ালের জন্য খাবার রেখে দিচ্ছে, এই বিরূপ আবহাওয়ায় বিড়ালটি প্রায় পুলসিরাত পার হয়ে খেতে আসবে কীনা এমন অবাক প্রশ্নের জবাব খুবই পজিটিভ, এরপর যে যার গন্তব্যে, একটু পরে খুচখুচে মন নিয়ে টর্চ হাতে নিঃশব্দে ঘাপটি মেরে মশা সহবত করতেই থাকলাম। বেশ কিছুক্ষণ পর উপেক্ষা করার মত মৃদু শব্দ হতেই টর্চ জ্বালিয়ে দেখলাম পুরো শরীর ভেজা বিড়ালটি নীরবে খেয়ে চলছে।

ঘটনাঃ দ্বিতীয়,
মেয়ে বিকেলে বেশি নাস্তা করেছে, তাই সন্ধ্যায় আর খেল না, এমন হয়, এটি কিছু না। একটু বেশি রাতে রান্নাঘরে শব্দ পেয়ে মেয়ের মায়ের (বিশেষ এনসাইক্লোপিডিয়া, ত্রিকালদর্শী) শরণাপন্ন হয়ে জানতে সক্ষম হলাম, যে মেয়েকে বিড়ালটি ডেকেছে, বিড়ালের ক্ষুধা লেগেছে, তাই সে বসে বসে মাছ খাওয়ার চেষ্টা করছে, কাটা সংগ্রহের জন্য, প্রকাশ থাকে যে, কাটার ভয়ে মেয়েটি সাধারণত মাছ খেতে অনীহা জানিয়ে থাকে।।

ঘটনাঃ তৃতীয়,
ফাঁকতালে ঘরে ঢুকে পড়া বিড়াল তাড়ানোর জন্য মেয়ের মা হম্বি-তম্বি করছে বেশ জোরেশোরেই, কাছে ডেকে নিঃশব্দী মেয়ের কাছ থেকে জানা গেল, বিড়ালটি বেঘোরে খাটের নিচে নিশ্চিন্তে ঘুমুচ্ছে, এই ঘুমন্ত বিড়ালকে কী করে তাড়িয়ে দেয়া যায়! আমার মেয়ে-অন্ত প্রাণ খচ করে উঠল, আলোচনার মোড় ঘোরানোর জন্য আবার জিজ্ঞেস করলাম, বিড়াল যে ঘুমুচ্ছে সে কী করে বুঝল, তার উত্তর হলো, বিড়াল হাত পা ছড়িয়ে চোখ বন্ধ করে ছিল।

বিড়াল যার কবুতরও তার, এক সাথে থাকবে, তাতে ভয়ের কী আছে? এ প্রশ্নের জবাব দিতে পারিনি।

** বত্ব, লেখা কিন্তু লেখাই!!!!!!!
# বত্ব = BTW = by the Way (ফেসবুক পড়ুন, জ্ঞানী হোন)

0 Shares

৩৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ