পাখিদের মঠে বিস্তর কোলাহলে
আনন্দচঞ্চল শুনি সানন্দে, নিশ্চুপে
ফিরে যাওয়ার ফিরে না আসার;
আঁকড়ে ধরা কুয়াশায় ভিজে ভিজে
গোধূলির কিরণে বা সবুজ জ্যোৎস্নার জল স্রোতে
জাগরণে অর্ধ জাগরণে,
হেঁটে যেতে যেতে বিভ্রম স্মৃতিতে
শ্মশান গন্ধ ভেসে আসে,
বিপ্রতীপ মতিভ্রমে থেকে থেকে
ভেসে আসে উলুধ্বনি
জেগে থাকার অর্ধজাগরণে;
রহস্যরসিক শ্মশান চোখ ছোঁড়ে
জ্যান্তপোড়া খাবে বলে টকটকে লাল জিভে,
৪৫টি মন্তব্য
নাসির সারওয়ার
কি লেখেন এসব! পাখিদের কোন মাঠ থাকেনা। তাহার মনুষ্য জাতির মাঠে আসে এবং সবাই সুভেলাবে ফেরতও যেতে পারেনা।
সত্যি হলো, চুলের উপ্রে দিয়া গেছে।।।
নাসির সারওয়ার
ও আচ্ছা। ব্যাপারটা মাঠ না মঠ। তারপরও বুঝিনাই কিচ্ছু। এটা আমার জন্য ভালো খবর। মগজ ভালো ভাবেই বিশ্রামে আছে।
ছাইরাছ হেলাল
শান্তিতে থাকাই অতি নিরাপদ,
মঠ-মুঠে সবাই যেতে পারেনা, যায়ও না,
বিশ্রাম ও বিশ্রামই উত্তম
ছাইরাছ হেলাল
ঘন টাকচুলের উপর দিয়ে যায় কীভাবে!!
খপ করে ধরলেই হয়,
নাসির সারওয়ার
কেমন যেনো জীবিত পাখির পোড়া গন্ধ।
এই শ্মশানটা কি অন্য কোথাও সরানো যায়না!
ছাইরাছ হেলাল
নাক চেপে রেখে শ্বাস নিন।
যে যার শশ্মান নিজেই তো বহন করে,
সরানোর উপায় নেই।
জিসান শা ইকরাম
সব কিছুই জীবনের অংশ
এভাবেই চলে আসছে অনাদিকাল ধরে,
দেখা যাক 🙂
ক্যামনে লেখেন এত ভাল করে!!
ছাইরাছ হেলাল
সময়ের প্রবাহমানতাই আমাদের পরিণতি।
ভাল লিখিয়ে হওয়ার জন্য আপনি যে স্কুলে পড়েন সেই স্কুলের
পাশের রাস্তায়ই নিত্য চলাচল।
ইকরাম মাহমুদ
” মন্তব্য করুন ” বক্সে এসে কি লিখব, কি লিখা উচিত, কি বলব,কি বলা উচিত এমন সব প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে নির্বাক হয়ে থাকতে বাধ্য হই। এখনো সেই অবস্থায় আছি,
এটা বুঝাতেই চাচ্ছি মূলত
ছাইরাছ হেলাল
ব্যাপার না লিখে দিন দু’এক ছত্র।
অরুনি মায়া
হাসি আনন্দ বেদনার নির্জাসে ভিজে ভিজে এগিয়ে যায় জীবন | কখনো আনন্দ পাখিদের গানে গানে,কলতানে ভেসে আসে | কখনো বিষাক্ত স্মৃতিদের দাপটে শ্বাসরুদ্ধ | তবুও এগিয়ে চলে জীবন, জীবনের নিয়মে |
প্রকৃতির মাঝে উৎসর্গিত এই প্রাণ, কখনো শান্তি খুঁজে পায়, কখনো বিষন্নতা | তবুও প্রকৃতির মাঝেই জীবনের বাস |
চলার পথে সেই ছায়ার মতই পিছু নেই বলা না বলা শব্দের দল | মাঝে মাঝে প্রচণ্ড কোলাহলে কানে তালা লাগিয়ে দেয় | এরপরেও মুক্তি নেই | যতদিন জীবন ততদিন স্মৃতিদের বয়ে বেড়ানো |
আপনার লেখা নিয়ে আমি আর কি বলব বলুন | বরাবরই আমি আপনার ভক্ত | আজ মন বড্ড উদাস কবি | বড্ড অস্থির | স্মৃতির বিষ ফোঁড়া নিদারুণ যন্ত্রণার |
আমার সবটুকু ভাল থাকা আজ আপনাকে দিয়ে গেলাম | যেপথে এগুবেন সেপথেই আমার প্রার্থনা পিছু নিবে আপনার | ভাল থাকবেন অনেক |
ইতি,,,,
আপনার মন্তব্য কন্যা 🙂
রিমি রুম্মান
ওরে, অরুনি মায়া আপু, তোমাকে দেখে খুব ভাল লাগছে। কেমন ছিলে আমাদের ছেড়ে ছুঁড়ে ? খুব মিস করতাম তোমায়। ভাল থেকো, ভাল থেকো… (3
ছাইরাছ হেলাল
আরে এতো পোষ্ট হয়ে গেল,
এর উত্তর দেয়ার চেষ্টা নিচ্ছি না,
ধন্যবাদ দিচ্ছি।
নীলাঞ্জনা নীলা
এতো ভালো লেখা ভালো না কিন্তুক।
আমরাও ভালো লিখতে চাই, অথচ আপনি আমাদের মানে সমস্ত পাঠকদের, যাঁরা লেখেনও, তাঁদের সব ভালো লেখা নিয়ে যান। এটা কেমন কথা! কবিতা শিখতে চাই, বিনা পয়সায়।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও আপনার কাছাকাছিই ভাবি,
এত্ত আবজাব লেখা ঠিক না।
সব ভাল লেখা আপনার জোট বেঁধে নিয়ে যাচ্ছেন বলেই এই নাদানের
আর কিছুই লেখা হলো না।
আমিও আপনার মতই বিপুল কবি খুঁজছি মুফতে কিছু
সুন্দর কবিতা পড়তে চাই।
নীলাঞ্জনা নীলা
আমাকে কবি বলে এই যে সম্মান দিচ্ছেন, দেখবেন আপনার মাথার চুল যেনো থাকে।
ছাইরাছ হেলাল
যোগ্যতাই সম্মান আদায় করে নেয়, তাছাড়া স্পেশাল রান্নার মাংশের লোভ বিদ্যমান,
এদিকটা ফকফকা তাই তেমন ভাবনা নেই।
রিমি রুম্মান
এমন লেখা আমার মাথায় আসে না ক্যান !
শুভকামনা -{@
ছাইরাছ হেলাল
এর থেকে হাজার গুন ভালো লেখা ভর করে আছে যে,
শুন্য শুন্যালয়
সবকিছুর মধ্যে মৃত্যু ঢুকিয়ে দেয়া ভালো নয়। পাখিদের আনন্দচঞ্চল শুনলে তাতেই একাগ্র হতে হয়।
ভাবনায় আর লেখায় সহস্রমাইল দূরে আপনি, দূর থেকেই ভালো লাগা জানানো আমাদের। সুন্দর।
ছাইরাছ হেলাল
‘সবকিছুর মধ্যে মৃত্যু ঢুকিয়ে দেয়া ভালো নয়।’ জ্বী ভাল নয়, আমরা অমর,
‘পাখিদের আনন্দচঞ্চল শুনলে তাতেই একাগ্র হতে হয়।’ জ্বী একাগ্র হব,
পাখি হয়ে যাব,
‘ভাবনায় আর লেখায় সহস্রমাইল দূরে আপনি,’ আপনার মাপন যন্ত্র সহী,
আমার যন্ত্রডা নষ্ট (আগেই বলা)
‘দূর থেকেই ভালো লাগা জানানো আমাদের।’ জ্বী, দূরই সত্য, কাছ ভুয়া
সুন্দর!!!আমার লেখা! টুকে বলি,
বাশেঁর কঞ্চি!
কইঞ্চা হয়ে গেল ধইঞ্চা
ধইঞ্চা দিয়া বরই পাড়ি,
পড়েনা বড়ই, লারিচারি!!
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
পুরাই মাস্টারমাইন্ড কবিতা।
ভালো লাগলো খুব।
ছাইরাছ হেলাল
আরে, কবিতা-ফবিতা কিছু না,
ভাল লাগলেই ভাল,
মিষ্টি জিন
মঠ, শশ্মান.জ্যান্ত পোড়া .. ভয় পেয়েছি।
তবে এগুলির সমন্বয়ে লিখেছেন অসাধারন।
ভাল থাকুন ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ভয়ের কিছু নেই,
যা মনে আসে তাই লিখে দেই,
ভাবাভাবি করি না,
মৌনতা রিতু
নিচের চরনগুলি পড়ে একটা কথা মনে পড়ে গেল, জানি না এখানে মন্তব্যে এটা লেখা ঠিক হচ্ছে কিনা !
সদ্য বিবাহিত জীবনে অনেক প্রেম ভালবাসা নিয়ে নিজের সন্তানের জন্ম দিতে গিয়ে ভালবাসার সেই মানুষটির মৃত্যু এবং স্বামী তার স্ত্রীর শরীরটি মাটিতে রেখে, যখন দেখে সারি সারি পোকার দল এসে জড়ো হচ্ছে সেই শরীর খাবে বলে !
এই তো নিয়ম ধ্বংসেই নতুন সৃষ্টি।
মন্তব্যটা ঠিক হয়নি আসলে,,,,,
এই কবির কবিতায় মন্তব্য করাও কঠিন বড় ;?
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ভাবনার কিছু নেই, লিখে ফেলবেন যা মনে আসে।
ধ্বংস আছে বলেই সৃষ্টি, সৃষ্টিও যন্ত্রণার।
ইহা কিন্তু কবিতা নয়, একান্ত অনুভুতি মাত্র।
ব্লগার সজীব
দিনকাল ভাল না, অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। মঠ, শ্মশান, উলুধ্বনি এসবের ইসলামিক কিছু নেই? :p লেখাটা জটিল হইছে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আগে কইবেন্না, সেটা বুঝলে এমন গর্হিত কাজ হতোই না।
খুপই জট্টিল!!
আবু খায়ের আনিছ
জীবনানন্দ দাশ বেচেঁ থাকলে তার সাথে আপনার সাক্ষাৎ জুরুরি ছিলো। প্রকৃতি প্রেম দেখছি দুইজনের কলমেই।
ছাইরাছ হেলাল
কিসের সাথে কী, তিনি মাথায় থাকুন।
তবে তাঁর প্রকৃতি প্রেম থেকে কিছুই শিখতে পারিনি আমি।
আবু খায়ের আনিছ
জীবনানন্দ আমার প্রিয় কবিদের একজন, কিন্ত সত্যি বলতে আমি আপনার যত কবিতা পড়েছি উনার এত কবিতা পড়ি নাই।
ছাইরাছ হেলাল
কী না কী কন!
প্রহেলিকা
সবুজ জ্যোৎস্নার জলস্রোত দেখা এতো সহজ নয়, কল্পনাও করতে পারি না কেমন হতে পারে। শ্মশানের ঘ্রাণ আহ কি মাতাল করা!
আসনে কি সমস্যা রয়েছে কোনো আমার, এমন করে লিখতে সাধ যে আমারও হয়। ধর্ণার আসন পাল্টাতে হবে নাকি? ;(
ছাইরাছ হেলাল
এই সব আজগুবি স্রোত-ফ্রোতের খবর কই পান, ইতি মধ্যে ট্রাই করেও ফেলেছেন!
শশ্মানও কমপ্লিট করে এসেছেন!
তা হলে তো আমাদের আর কোন চান্সই নেই।
আমার আসনেই গণ্ডগোল দেখছি।
প্রহেলিকা
শ্মশানের আশেপাশে ঘোরাফেরা করে ঘ্রাণ সবাই পায় না, আপনি পান জানি। আর আপনি পেলে কিছুটা আমাদের দিকেও আসে ফাঁকফোকর দিয়ে আর কি!
নাহ আসন ঠিকি আছে বোঝা গেল, আরেকটু সামনের বেঞ্চিতে এসে বসার দরকার। এত ভিড়ে আপনার চোখ কি আর এদিকে পড়ে!! দৃষ্টি ফৃষ্টি এদিকেও দিয়েন একটু ল্যাহক হইতে আমাগোও মঞ্চায়।
ছাইরাছ হেলাল
ল্যাহক হন অসুবিধা নেই,
লেখা তো দিতে হবে আমাদের কাছে, তা না হলে আপনার কিন্তু চান্স মাইনাস,
দ্রুত কাজে নেমে পড়ে আমাদের উদ্ধারে এগিয়ে আসুন, দুলকি চালে।
মেহেরী তাজ
এক দিকে মঠ, শ্মশান, জ্যান্তপোড়া! অন্য দিকে আবার কুয়াশা, জ্যোৎস্নার জলস্রোত। হচ্ছে টা কি? পাখির সাথে কিসের শত্রুতা আপনার?
ছাইরাছ হেলাল
“পাখিদের মঠে বিস্তর কোলাহলে
আনন্দচঞ্চল শুনি সানন্দে”
পাখিদের সাথে শত্রুতা দেখলেন কই! ভুতাফা!!
স্মৃতির যন্ত্রণা,
আফনে এয়া বোঝবেন নাহ,
অনিকেত নন্দিনী
পাখিগোর আবার আলাদা মঠ আছে? আমি তো জানতাম আমাগো মঠে আইসাই পাখিরা বিস্তর কোলাহল জুইড়া দেয়।
স্মৃতির শ্মশান মশান, জলস্রোত আর জ্যান্তপোড়া মিলাইয়া তো পুরাই হরর জিনিস বানাইয়ালাইসেন দ্যাখতাছি। ;?
এত্ত কঠিন কইরা ক্যাম্নে ল্যাহে মানুষ? ^:^
ছাইরাছ হেলাল
আপনি লাপাত্তা, লেখা দেন না,
তাই সব আউলাইয়া যাইতাছে, উদ্ধার করুন,
অনিকেত নন্দিনী
অবাইজ্জ্যাখোদা! কয় কী? আমি উদ্ধারকর্মী হইলাম কবেত্তে? ;?
ছাইরাছ হেলাল
সে তো সেইইইই কবে থেকেই!!!
আপনি ভুলে গেলেও আমরা ভুলি না,
সকাল স্বপ্ন
ভালো
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ।