৩ অক্টোবর ২০১৪
মালয়েশিয়ান মুসলমানরা আমাদের দেশের মত গন কুরবানী দেননা। ওখানে যিনি হ্বজ্ব করবেন তিনিই শুধু কুরবানী দিবেন। অর্থাৎ এ বছর যে সমস্ত মুসলমান হ্বজে গিয়েছেন, তাঁরাই শুধু কুরবানী দিবেন। তাদের সমাজে বা রাষ্ট্রে প্রতিযোগিতা দিয়ে কোরবানির পশু কেনার কোনো নিয়ম নাই। কোরবানি করা হয় মসজিদ ভিত্তিক। অর্থাৎ কোরবানির সব আয়োজন করে মসজিদ। যিনি কোরবানি করতে চান তাকে পশুর মূল্য মসজিদ কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দিতে হবে। ঈদের দিন কোরবানি সম্পন্ন হওয়ার পর মসজিদ কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট মহল্লার প্রতিটি পরিবারের মধ্যে জনসংখ্যার অনুপাতে গোস্ত বিলি করে। তিনি আরও জানান, মালয়েশিয়ায় ঈদ উপলক্ষে পশুর হাট বসানোর কোনো সুযোগ নেই। পশুর খামার থেকে মসজিদ কর্তৃপক্ষ পশু ক্রয় করেন। ওখানে কুরবানী উপলক্ষে ছুটি মাত্র একদিন। এক কুরবানী ঈদের সময় আমি মালয়েশিয়ার একটি বাড়িতে ঈদের সময় ছিলাম, সব কিছু জেনেছি তখন।
আর আমাদের দেশে ?
মালয়েশিয়া মুসলিম দেশ, তাঁদের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। কুরবানী পালনে কেন এই পার্থক্য তাঁদের আর আমাদের মাঝে ?
সম্ভাব্য কারন হতে পারে ---
১/ তাঁরা আসলে ইসলাম বুঝে না, সব বুঝি আমরা। পবিত্র কুরআন এবং হাদিস বুঝবার মত জ্ঞান তাঁদের নেই। তাঁরা বোকা। নাস্তিকও হতে পারে।
( মালয়েশিয়ানদের ইসলাম শিক্ষা দেয়ার জন্য, আমাদের দেশ থেকে কয়েক লাখ হুজুর পাঠানো যায়। এত বড় মুসলিম দেশ ভুল ভাবে কুরবানী পালন করবে, এটা মুসলিম ভাই হইয়া ক্যাম্নে মানি ? বৈদেশিক মুদ্রাও আসবে )
২/ হুজুররা কুরবানির মাংশ খাবার লোভে আমাদের দেশে এই গন কুরবানীর প্রচলন করেছেন ধীরে ধীরে।
৩/ এইডা ইন্ডিয়ার চক্রান্ত, গরু বিক্রী করার জন্য এই গন কুরবানীর প্রচলন করেছে তাঁদের এদেশীয় দালালদের মাধ্যমে।
৪/ আমরা আসলে কুরবানী দেইনা, ডাট দেখাই। কুরবানির আসল উদ্দেশ্য থেকে আমরা বিচ্যুত। আমাদের কুরবানী হয়না।

তবে আমার কাছে ২ নং কারণটা ( হুজুররা কুরবানির মাংশ খাবার লোভে আমাদের দেশে এই গন কুরবানীর প্রচলন করেছেন ধীরে ধীরে। )
সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত মনে হয়।

=========================================================

৩ অক্টোবর ২০১৭
রোহিঙ্গাদের জামাই আদর, বউ আদর শ্যাষ করেন এইবার। আপাতত দুই সন্তান এবং এর বেশি সন্তানের বাবা মা দের ভ্যাসেকটমি, লাইগেসন করান। ১৮ বছর বউর বয়স, আন্ডা বাচ্চা ৪ টা, এই হচ্ছে রোহিঙ্গা পরিবার।
বিনা যুদ্ধে মায়ানমারের রোহিঙ্গারা আমাদের দেশের এলাকা দখল করেই নিল, তা কক্সবাজারই হোক আর নোয়াখালীর ভাসানচরই হোক। কোটী হয়েই যায়, একটি সময় দেখা যাবে তারা পার্বত্য চট্টগ্রামই দখল করে নিলো।
১০ লাখ রোহিঙ্গার ২০ লাখ হতে বেশি সময় নেবে না, এদের জন্মহার দেখে এটি উপলব্দি করা যায়। ১ কোটি হতে কত সময় নেবে?
রোহিঙ্গাদের নিরাপদ আশ্রয়স্থল বাংলাদেশই হয়ে যায় কিনা ভাবছি।
মুরুব্বি এবং দাদারা হয়ত এটিই চাচ্ছে।

0 Shares

৮টি মন্তব্য

  • ইঞ্জা

    দুঃখজনক ভাবে আমাদের দেশের মুসলিম সম্প্রদায় অতি ভক্তি দেখাতে গিয়ে সবই ল্যাতায়ে ফেলে, সাথে আমাদের হুগুরগণ আরও এক কাটি বাড়া, উনারা পারেননা আমাদের ঘরে ঘরে মসজিদ খুলে দেন, আমি তো দেখছি অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ, এক কুরবানির সময় এক দল হুগুর এসে প্রথমেই চামড়া দাবী করে বসলো, আমি বললাম এ বিক্রি হয়ে গেছে, শুনেই অগ্নিশর্মা কেন আমরা বাইরে বিক্রি করবো, এ এতিমের হক, তারা আজ জোর করেই নিয়ে যাবেন, ইতিমধ্যে বড় হুগুরের প্রবেশ যিনি আভে থেকেই আমাকে চিনেন, উনি আমাকে দেখেই অন্যদের বললেন তোমরা ভুল লোকের সাথে ঝামেলা বাধায়তেছো, মার খায়তে না চাইলে ভাগো।
    আসল কথা হইলো, উনিও একবার আমার কবলে পড়ে নাকানিচুবানি খেয়েছিলেন। 😜

    রোহিঙ্গা নিয়ে আর বলতে ভালো লাগেনা ভাইজান, দেশটা হয়ত একদিন রোহিঙ্গারা খাবে এই ভাবনাতে দিন রাত অস্থির লাগে।

  • আরজু মুক্তা

    হুজুররা কিছু বললেই আমরা ভাবি হাদিস। কেউ ঘেটেও দেখিনা। ওরা মনে হয় আকাশ থেকে উঠে আসছে আল্লাহ র থেকে জানেন বেশি। ধর্মতান্ত্রিক দেশে ধর্মের অপব্যবহার বেশি।

  • তৌহিদ

    মালয়েশিয়ার কোরবানি সম্পর্কে নতুন তথ্য জানলাম। যিনি হজে যাবেন তিনি কোরবানি দেবেন এটি হজে গিয়ে মক্কায় পালন করার কথা, এটি কি মালয়েশিয়াতেও হয়? হাট ব্যবস্থার সিস্টেম মালয়েশিয়া সরকার করেনি বা অনুমতি দেয়নি তাই সেখানে নেই। এতে তারা ইসলাম বেশি বোঝে আমরা কম বুঝি বিষয়টি এরকমভাবে না বললেও পারতেন কিন্তু।

    সামর্থ্যানুযায়ী কোরবানি দিতে হবে প্রত্যেকের এটা হাদিসের কথা। সামর্থ না থাকলে নেই। কোরবানির টাকা মসজিদে দিয়ে কোরবানি করাতে হবে এই হাদিস কোথাও নেই। তবে লোক দেখানো নয়। অমুকে একলাখ টাকার গরু দিয়েছে বলে আমাকে দুই লাখ টাকার দিতে হবে এমন মানসিকতা থাকলে কোরবানি হবেনা।

    কোরবানির গরুর হাটের সিস্টেম হাদিসে আছে কিনা জানি না, তবে যিনি কিনবেন এবং যিনি বিক্রি করবেন কেউই যাতে না ঠকে সেজন্যই হাটের ব্যবস্থা। হাটে না তুললে পশুর মালিক যে দাম চাইবে আপনি বুঝবেননা সে বেশি চাইলো কিনা?

    আর একটি বিষয়, কোরবানির পশু নিজের অতি পছন্দের জিনিসকে দিতে হয়, মানে আপনার যে পশুটি অধিক পছন্দ সেটিকে। না হলে প্রিয় হবে কিভাবে সেটি? হাটে অনেক পশু একসাথে দেখলে আপনার মনের মত পছন্দসই গরু ছাগল বেছে নিতে সুবিধা হবে বলেই হাটের ব্যাবস্থা। তবে হ্যা এই হাটকে কেন্দ্র করেই আবার আমরা মুসলমানই দুই নাম্বারি করি অনেকেই। ☺

    বাকি কবুল করার মালিক আল্লাহ্‌।

    রোহিঙ্গা নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করছেনা। যে হারে প্রোডাকশন দিচ্ছে তারা অচিরেই হাটে বাজারে বিক্রি হবে!! বলা যায়না আমরাও রফতানি করত পারি ☺

  • ছাইরাছ হেলাল

    ধর্মের অনেক বিষয় নিয়ে শুধু দ্বিমত নয় বহু মত কাছে।
    আমারা সাধারণ মানুষ হয়ে কাকে কী ভাবে অনুসরণ করব তা জানা সত্যি কঠিন।
    একই বিষয়ে দুজন হুজুর দুটি মত দেন, আমি কোনটি করব! সবার কাছেই হাদিস আছে!

  • মনির হোসেন মমি

    সিঙ্গাপুরের কোরবানীর সিষ্টেমটাও অনেকটা মালেশিয়ার মত। নিদিষ্ট হাট নিদিষ্ট কোরবানীর স্থান। আমাদেরকে ওদের তুলনায় মুসলমানই বলা যায় না। ওরা দুই ঈদেই প্রথম ওদের দান ছদকা বিষয়টি ক্লিয়ার করে এর পর অন্য ইবাদত।
    আর রোহিঙ্গা!!!
    বেশ ভাবাবে
    মানবতার পল্টি দেখিয়ে দিবে।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ