২ অক্টোবর ২০১৪
বায়তুল মুকাররম এলাকায় যারা পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়েছিলো (পাঁচ মে) , তাদের কাউকে ফাঁসি চাই, পাথর ছুরে হত্যা করার দাবী কেউ জানান নি। বিএনপি, জামায়াত, জাতীয় পার্টি, কোন মাদ্রাসা, কোন মাওলানা এই ঘটনা নিয়ে একটা বিবৃতিও দিলেন না। এটি যেন একটি সাধারণ ঘটনা।
এই ঘটনা যদি লীগের কেউ ঘটাতো? বা ভারতে যদি এটি ঘটতো? বা দেশের কোনো হিন্দু ধর্মাবালম্বী মানুষ? কি করতো এই বিএনপি, জাতীয় পার্টি, জামায়াত, মাদ্রাসা মাওলানারা? রক্ত গঙ্গা বয়ে যেতো এই সবুজ শ্যামল দেশটিতে। মাওলানা হলেই বা মাদ্রাসায় পড়লেই কি তাহলে পবিত্র কুরআন শরীফে আগুন দিয়ে পোড়ানোর অধিকার জন্মে?
#কুরআন শরীফ আগুন দিলে এর অবমাননা হয়না।
#হুজুরেরা এটা করার অধীকার রাখেন।
#লীগের জন্য মায়া হয়।
সিদ্ধান্ত:
খালেদা জিয়া ( ইনি জনতাকে ওই রাতে রাস্তায় নামতে বলেছিলন), হেফাজতি, জামায়াত সহ ২০ দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সবাইকে, প্রকাশ্যে ফাসি দেয়া হোক, ইসলাম বিরোধী কথা বলা, কুরআন শরীফে আগুন দেয়ার ইন্ধনের জন্য।
২ অক্টোবর ২০১৩
আমরা আমাদের নিকটাত্মীয়দের হত্যাকাণ্ডের বিচার খুব দ্রুত চাই । আর নিকটাত্মীয় যদি বাবা মা ভাই বোন হয় , চেষ্টা থাকে যত দ্রুত সম্ভব এই হত্যাকাণ্ডের বিচার। ইচ্ছে করে নিজেই আইন হাতে নিয়ে প্রতিশোধ নেই । তা সম্ভব নয় বলে আদালতে এর বিচার প্রার্থনা করে সর্বাত্মক চেষ্টা করি যাতে বিচারিক কার্যক্রম দ্রুত শেষ না হয়।
প্রশ্ন উঠছে শেখ হাসিনা ইচ্ছে করে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়াকে বিলম্বিত করেছেন - আর একবার ক্ষমতায় গেলে বিচারের রায় কার্যকর করবেন - এই মুলা ঝুলিয়ে রেখেছেন জনগনের সামনে। যারা এমন ভাবছেন তাঁদের জন্যই এই লেখা ।
নিজের বাবা মা ভাই ভাবি এবং অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চয়ই শেখ হাসিনা আন্তরিক ভাবে চেয়েছেন । না চাওয়ার কোন কারণ নেই । তিনি নিশ্চয়ই চেয়েছেন যত দ্রুত সম্ভব এই বিচার প্রক্রিয়া শেষ হোক । কিন্তু প্রবল ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দ্রুত বিচার পাননি। নিজের সবচেয়ে আপনজনদের হত্যাকাণ্ডের বিচার পেতে শেখ হাসিনাকে দুইবার ক্ষমতায় আসতে হয়েছে। দেশের সবচেয়ে ক্ষমতাবান মানুষ হয়েও তিনি অতি দ্রুত বিচার পাননি। ১৯৯৭ সনে ১৫ জানুয়ারী শুরু হওয়া মামলার চুড়ান্ত রায় হয়েছে ২০০৯ এর ১৯ নভেম্বর। প্রায় ১২ বছর । শেখ হাসিনা নিশ্চয়ই জাতির সামনে , তিনি নিজের বাবা মা ভাই হত্যাকাণ্ডের বিচার পরের বার ক্ষমতায় এসে করবেন - এই মুলা ঝুলিয়ে রাখেননি । যদি কেউ এমন ভেবে থাকেন তবে অতিদ্রুত তাঁর মানসিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিৎ ।
১৯৭৫ এর পর থমকে যাওয়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়ার সামনে বিশাল বাঁধা ছিল এটা কে না জানে ? যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই বাংলায় সম্ভব , আর প্রতিষ্ঠিত বড় বড় রাজাকার গুলোকে জেলে নিয়ে বিচার করা সম্ভব হবে এসব কি কেউ কল্পনা করেছেন পূর্বে ? হিমালয়সম বাঁধা অপসারন করে , যুদ্ধাপরাধী আসামীদের বিভিন্ন কূটকৌশল অবলম্বনে সময় নষ্ট করা , একটি বড় দল যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষ নেয়া - ইত্যাদি সব কিছু বিবেচনায় বিচারপ্রক্রিয়া ভালো ভাবেই এগিয়েছে ।
শেখ হাসিনা বিচারপ্রক্রিয়াকে বেশী স্বচ্ছতা দিতে গিয়ে হয়ত ভুল করেছেন , যেমন স্বচ্ছতা দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে ।
আমরা লিখি কবিতা , বিক্রি করি আলূ ( প্রতীকী ব্যবসায়ী ) , হয়তবা কেউ নাট্যশিল্পী , বা ম্যানেজমেন্টের ছাত্র - কিন্তু বিশেষজ্ঞ বনে যাই চিকিৎসা , আইন , অর্থনীতি ইত্যাদি বিভাগে। আইনের ধারা উপধারা সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান না নিয়েই বলে ফেলি অনেক কিছু । সমস্যাটি আমাদের মাঝেই ।
২৪টি মন্তব্য
ইঞ্জা
আপনার সাথে সম্পূর্ণ একমত ভাইজান, যত দোষ শুধু আওয়ামীলীগের।
ইঞ্জা
যত দোষ শুধু আওয়ামীলীগের, কেন?
তোমরা ওদের সাথে আতাত করবে, মানুষকে ধামা দিয়ে কুপিয়ে মারবে আর আওয়ামীলীগ শুধু আঙ্গুল চুষবে?
আওয়ামীলীগ ছিলো বলেই আজ রাজাকারের বিচার হয়েছে, আওয়ামীলীগ ছিলো বলেই শুধু কান ধরে বের করে দিয়েছিলো, নাহলে রক্ত গঙ্গা বয়ে যেতো।
আরও অনেক কিছুই বলার আছে, হয়ত সময় করে একদিন বলবো।
জিসান শা ইকরাম
লীগের কিছুই ভালো না, সেদিন গ্রুপে একজন বললো শেখ হাসিনা পরবর্তি প্রজন্মের জন্য কিছুই করেন নি।
উদহারণ দিলাম বেশ কিছু যে এসব কোন প্রজন্মের জন্য করা হচ্ছে, উত্তর দেয় ত্যানা পেচিয়ে।
লিখুন যত খুশী।
শুভ কামনা।
ইঞ্জা
ওরা ভাইজান দেশদ্রোহী, এরা ত্যানা প্যাঁচানো ছাড়া আরও অনেক কিছুই করবে আওয়ামী সরকারকে পঁচানোর জন্য, যা আমাদের কখনোই সহ্য করা উচিত নয়।
জিসান শা ইকরাম
পবিত্র কুরআন শরীফ পুড়িয়ে দেয়া জায়েজ, একমাত্র হুজুরদের জন্য। হুজুররা সব পারে।
ইঞ্জা
দুঃখজনক
নিতাই বাবু
আপনার সুলেখিত লেখনী এব আপনার বাস্তব উপলব্ধির সাথে আমিও একমত।
জিসান শা ইকরাম
সহমত প্রকাশের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
মনির হোসেন মমি
সহমত ভাইজান
যত দোষ আমাদের মাঝে।
এই আমরাই যুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি আবার এই আমরা রাজাকারদের হাতে দেশের পতাকা দিয়েছি। তবুও রক্ষা শেখের বেটি জীবনকে বাজী রেখে তাদের রাজাকারদের ফাসি কার্যকর করেছেন দেশের কলংকিত ইতিহাস মুছে দিয়েছেন বীরদর্পে।এ ইতিহাস জাতি কখনো ভুলতে পারবেনা।জয়তু শেখ হাসিনা।
জিসান শা ইকরাম
সেদিন একটি ভিডিও দেখলাম, মীরজাফরের ৮ম বংশধরেরাও পরিচয় লুকায় যে তারা মীরজাফরের বংশধর।
আর আমরা মাত্র চার বছরের মধ্যেই ( ৭৫ সনের ১৫ আগষ্ট ) রাজাকারদের পুনর্বাসিত করেছি।
ধন্যবাদ আপনাকে।
মনির হোসেন মমি
এটাইতো দুখ জনক। আমি আজ সত্যি বলব আপনি হয়তো জানেন আমি কিন্তু বিএনপি করতাম।এক সময় থানা পেরিয়ে জেলায়ও রাজনিতী করেছি ।বিদেশ হতে এসে রাজনিতীতে আর যাওয়া হয়নি তেমন কিন্তু মাইন্ড ছিলো বিএনপির।সব চেয়ে গর্বের বিষয় এই সোনেলায় এসে আপনার এবং আরো অন্যদের মুক্তিযুদ্ধ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন লেখা পড়ে, তাছাড়া যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিভিন্ন তথ্য জেনে আমার একটা কথাই মনে গেথে যায় তা হল- এ দেশটাকে অপূরণীয় ক্ষতি করে গিয়েছিলো বিএনপি। তখন হতে এ দলটির প্রতি মনে একটা বিতৃষ্ণা এসে যায়।
যাক দেখা যাক আগামী ভবিষৎ কি এসে দাড়ায়।ভয় হয় এখনো যদি কখনো এ সরকার ফল্ট করে তবে এ দেশের মোড় কোন দিকে যায় কে জানে।
ধন্যবাদ।
মোঃ মজিবর রহমান
গোলাম আযম ১৯৭৪সালেও বাংলাদেশ যাতে আবার নাপাকিদের সাথে নিশে যায় তারজন্যই ইউরোপে সম্মেলন করেছিল। মনির ভাই।
মনির হোসেন মমি
জি মজিবর ভাই ঠিক বলেছেন।আর এদেরকেই প্রথম রাজনৈতীক ভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বিএনপি।
জিসান শা ইকরাম
মনির ভাই, আপনাকে আমি খুবই পছন্দ করি কারন আপনি অত্যন্ত সহজ সরল এবং অকপটে সব স্বীকার করেন।
আপনি হয়ত এই তথ্য জানেন না যে, একাত্তরে যেই স্থানে পাকিরা আত্মসমর্পন করেছিলো, জিয়া সেই স্থানেই শিশু পার্ক করেছেন, যাতে আত্মসম্পর্পন স্থানে কোনো স্মৃতি স্তম্ভ না করা যায়।
পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মনির হোসেন মমি
জানি ভাইজান। শুধু তাই নয় জিয়া ক্ষমতা আসার সাথে সাথে অসংখ্য মুক্তিযোদ্ধা সেনা অফিসারকে হত্যা করেছেন।ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
কত বিচিত্র বিষয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এ জাতি যে অগ্রসর হচ্ছে
তা ভাবা সত্যিই কঠিন।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা প্রতি মুহুর্তে জাতির মনোভাবের পরিবর্তন হয়ে যায়।
প্রদীপ চক্রবর্তী
বাস্তবতা ও সুলেখিত লেখনীর সাথে সহমত দাদা।
এ ইতিহাস ভুলে যাওয়ার নয়।
জিসান শা ইকরাম
অনেকেই ভুলে গিয়েছে প্রদীপ।
তৌহিদ
সেদিন খুবই দুঃখ পেয়েছিলাম। যারা আগুন লাগালো কোন মাওলানা তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলোনা। তেলে জলে মিশ খেয়ে গেলো নিজেরা।
শেখ হাসিনা হত্যাকারীদের বিচার চেয়েছেন প্রচলিত আইনে, পরবর্তীতে কেউ যেন বলতে না পারে তিনি বিচার ব্যাবস্থায় হস্তক্ষেপ করেছেন। তিনি দেশের জন্য নিজের মেধা দিয়ে যা কিছু করছেন তার তুলনা অন্য কারো বা কেউ নেই।
পোষ্ট ভালো লেগেছে ভাই।
মোঃ মজিবর রহমান
খুব সুন্দর ওক্টি পোস্ট। আসলে কি আওয়ামিলিগ যতই ধারমিক তা হতেই
মাছুম হাবিবী
বিএনপি যখন ক্ষমতায় আসে তখন আমি খুব ছোট। নিজের বুঝটুকুই ভালো করে বুঝার ক্ষমতা হয়নি আমার। তাই তাদের কার্যক্রম সম্পর্কে আমার আইডিয়া একেবারেই কম। তবে মা-বাবার মুখে শুনেছি তারা অনেক জুলুম করেছে বিধায় তাদের আজ এই দুর্গতি! যাইহোক সরকার একটি দেশের সর্বোচ্ছ ক্ষমতার অধিকারী হলেও, একজন সরকার চাইলেই হুট করে কিছু করতে পারে নাহ। তাদে ধীরে ধীরে এগুতে হয় এসব আমাদের বুঝতে হবে। সরকার বিচার কার্য চালাচ্ছে তবে এক সাথে সবার বিচার সম্ভব নাহ। আস্তে আস্তে সব রাজার, দুর্নীতিবাজ সবারি বিচার হবে এটাই প্রত্যাশা। খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন জিসান ভাইয়া। ভালো থাকবেন, পরের পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
আরজু মুক্তা
রাজনীতি তে আমি নাই। শুধু পড়লাম। তবে খালেদাকে আটকিয়ে রাখা, তাদের কর্মীদের চুঁছো পেলেই জেলে পুরে গণতন্ত্রে নামে একনায়কতন্ত্র চালু ভালো লাগনি।
চাটিগাঁ থেকে বাহার
আমরা লিখি কবিতা , বিক্রি করি আলূ ( প্রতীকী ব্যবসায়ী ) , হয়তবা কেউ নাট্যশিল্পী , বা ম্যানেজমেন্টের ছাত্র – কিন্তু বিশেষজ্ঞ বনে যাই চিকিৎসা , আইন , অর্থনীতি ইত্যাদি বিভাগে। আইনের ধারা উপধারা সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান না নিয়েই বলে ফেলি অনেক কিছু । সমস্যাটি আমাদের মাঝেই ।