১৯৭১ এর বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি জামায়াত শিবির রাজাকারকে রক্ষা করার জন্য জাতীয়তাবাদী দল প্রকাশ্য অবস্থান নিয়েছে। সমস্ত সংকোচ কাটিয়ে তারা এখন মুক্তিযুদ্ধ পক্ষ শক্তির বিরুদ্ধে আন্দোলন করছে। জাতিয়তাবাদি দলের নেতা মাহাবুবুর রহমান তো বলেই দিয়েছে ' ১৯৭১ সনে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক রাজাকারকে হত্যা করেছে । ক্ষমতায় গিয়ে রাজাকার হত্যার অপরাধে মুক্তিযোদ্ধাদের বিচার করা হবে । ' জাতিয়তাবাদী দলের এমন আচরণ প্রত্যাশিত ছিল । রাজাকারদের উত্থান ঘটিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সময়ে জেড ফোরসের অধিনায়ক জিয়াউর রহমান। একজন মুক্তিযোদ্ধা হয়ে স্বাধীনতার পরে সাজাপ্রাপ্ত যুদ্ধাপরাধী এবং বিচারাধীন সব যুদ্ধাপরাধীদের তিনি মুক্ত করে দিয়েছেন। তাঁর দলের কাছে এমন আচরণ স্বাভাবিক বলেই ধরে নেয়া যায়।

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী নিয়ে শাহাবাগ কেন্দ্রীক আন্দোলন বাঙালীর প্রানের দাবীতে পরিণত হয়েছে। নতুন প্রজন্মের এই জাগরণ দেশকে জাগিয়ে তুলেছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় দেশক গড়ার। গণজাগরণ মঞ্চের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন এবং গনদাবীর মুখে সরকার বাধ্য হয়েছে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইবুনালের আইন সংশোধন করতে। রাজাকার দেলোয়ার হোসেন সাইদির ফাঁসীর রায় দেয়ার পরে - জামায়াত শিবির রাজাকার একজোট হয়ে দেশ ব্যাপী সহিংস আন্দোলন শুরু করেছে । ১৯৭১ এর প্রেতাম্মারা আবার জেগে উঠেছে এদের মাঝে। ১৯৭১ এর মতই হিন্ধুদের বাড়িঘড় পুড়িয়ে দেয়া , খুন করা , বাস , ট্রেন এ আগুন ধরিয়ে দেয়া , রেল লাইন উপরে ফেলে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়া এবং হরতাল এর কর্মসূচী দিয়ে যাচ্ছে লাগাতার।
দেশের জাতীয় পতাকা ছিরে ফেলা , শহীদ মিনার ভেঙ্গে ফেলা , মুক্তিযোদ্ধা সংসদ অফিসে আগুন দিয়ে প্রমান করেছে , এরা ১৯৭১ এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে । এরা এখন আন্দোলনকারী শক্তির মাঝে ভাংগন সৃষ্টির জন্য বিভিন্ন অবান্তর প্রশ্ন সামনে নিয়ে এসেছে । তাদের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর ।

প্রশ্ন উঠেছে :
১। জাতীয় পতাকা উড়ানোর আদেশ প্রজন্ম চত্বরের মুখপাত্র ডা: ইমরান দিল কিভাবে ?
২। সরকারের ক্ষমতা বেশী নাকি শাহাবাগ এর প্রজন্ম চত্বরের ক্ষমতা বেশী ?
প্রশ্ন কর্তা : জামায়াত শিবির বিএনপি রাজাকার।
প্রশ্ন কর্তাদের পরিচয় : যারা বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা দ্বিখণ্ডিত করেছে । পাকিস্থানি পতাকা উড়িয়েছে। পাকিস্থান জিন্দাবাদ শ্লোগান দিয়েছে ।

উত্তর :
১। আপনারা বাংলাদেশের জতীয় পতাকা নিয়ে আলোচনা করার কে ? আপনাদের জাতীয় পতাকা তো পাকিস্থানি । আপনাদের জাতীয় পতাকা উড়ানোর আদেশ শাহাবাগ থেকে দেয়া হয়নি। আমাদের দেশের জাতীয় পতাকা উড়তে থাকে সবসময় আমাদের চেতনায়। পতাকা শুধু প্রদর্শনের কথা বলা হয়েছে , যাতে আপনাদের মত পাকিস্থানিরা দেখতে পারে এবং আপনাদের গায়ে জ্বালা ধরে ।

২। আপনাদের মত রাজাকার সমর্থকরা বাদে সারা দেশের জনতার হৃদয় এখন শাহাবাগ আন্দোলন। এই আন্দোলনের সাথে আওয়ামী লীগ এবং অন্যান্য মুক্তিযুদ্ধ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির দল একাত্মতা ঘোষণা করেছে। একাত্মতা পোষণকারী দলের অনেকে এখন সরকারে । সুতরাং শাহাবাগ এর আন্দোলন সরকারের চেয়ে শক্তিশালী।
মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তির অর্থ বুঝেন ? যে শক্তির শান্তি পূর্ণ আন্দোলনের ভয়ে আপনারা জাতীয় পতাকা ছিড়ে ফেলেন , শহীদ মিনার ভাংগেন , জনতার মঞ্চ তছনছ করেন , হিন্দু বাড়িঘড়ে আগুন লাগান , লুট করেন , প্ললীবিদ্যুতের বাড়ী ঘড়ে আগুন দেন , ট্রেনের লাইন তুলে ফেলেন , থানা আক্রমণ করে পুলিশ খুন করেন , গাড়ী পোড়ান এবং মুক্তিযোদ্ধা সংসদের অফিস ভাঙ্গেন - সে শক্তিকে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি বলে।
এখন বুঝে দেখুন - শাহাবাগের শক্তির মোকাবেলায় কত কিছু করতে হচ্ছে আপনাদের ।

দলের নামগুলো পাল্টে ফেলে সরাসরি হয়ে যান । পাকিস্থান জাতিয়তাবাদি দল , পাকিস্থান জামায়াত ইসলাম , পাকিস্থান ইসলামী ছাত্র শিবির = রাজাকার।
আচরণ করবেন পাকিস্থানির , ব্যাবহার করবেন বাংলাদেশ নাম , এটা উচিৎ নয়।

0 Shares

৬টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ