সত্যি ঘটনা তবে স্থান,কাল,পাত্র বলা হবেনা। ভুক্তভোগি বা অভিজ্ঞরা বুঝবেন অবশ্যই।
janodarodi_1239042702_1-mobile
বন্ধু সম প্রকল্প পরিচালকের দামী মোবাইল ছিনতাই হয়ে গেলো একদিন সন্ধ্যায়। ভীষন মন খারাপ। মন খারাপের কারনে কফি দিয়ে আপ্যায়নের কথাও ভুলে গেলেন। মনে করিয়ে দিলাম,দাদা কফি পাইনি এখনো।
আরো দুঃখী মুখে বললেন ' জিসান ভাই নিজে নিয়ে নিন '।
-আরে ধুর মন খারাপ করবেন না তো,দেখি উদ্ধার করা যায় কিনা- বললাম আমি। অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকালেন আমার দিকে।

সংক্ষেপে বলছি এখনঃ
সোর্স ধরে গেলাম এমপি সাহেবের কাছে।
- ভাই আমার এক বন্ধুর মোবাইল ছিনতাই হয়েছে, ব্যাপারটা যদি একটু দেখতেন।
উনি জিজ্ঞেস করায় সব কিছু বললাম তাঁকে,কেমন মোবাইল,কোথা থেকে,কখন ছিনতাই হয়েছে। ফোন করলেন একজনকে, কথা বললেন একটু দূরে গিয়ে। ফোন রেখে বললেন,
- আগামী কাল বিকেল পাঁচটায় আপনার বন্ধুকে নিয়ে ওমুক স্থানে গিয়ে ০১৭১২......... এই নাম্বারে ফোন দিয়ে আমার কথা বলবেন।

পরদিন বন্ধুকে নিয়ে ওমুক স্থানে গিয়ে ঐ ফোন নাম্বারে কল দিলে একটা বাড়ির নাম্বার দিলেন।গেলাম সে বাড়িতে। কলিং বেল টিপলেই একজনে দরজা খুলল।বললাম আমরা ফোন দিয়েছিলাম......ভাই বলেছেন একটা মোবাইলের কথা।
ভিতরে একটা কক্ষে নিয়ে গেলেন। ৩টা বড় ডাইনিং টেবিল একসাথে লম্বালম্বি করে রাখা। আমাদের চোখ তখন কপালে উঠে গিয়েছে। টেবিলের উপর শতশত মোবাইল রাখা।

বললেন তিনি,খুঁজে নিন আপনাদের মোবাইল।অল্প সময়েই খুঁজে পেলাম।কারন অত দামী মোবাইল এবং মডেল খুব কম। মোবাইল হাতে নিয়ে বললাম,ভাই আমাদের নাম্বারে একটা কল করুন,প্রমাণ নিন যে এটা আমাদের মোবাইল।' প্রমাণের দরকার নেই, ভাই বলেছেন যেটা ইচ্ছে আপনারা নিয়ে যান।'

ভাইয়ের বদৌলতে আমরা ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফিরে পেলাম।ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞ আমরা। তবে ওনার ছত্রছায়ায় যে মোবাইল ছিনতাইও হতো এটি আর বলা উচিৎ না,কারন ভাই এখন মৃত।মৃত মানুষের দুর্নাম করা উচিৎ না।

মোবাইল উদ্ধার করার পরে প্রকল্প পরিচালক বন্ধু সম ব্যাক্তির কাছ থেকে আলাদা সমীহ পাওয়া শুরু করেছিলাম। 'জিসান ভাই আপনার হাত তো অনেক লম্বা- বলতেন তিনি। হাত বাড়িয়ে দিয়ে আমি বলতাম ' আসুন মেপে দেখি কার হাত লম্বা বেশী' 🙂

 

অঃকঃ নিজের ছিনতাই হওয়া মোবাইল উদ্ধার করার আর একটি সত্যি কাহিনী লিখবো কোন একদিন।

0 Shares

৩৮টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ