হে উন্মুখ স্বপ্নাকাশ,
চল না খনিকের একটু খেই হারাই, ভিড়-ভাড় ঠেলে-ঠুলে,
শ্যেন চোখে ধুলো ছুড়ে,
কাঁটার ঝোপ আর ভেজার বর্ষা এড়িয়ে।
এমন শীতোষ্ণতায় একটু আগুন ছানি,
দূরে, বহুর দূরে অগোছালো বনের গহীন গভীরে;
একাকীর স্থির নিস্তব্ধতায় বিদ্ধ করি নিজেকে, নিজের চোখে;
খুবলে নেয়া হৃদে অস্থির বরফ ফেলি গোলাপি গোলাপের ভেজা সুবাসে।
সে আকাশ উন্মুক্ত হও;
সুনসানের নীরবতায় উন্মুখ হৃদয়ে বসন্ত যে এসেই গেল, শীতের ডানা মুচড়ে,
এসো এসো হে নিশ্চুপ নীরবতা, তোমাকেই করি পান প্রাণমনে
নিঝুমের এ সুমধুর মাদক মাদকতায়।
নিবিড়ের নিখুঁত নিক্বন নীরবতায় এসো,
জিরোই এবার, অনেক তো হলো;
বিরক্তির পিঁপড়েরা পিল পিল করে এ অব্দি পৌঁছুবে, সে ও তো জানি ই।
চির অম্লান চিকমিক নাদুসনুদুসের বন্ধনে নিরীহ আলসে এখন চালশে,
মহা সমাদরে।
৩৫টি মন্তব্য
অরুনি মায়া
এই মনে হল আমার বুঝে এসেছে , পরক্ষণেই আমি অন্ধকারে
এই মনে হল আরে এটা তো খুবি সোজা, পর পরই আমি কঠিনের সমাহারে
এ যেন এক দূর্গম গিরি পথ, কাটা ঝোপ ঝাড় শেওলার আস্তরণ
ভাবনারা হেরে যায় বারে বার, মর্ম উদ্ধারে হৃদয়ে শুরু হয় আন্দোলন ,,,
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবি, তবে তা এত ছন্দায়িত হয় না, হওয়া হয়ত সম্ভব ও না।
আমিও ভাবি এই বুঝি স্বপ্ন ধরা দিল, আবার দেখি অধরা।
মহা সমাদর হয়ত স্বপ্নেই সম্ভব।
তবুও স্বপ্ন পূরণের আকাঙ্খা আমাদের থেকেই যায়।
অরুনি মায়া
স্বপ্ন আছে বলে আজও যাচ্ছে সময় কেটে
থামবে যেদিন স্বপ্ন খেলা রইব পড়ে বন্ধ আঁখি পটে,,,
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্নে স্বপ্ন দেখার বহুত সুবিধা,
আখি খোলা বা বন্ধের কিছু নেই, স্বপ্ন স্বপ্ন হয়েই থাকতে পারবে।
নাসির সারওয়ার
পড়তে থাকি, দেখি কতদুরে যায়।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও দেখতে থাকি সুরের ছোঁয়া কত দূর অব্দি পৌছায়।
স্বপ্ন
লেখার মাঝে স্বপ্ন শব্দ থাকলে আমার খুব ভালো লাগে 🙂 কবিতা এত সহজ কেনো?
ছাইরাছ হেলাল
আমিও স্বপ্ন দেখতে খুব ভালোবাসি।
আমিও ভাবছি এত্ত সহজ কেন এরা।
ভোরের শিশির
পিঁপড়ের বিরক্তি… উফফ…
ছাইরাছ হেলাল
উফফ, এখানেও দেখছি বিরক্তিরা পিপঁড়ের বেশে পিল পিল করছে।
অবশ্য তা স্বাভাবিক, তাও জানি।
ভোরের শিশির
:p অবশ্য পিঁপড়ে যেখানে সেখানে মধুও আছে 😀
ছাইরাছ হেলাল
এবারে ঠিক ধরেছেন দেখছি।
মোঃ মজিবর রহমান
জিররে হবেনা, বস!
চাই আর স্বপ্নভরা লেখা।
ভাল লাগলো।
বস আমি বেশি বানানে পারিনা, তবে শ্যেন ,ভেজার এই দুটো বানান কি ঠিক যদি হয় অর্থ জানানলে খুশি হব। জানি বিরক্তি প্রকাশ করবেন যে এটা ডিকশনারি না।
ছাইরাছ হেলাল
আমার ও ভালোই লাগে আপনি সাথে আছেন দেখে।
ঠিকাছে অর্থ আগে খুঁজে পাই, তারপর কালবিলম্ব না করেই আপনাকে জানান দিব
মোঃ মজিবর রহমান
আপনার লেখার আশায় থাকি
তবে আমি চোর
অফিসের কাজের ফাঁকে
সময় চুরি করি এই জা।
ছাইরাছ হেলাল
চোরাচুরি করা খারাপ কিছু না , এক্ষেত্রে,
চলবে।
মোঃ মজিবর রহমান
হুম! ভাল লাগলো বস।
-{@
আলমগীর মুহাম্মদ সিরাজ
সুন্দর বলেছেন। ভালো লাগলো অনেক। 2 বার পড়ে নিলাম
ছাইরাছ হেলাল
দু’বার পড়েছেন!!
আপনাকে ধন্যবাদ পড়ার জন্য অবশ্যই।
ব্লগার সজীব
স্বপ্ন পুরন হোক,আমীন 🙂 আমি নিলাম কবিতাটি,একজনকে দিতে হবে 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আমিও চাই স্বপ্ন ধরা দিক, কিন্তু ব্যাটে বলে তো হচ্ছে না।
একজন কে দেয়ার আগে মাথায় হেলমেট পড়ে নিতে ভুল করবেন না।
আপনার ও দেয়া- দেয়ির ব্যাপার আছে!!
মরেছেন নির্ঘাত।
ব্লগার সজীব
আপনি দিতে চাইলে জাষ্ট দিয়ে ফেলুন 🙂 এত চিন্তা ভাবনার কি আছে?আমি তাঁকে দেবোই,ইচ্ছে হয়েছে,দেবোই দেবো।ইচ্ছে তো হতেই পারে ভাইয়া 🙂
ছাইরাছ হেলাল
জাস্ট দিয়ে দিলাম, মাইর-মুইর না খেতে হয় আপনাকে তাই এমন ভাবনা।
নীলাঞ্জনা নীলা
“একাকীর স্থির নিস্তব্ধতায় বিদ্ধ করি নিজেকে, নিজের চোখে;”…বেশ লাগলো পুরো কবিতাটিই। এই লাইনটি কোট করলাম কারণ আমরা সকলেই মনে হয় একার ভেতরে একাকী নিজেকেই বিদ্ধ করি স্থির নিস্তব্ধতায়।
ছাইরাছ হেলাল
নিজেকে নিজের মুখোমুখি আমাদের হতেই হয়, হই ও।
মতামতের জন্য ধন্যবাদ।
জিসান শা ইকরাম
এমন আহ্বান উপেক্ষা করা কঠিন
উপেক্ষা করা অন্যায়ও বটে
আমন্ত্রন গ্রহন করে আমাদের আনন্দিত করা হোক -{@
শুভ কামনা।
ছাইরাছ হেলাল
স্বপ্নাকাশ এ আহ্বানে সাড়া দিলে মন্দ হয় না,
আশা ছাড়ছিনে কিছুতেই ।
দেখা যাক কী হয়।
রিমি রুম্মান
সে আকাশ উন্মুক্ত হও;
সুনসানের নীরবতায় উন্মুখ হৃদয়ে বসন্ত যে এসেই গেল, শীতের ডানা মুচড়ে,
এসো এসো হে নিশ্চুপ নীরবতা, তোমাকেই করি পান প্রাণমনে
নিঝুমের এ সুমধুর মাদক মাদকতায়।___ এই লাইনগুলো বেশি ভাল লাগলো ।
শুভকামনা
-{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনার জন্য ও শুভ কামনা, যাক কিছুটা হলেও আপনার ভাল লেগেছে
জেনে আনন্দিত।
শুন্য শুন্যালয়
আগুন নিয়ে ছানাছানি, সব্বোনাশ। চোখে ধুলো ছড়িয়ে, এড়িয়ে, ঠেলে ঠুলে কোন আকাশে ছুটছেন ভাউ? সব যে দেখে ফেলছি। ও আকাশ স্বপন দেখায় দেখায় ঠিকই, তবে মাতাল হয়ে ঠাশ করে মাটিতে ফেলে দিলে কিন্তু খবর হয়ে যাবে। 😀
আপনি যেন কেমন করে লেখেন ভাইয়া, সব লেখাই আমার কাছে রূপকথা লাগে, ঘোর ঘোর ভাব। নীরবতা পান করা, অস্থির গোলাপি সুবাসে বরফ ফেলা, বিরক্তির পিঁপড়ে পিল পিল করে আসা –সবই কেমন স্বপ্নকাশের শব্দের মতো।
অসাধারন!
কিন্তু সে কি এলো? নাকি গান গাইছেন? সেতো এলোনা, সেতো এলোনা, যারে সঁপিলাম এই প্রান, মন দেহ- 🙂
ছাইরাছ হেলাল
আপনাকে এড়িয়ে কিচ্ছুটি করার উপায় নেই দেখছি,
মাতাল হয়ে মাটিতে পড়লে সমস্যা কী, মাতাল ই তো। পাগল ও বলতে
এ আর এমন লেখা কী? সামান্য আউল- ফাউল মাত্র।
আপনি মনে হয় একটু বেশি ভাল বলছেন!! স্বজনপ্রীতি- টজনপ্রীতি করা ঠিক না,
অবশ্য স্বজনেরাই এর দাবীদার এবং তা তারা পাবে।
না কেউ আসতেই চায় না!!
শুন্য শুন্যালয়
না, না আগের টুকুই ঠিক ছিল, স্বজনপ্রীতি ট্রিতি ঠিক না, বিশেষ করে যখন লাভের লাভ কিছুই হয়না, শেখালেনই না এমন করে লেখা 🙁
কথা হচ্ছে, নিস্তব্ধতা আর নীরবতা এত বেশি কেন? নিশ্চুপ নীরবতা কিন্তু ডেঞ্জারাস, ইচ্ছের মাল্টিপ্লিকেশন সেখানে কএক গুন বেড়ে যায়। ক্ষনিকের স্বপ্নাকাশে খেই হারানো চলুক, আসবেনা মানে! আলবৎ আসবে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি যখন বলছেন তখন বল-ভরসা পাচ্ছি। দেখি অপেক্ষায় মেওয়া আসে কি না!!
আমরা কিন্তু একদিন সত্যি সত্যি গভীরতর নীরব নিশ্চুপ হব, মনে রাখি যে।
মন্তব্য করাই শেখালেন না!! অন্য কিছু তো বাদ ই রেখেছি।
মৌনতা রিতু
সে আকাশ উন্মুক্ত হও
ভালো লেগেছে।
কবিতা বুঝতে সময় লাগে,তাই বুঝে পড়তে হয়।কারণ কবিতার গভীরতা অনেক।
ধন্যবাদ।
ছাইরাছ হেলাল
আমি নিজেও কিন্তু ভাল না বুঝেই লিখে যাই।
তাই কোন ব্যাপার না।
ধন্যবাদ দিচ্ছি।