কাগজে মানি, আচরণে না।

রিতু জাহান ২০ আগস্ট ২০১৬, শনিবার, ১২:২৯:২২পূর্বাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৪০ মন্তব্য

আমাদের দেশে ছেলেমেয়েদের প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে তাদের মনের চাহিদা। বাচ্চা সুলভ আচরণগুলোর পরিবর্তন হয়েছে খুবই দ্রুত। শিশু থেকে কিশোর, কিশোর থেকে যৌবন। কিন্তু শিশু থেকে সরাসরি যৌবনেই যেন চলে যেতে চায় আজকালকার ছেলেমেয়েরা। কিশোর বয়সটা যেন চোখের পলকেই সরে যায় তাদের জীবন থেকে। কিশোর বয়সের ছেলেমেয়েদের আমরা তাদের বয়স অনুযায়ীই আচরণ দেখতে ভালবাসি। কিশোর কিশোরী যদি বয়স আনুযায়ী আচরণ না করে, তবে তো দৃষ্টিকটু লাগবেই। প্রযুক্তির সাথে পাল্লা দিয়ে আমরা তাদের খুব তাড়াতাড়িই বড় করে দিচ্ছি। নাকি তারাই অতি দ্রুত বড় হয়ে যাচ্ছে ! আমি কাউকেই একতরফা দায়ী করছি না। এটা যেন সিস্টেমের দৌড়।
আমরা বয়স না হতেই মোবাইল ফোন, তাও আবার এন্ডরয়েড দিয়ে দিচ্ছি হাতে। ক্লাস সিক্সের বাচ্চা যখন ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট করে চ্যাট করে, নিষিদ্ধ ছবিগুলো খুব মনযোগ দিয়ে দেখে, তখন সত্যি লজ্জা রাখার জায়গা থাকে না।

কিছু ছোট খাটো  ঘটনা ধরেই বলিঃ
* ঈদের কেনাকাটা করতে সাধারণত আমি উনার সাথে রাত এগারোটার পরেই যাই। মফস্বল শহরগুলোতে তখন অনেক রাতই। প্রায় সময়ই পরিচিত দোকানেই যাওয়া হয়। এক দোকানে যাবার পরে দেখলাম খুবই অল্প বয়সের কয়েকটা ছেলে দোকানে এসে মেয়েদের "পাখি জামা" খুঁজছে। ফোনে আবার তার প্রেমিকাকে জিজ্ঞেস করছে জামার রং ও সাইজ। ফিসফিস করে বলছে তবুও শোনা যাচ্ছে। আমরা যে পাশে বসে আছি সে দিকে কোনো খেয়ালই নেই। ম্যানরসই নেই হয়ত। মুলত এইসব কিশোর ও তরুন ছেলেরা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এমন সব সম্পর্কে পড়ে। পরিবারে চুরি করছে। পরিবার ও সমাজে এর প্রভাব পড়ছে।

**  ইদানিং দুই বুড়াবুড়ি এখানে একটা রেস্টুরেন্টে গিয়ে কফি অথবা লাচ্ছি খাই (এই বুড়ো বয়সে এসে অবশেষে এই বুড়ির প্রতি তার প্রেম বেড়েছে, বুড়োরে যে আর কেউ প্রেম নিবেদন করছে না)। যাই হোক পাশের টেবিলে বেশ কিছু উঠতি বয়সের তরুন তরুণী কিশোর কিশোরী এসে বসে। কি প্রাণ তাদের আড্ডায় ! ভালো লাগে দেখে। ওদের মাঝে দেখি আমরা আমাদের হা্রানো দিন। আবার আফসোসও হয়, ঐ বয়সে আমরা অনেক কিছুই বুঝতাম না। আর এরা বয়স্কদের চেয়েও বেশি বোঝে। যেন এক উড়ন্ত প্রজাপতির দল।

এদের আবেগও যেন ক্ষণস্থায়ী। তারা মুহুর্তের আবেগে প্রেমিক প্রেমিকার জন্য সবকিছুই করতে পারে। এই যেমন, কোনো সচ্ছল পরিবারের মেয়ে কোনো বেকার অসচ্ছল ছেলের প্রেমে পড়ে সারাক্ষণ ফোনে জিজ্ঞেস করবে," খেয়েছো"। ছেলেটি ফোনে বলবে," খাইনি, সকালে হালকা নাস্তা খেয়েছি এক টিউশনিতে, দুপুরেও খাইনি, বিকালে একটা টিউশন আছে, তারা যদি নাস্তা দেয় তখন খাওয়া হবে"। এই কথা শুনে মেয়েটি অতি আবেগে আপ্লুত হবে, তাকে খাওয়ানোর জন্য অস্থির হবে। নিজের পকেট মানি সে ছেলেকে দিতে অস্থির হবে। এমনকি মায়ের টাকাও চুরি করে দিয়ে দেবে বলে।
আবার সচ্ছল আগোছালো ছেলের প্রেমে পড়লে এই মেয়েটি তার এসাইনমেন্ট করে দিবে, রাতে বন্ধুদের সাথে বের হতে নিষেধ করবে। সারাক্ষণ আগলে রাখার চেষ্টা করবে।
এই ব্যাপারগুলো ঘটে কা্লণ মেয়েরা এসব ছেলেদের প্রতি আকৃষ্ট হয় বেশি। মেয়েদের হরমোনে এমন কিছু আছে, যা তাদের মা হবার আগেই মাতৃত্ব করে দেয়। এটা তাদের সহজাত অভ্যাস। কিন্তু এই আবেগও ফুস করে উড়ে যায়। তার মনে অন্য একটি স্বত্বাও কাজ করে, সে মনে মনে ভাবে, এই ছেলে বেকার, অগোছালো তার সাথে ফিউচার ভাল হবে না।

মেয়েরা একটা নিরাপদ আশ্রয় চায়, চায় একটি গোছানো সংসার, সেই সংসারে সচ্ছলতা থাকবে। অসচ্ছলতা থাকলে যতোই প্রেম থাকুক তা যে ঠুনকো এই উপলব্ধিতে সে মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে পরিচয় হওয়া, আমেরিকান ও সরকারী কোনো উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাকে বিয়ে করে সে নিরাপদ আশ্রয়ে ঢুকে যায়। সে তার স্বামীর হাজার ব্যস্ততা মাঝেও চাইবে, শীতের রাতে মুখ থেকে কাঁথা সরিয়ে জিজ্ঞেস করুক,"খেয়েছো তো"।

আমাদের ছেলেমেয়েগুলো বয়স হওয়ার আগেই এইসব পারিপার্শ্বিক বিষয়ে এতো বেশি পেকে যায় যে তাদের সামনে দিয়ে হাঁটতেই লজ্জা লাগে। তারা অতি আধুনিকতার দোহাই দিয়ে, রাস্তাঘাটে, কলেজ ক্যাম্পাসে এমনকি স্কুলেও এমন ভাবে তাদের প্রেমের সম্পর্কগুলো প্রকাশ করে যে আমরা বড়রাই লজ্জা পাই। এরকম বন্ধুবান্ধবদের সামনে নিজের প্রেসটিজ রাখতে, তাদের সামনে শো করতে চায় দামি ফোন, বয়স হওয়ার আগেই দামি বাইক। এতে পরিবারের পুরোপুরি সাপোর্ট না পেলে সেই ছেলেমেয়ে হয় বিপদগামী। তারা টাকা উপার্জনে অন্য পথ বেছে নেয়। অপরাধ করে মারাত্বক সব। এদের জুতসই শাস্তিও দেয়া যায় না। ঐ যে মনে, শরীরে বাড়লেও কাগজে যে তার বয়স কম!

সময় এসেছে এদের কাউনসেলিং করার। এদের নজরে আনার। নতুন করে ভাবতে হবে, কীভাবে এদের বড় করব।

0 Shares

৪০টি মন্তব্য

  • ইকরাম মাহমুদ

    যুগ পাল্টেছে নাকি পাল্টিয়ে দিচ্ছি?
    একটা ছোট্ট বাস্তব গল্প বলি, আমি এক ছাত্রকে পড়াতাম বাসায় গিয়ে। ছাত্রের ছোট বোন আড়াই বছর বয়স হবে। এই বয়সের বাচ্চা তার মায়ের সাথে সন্ধ্যা ৬ টায় টিভির সামনে বসে আর টিভিতে কি দেখে তা নিশ্চয়ই বলে দিতে হবে না। বাচ্চা মেয়েটি মাঝে মাঝে আমার কাছে আসতো, কোলে বসে থাকত। একদিন বলছে, স্যার জানেন? ঝিলিক না পুলিশের সাথে প্রেম করে। বিষয় টা স্টার জলসার একটা নাটকের। শুনেও না শোনার ভান করলাম। আমি বললাম, প্রেম কী জানো? সে লাজুক ভঙ্গিতে বলল, প্রেম মানে বিয়ে করা। একটুকুন বাচ্চা প্রেম মানেটা। কিভাবে জানল? তার বয়সে কি জানার কথা? আর জানছে কি? দোষ কাকে দিব? মিডিয়া, যুগ নাকি অভিভাবকের।
    যুগ পাল্টেছে, সে যুগে এসে বুঝি অভিভাবকরাও মনে হয় মনের দিক থেকে অপরিপক্ক রয়ে গেছেন।
    খুব ভালো একটা বিষয় উপস্থাপন করেছেন। আমরা আমাদের সময়ে যা না বুঝতাম, না করতাম, এ যুগের অতি অাধুনিক পোলাপানরা তাই করছে। অতি আধুনিক অভিভাবকগণ তাদের হাতে এন্ড্রয়েড তুলে দিচ্ছেন ভালো রেজাল্টের প্রতিশ্রুতি দিয়ে। আর সে বাচ্চারা হয়ে উঠছে অত্যাধুনিক।

    • মৌনতা রিতু

      সত্যি কিছু মায়েদের আচরন দেখলে কিছু বলার আর ভাষা থাকে না। ছেলেমেয়ে জন্ম দিয়েই যেন উদ্ধার করেছে। ঠিকমতো তাদের সাথে কোনো বিষয় নিয়ে আলোচনাই করে না। মনে করে ছেলেমেয়েদের সাথে এতো সব আলোচনার কি আছে ! এমনকি আমরা আমাদের বাচ্চাদের সামনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করাকেও রাজনীতির আলোচনা মনে করি। কিন্তু তাদের তো চেনানো উচিৎ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
      ধন্যবাদ ভাই।

  • ছাইরাছ হেলাল

    প্রযুক্তি আমাদের চাই ই, জীবন মানের জন্য, কিন্তু কথা হলো এর ব্যাবহার নিয়ে,
    একটি ছুড়ি দিয়ে ডাক্তার আমাদের জীবন বাঁচান, ছুড়ি হাতে ছিনতাইকারী সাক্ষাৎ জমদুত।
    অতএব আমাদের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই এবং সেটা যত তাড়াতাড়ি আমরা সেটি শুরু করতে পারি
    ততই মঙ্গল।

  • জিসান শা ইকরাম

    আমরা বাঙ্গালীরা যে কোন কিছুরই খারাপটা গ্রহন করি,
    যেমন ব্রিটিশদের কাছ থেকে আমরা রেল সার্ভিস পেয়েছি, সাথে চরম চুরি করা নিজেরা নিয়ে নিয়েছি।
    ব্রিটিশদের কাছ থেকে আমরা প্রশাসন শিখেছি, নিজেরা এর সাথে মিশিয়েছি শোষন করা, ঘুষ খাওয়া। জেলার জনগনের সবচেয়ে বড় চাকর হয়ে গিয়েছে বড় শাসক। জেলার জনগনের সবচেয়ে বড় পাহাড়াদার হয়ে গিয়েছে আইনানুগ লাঠিয়াল সর্দার।

    আধুনিক প্রযুক্তির অপব্যবহার করছি, সন্তানরা শিখছে তা,
    সন্তানদের এই অবস্থার জন্য দায়ী আসলে পরিবারের।

    কাউনসেলিং করা দরকার আসলে এদের পিতামাতা, ভবিষ্যত পিতামাতা এবং এদেরকে।
    ভাল লিখেছেন।

    • মৌনতা রিতু

      মাকে যখনই সন্তান বলবে,”তুমি বেশী বোঝ”। কসে তখনই দুই গালে চড় দিতে হবে। শাষন করছি না বলেই আজকাল এমন হচ্ছে বেশী। বাবা মা যেকোনো একজনকে ছেলেমেয়েকে ভয় পেতেই হবে। মা হলো সেই ভয়ের যায়গা। বাবাকে বন্ধু হতে হবে।
      বৃটিশদের কাছ থেকে শিখেছি যতো আজাইরা জিনিস। ভাল জিনিস শাখেছি কম। একটা অকিন্নি, খেতে পারেনা, তার ঘরের উঠতি বয়সের মেয়ের হাতে দামি ফোন!
      সব কিছু আসলে নাগালের বাইরে। কিছুই করার নেই।

  • মারজানা ফেরদৌস রুবা

    সুন্দর একটা পয়েন্ট তুলে এনেছো।
    হ্যাঁ, আমিও বলবো এই সমস্যাগুলো জন্য দায়ী অভিভাবক। পারিপার্শ্বিক অবস্থা তো আছেই। তবে সবচেয়ে যার ভূমিকা অগ্রগণ্য সে হলো ‘মা’।
    মায়ের উপরই নির্ভর করে সন্তানের পথ চলা। আমি বাইরে কাজ করার সুবাদে দেখেছি আর অনুভব করেছি সন্তানের বকে যাওয়ার পেছনে ৭০% দায়ী মায়েরাই।
    মায়েরাই সন্তানকে প্রশ্রয় দেন বেশি। সঠিক সময়ে সঠিক শাসন করতে পারেন না বা সন্তানকে অনুকূলে রেখে সুন্দরভাবে ভালো-মন্দ বুঝাতে পারেন না।
    সবচেয়ে বড় কথা বেড়ে উঠাকালীন সন্তানকে টানাপোড়নের মধ্যে বড় করতে হয়, এটি মায়েরা একেবারেই করেন না। সন্তানকে সুখী রাখতে তারা চাহিবামাত্র সব হাজির করেন, প্রয়োজনে বাবার সাথে ঝগড়া বাধিয়ে, যা সন্তানের বকে যাওয়াকে তরান্বিত করে।

    • মৌনতা রিতু

      অনেক মা আছে কড়া শাষন ও পাশাপাশি আদর দিয়ে সন্তানকে সঠিক পথে পরিচালনা করে। আমকর নানি বলত,” আয় তং যায় তং, বাবাহের কারো নং” মানে মেয়েরা যদি মূল শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় বক শিক্ষাঙনে না যায় তবেই এই যাওয়াকে শুধু বিয়ের জন্যই যাওয়া বলে।
      আমি মিশন স্কুলে পড়তাম তাই স্কুল বয়সে সাজগোজ বুঝিনি। হয়ত এই জন্য স্কুল বয়সে এসব দেখলে আমার অস্বস্থি বেশী লাগে। বাচ্চা যদি বাচ্চাসুলভ আচরন না করে তবে তা খুবই দৃষ্টিকটু লাগে।
      তুমি ভাবতে পার আপু, উদ্ভাস্তু অসচ্ছল পরিবারের কিশোরি মেয়েদের হাতে ফোন, স্কুলের মেয়েরা মোড়ের দোকানে গিয়ে ফেসবুক চালাচ্ছে। তারা বয়স না হতেই একটা অনৈতিক সম্পর্কে জড়াচ্ছে। ফ্যাশানের প্রতিযোগিতায় নেমে, প্রেমিক প্রেমিকার কাছ থেকে টাকা লেনদেন করছে। বিভৎস অবস্থা। আর ওরা এটাকে কোনো ব্যপারই মনে করছে না। কেন এমন হচ্ছে, এই প্রশ্ন নিয়েই শুধু ঘুরছি। তুমি ভাবতে পারো, ইন্টকর ফার্স্ট ইয়ারের এক ছেলে ক্লাস সেভেনের পড়ুয়া মেয়ের বিচ্চার মা হচ্ছে ! তাও এই নিজের চোখে দেখছি। এসব মারা একটি বার জিজ্ঞেস করছে না,” তুমি এই ফোন কোথায় পেলে, টাকা কোথায় পেলে, জামা কোথায় পেলে”? মনে মা ও মেন খুবই খুশি।
      ধন্যবাদ আপু। শুভেচ্ছা নিও।

  • ইঞ্জা

    আপু প্রথমেই আপনাকে এলার্ট করি বানর নাকি যতই বুড়ো হোকনা কেন পল্টি দিতে ভুলেনা তেমনি দুলাভাই যতই বুড়ো হোকনা কেনো টাংকি মারতে ভুলবেন না, সুতরাং সাধু সাবধান। :p

    এখন আসি আপনার স্টাটাসে আর এর পরিপ্রেক্ষিতে আমার পরিবারের কথা বলি, আমার বাচ্চারা যখন ছোট জাস্ট স্কুল গোয়িং তখন থেকেই প্রতিদিন খাবার টেবিলে, অবসর সময়ে আমি তাদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাউন্সেলিং করতাম, যেমনঃ আচার আচরণ, ড্রাগ বিষয়ক, পড়াশুনা ইত্যাদি আবার যখন বড় হয়ে কলেজে যাচ্ছে তখন থেকে ড্রাগ, প্রেম, বিয়ে, জঙ্গি ইত্যাদি আর এতে আমার বাচ্চাদের আচরন ছোট বড় সবার কাছে ভালো, স্কুল কলেজে সুন্দর ব্যবহারের পরিচয় বহন করছে।
    সেল ফোনঃ আমার মেয়ে এইবার সেকেন্ড ইয়ারে (HSC), ও এখনো মোবাইল ফোন পাইনি নিজের করে।

    সুতরাং আপনার সাথে আমি সহমত পোষন করছি আর সাথে এয়ো বলতে চাই, পৃথীবিতে বাবা মার চাইতে বড় কাউন্সেলর আর নেই।

    • মৌনতা রিতু

      আমি বড় বাবার সাথে স্কুলে গেলে, বা অন্য কোথাও যাওয়ার সময় সাধারনত ওর ঘাড়ে হাত রেখে হাঁটি। এতে হয়ত ও খুব আনন্দ পায়।
      আমরা চারজন খুব আড্ডা মারি। রাতে বড় কাঁসার প্লেটে ভাত মাখিয়ে চারজনই খেয়ে নেই। তবে বুড়ার সাথা ঝগড়া হলে, বুড়াকে ছেঁড়েই খেয়ে নেই :p সিক্সের ছেলে এখনো মায়ের হাতে নতুবা বাবার হাতে খাবে। সব কথা বাবাকে বলবে। সন্তান বন্ধু না হলেই সমস্যা। ওদের দুই ভাইকে যদি বলি, মেয়ে থাকলে আমার কপালে সুখ হতো। তখন দুই ভাই, অস্থির হয়ে যায়। কীভাবে মাকে খুশি করা যায়!
      আর বুড়া, কোথাও যাবে না ভাই। গেলেও সময়মতো আসবে।

  • শুন্য শুন্যালয়

    সময়ের সাথে পাল্লা দিয়ে সন্তান পালন করা এখন অনেক কঠিন হয়ে উঠেছে। সন্তানকে বাবা-মা কম সময় দিচ্ছে, এটাও একটা বড় ব্যাপার। শিরোনাম টা চমৎকার দিয়েছেন, আমরা কাগজে মানি, লিখিও কিন্তু নিজেরাই মানিনা।
    কঠিন এই ব্যাপারগুলো যেন হাতের নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে।
    বিষয়গুলো নির্বাচন খুব সুন্দর হয় আপনার রিতু আপু। -{@

  • মিষ্টি জিন

    অত্যান্ত গুরুত্ব পূর্ন একটা বিষয় উপস্হাপন করেছেন রীতা আপু।
    এব্যাপারে আত্মীয় স্বজন বন্ধুদের বোঝাতে গিয়ে আমি ক্ষ্যাত, অত্যান্ত রূড মা উপ্যাক্ষান পেয়েছি।
    প্রযুক্তির দরকার আছে তাইবলে প্রযুক্তির অপব্যাবহার একদমই পছন্দ করি না।
    ছোট্ট একটা উদাহারন দেই , মেয়েদের পুরো স্কুলজীবনে আমরা চারজনমিলে দুইটা মোবাইল ব্যাবহার করতাম। মেয়েরা যেহেতু একা একা স্কুলে যেত তাই নিরাপত্তার জন্য স্কুলের নির্দেশেই ওদের মোবাইল দেয়া হোত । বাসাঁয় ফিরেই মেয়েরা মোবাইল আমার হাতে দিয়ে দিত।
    চারটা মোবাইল কেনার সামর্থ থাকা সত্বেও তা আমরা কিনিনি,কেন সেটা মনে হয় বুঝে নিয়েছেন।
    আপনারা বুডোবুডি ? খুবই ভালো।এইতো সমঁয় কাঁছে আসার
    :p
    অবসর নেয়ার সমঁয় হয়ে এলেও আমরা কিন্তু এখনও টিনএইজেই আঁছি \|/
    ধন্যবাদ আপু।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    কাউনসেলিং করা দরকার আসলে এদের পিতামাতা, ভবিষ্যত পিতামাতা এবং এদেরকে।
    ভাল লিখেছেন।

    জিসান ভাইয়ার কোথায় ঠিক>

    আপুরে এই বুড়া বয়সে আর কি একটু একটু তো ক্রবেই>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>>

  • আবু খায়ের আনিছ

    সময়টা খুব খারাপ যাচ্ছে, ১২-১৪ বছরের পোলাইন বলে প্রেম করে জীবন শেষ। এদের থাপ্পর দিয়ে বলতে ইচ্ছা করে জীবনের দেখেছিসটাই বা কি।
    প্রশ্নটা হচ্ছে কেন এই রকম হচ্ছে?

    অনুকরণ করা, একটা হতে পারে। শুরুতে ইকরাম যেমন বলেছে, আবার আমাদের আশে পাশে যারা বড় আছে যারা প্রকাশ্যে প্রেম করে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর সেই প্রেমের গল্প ছোটদের কাছে বলেও বেড়াচ্ছে। স্বাভাবিক ভাবেই সেই গল্প হয়ে থাকে সুখের গল্প, আর সুখি হতে সবাই চায়।
    বন্ধু-বান্ধব এর প্রভাব। বন্ধুরা প্রেম করছে আমাকে করতে হবে, এই মানষিকতা।
    নাটক সিনেমা, গল্পগুলোতে অপ্রাপ্তদের প্রেম এমন ভাবে উপস্থাপন করা হচ্ছে যেন এটাই স্বর্গের সুখ। অনুকরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

    এগুলো বন্ধ হওয়া প্রয়োজন, নয়ত তরুণ প্রজন্মের জন্য খুব খারাপ কিছু অপেক্ষা করছে।

  • প্রহেলিকা

    বর্তমান সময়ের নিদারুন চিত্র তুলে ধরেছেন। চোখের সামনে অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোর কিশোরীর বিব্রতকর পরিস্থিতি নিজেও দেখেছি। প্রথম প্রথম কিছুটা হতভম্ব হলেও এখন সয়ে গেছে। পরিবার পরিজনেরাও এর দায় নিশ্চই এড়িয়ে যেতে পারবে না বরং তাদেরকেই বহন করতে হবে। স্বয়ংসম্পূর্ণ পোষ্টে আর বেশিকিছু বলার নেই।

    সময় এসেছে এদের কাউনসেলিং করার। এদের নজরে আনার। নতুন করে ভাবতে হবে, কীভাবে এদের বড় করব।

    আপনার ভাবনার সাথে একাত্মতা প্রকাশ করছি।

    শুভকামনা।

    • মৌনতা রিতু

      অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আসলে সব কিছুই কেন যেন যান্ত্রিক এখন। আমরা বাচ্চাদের সাথে মোটেও খোলামেলা নই কোনো আলোচনাতেই। আমরা আমাদের মহান নেতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করলে অনেকেই তা রাজনৈতিক হিসেবে বিবিচনা করে।
      হ্যাঁ, অস্বিকার করছি না যে, যুগ পাল্টেছে। তাল মিলাতে হবে। কিন্তু তাই বলে দৌড়ায়ে নয়। ভাল যা তাই গ্রহন করি না কেন !
      শুভকামনা জানবেন।

  • নীলাঞ্জনা নীলা

    সুন্দর একটি পোষ্ট।
    জেনারেশন গ্যাপ কথাটির সাথে আমি খুবই একমত। আমার বাবা-মা যেমন করে তাঁদের শৈশব-কৈশোর-তারুণ্য কাটিয়েছে, আমরা অন্যভাবে কাটিয়েছি। আবার আমাদের সন্তানেরাও আমাদের থেকে ব্যতিক্রম। শুধু একটা জায়গাতেই আমরা সকল প্রজন্মই একইরকম। নিজের সন্তানকে সততার পথ দেখাতে কোনো বাবা-মা-ই পিছপা হননা। আমার চোখে প্রেম করাটা খারাপ না। বয়সের তুলনায় অনেক কিছুই কিন্তু আগে হয়ে যাচ্ছে। মেয়েরা রজঃসলা আগে হতো ১৪/১৫ বছর বয়সে। আর এখন ৫/৬ বছর বয়সেই হয়ে যায়। এটা একটা ছোট্ট উদাহরণ, এমন ভুরি ভুরি আছে। হয়তো ভাবছেন এসব কথা কেন আসছে? একটা মেয়ে ৫/৬ বছর বয়সেই জেনে যায় অনেক কিছু। একই কথা ছেলেদের জন্যেও প্রযোজ্য।
    ফোন দিলেই সন্তান খারাপ হয়ে যাবে, এমনই যদি বিশ্বাস রাখি নিজের সন্তানদের উপর তাহলে তো এই বিশ্বাস সত্যি হবেই হবে। আজকার সামাজিক পরিবেশ কি পরিমাণ নিরাপত্তাহীন! বাবা-মায়ের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম তো রাখতেই হবে।
    আমি বলছি না যে সন্তান এসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে কোনো অন্যায় করবে না। কিন্তু অন্যায় যাতে না করে সেই শিক্ষাটুকু তো দিতে হবে আমাদের বাবা-মাকেই। অনেক বছর আগে প্রায় বিশ/বাইশ বছর আগে একটা নাটক দেখেছিলাম বুলবুল আহমদের। মেয়ে ঐন্দ্রিলা মনে হয় ছিলো। মেয়ে অন্যায় করেছে, বাবা কথা বলাই বন্ধ করে দিয়েছিলো। আবার একই বিটিভি প্রচুর প্রেমের নাটকও দেখিয়েছে। আমরা কি সুবর্ণা-আফজালের প্রেমের নাটক দেখিনি যখন ক্লাশ পাইভ/সিক্সে পড়ি? আবার একইভাবে বাকের ভাইয়ের মাস্তানীও দেখেছি। নষ্ট হইনি।
    বাবা-মাকে আগে শিখতে হবে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে সন্তানের সাথে এমন ব্যবহার করা, যাতে তারা বাধ্য হয় বাবা-মায়ের কথার অমত না হতে। আমাদের দেশে বাবা-মা হবার আগে যদি কাউন্সিলিং-এর সিস্টেম থাকতো। যুগের সাথে অনেক কিছু বদলে যায়, আমাদের মেনে নিতে হয়। আবার সন্তানকেও মেনে নেয়া শেখাতে হয়।

    অনেক বড়ো মন্তব্য হয়ে গেলো মৌনতা আপু। আসলে আপনার পোষ্টটা খুবই ভালো লেগেছে। আমার মতামত জানাতে গিয়ে এতো বড়ো হয়ে গেলো, মেজাজ গরম হলে কিন্তু মন খারাপ হবে আমার। 🙁

    • মৌনতা রিতু

      কেন কেন মন খারাপ হবে কেন ? আমিই মাফ চাচ্ছি আপু, উত্তর দিতে দেরি হয়ে গেল। আরে দুই তিন দিন ধরে দৌড়ের উপর আছি।
      প্রযুক্তি আসলে কে কেমন করে ব্যবহার করছে এটাই বিষয় আপু। মফস্বলের অবস্থাটা আসলে ভিন্ন।
      তবে যুগের সাথে যদি ছেলেমেয়ে যদি সন্মানবোধটুকু হারিয়ে ফেলে, সেখানেই বড় কষ্ট।
      ভালোলেকো আপু।

      • নীলাঞ্জনা নীলা

        এতো ব্যস্ত, সেটা অবশ্য বুঝেছি। আর ঠিকই বলেছো মফস্বলের অবস্থা অন্যরকম। এখানে আমার ছেলেকে স্কুল থেকে ল্যাপটপ দিয়েছে লেখাপড়ার জন্য। কিন্তু গেমস কি কম খেলে? ছেলেকে বলেছি শনি-রবি যতো ইচ্ছে খেল, বাকী দিনগুলোতে আমি নেবোনা। খাওয়া বন্ধ করে দেবো। 😀
        কিন্তু আমি লাকী ছেলেটা আমার মতো পাজি-দুষ্টু হয়নি।

      • মৌনতা রিতু

        আমার দুইটা, গেমস্ খেলে তোমারটার মতোই, কম। আমাকে ভয় করে, আবার বন্ধুও আমি। কিন্তু সব কিছু নষ্ট করে ঐ বুড়টা। এক রত্তি ভয় ও করে না, আমার ছেলে দুইটা ওকে।
        ব্যাস্ততার কথা আর বলোনা ! বড়টা এবার ক্যাডেট কোচিং করছে,ছোটকুর পরীক্ষা চলছে। আর দেশের পরীক্ষা মানে তো বোঝ! আমি দুই ঘন্টা ধরে ছেড়ে দেই। কতো পড়বে ! বাচ্চা তো ! এতেই সত্যি আপু খুব ভাল রেজাল্ট করে। এই দুই ছেলে আমাকে মোটামুটি বেশ পুরষ্কার এনে দিছে। ওরা যেটাই করে প্রফুল্ল মনেই করে। তাই মনোযোগ থাকে।
        হ্যাঁ, আপু তোমার ছেলেকে দেখলেই বোঝা যায়। এরাই এখন আমাদের বাবা হয়ে গেছে, শাষন করে।

  • অপার্থিব

    //মেয়েদের হরমোনে এমন কিছু আছে, যা তাদের মা হবার আগেই মাতৃত্ব করে দেয়।//

    এটা হরমোনজনিত কিছু না , প্রজাতি টিকিয়ে রাখতে নারীদের ভুমিকা সবচাইতে বেশি। একারনে আমাদের সমাজে নারীর মাতৃত্বকে গৌরবজনক দৃষ্টিতে দেখা হয় যদি সেই মাতৃত্ব সমাজ অনুমোদিত তথা বিয়ের মাধ্যমে অর্জিত হয়। সব মেয়ে ছোট বেলা থেকেই এই জিনিসটা দেখে তাই তার মধ্যে স্বভাবগত ভাবেই এই বোধটা জন্ম নেয়। পুরুষতান্ত্রীক সমাজে নারীর চিন্তা, কর্ম ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা না থাকায় বিয়ে তার কাছে শুধু যৌন সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি হয়ে থাকে না , একই সঙ্গে সামাজিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তার নিশ্চয়তাও হয়ে দাঁড়ায়। অল্প বয়সী মেয়েরা অনেক সময় আবেগের কাছে হার মানে ফলে নিজের স্বতন্ত্র ক্যারিয়ারের মুল্য বোঝে না। যার মুল্য তাদের ভবিষ্যতে দিতে হয়।

    যুগ পাল্টাবে , পুরোনো মুল্যবোগুলো ভেঙ্গে নুতুন মুল্যবোধের জন্ম হবে। এগুলো আসলে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। পুরোনো মুল্যবোধ দিয়ে নুতুন মুল্যবোধগুলোকে যাচাই করাটাও ঠিক নয়। তবে এই প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের মধ্যে নৈতিকতা জনিত কিছু সমস্যা যে আছে তা নিয়ে সন্দেহ নেই।

    ভাল পর্যবেক্ষণ করেছেন। ওদের সমস্যা বুঝতে গেলে আসলে ওদের মত চিন্তা করার চেষ্টা করতে হবে।

    • মৌনতা রিতু

      হরমোন জনিত অবশ্যই আছে। স্বভাবজনিত তো আছেই। এটা মানা না মানা অন্য কথা।
      আসলে সমাজের মূল্যবোধেও পরিবর্তন এসেছে। পার্থক্য রয়েছে সমাজ ও অবস্থান ভেদে এক একজনের জীবন চলার পদ্ধতি। আসলে সমাজটা সব সময়ই দুইমুখি। নিন্ম বিত্ত মানুষের জীবন ব্যবস্থাটাও ঠিক আলাদা।
      ধন্যবাদ। মন্তব্যের জন্য।

  • মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন

    আমার ছোট ভাইর টু থেকে ফাইভ রোল ছিলো ১। সিক্সে ও ভালো ছিলো। সেভেন মোবাইল নিলো কাইন্দা কাইট্যা। এখন সারাদিন অনলাইন গেমস খেলে। রাত তিনটায় উঠে কক খেলে। সকালে স্কুলে যাইতে পারে না ঠিকমতো!
    ওরে নিয়া আছি যন্ত্রনায়! প্রযুক্তি দিচ্ছে বেগ কেড়ে নিচ্ছে আবেগ। প্রমাণিত।

    • মৌনতা রিতু

      ওকে যারা ফোনটা দিছে তাকেই উত্তম পানিশমেন্ট দিতে হবে। কারন ফোনের ফেসবুকে শুধু ভালো জিনিসই থাকে না, থাকে সব নোংড়া জিনিস। আর ঐ বয়সের কিশোররা নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতিই আকর্ষিত হয় বেশী। এটা এখনি থামাতে হবে।
      আমার নানি বলত, কান্দুক, কানলে ব্রেইন পরিষ্কার হয়, আর কাঁদলে কেউ রে যায় না, বরং ঐ জেদটা পূরণ করলেই বরং ও মরে যাবে।
      ধন্যবাদ। ভালোথাকবেন।

  • নাসির সারওয়ার

    প্রযুক্তি আমাদের অনেক দিচ্ছে। আমি কেমন করে ব্যবহার করছি, তার দায়ভারতো আমারই।

    এখন স্কুলে কি সেই কবিতাগুলো পাড়ানো হয় –
    “সকালে উঠিয়া আমি মনে মনে বলি,
    সারা দিন আমি যেনো ভাল ভাবে চলি”।
    তার সাথে ফ্যামিলি মুল্যবোধও স্খলন হয়েছে। পরিবর্তন হতেই হবে।

    • মৌনতা রিতু

      পরিবর্তন করতে না পারলে, এ দায়ভার আমাদের। আমরা যতক্ষন না আমাদের সংস্কৃতিকে লালন করতে পারব, ততক্ষন এমনই হবে।
      আমরা তো কেউ জানিই না এইসব সংস্কৃতি সম্পর্কে। পহেলা বৈশাখ মানে, নতুন কাপড়, দামি ইলিশ পান্তা, ফাল্গুন মানে শ’খানেক টাকার ফুল মাথায় ! আর দিন শেষে এই উৎসবেরই অনুষ্ঠান হয় পাশ্চাত্য সংগীতে।
      আমি বলছি না, শুধু লালন শোন, চাঁদনি রাতে খড়ের উহর বসে গাজি কালুর পালাগান শোন। কিন্তু এদের অপমান তো কোরো না । কিছুদিন আগে একজনের সংগে এই নিয়ে তুমুল ঝগড়া। তাও “ঢেঁকি” নিয়ে। ওটাকে উনি ব্যাঙ্গ করে আমড়া কাঠের “ঢেঁকি” বলছে। সেই লোকই আবার পহেলা বৈশাখ পালন করছে ইলিশ পান্তা খেয়ে। আমার আবার সয় না, ঠাস করে বলে দেই।
      যাইহোক, ধন্যবাদ ভাই। পড়ার জন্য।

  • সকাল স্বপ্ন

    পরিবার সচেতনতা ও সঠিক ন্যায় পারে সচেতন সমাজ গড়তে —-
    সচেতন হতে হবে ডিজিটাল ব্যাবহারে —
    সচেতন হতে হবে ধর্মীয় অনুভহুতি নিয়ে—
    নয়তো কাঠ পরা কয়লা গুল গুন হারিয়ে যাবে—- মানে শত কষ্টের সন্তান—
    ধন্যবাদ—- পোস্ট লেখক কে —
    ধন্যবাদ— তার অনুভহুতিকে কে—
    আসুন সচেতনতা গরি নিজের থেকে —-
    ছড়িয়ে দেই সবার মাঝে—–

    • মৌনতা রিতু

      অনেক ধন্যবাদ পাঠককে। হ্যাঁ, শুরু করতে হবে নিজ নিজ পরিবার থেকে। আমার দুই ছেলে। ওরা বেড়ে উঠতেছে ওদের মতোই। শুধু হাতটা ধরে আছি। আমি আমার ছেলেদের কখনোই জিজ্ঞেস করি না, “তুমি কতো তম হইছ”। শুধু দেখি তার লক্ষ্য ঠিক আছে কিনা।
      আপনি আপনার মন্তব্যে চমৎকার একটা জিনিস তুলে ধরেছেন, ধর্মীয় অনুভুতি। আসলে মানুষ যদি তার যার যার ধর্মের নিয়মের মধ্যে না থাকে তবে সে কিন্তু আর মানুষ থাকে না।
      ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ