ওই সান্ধ্য চোখে ছিল বর্ষণাক্রান্ত জল,
হয়তো সে নদী ছিল বুঝিনি চকিতে,
বৃত্তের কেন্দ্র ছিল গভীর অতল!
প্রশান্ত বাতাসের মতো ধীরে হেলেদুলে,
হরিণী যখন নিয়েছিল জোছনার স্বাদ,
আনমনে ক্ষণকাল উড়েছিল কুন্তল!
সেইসব পুরাকীর্তির মতো লুপ্ত সংবাদ,
ভেসে আসে ভোরের মৌসুমি বর্ষণে,
আমি তার মদির গন্ধ টের পাই ঠিক,
হয়ত সে মিশে আছে অদৃশ্য স্পন্দনে।
গাংচিল ডাক দেয়! হাঁক দেয় মেঘদূত!
আমিতো যক্ষ নই ছায়াশ্রিত রামগিরির,
তবু ভালোবাসতে চেয়েছি নিঃখুত!
অলকানন্দার দুয়ারে শীতলক্ষ্যা-স্রোত,
স্তব্ধ হয়ে শুনছে তাই অবগাহন বাঁশির,
বুঝতে চাইছে জলে মিশে গেলে শিশির-
সত্যি কি জন্ম নেয় সোনালী গুচ্ছ রোদ?
ওই বন্ধ দুয়ার স্তব্ধ হয়েও যায় যদি,
জেনেছি সত্য এক মহাজাগতিক ভোরে,
অমৃত অমৃতের নদী বয়ে যায় নিরবধি,
প্রমত্ত প্রাচীরের ওপারে!
আমি তারে হয়ত ছুঁয়েছি অথবা ছুৃঁইনি
কোনকালে,
তবুও সে ছিল হৃদয়ের কলতান,
স্বর্গ হতে পৃথিবীতে পতনের সকালে!
১০টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
বর্ষা আর প্রকৃতির সুন্দর বর্ণনা। ভালো লাগলো । শুভ কামনা।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ জানবেন শ্রদ্ধেয় ব্লগার।
হালিমা আক্তার
প্রকৃতির নিখুঁত চয়ন। কেউ যেন থাকে মনের অজান্তে , হয়তো চুপি চুপি ভালোবাসে মোরে। খুব সুন্দর কবিতা। শুভ কামনা রইলো।
সৌবর্ণ বাঁধন
শুভকামনা সতত।
খাদিজাতুল কুবরা
অনবদ্য কবিতা লিখেছেন কবি। যক্ষরা কবে কাকে ভালোবেসেছিল? তারাতো কেবল ভক্তের ভালোবাসা পেতে সদা তৎপর। তাই মানুষই শেষ সত্য। আর সত্য মানুষের ভালোবাসা!
রোকসানা খন্দকার রুকু
নিখুঁত ভালোবাসতে চাইলেও অনেকসময় তার মর্যাদা পাওয়া যায় না।
সৌবর্ণ বাঁধন
মানুষেই যক্ষ থাকে। মানুষেই থাকে দৈত্য। ধন্যবাদ সুপ্রিয় ব্লগার।
সাদিয়া শারমীন
খুব সুন্দর কবিতা
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ।
নার্গিস রশিদ
প্রকিতির বর্ণনা যেন জীবনানন্দ কে খুঁজে পাই। শুভ কামনা।