সারা বিশ্ব আজ করোনা নামক অদৃশ্য শক্তির সাথে যুদ্ধে লিপ্ত
মানুষের মৃত্যুর মিছিল প্রতিদিন দীর্ঘ হচ্ছে। সম্মুখ যুদ্ধে মারা যাচ্ছে ডাক্তার, বাস্থ্য কর্মী আর নিবেদিত প্রাণ মানুষ গুলো । মানুষ হচ্ছে গৃহবন্দী আর অর্থনীতির চাকা দাঁড়াচ্ছে থমকে। মানুষ হারাচ্ছে কাজ। হচ্ছে নি:স্ব থেকে নি:স্বতর। জীবন যুদ্ধে লড়াই করে ঠিকে থাকার জন্য প্রাণপনে লড়াই করছে মানুষ। এই জন্য চাই শক্তি সাহস সর্বোপরি মনোবল। তাই মানুষ আজ দাড়াচ্ছে মানুষের পাশে আর সুযোগসন্ধানী ও অশুভ শক্তি ওৎ পেতে থাকে ঘোলা জলে মাছ শিকারে। তারা আস্থাহীনতার পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মানুষের মনোবল ভাঙতে চায়।

সময় ও বাস্তবতার সাথে মানুষের বিচার ও বুদ্ধি বিবেচনা বোধের পরিবর্তন হতে পারে। তাই অশুভ শক্তি সব সময় এই সুযোগ নিতে পিছপা হয় না যদি শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রন করা না হয়। গতকাল যা ছিল প্রেরণার উৎস আজ তা নাও থাকতে পারে।

আমি আজ ছোট করে দুই একটি ঘটনা তুলে ধরতে চাই
দুইজন প্রতারক রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক সাহেদ আর জিকেজি মালিক আরিফ- সাবরিনা প্রতারণার দায়ে বিচারের কাটগড়ায়। পেশাধার টকশো ওয়ালারা অপরাধীর বিচার না করে অপরাধীরা কোন দল করে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থেকে অপরাধীর অপরাধকে যৌক্তিক প্রমাণ করতে চায়। ফলাফল সামাজিক প্রতিক্রিয়াটা আরও ভয়ন্কর।

দুইদিন আগে আমার ফেইসবুক ওয়ালে ছোট্ট একটি প্রশ্ন রেখেছিলাম। প্রতিক্রিয়া দেখে আকাশ থেকে পড়ার অবস্থা। সবাই দেখি অপরাধীর পক্ষে দাঁড়িয়েছে। প্রশ্নটা ছিল নিম্নরূপ।

1. কন্যা দায়গ্রস্ত পিতা কন্যা সম্প্রদান করার পরে দেখলেন, স্বামী প্রতারক! যৌতুকের দাবীতে মেয়েকে অত্যাচার করছে। অপরাধের কাঠগড়ায় কাকে দাঁড় করাবেন ?
পিতাকে নাকি প্রতারককে ?

সবাই কমবেশী সরাসরি উত্তর না দিয়ে বলে। বাবাই অপরাধী কারণ মেয়েকে যোগ্য করে যোগ্য পাত্রে বিয়ে দেয় নি বলে। অর্থাৎ সবাই অপরাধীর পক্ষ নিলেন।
কি ভয়ঙ্কর মানুষের ধারণা জন্ম নিল ?

কারণ পেশাধারী টকশো ওয়ালারা সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলতে পারলেই কাটতি বাড়ে। কিন্তু বলে না সরকারই ব্যবস্থা নিয়ে অপরাধী দের শাস্তির আওতায় আনছে। সমাজে ভুল ম্যাসেজ দিয়ে মানুষের আস্থা আর মনোবল ভাঙে সর্বনাশ ডাকতে চায়। বলে না শটের ছলের অভাব হয় না। অপরাধীর অপরাধকে হালকা করার অপচেষ্টা কখনো শুভ ফল বহে আনতে পারে না। তার সাথে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা আমলা জড়িত থাকলে তাকে ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং আসবে এ বিশ্বাষ আমরা রাখতে চাই।
2. সাহাবুদ্দীন মেডিকেলও আজ একি দোষে দুষ্ট ম্যাডামের পছন্দের হাসপাতাল ইউনাইটেড হাসপাতাল মানুষ পুড়ে হত্যা করলো এটা নিয়ে কেউ কথা বলে না। তাহলে দুর্নীতির যদি রঙ থাকে তাহলে উচ্ছেদ কিভাবে হবে ? সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলতে না পারলে সমস্যা সমাধান হবে না।

সাহেদারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করলে তারা যে ছাড় পায় না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন। এখন এটাকে প্রশংসা করলে অপরাধীরা শঙ্কিত হবে। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ আর সাহস দিলে ষড়যন্ত্রকারী, কেউকাটা আর উৎপেতে থাকা এক এগারোর কুশীলবরা গর্ত লুকাবে আর অপরাধীরা লেজ গুটাবে।

এই অপ্রিয় সত্যটা যদি কেউ না বুঝে তাহলে মানুষের কপালে আর ও দু:খ আছে।

নি:সহ যন্ত্রনার এই করোনা সময় কাটে মাঝে মাঝে ছবি দেখে। সেদিন এক বাংলা ছবি অসূর ছবিতে আটকে গেলাম। শিল্পী এক রিক্সাওয়ালাকে ধরে এনে ২ হাজার টাকা দিয়ে অসূর বানিয়ে যেই জীবন্ত মূর্তি বানালেন তা দেখেই আটকে গেলাম। শিল্পী চ্যালেঞ্জ নিয়ে মালিকের ২/৩ টা ফ্লাট বিক্রী করে বিশাল এক দু্র্গামুর্তি বানালেন মাঠে। পূজার আগে সাড়া পড়ে গেল সারা ভারতবর্ষ জুড়ে।
পুজার প্রথম দিনেই মানুষের ঢল নামলো সেই পুজা মন্ডপে।

কিন্তু শত্রুপক্ষ সুযোগ খোঁজে সেই পূজা মন্ডপ আর মূর্তি কিভাবে ধ্বংস করা যায়। যথারীতি কয়েকজন গুন্ডা ভাড়া করে মোবাইল সদৃশ হাত বোমা ব্যবহার করে মানুষের মাঝে আতঙ্ক সৃষ্টি করে পন্ড করে গুজব রটায় ১১ জন লোক মারা গেছে। কলকাতার পুলিশ সাথে সাথে পূজা বন্ধ করলেন আর মুর্তি দিলেন ঢেকে আর শিল্পী প্রতিবাদ করায় তাকে মেরে করা হল গ্রেফতার।

এদিকে নাশকতার নায়ক আবার শিল্পীর জামিনের ব্যবস্থা করলেন। শিল্পী পুলিশে গিয়ে ১১ জনের লাশের খোঁজ পুলিশ দিতে ব্যর্থ হয়। অর্থাৎ পুলিশের সমস্থ সিদ্ধান্ত অপরাধীর পক্ষে গেল সাথে জনগন ও।
শিল্পীর শেষ ইচ্ছা পুরনে মুর্তি স্থায়ী করতে গভর্নরের কাছে আর্জি নিয়ে গেলেন। গভর্নর ও জনতার সিদ্ধান্তে বাইরে স্থায়ী করার আশ্বাস দিতে পারে না। শিল্পী বুঝতে পারে সমস্ত কিছু অপরাধীর পক্ষে যাচ্ছে। শেষ পর্যন্ত পূজা মন্ডপে আগুন দিয়ে নিজে আগুনে আত্নাহুতি দিলেন।

শিল্পীর আত্নাহুতি পরে জনমত শিল্পীর শেষ ইচ্ছা পুরণের পক্ষে যাওয়ায় গভর্নর মূর্তি স্থায়ী প্রতিস্থাপিত করলেন।

আজ তাই সরকার আজ বিষাক্ত সাপের লেজে হাত দিয়েছেন দুর্নীতি- বাজদের শেকর উৎপাটনে। এখন জনগনকে সরকারের পক্ষে অপরাধীর বিপক্ষে দাঁড়াতে হবে যাতে সরকার এই দুর্নিতি বিরোধী অভিযানে সফল হয়। আর তা না হলে সেই তিমিরেই থাকতে হবে।

তাই সবার চোখ কান খোলা রাখুন। সুবিধাভোগী দুর্নিতিবাজরা বিভ্রান্ত করতে পারে। তাই বলি

এখন করোনা কাল, সাধু তুমি সাবধান !

ছবি নেট থেকে

0 Shares

২৫টি মন্তব্য

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      যাক ভাইটা আমার দুকলম মন্তব্য করলেন বহুদিন পর।
      ঠিক বলেছেন। আগে এরা আড়ালে থেকে আশ্রয় প্রশ্রয় পেতো ধরা ছোয়ার বাইড়ে থাকতো। এখন দিন বদলে গ্যাছে ওদের ধরা হচ্ছে। ওদের পিছনে যারা আছে তাদের ও হবে চেনা।
      আমরা বলতেই পারি এখন ওদের দিন
      থাকবে ওরা জেলে এখন তাক ধিনা না দিন দিন।
      ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • সুপর্ণা ফাল্গুনী

    অসাধারণ লিখেছেন দাদা। আমরা সাধারণ জনগণ সবসময় ভুল সিদ্ধান্ত নেই, সামনে যা দেখি তাই বিচার করে রায় দেই। সাদা কালো বিচার করার ক্ষমতা বা বুদ্ধি বিবেচনা অনেক সময়ই থাকেনা। আর সম্পদ ওয়ালা লোকদের সাপোর্ট করি ভয়ে অথবা তাদের প্রভাব প্রতিপত্তির জোরে। আমরাই এদেরকে বিভিন্ন সময়ে,সুযোগে মাথায় তুলি কারন এদের সাথে দ্বন্দ্ব করে পারবোনা আর কোনো লাভ নেই বলে। এদের নিয়ে কিছুদিন ঘাঁটাঘাঁটি হবে তারপর ছাড়া পেয়ে বহাল তবিয়তে এ সমাজেই অন্যরূপে টিকে থাকবে। শিল্পীদের মতো সাধারণ মানুষই আত্মাহুতি দিবে নয়তো মারা পড়বে অন্যকারো হাতে অন্যধাঁচে। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন শুভ কামনা রইলো

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      সহমত দিদি। ভাল লাগলো পড়ার জন্য। অনেক কষ্ট করে লিখি সময় বের করে।
      সাহেদারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করলে তারা যে ছাড় পায় না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন। এখন এটাকে প্রশংসা করলে অপরাধীরা শঙ্কিত হবে। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ আর সাহস দিলে ষড়যন্ত্রকারী, কেউকাটা আর উৎপেতে থাকা এক এগারোর কুশীলবরা গর্ত লুকাবে আর অপরাধীরা লেজ গুটাবে।
      সাথে তাদের পৃষ্টপাষোকরা ও আসবে আইনের আওতায়। শুধু এই অভিজানের পক্ষেই জনমত সৃষ্টি করা। সরকারের পাশে থাকে। আর সরকারের দিকে আঙ্গুল তোললে সরকার পিছপা হতে বাধ্য।
      ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • মোঃ মজিবর রহমান

    তার সাথে কোন সরকারী কর্মকর্তা বা আমলা জড়িত থাকলে তাকে ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এবং আসবে এ বিশ্বাষ আমরা রাখতে চাই।৷ সরকার যদি এখানে শক্ত হাতে কন্ট্রল করে তবে শতভাগ না হলেও অনেকাংশে জনমত সরকারের পক্ষে আসবেই।
    আপনার কথায় যুক্তি আছে কিন্তু জনগন তাই বোঝে যখন দুইপক্ষের শক্তি যেটা বেশি হয় সেটাই। সরকার যদি সঠিক সময়ে, সঠিক ব্যাক্তি নির্বাচিনে ভুল করে তার খেসারত সরকারকেই দিতে হবে।
    আবার যড়যন্ত্রকারীরা যদি তাদের মত সঠিক সময়ে অবৈধভাবেই জনগনকে বুঝাতে সক্ষম হয় তখন যড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়।
    এই কাজটা সরকারের মাঝে থেকে দালাল, চোর, চাটুকার, বাচাই করতে হবে সাবধানতার সাথেই, আর ভুল করলেই সমুহ বিপদ।

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      সহমত ভাইজান।
      সাহেদারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করলে তারা যে ছাড় পায় না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন। এখন এটাকে প্রশংসা করলে অপরাধীরা শঙ্কিত হবে। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ আর সাহস দিলে ষড়যন্ত্রকারী, কেউকাটা আর উৎপেতে থাকা এক এগারোর কুশীলবরা গর্ত লুকাবে আর অপরাধীরা লেজ গুটাবে।
      এই জন্য জনগনকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
      অপরাধীর পক্ষ নিবে ? নাকি তাদের বিরুদ্ধে অভিজানের পক্ষ নিবে ? নাকি রাজনীতির রঙ খুঁজবে ? ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • ছাইরাছ হেলাল

    যতক্ষণ পর্যন্ত সাহেদদের গড ফাদাররা আইনের আওতায় না আসবে ততদিন এদের থেকে মুক্তির উপায় নেই।
    আমরা জানি না তা কবে হবে। সাহেদরা কেন সাহেদ সেটি আগে ভাবতে হবে।

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      সহমত ভাইজান।
      সাহেদারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করলে তারা যে ছাড় পায় না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন। এখন এটাকে প্রশংসা করলে অপরাধীরা শঙ্কিত হবে। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ আর সাহস দিলে ষড়যন্ত্রকারী, কেউকাটা আর উৎপেতে থাকা এক এগারোর কুশীলবরা গর্ত লুকাবে আর অপরাধীরা লেজ গুটাবে।
      সাথে তাদের পৃষ্টপাষোকরা ও আসবে আইনের আওতায়। শুধু এই অভিজানের পক্ষেই জনমত সৃষ্টি করা। সরকারের পাশে থাকে। আর সরকারের দিকে আঙ্গুল তোললে সরকার পিছপা হতে বাধ্য।
      ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • নিতাই বাবু

    এই প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস আমাদের অনেককিছু শিখিয়ে দিলো, দেখেয়ে দিলো। এই করোনা দেশের চোর জনপ্রতিনিধিদের ধরিয়ে দিয়ে গেলো। করোনাভাইরাস দুর্নীতিবাজদের আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলো।
    তাই আপনার লেখার শিরোনামের সাথে তাল মিলিয়ে বলতে চাই, “এখন করোনা কাল, সাধু তুমি সাবধান” হও!
    শুভকামনা থাকলো শ্রদ্ধেয় কবি দাদা।

  • তৌহিদ

    সময়োপযোগী চমৎকার লেখা দাদা। আমার কথা হলো রাজনীতির ছত্রছায়ায় দুইনাম্বারি করবেন আর যেসব রাজনীতিবিদ এর পেছনে জড়িত তাদের ছাড় দিবেন তা মেনে নেয়া যায়না। সাহেদ কিংবা সাবরিনা এদের আশ্রয়প্রশ্রয়দাতাদের খুঁজে বের করতে হবে। দেশের জন্য রাজনীতি করে দেশের মানুষকে হত্যা করার মত কাজ যেই করুন সবার শাস্তি চাই।

    শুভকামনা রইলো দাদা।

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      সহমত। কান টানলে মাথা আসবেই।
      সাহেদারা রাজনীতির ছত্রছায়ায় অপরাধ করলে তারা যে ছাড় পায় না সেটা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রমাণ করলেন। এখন এটাকে প্রশংসা করলে অপরাধীরা শঙ্কিত হবে। সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে উৎসাহ আর সাহস দিলে ষড়যন্ত্রকারী, কেউকাটা আর উৎপেতে থাকা এক এগারোর কুশীলবরা গর্ত লুকাবে আর অপরাধীরা লেজ গুটাবে।
      ভাল থাকবেন ভাইজান। শুভ কামনা।

  • সাবিনা ইয়াসমিন

    শুনতে খারাপ লাগলেও এটাই সত্যি, প্রধানমন্ত্রী যতক্ষণ কোন কিছুতে হস্তক্ষেপ না করেন ততোক্ষণ পর্যন্ত কিছুই হয় না। বিশেষ করে নেতাদের বিরুদ্ধে, অথবা যারা দলীয় ছত্রছায়ায় থাকেন। আমাদের দেশে সাহেদ/ সাবরিনা/ পাপিয়াদের সংখ্যা নগন্য নয়। কয়জনকে আমরা প্রকাশ্যে শাস্তি পেতে দেখেছি? যাদের নাম মিডিয়ায় আসছে তারা কি হঠাৎ করে মাটি ফুঁড়ে বের হয়েছে? অপকর্ম করার দীর্ঘ সময় তাদের কে/কারা দিয়েছে সেটা সাধারণ মানুষের অজানা নয়। তবুও আমরা অপেক্ষা করি উর্ধতন হস্তক্ষেপের।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রশংসার কাজ অবশ্যই করেছেন/করেন, আমরা দেশবাসী সেটা গর্বের সাথেই স্বীকার করি। কিন্তু রাষ্ট্রের ব্যার্থতার দ্বায়ভারও সরকারের উপরই বর্তায় প্রধানমন্ত্রী সরকারের বাইরে নন।সাদাকে সাদা এবং কালোকে কালো বলার মতো স্বোচ্চার কন্ঠ এখনো বিলুপ্ত হয়নি। আমাদের দেশ পঞ্চাশ বছর আগে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু বাক স্বাধীনতা কি আসলেই আমরা পেয়েছি?

    • সুপায়ন বড়ুয়া

      আমার আপু এলেন তবে অনেক দেরীতে
      সুন্দর যুক্তিসঙ্গত মতামতের জন্য সাধুবাদ ও সহমত।
      সমাজের প্রতিস্তরে দুর্নিতী। সর্বাঙ্গে ব্যাথা মলম দেবো কোথা। যে টিচার স্কুলে সময় না দিয়ে কোচিং করায়।
      যে ডাক্তার হসপিটালে সময় না দিয়ে প্রাইভেট প্র্যাক্টিস করে। ঈদ বকশিষের জন্য নানা অযুহাতে কাজ ফেলে রাখে সেটাও দুর্নিতী। হাজার ও উদাহরন আছে। পচন্দের লোককে প্রমোশন বা ডিমোশন বা সাসপেন্ড সব দুর্নিতী। এগুলো আবার প্রমানের অভাবে ধরা ও যায় না বলা ও যায় না।
      সমাজ এটা অনুমোদন করে বলে বলি প্রশ্রয় দেয় বলে দুর্নিতী হয়।
      আজকে সকল সেক্টর সচল রাখার জন্য প্রনোদনা দেয়া হচ্ছে একদিন এটিকে ও দুর্নিতী বলবে। আজকে যা বাস্তবতা আগামীকাল তা না ও হতে পারে।
      এরকম হাজারো দেয়া যাবে।
      যাক কাজের জন্য লিখতে পারি না আর আমি লিখলে ও পরিবর্তন হবে না।
      বলতে পারি প্রমানসাপেক্ষ সকল দুর্নিতীবাজকে ধরা হবে দলীয় বিবেচনা না করে।
      না জানি তখন হিতে বিপরীত হয় কিনা।
      এই যে প্রাইভেট হাসপাতাল চিকিৎসা বন্ধ রাখলো কেন জানেন ? দর কষাকষির জন্য কারন সরকারী নির্ধারিত মুল্যে কাজ করবে না। এটা ও দুর্নিতী কিন্তু কিছুই করতে পারবে না। কারন ধর্মঘট করবে তখন জনগন বলবে সরকার ব্যর্থ তখন এই দুর্নিতীকে বৈধতা দিতে হবে।
      রাজনীতি বড়ই জটিল আপু।
      ভাল থাকবেন। শুভ কামনা।

  • উর্বশী

    প্রতিটি লেখাই আপনার সময়পোযোগী চমৎকার। বাস্তবতার আলোকে লেখায়৷ অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠেও আসে। আলোচনাও হয়,কিন্তু সুরাহা কতটুকু বাস্তবায়ন হয়? তা খতিয়ে দেখার সুযোগ কতটুকু সাধারণ জনগনের?
    অফুরান শুভ কামনা রইল দাদা।

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ