কাল্পনিক চরিত্রগুলিকে সাজিয়ে গুছিয়ে জনসম্মুখে উপস্থাপন করেন যিনি- তিনি পরিচালক
কাল্পনিক মুখুশে জড়িয়ে জীবনের বাস্তবতায় নিজেকে উপস্থাপন করেন যিনি- তিনি অভিনেতা / অভিনেত্রী
প্রতিজন পরিচালক হয়ত অভিনয় করতে জানে না-
কিন্তু প্রতিজন অভিনেতা অভিনেত্রী সমাজ সংসারে ঘটে যাওয়া এক-একটি নাট্যাংশের সফল পরিচালক।
তাদের অদৃশ্য ইশারায মঞ্চায়ীত নাটকের ফলে, চিরতরে বদলে যায় হাজারো আত্মস্থ পরিবারের অখন্ডিত নকশা।
যদিও দুনিয়ার ইতিহাসে কোন জাদুকর- টুকরো হয়ে যাওয়া সংসারের মানচিত্র এক পৃষ্ঠায় এক জীবনে আঁকতে পারেনি কোন কালে।
নির্মম হলেও সত্য যে, সংসার জীবনে এমন নকশাকার দের বেশিরভাগই “বড় বৌ” বা “মেঝ বৌ” অথবা “ছোট বৌ” সম্বোধনের খ্যাতিমান পরিচালকদের যে কোন একজন। যেখানে “ঘুমন্ত” প্রযোজকদের ভূমিকায় থাকে আমাদের মতো পুরুষ নামের কাঠের গুটি ।
সত্যি বলতে- “একান্নবর্তী সংসার” টাকে চিতায় শুইয়ে দিয়ে, কাঠকয়লা আর কেরোশিন ভাবি সাহেবা’রা জোগাড় করে দিলেও, নিজের হাতে ম্যাচের কাঠি ভাইজান’রা ই জ্বালায়।
হাস্যকর হলেও জানি-
রাজা এক কদম হাঁটলেও রাণীর দৌড় দাবাঘরের এপাশ থেকে ওপাশ ।
একটেবিলে তৃতীয় দফায় খেতে বসে, বাটির তলায় তরকারির শেষাংশ চেটেপুটে খাওয়ার মধ্যে যে সুখ অন্তর্নিহিত, তা শুধু একটি সুবিশাল একান্নবর্তী পরিবারের গৌরবান্বিত সদস্যই বলতে পারবে।
লবনদানীর কোনায় রাখা আধাখাওয়া কাঁচামরিচটা ইশারায় কত কথাইনা বলে ॥
-০-
১৯টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
রাজার/রাজাদের গুণগান করলেন তা তো বুঝলাম!
কাহিনীটা যদি বাৎলে দিতেন!
এস.জেড বাবু
কাহিনী তো চারপাশের / নিত্যদিনের / প্রতিটি সংসারের
এ আর নতুন কি !
শুধু পুরুনো শব্দগুলো নতুন ঢংয়ে বলা এই যা।
শুভকামনা ভাই
রেহানা বীথি
ভালো লাগলো আপনার লেখা। ছোট ছোট টুকরোয় ভেঙে গেছে আজ আমাদের একান্নবর্তী সংসার। আজ আমাদের সন্তানদেরকে কাছে টানারও কেউ নেই। অথচ একটা সময় সবার মাঝে বেড়ে উঠেছি আমরা। হয়তো ঠুক কথাতেই লেগে যেতো ঝগড়া, মন কষাকষি, কিন্তু একজনের বিপদে সব ভুলে আরেকজন বুক পেতে দিতো নির্দ্বিধায়। এখন হারিয়ে গেছে সেসব দিন।
এস.জেড বাবু
ভাবছিলাম সোনেলায় এই পোষ্ট দিবো কি না
আপনার মন্তব্য দেখে মনে হলো “দেয়াটা সার্থক”
ধন্যবাদ আপু- মর্ম বুঝে চমৎকার মন্তব্যের জন্য।
সুপর্ণা ফাল্গুনী
একান্নবর্তী পরিবারের যে কত উপকারিতা তা আজকের নারীরা, ছেলেমেয়েরা বুঝবেনা। তাদের ধারণা ছোট পরিবারে ঝামেলা কম, সুখ বেশী। অথচ আমাদের চারপাশে ঘটে যাওয়া অবক্ষয় গুলো দেখলেই বোঝা যায় আমরা কতটা ঝামেলাহীন ও সুখে আছি। এসবের অনেক কিছুই ঘটতো না যদি একান্নবর্তী পরিবার থাকতো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি লেখা উপহার দেয়ার জন্য। শুভ কামনা রইলো
এস.জেড বাবু
পুরুষ’রাই বা আর কতটা বুঝে।
কত লক্ষ লক্ষ প্রবাসী/ চাকুরীজীবীর বৌ শশুড় শাশুড়ি ছেড়ে এমনকি নিজের মা বাবা ছেড়ে / অদুরে আলাদা বাসায় থাকে বাচ্চাদের স্কুল/কলেজ আর পড়াশোনার সুবিধার আড়ালে।
নিরবে সায় দিয়ে যায় পুরুষ। এমন পুরুষের মনে একবার প্রশ্ন জাগে না যে, এই সুযোগ নিয়ে আদুরী বৌ তার নিজের বাবা মায়ের ভরন/পোষন- যত্নআত্তি তথা দায়িত্ব পালন করা থেকে নিজেকে আড়াল করে।
সুন্দর মন্তব্য
শুভেচ্ছা আপু
কামাল উদ্দিন
আপনার কথার সাথে আমি একমত যে ম্যাচের কাঠিটা আমরাই জ্বালাই। যদিও নেপথ্য কারিগর ওনারা, পোষ্টে আমাদের গ্রাম্য জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেছেন চমৎকার ভাবে……ভালোলাগা জানিয়ে গেলাম বাবু ভাই।
এস.জেড বাবু
চুম্বক অংশ নিয়ে মন্তব্য- তুখোড় পাঠক।
ধন্যবাদ কামাল ভাই।
সঞ্জয় মালাকার
চমৎকার উপস্থাপন দাদা ভালো লাগলো খুব,
একান্নবর্তী পরিবারের যে কত উপকারিতা তা আজকের নারীরা, ছেলেমেয়েরা বুঝবেনা।
ধন্যবাদ দাদা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা নিবেন।
এস.জেড বাবু
শুভেচ্ছা রইলো ভাইজান।
মন্তব্যে অনুপ্রাণিত
মোহাম্মদ দিদার
বেস সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন বাস্তব জীবনবোধ।।
এস.জেড বাবু
অশেষ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা ভাইজান
ফয়জুল মহী
সময়োপযোগী পোস্ট। অনেক ভালো লাগলো
এস.জেড বাবু
অনেক অনেক শুভেচ্ছা সহ ধন্যবাদ ভাইজান
ভালো থাকবেন সবসময়
জিসান শা ইকরাম
একান্নবর্তী পরিবারের সুখ এবং শান্তি কত ব্যপক ছিল তা আজকাল কেউ কল্পনাও করতে পারবে না।
ভাল লিখেছেন ভাই।
এস.জেড বাবু
কল্পনা করতে পারবে না- বরং এতো মানুষ এক পরিবারে দেখলে বিরক্ত হবে কেউ কেউ।
শুভেচ্ছা ভাইজান।
অন্বেষা চৌধুরী
সত্যিই অসাধারণ লিখেছেন।
পরিচালক, অভিনেতা/অভিনেত্রী, নাট্য নির্মাতা
এখানে সবাই সফল।
এস.জেড বাবু
জ্বী
সবাই সফল হয়। সময় সবাইকে সফল করে দেয়।
ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা আপু।
ভালো থাকবেন সবসময়।
রুমন আশরাফ
খুব ভাল লাগলো। চমৎকার উপস্থাপন।