অনেক সময়ের গালফোলানো, ভীর বাসে আচমকা হেসে ওঠা স্মৃতি আমার আজো স্টেশন ময় ঘুরে বেড়ায়। কবেকার সেই হাত এখনো উত্তাপ ছড়ায় আঙ্গুলে, আঙ্গুল থেকে হাতের পাতায়, তারপর ধিরে ধিরে পানিতে মিশে যাওয়া রঙ্গের মতো শরীর থেকে মনে কিংবা মন থেকে শরীরে। আমি ছোট্ট ব্যাঙ্গাচি, উভচর আজো হতে পারিনি। সেই একটি স্বপ্নেই ডুবে ডুবে ভেসে উঠি। ভেবেছিলাম এ পারের কড়ি ওপারে ছুড়ে ঠিক ঠিক ছুঁয়ে দেব তোমার এমন স্বপ্নকেও। তবু ভাবনা এখন লাল টুকটুকে চোখে আল্টিমেটাম দেয়, পেতে চায় হাত। খটখটে দুপুরে সদ্য বৃষ্টিতে ভেসে আসা মাটির গন্ধ নিতে চায় তোমার বুকেই।
কথা কি ছোঁয়া যায়?
ইচ্ছে?
স্বপ্ন?
ফাস্ট রিউইন্ডের মতো
টুপ করে ফিরে এলাম আবার তোমাতেই।
আমার স্ক্রিনে তোমার মেসেজ।
এইতো আমার জলজ্যান্ত তুমি।
জলজ্যান্ত স্বপ্ন।
৩০টি মন্তব্য
প্রহেলিকা
আপনার লেখার কথাই ভাবছিলাম কারণ অনেক দিন ধরে লেখেন না আপনি। যাক আমার পোষ্টে আপনার লেখা খুজতে না খুজতেই পেলাম। ফার্স্ট টু লাস্ট অসাধারণ, ভাবনাগুলো খুব স্বচ্ছ ও সাবলীল ভাবেই আঙ্গুলে উঠে এসেছে আপনার।
**খটখটে দুপুরে সদ্য বৃষ্টিতে ভেসে আসা মাটির গন্ধ নিতে চায় তোমার বুকেই।**
এই চরণটা বেস্ট, দারুন!
ভালো লাগলো অনেক। শুভেচ্ছা সাথে অভিনন্দন।
মিথুন
আপনাকেও শুভেচ্ছা ভাইয়া। সেভাবে আসতে পারিনা, তবে সোনেলাকে মিস করি। সময় পেলেই চলে আসি————
অরণ্য
আপনি লিখছেন আপনার হৃদয়ের কথা – কত সুন্দর, সাবলীল, স্পষ্ট উচ্চারণ। আর আমি গাইছি একটি বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেল আপনার শেষ লাইনটি পড়ে। পেয়েছি পেয়েছি গোয়ালিনী… নতুন মজা গোয়ালিনী… । বেশ লিখেছেন। (y)
মিথুন
এই জিঙ্গেল টা মনে এলো কেনো ভাইয়া? যাই হোক, আনন্দ পেয়েছেন এটা বুঝতে পারছি। ধন্যবাদ জানবেন———–
অরণ্য
আপনার লেখায় কোথায় যেন একটা হাঁপানো আছে। আমরা অনেকে কষ্টকে লালন করতে গিয়ে মাঝে মাঝে হাঁপিয়েও উঠি, তাও ছাড়িনা। প্রচন্ড ঝাল দিয়ে কাঁচা কোন কিছু, যেমন ধরুন পেঁপে, বাঙ্গি, আম এগুলো মাখিয়ে খেয়েছেন কখনও? আপনি যেভাবে ফাস্ট রিউন্ড করে সেই জলজ্যান্ত “তোমাতে” এসে থামলেন, তাতে মনে হচ্ছিল আপনি আসলে তাকে এভাবেই পেতে চাইছিলেন এবং পেয়েছেন। আমার কোন বন্ধু যদি আমাকে আপনার এই লেখা আবৃত্তি করে শোনাতো, তাহলে তাকে আমি সাথে সাথে ঐ জিঙ্গেলটাই শোনাতাম পরিবেশটাকে হালকা করার জন্য। আপনি কখনও কিছু ভাল লাগছে না, মাথা কাজ করছে না, জীবন মুল্যহীন, কি করছি কিছুই হলো না, এরকম অবস্থায় ভূমিকম্প পেয়েছেন? আমি পেয়েছিলাম একবার। সেদিনে ভূমিকম্প শেষে আমি এতো হালকা হয়েছিলাম সে কেবল নিজেই বুঝতে পারি – কাউকে বোঝানো সে বড় দুরূহ কাজই বটে। বেশি বলে ফেললাম। সরি।
মিথুন
অনেক আছন্নের মতো স্বপ্নে ডুবে ছিলাম। তার মেসেজ টা আমাকে সেখান থেকে টেনে আনলো আরেক জগতে। কখনো গভীর ঘুমে ডুবে থাকার পর কেউ যখন ডাকে, তখন যেমন মনে হয় একটা কুয়ার ভেতর থেকে উঠে এলাম তেমন।
আপনার মতো ভুমিকম্পের অভিজ্ঞতা আমার হয়নি। তবে বুঝতে পারছি কিছুটা। মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ভাইয়া।
মরুভূমির জলদস্যু
## টুপ করে ফিরে এলাম আবার তোমাতেই। ##
এভাবেও ফিরে আসা যায়। -{@
মিথুন
হ্যাঁ যায় তো। অনেক কিছুই জানতে হবে :)। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দিচ্ছি————
নীলাঞ্জনা নীলা
এত ছোট একটি লেখায় কত আবেগ এনে ফেললেন আপনি। *এখনো উত্তাপ ছড়ায় আঙ্গুলে, আঙ্গুল থেকে হাতের পাতায়, তারপর ধিরে ধিরে পানিতে মিশে যাওয়া রঙ্গের মতো শরীর থেকে মনে কিংবা মন থেকে শরীরে। *……… অসাধারন, কেমন কাঁপন লাগা লেখা।
মিথুন
এমন মন্তব্য পেলে আর কিছুই চাইনা। অনেক ধন্যবাদ জানবেন আপু—————
বনলতা সেন
এক যুগ পর লিখলেন মনে হয়।এটি মেনে নেয়া যায় না।
ফিরে পেলে ফিরে এলে জলজ্যান্ত,তাহলে কোন সমস্যা আর রইল না।
মিথুন
আমি তো তেমন লিখিয়ে নই আপু, আর কম্পিউটার বেজড নয় জব, যৌথ ফ্যামিলি তো আছেই। সময় পেলেই চলে আসবো সোনেলায় এ কথা দিতে পারি, দিচ্ছি। এবার মনে হয় মেনে নেবেন———-
জিসান শা ইকরাম
ষ্টেশন প্রিয় মানুষ আমি
বার বার স্মৃতি স্টেশন ময় ঘুরে বেড়ানোতে একজন ষ্টেশন প্রিয় মানুষ বৃদ্ধি পেলো মনে হয়।
আমার প্রিয় একটি উক্তি দিয়ে দেই এই সুযোগে— স্বপ্নকে বাস্তব করুন।
ভালো লেগেছে ছোট লেখাটি।
মিথুন
স্টেশন আমার ভালো লাগে, আর সবচেয়ে স্মৃতিময় দিনটি এ স্টেশন ঘিরেই। স্বপ্নকে বাস্তব করবার আপেক্ষাতেই ভাইয়া। আপনিও স্টেশন প্রিয় মানুষ শুনে খুশি হলাম, অনেক ধন্যবাদ জানবেন ————
সাইদ মিলটন
আহা, ভালোবাসায় ভেসে যাওয়া চরাচর – স্বপ্ন 🙂
মিথুন
জ্বি 🙂
শুন্য শুন্যালয়
অনেকদিন পর লিখলেন মিথুন, লেখায় আগের মতোই আবেগ। খুব সুন্দর।
মিথুন
ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
যাক,তাও লিখলেন। যদিও অনেকদিন আপনার ও দেখছি স্টেশনময়তা আছে।
জলজ্যান্ত স্বপ্ন পুষে রাখা ঠিক না। আমাদের একটু লিখে জানিয়ে দিয়েন মাঝে মাঝে।
মিথুন
স্টেশন আমার ভালো লাগে। স্টেশনে বসে বসে মানুষ দেখার মধ্যে একটা ঘোর আছে। কোন কিছুই কি আর গোপন থাকছে ভাইয়া? এসে যাব সময় পেলেই——–
মিথুন
সুন্দর করেই পড়েছেন, তাই ভালো লেগেছে। দোয়া করবেন, যেন এভাবেই স্বপ্নকে রাখতে পারি———-
মিথুন
অনেক ধন্যবাদ জানবেন আপু। এমন মন্তব্য উৎসাহ দেয় ———– (3
লীলাবতী
আবার পড়লাম 🙂 স্বপ্ন বাবুটাকে দেখিনা যে :p
মিথুন
সে বাবু হয়ে গায়ে হাওয়া দিয়ে বেড়াচ্ছে আপু, আমিও তাকে খুঁজে পাইনা। 🙁
খেয়ালী মেয়ে
সাংঘাতিক লিখেছেন (y)
আমি মুগ্ধ আপনার লেখায় -{@
মিথুন
ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু। এমন মন্তব্যে লেখার উৎসাহ জোগায়————
স্বপ্ন
কথা ছোঁয়া যায়,আপনি পেরেছেন কথাকে স্পর্শ করতে।নইলে এমন লেখা লিখতে পারতেন না।আপনি খুব ভালো লেখেন আজকাল।এত কম কম লিখলে চলে ম্যাডাম? -{@
মিথুন
আপনি তো আমাকে বিরাট কমপ্লিমেন্ট করে ফেললেন। ভালো লেখা বলে নিজে পাস কাটিয়ে গেলে হবেনা। আপনি জানেন আমার ব্যস্ততা। লিখবো সময় পেলেই। শুভেচ্ছা। -{@
স্বপ্ন
আজ ভ্যালেন্টাইন ডে (3 (3 -{@
মিথুন
আপনাকেও শুভেচ্ছা (3 (3 -{@
আমাদের ভ্যালেন্টাইন ডে …… 🙂