আগুণের শৈল্পিকতা…

নীলাঞ্জনা নীলা ৩০ জানুয়ারি ২০১৫, শুক্রবার, ০৩:৪১:৪৮অপরাহ্ন একান্ত অনুভূতি ৩১ মন্তব্য


কতোদিন পর্যন্ত আশা-স্বপ্নরা
জীবনের মোড়ে মোড়ে মানুষের সংগী হয়?
কোন বয়সে চাওয়ার বদলে পাওয়া না হলে,
বিষাদের কালো যন্ত্রণা জাপটে ধরে
পেটাতে থাকে প্রতি মুহূর্তে?

আবার পাওয়ার পরে আর কোনো
চাওয়ার জন্ম হয়না,
সে জীবনের কোন সময়ে?

অনেক অনেক ভাবে ভেবে দেখেছি
মানুষের আয়ূ আদতে আগুণের মতো।
শৈল্পিক এবং বিভৎস।

কাব্যিকতা থেকে একটু দূরত্ত্বে
চলে এসে ইতিহাসের কাছে বসলে দেখা যায়;
একশত কুড়ি বছর পর্যন্ত বেঁচে থেকেছিলো হোমো সেপিয়েনস।
আচ্ছা ততোকাল কি এসব স্বপ্ন-
আশা-চাওয়া-পাওয়ার ডাল-পালা বিস্তৃত থাকে?

অন্যদিকে আবেগের সর্বোৎকৃষ্ট প্রকাশের নাম প্রেম।
ক'জনই বা বুঝেছে কিংবা জেনেছে প্রেম কি!
প্রেম পাওয়ার কিংবা চাওয়ার জন্য নির্ধারিত কোনো সময় কি আছে?

শুধু জেনেছি এটুকু,
চাইলেও মেলেনা,
আবার না চেয়েও পাওয়া হয়ে যায়।

কি অদ্ভূত!
কেবল আদিকাল থেকে একই রকম উত্তর দিয়েই যাচ্ছে আগুণ।
দাউদাউ করে জ্বলে ওঠে।
কখনো মোমের স্নিগ্ধ আলোয়,
কখনো বিদ্যুত,
কখনো সূর্য,
কখনো উনুন।

এতো শুদ্ধ শৈল্পিকতা মানুষের মধ্যে কই?

হ্যামিল্টন, কানাডা

২১ জানুয়ারি, ২০১৫ ইং।

0 Shares

৩১টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ