খিল থাকে সবারই দরজায়, রাত্তিরের বেলা হাট করে হা হওয়া খোলা দরজা কেউ ই চায় না, রাখেও না। আমিও না!! কী না কী ঢুকে-ফুকে যায় প্রবিষ্টতার ছলে, কখনও-সখনও চোর-ছ্যাচোর, চামচিকে থেকে কিউলেক্স মশা বা সাতরঙা প্রজাপতি। খিল চাই, খিল, জবরদস্ত খিল, দরজা সে যেমনই হোক শুঁটকো কিম্বা উটকো, একহারা মেদহীন বা ঢাউস, চিমসে বা মাংসল বা এমুড়া-ওমুড়া দেখা যায় এত্তবড়, খিড়কি বা গুপ্ত সুরঙ্গ, রংচটা ভাঙ্গাচুরা জীর্ণ-শীর্ণ বা টসটসে লৌহকপাট। খিল দেই, তুলি; হাল্কা চালে, মনোরম বা পেল্লায় খিল। ফাঁকতালে চুপিসারে বা গভীর গোপনে খুলে-টুলে সেঁধিয়ে কেউ না যায় পাটাতনের পাঁজর কাঁপিয়ে দুলে দুলে ষাড়োন্মত্ত বিশাল-বিকট ধর্ষকের বেশে।
রাজকীয় বা কলাপাতার তোরণ-ফরণ যাই তুলিনা কেন, খিল কিন্তু চাই। কখন কী ঢুকে যায় ঢুকিয়ে দেয় জোর জবরদস্তি মেখে, পশু-পাখি ফুল-বেল থেকে অতিকায় আব্রাহাম ট্যাংক পর্যন্ত;
অবোধ আকুলতায় উন্মন মনে রাত ভরা পৃথিবীতে উদ্ধত, উচ্চকিত, উদ্বৃত্ত হলেও একঝোঁকা খিল চাই, খিল, ছিটকানি নয়, সঘন মনখিল চাই ই,
অমরাবতীর দৈব প্রাচীরেও তাই ই চাই;
২৭টি মন্তব্য
মিষ্টি জিন
ভাল মত খিল আটুন, যেভাবে ডাইনিরানীর সুনজরে আছেন খিল ছাডা উপায় কি? :D)
তবে কিউলেক্স মশা দিতেও সাবধান।হুট টুল ফুটিয়ে দিলে মহা বিপদ।
তবে কি জানেন, যতই খিল আটুন না কেন ছোট একটা ভেন্টিলেশন না থাকলে দম বন্ধ হয়ে যাবার সম্ভাবনা থাকে।
একটু খানি লেখার মাঝে অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলেন।
এমন করে লিখতে একটু শিখিয়ে দিলে কি হয়?
ছাইরাছ হেলাল
এ সব খিল আমার ডাইনিদের জন্য প্রযোজ্য নয়, (তাদের আটকানোর চেষ্টা বৃথা)
হুল-ফুল মন্দ লাগে না, সহ্যও হয়ে গেছে,
সামান্য হাওয়া-বাতাস খুবই দরকার।
কই? কিছু বুঝাইনিতো, সাবধান করেছি মাত্র,
আচ্ছা আপনাদের থেকে আগে শেখাটা শেষ করে নেই,
তারপরেই না হয় শেখা-শেখিতে যাই
শুন্য শুন্যালয়
উম বললেই হলো আপনার দ্বৈব প্রাচীর আছে!! ভাঙ্গাচুরা যেখান সেখানে তালিপট্টি, বৃষ্টির দিনে বৃষ্টি, রোদের দিনে রোদ, মেঘলা দিনে মেঘ ঢুকে পড়ে আর কিনা দুয়ারে খিলান চান!! মাংশল খিলের হাল হকিকত যদি এট্টু জানাইতেন। অলিন্দ নিলয় প্রকোষ্ঠের দুই খিলান কিন্তু রয়েছে যা শুধুই এক দিক গামী। অতএব গুরু হাওয়ার ফ্লো তে ভেসে একালে আর মন খুইয়েন না যেন।
কিউলেক্স মশার জন্য শেষ পর্যন্ত খিলান? মশারী টানান ভাউ, গায়ে মুখে স্প্রে লাগান, ডাঙ্গু ডুংগু হইলে মহাই বিপদ।
মনখিল আসলেই জরুরি, জবরদস্তি করে কিছু ঢুকিয়ে দিলে শক্তিতেও তো কুলোবে না।
এইসব লেহনী লইয়া ক্যামতে জেগে থাকেন? আমি হইলে জাগতেই পারতাম না, খালি ঘুমাইতাম।
ছাইরাছ হেলাল
মন্তব্যের উত্তর দেয়া আসলেই কুঠিন, তা হাড়ে হাড়ে টের পাইয়ে দিচ্ছেন।
বেড়া-বুড়া ঠিক আছে ভেবেই খিল-ফিলের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি।
অবশ্য ডাইনিদের রোখা খুব কঠিন, হাজারো বেড়া বা খিল এঁটে, তাই বলে অরক্ষিত তো রাখা ঠিক না,
কিছু ফাঁকফোকর রাখতে হয়, আমারা তা রাখিও, শ্বাসও তো নিতে হয়,
না, ভাই কিছু আর নেই খুয়ানের মত, সবই বানরের হাতে চলে গেছে,
আপনি তো দাঁতের ডাক্তার!! অন্যান্য বিষয় দেখছি বেশ টনটনে ‘জ্ঞ্যান’ !!
খিল খুবই জরুরী বোঝাই যাচ্ছে,
আমিও শুধুই ঘুমাই, ঘুমাই, জাগি না,
নিহারীকা জান্নাত
দরজা ঠিক-ঠাক না করে খিল নিয়া পড়লেন কেন? পরেতো খিল খিলের জায়গায় থাকবে, মাঝ থেকে বেড়া ভাইংগা শেয়াল ঢুকবে।
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন বেড়া ও দরজা আছে ধরে নিয়েই খিল-খুল নিয়া পড়ছি,
কিছু যাতে ঢুকে-ফুকে না যায় তাই মনে করিয়ে দেয়ার জন্যই এসব লিখছি,
খিলের দিকে নজর দেয়া খুব জরুরী।
নিহারীকা জান্নাত
হাহাহাহা খিল সামালকে ভাই।
ছাইরাছ হেলাল
তাও সামাল সামাল বলেন নাই বলে রক্ষা।
নীলাঞ্জনা নীলা
বাপ্রে খিল নিয়া তো ভাবি নাই কুনুদিন!!! এখন যেখানে আছি খিল তো নাই, লক সিস্টেম। মিষ্টার বিনের গাড়ী দেখেছেন? গাড়ীতে খিল ছিলো।
যাক অনেক বেশী মজা কইরা ফেললাম। এখন একটু সিরিয়াস কুবিতার কথায় আসি। আপনি সিরিয়াস ছাড়া লিখতে পারেন-ই না। আমারে বই গিফট করলে শিখাইয়া দিমু ক্যামনে সহজ লেখা লিখতে হয়। 😀
আবেগের ঘরে খিল লাগানো কি যায়? যদি তা করা যেতো তাহলে আবেগের নদীতে সাঁতার দেয়া যেতো না। সাধারণ মানুষ জানে পাপ করলে নরক, ভালো করলে পূণ্য। কিন্তু আবেগপ্রবণ মানুষেরা জানে অমরাবতীর অবস্থান নিজস্ব মনের ভেতরেই। 😀
কি কেমন কইলাম কুবিরাজ ভাই? \|/
ছাইরাছ হেলাল
খালি বই না, আপনি যা চান তাতেই রাজী প্রায়, শুধু আপনাদের মত ফকফকা লিখতে পারলেই হবে,
কেউ কিছুই শিখাইতেই চায় না, কত্ত কিছু আপনাদের জানা!!
দেখুন আবেগও কিন্তু আমরা আঁটকে রাখি, রাখতেই হয়, তারপরও আমাদের অমরাবতী থাকেই।
আবার জিগায়!!
নীলাঞ্জনা নীলা
হুম আজকাল রোবট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক সামগ্রীরও আবেগ আছে। আর আপনার আবেগ থাকবেনা তাই কি হয়!!! এ যে অসম্ভব!!!
বই দিলেই চলবে, আর কিচ্ছু চাইনা। তয় বইয়ের ভিত্রে আবেগ ভইরা পাঠাইয়েন না যেনো! :p 😀
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ডরান ক্যা!!
ইট্টু আবেগ-উবেগ না হয় বইয়ের সাথেই গেল,
মোঃ মজিবর রহমান
মনের খিল লাগান দরজা লাগবনা।
ছাইরাছ হেলাল
আমিও তাই বলি, মন খিল চাই,
মৌনতা রিতু
খড়ক সিং হলেন নাকি?
খিল, তা কোন খিল, কাঠের না লোহার?
জানলা দরজা শক্ত আছে তো? নইলে খিল শক্ত হয়ে লাভটা কী। দেখা যাবে ঘুনে খাওয়া দরজা হাওয়ার চোটে হয়েছে হা। খিল দাঁড়িয়ে আছে ঠায়।
মিষ্টি জিন
রীতু, আমার লম্বা নাকটা এখানে ঢুকিয়ে পারছিনা। চরিত্র।
হা হা হা
এ হচ্ছে গিয়ে দাঁত খিলান করা খিল। :D) :D)
দাঁতের উপর নির্ভর করে খিল কাঠের হপে না লোহার ।
:D) :D) :D)
মৌনতা রিতু
মিষ্টি আপু ঠিকই বলেছো। এই বার যদি কুবির এই লোহার খিল দিয়া দাঁত ভাঙ্গে \|/ হে তো কুবিতা পড়াইয়া মোগো দাঁত ভাঙ্গে।
ছাইরাছ হেলাল
খিল কিন্তু খিলই, তা কাঠের বা স্বর্ণের যাই হোক না কেন,
আর খিল-খুল যখন দিবেন তখন ধরেই নিচ্ছি বেড়া মজবুত আছে,
আপনার শক্ত নুতন বাসায় খিলের দিকে দৃষ্টি রাখতেই হবে,
মৌনতা রিতু
জী, সে সব ঠিক ঠাক আছে। আপনি ক্যামনে জানলেন আগের বাসার দরজা জানলা খিল কিছুই ঠিক আছিল না। তয় এই নতুন বাসায় কিন্তু ভেন্টিলেটর নাই। আপনার কুবিতার তো আবার কতো কিছু করার স্বাদ জাগে।
ছাইরাছ হেলাল
উহ, দেখবেন যেন আবার শ্বাসজ্বালা শুরু না হয়ে যায়,
সবই জানা লাগে!!
সাধ আছে বলেই জেগে থাকি লেখাতে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মনের খিলের কোন হদিস পেলে জানাবেন -{@
ছাইরাছ হেলাল
আচ্ছা অবশ্যই এলান দেয়া হবে,
নাসির সারওয়ার
এদেখি ভালো যন্ত্রনার কথা তা অমরাবতী হোক আর অমরালয় হোক। এর মাঝে বেচারা খিল কেনো!
রাখবো খুলে দরজা জানালা, থাকবেনা কোন খিল। দেখিনা কে আসে কি নিতে।
ছাইরাছ হেলাল
কে কখন ঢুকে যাবে, ঢুকিয়ে দেবে,
শেষে চিক্কুর দিয়া ফালাইবেন!!
খিল দিন, খিল দিন।
আবু খায়ের আনিছ
ভাবতে গেলে কত কি? না ভাবলে কিছুই না।
ছাইরাছ হেলাল
এত্ত ভাবার দরকারই নেই!!
আবু খায়ের আনিছ
না ভাবলে কি আর খিল নিয়ে এই ধরণের লেখা আসবে। তবে ভাবনা আর লেখার কাজ আপনার, পড়ার কাজ আমাদের।