
আকাশ যখন ছুঁয়ে দেয় বিকালের ছাদ,
শব্দেরা ধীরগতি শামুকের মতো নুয়ে পড়ে
হাতে! আমি তখনো খুঁজেছি তোমাকে!
চুপ ছিল কোলাহলে তীব্র সন্ধ্যাকাল,
হাসি হাসি মুখে বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত ছিল চাঁদ,
খুঁজেছি জলোচ্ছাসের উন্মত্ত দিনে,
তীব্র বেগে মার্বেল গুলি অন্ধ গর্তে হারালে!
এখানে তোমার ভাষা বাতাসের ফিসফাস,
মরণোন্মুখ খরগোশের উড়ছে লোম সাদা,
পায়ের তলার কূপে মৃত্যুর ফাঁদ পাতা!
ভাসছে পাশের ঘরে নকশী কাঁথার মেয়ে,
মানুষ এমনি হয়! কিছুটা কিম্ভূত,
ঝাঁপ দেয় অগ্নিকুন্ডে অবারিত প্রেম চেয়ে!
বুঁদ হয়ে থাকা নিদ্রাতুর টেবিলল্যাম্প
ফিক করে জ্বলে উঠে! শর্টসার্কিটে পুড়ে মন!
মাঝে মাঝে ভাবি শ্বাপদেরা ডাকছে কেন,
ঘরের অপর নাম বুঝি সর্বগ্রাসী বন!
মৃদু পায়ে উড়ে যায় চঞ্চলা নারী,
পুবের জানালা ঘেঁষে পোষা মোরগেরা আসে,
মন কেন কিনে নিল ভেজা লাল শাড়ি!
তোমাকে দেখেছি মাঠে ভালোবাস বনফুল,
বুকের ভেতর সুবিল হ্রদ বলে ভালোবাসি,
নীল রোদে কথাগুলো হলোনা কখনো বলা,
মধ্যবয়সেও জীবন কি অদ্ভুত আনাড়ি!
গলিত পিচের মতো লেপটে আছে দূরে
উত্তাপে বহমান পৌরাণিক অন্দর,
হয়ত সুবিস্তীর্ণ শস্যক্ষেত দেয়া হবে পাড়ি,
ঘড়ির কাঁটার দম শেষ হলে পর!
যদি কোন এক বিচ্ছুরিত ভোরে,
জেগে যাও সৌরমণ্ডলের তীব্র নিনাদে,
হুট করে!
জেনো স্বর্গোদ্যানে ময়ূর এখনো কাঁদে,
শ্বাসরোধ হয়ে গেলে শূন্যের কাছাকাছি,
তোমাকেই ভেবে শ্বাস নেয় জোরে!
ভাবে আছ গ্রহান্তরের অসাধ্য সংগ্রামে,
আছ আত্মায় মিলেমিশে!
ফটোক্রেডিটঃ নিজস্ব
১২টি মন্তব্য
নিতাই বাবু
“জেনো স্বর্গোদ্যানে ময়ূর এখনো কাঁদে,
শ্বাসরোধ হয়ে গেলে শূন্যের কাছাকাছি,
তোমাকেই ভেবে শ্বাস নেয় জোরে!
ভাবে আছে গ্রহান্তরের অসাধ্য সংগ্রামে,
আছে আত্মায় মিলেমিশে!”
শেষ ভালো যার, সব ভালো তাঁর!
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ জানবেন মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
জ্বলে-গলে ঢলে পড়ে আবেগী মোমরাত
পোঁড়ে আক্ষেপ ভুলে,
রাতের জানা আছে,
অদ্ভুদ মানুষেরা-ই ভালোবাসে
পাড়ি দেয় অগুনিত রাত জ্বলেপুড়ে
ভালোবাসার তরে..
সৌবর্ণ বাঁধন
হয়ত এমনি। রাতের সবই জানা আছে। আবার এমনো হতে পারে মানুষের এসব কাজের কোনোই অর্থ নেই তাদের কাছে। মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
বোরহানুল ইসলাম লিটন
অতিশয় হৃদয়ছোঁয়া নিবেদন।
শুভ কামনা জানবেন সতত।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক অনেক ধন্যবাদ।
রিতু জাহান
মধ্যবয়সে জীবনটা বেশ আনাড়ি,,
বেখেয়ালি, বেমতলবে ছড়িয়ে যায় আবেগ মিশ্রিত শব্দ ডালি,,
মানুষ এমনই হয়, অনিশ্চিত জেনেও হাঁটে পথ একেলা।
পাবে হয়তো দূর কোনো আলোর রেখা।
আপনার লেখার ভক্ত হয়ে গেলাম। দারুন লেখেন আপনি।
সৌবর্ণ বাঁধন
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা! মানুষ আসলেই অনিশ্চয়তার পথের যাত্রী।
খাদিজাতুল কুবরা
কুঁড়ে ঘরে উঁকি দিয়ে চাঁদের ঝিলিক,
ফিক করে হেসে বলে আছিতো আমি কিসের এতো দুঃখ?
ফিরতি হাসি ফেরত দিয়ে,
হাঁড় ঝিরঝিরে আসমানী ভুলে যায় ;চালা গলে গতরাতে বিছানা বালিশ ভেজানো বৃষ্টির গতিক!
বলে, এসো পাশাপাশি বসে গল্প করি কিছুক্ষণ!
চোখে চোখ রেখে সুখ চাখে তারা!
চোখের ভাষায় মিটিয়ে নেয় অতীতের সব লেনদেন।
পরস্পরের অব্যক্ত খেদোক্তি সমস্বরে বেজে উঠে নেপথ্যে
জীবনের চেয়ে নেই বড় কোনো ঋণ!
সৌবর্ণ বাঁধন
বাহ। কবিতার মন্তব্যে এতো সুন্দর কবিতা লিখে দেওয়ার জন্য কবিকে ধন্যবাদ।
হালিমা আক্তার
রাতের কোলে ঘুমিয়ে যতই কাটুক সময়। ভোরের আলোয় জেগে সে উঠবেই। ভালোবাসার টানে কাছে আসবেই। মুগ্ধতা ছুঁয়ে গেল।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ জানবেন।