
বিশ্বযুদ্ধের মতো গাছদের আগ্রাসী ছায়া,
করোটির গভীরে এনেছিল পাখির চোখের মায়া,
মৃদু ধোঁয়া মেখে বুকের ভিতর বসে একটি ঘর,
ছেড়ে যাওয়া ট্রেইন দেখেছিল বিক্ষুব্ধ দূরবীনে!
আংগুর লতায় সোনালি প্রেম মজে গিয়ে বনে,
আর্কটিক বলয় জুড়ে নামালো বিধ্বংসী ঝড়,
অথচ কথা ছিল সিন্ধুঘোটক সাহারার রাতে
বালুতে বিলীন হয়ে হবে নশ্বর!
কংক্রিট ছুঁয়ে মৃদু পায়ে ঝরছে অলকানন্দা,
প্রিয় নদী পাখি হয়ে ঝাঁপ দিল নৈঋত কোণে,
তখন প্রয়াত প্রায় সন্ধ্যা!
লোডশেডিং এর কালে পতঙ্গরা আলো খেকো,
এ শহর নিভে গেলে বাজে অনর্গল পাহাড়ি মঠ,
জেনেছি মহাবিশ্ব আয়তনে হৃদয়ের চেয়ে ছোট,
তবু পাতাবাহারের রঙ ফাঁকি দিয়েছিল তক্ষক!
মিশরীয় সম্রাটের চিঠি পৌঁছালে ক্যাসকেটে,
লাপিজ লাজুলি যত্ন করে রেখো!
প্রতিটি গুপ্তধন অন্ধকারে বেড়ে উঠা ভ্রুণ,
বুকের গভীর ক্ষতে ক্ষয়ে যায় সমস্ত গুণাগুণ,
সূর্যগ্রহণের কালে অবিশুদ্ধ কম্পমান হৃদপিন্ড,
বের করে রেখেছি সরণি জুড়ে,
আমার হৃদয় পুড়িয়ে পৃথিবী অক্ষত থাক,
সূর্য কখনো পাবেনা বুকে চাঁদের আলোর ছাপ!
গভীর রাতে তবু বাজে সুতীক্ষ্ণ ডামাডোলে,
পঙ্গপালের হাঁকডাক,
আর কত ঢেউ পেলে নদী হবে পূর্ণিমা?
তোমাকে পারবো দিতে স্থির পদ্মের উপমা!
এই ভেবে স্বপ্নের গাড়ি ডুবে গেলো বর্ষায়,
লজ্জাবতীর পাতায় লুকানো খানিকটা জল,
তাই নিয়ে ঠোঁটে পাখিটা এখনো অপেক্ষায়!
ফটো ক্রেডিট@ নিজস্ব
১২টি মন্তব্য
নার্গিস রশিদ
পড়ে আনন্দ পেলাম। অনেক শুভ কামনা।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ মূল্যবান মন্তব্যের জন্য।
সাবিনা ইয়াসমিন
একটি নির্মল হৃদয়ের পরিধি শুধু মহাবিশ্ব নয় আমি বলবো সমগ্র মহাকাশের চেয়েও বড়।
চারিদিকে যেখানেই দৃষ্টি ফেরানো হোক সবটাই দৃষ্টি-সীমায় দৃশ্য। একমাত্র হৃদয় এমন এক বস্তু যার সম্পূর্ণটাই অদৃশ্য!
দূর থেকে দেখলে মনে হয় এইতো! একদম মুঠোয়, কিন্তু যত কাছাকাছি প্রবেশ করতে চাওয়া হবে ততই বাড়তে থেকে এর আকার-প্রকার-অন্ধকার অথবা আলো।
সূর্যের বুক চাঁদের আলো স্পর্শ করতে পারেনা। জোছনায় ভাসতে হলে হতে হবে পৃথিবী, অথবা আরেকটা চাঁদ কিংবা অতল নদী।
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ জানবেন। বস্তুত হৃদয় কি তা জানতেই মানব সভ্যতা বুড়ো হয়ে গেলো। তবু উত্তর পেলোনা।
রোকসানা খন্দকার রুকু
পাখি অপেক্ষায় থাকুক!!
ছবি অসাধারণ 🥰
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ।
খাদিজাতুল কুবরা
কবিতার প্রতিটি লাইনে সৌন্দর্য ঠিকরে পড়ছে!
বিশেষ করে-
“জেনেছি মহাবিশ্ব আয়তনে হৃদয়ের চেয়ে ছোট,”
“প্রতিটি গুপ্তধন অন্ধকারে বেড়ে উঠা ভ্রুণ,”
লাইনগুলো অনেকদিন মনে থাকবে।
শুভেচ্ছা শব্দের যাদুকরের জন্য
সৌবর্ণ বাঁধন
অনেক ধন্যবাদ ও শুভকামনা কবিকে।
প্রদীপ চক্রবর্তী
প্রতিটি লাইন কত যত্নে লেখা।
কবিতা যে সমস্ত কিছুর সার।
আর এর বিশালতা যে কত…!
সত্যিই বেশ লিখেছেন।
সৌবর্ণ বাঁধন
ধন্যবাদ জানবেন এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
হালিমা আক্তার
মহাবিশ্ব আয়তনে হৃদয়ের চেয়ে ছোট। কি অসাধারণ বাক্য। হৃদয়তে এত বড় বলেই হয়তো, হৃদয় সবকিছু সয়ে যেতে পারে। চমৎকার কবিতা। শুভ কামনা রইলো।
সৌবর্ণ বাঁধন
হুম। হৃদয় অতল। তার তল পাওয়া দায়৷ অনেক ধন্যবাদ জানবেন।