
সফেদের বুকে রঙের ক্ষুধা,
বসুধার বুকে যেমন জলধির সুধা।
একটা ধবধবে থান সফেদই সুন্দর!
ওতে রঙের ছটা ঠিক জুতসই নয়,
এ-ই তো বহমান ভাবনার বিচ্ছুরণ।
মানুষগুলো যেমন নিষ্পাপ শিশু হয়েই জন্মায়;
তেমনি প্রতিটি কাপড় ও মূলত সাদা।
মানুষ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত হয় লালসালু লালসায়,
আর কাপড় বর্ণিল হয় শিল্পের ছোঁয়ায়।
রুপ- রঙ, লতা- পাতা, আল্পনা- জল্পনার মিশেলে তাঁতির হাতেই সাজে বহুরুপী পাতাবাহার!
সাদাকে সাদাসিধে পেয়ে কেউ যেমন কালিঝুলি মাখে,
আবার কেউ তাতে রামধনু থেকে রঙ চেয়ে নিয়ে কারুকার্য আঁকে।
মজার ব্যপার হলো এই শৈল্পিক আঁকিয়ে বড্ড হাতেগোনা,
ডিজিটাল পৃথিবীতে গ্রাফিকসই বেশি জনপ্রিয়,
কর্পোরেট যুগে কদর না পেলে শিল্পে কি আর মন লাগে?
রঙের খোয়াব দেখে দেখে দিনরাত একাকার করা সফেদ এখন মলিন,
সময়ের বয়স বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণ,
চোখে চাল্লিশার ধোকা, চুলের ফাঁকে শেষ বিকেলের রেখা আঁকা ।
সন্ধ্যার আঁধারে রঙ বেরঙ সবই সমান।
মলিন সফেদ আর হলোনা রঙিন।
১০টি মন্তব্য
আলমগীর সরকার লিটন
বেশ অনুভূতির ছোঁয়া কবি আপু ভাল থাকবেন————
খাদিজাতুল কুবরা
আন্তরিক ধন্যবাদ লিটন দা।
ভালো থাকবেন
রোকসানা খন্দকার রুকু
বাহ দারুন! আসলেই সাদাকে সাদাসিধে পেয়ে কতো কি যে করে শৈল্পিক আকিয়েরা। ডিজিটালে সবই ডিজিটাল হওয়া উচিত, সাদাসিধেকেও। অবশ্য হয়ও একসময়।
শুভ কামনা সকল শৈল্পিক আঁকিয়েদের জন্য।
খাদিজাতুল কুবরা
ঠিকই বললে বন্ধু।
ভালোবাসায় রেখো সবসময়।
ভালো থেকো ভালো লিখ এই শুভকামনা।
হালিমা আক্তার
সাদা মানেই শুভ্রতা ও পবিত্রতা। সেই সফেদ সাদাতেই বসে রঙের আলাপন। শিল্পীর তুলিতে আঁকা হয় সাদার বুকে বর্ণিল আলোর ছটা। শুভ কামনা রইলো।
খাদিজাতুল কুবরা
অনেক ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় আপু
মনির হোসেন মমি
ডিজিটাল আকিঁদের যুগে হাতের তুলির আচঁরের ব্যবহার তেমন একটা হয় না বলললেই চলে।ছবিটা আঁকা হয়েছিলো অনেকটা খাম খেয়ালি ভাবে তবে ছবির মুল ভাবনা ছিলো কোন এক রমণীর ভাগ্যকে ঘিরে মন খারাপের ভিন্নতা নিয়ে।বেগুনীর মাঝে নীল – বেগুনী রংয়ে মন রঙীল হলেও পরক্ষণে কোন এক অপ্রত্যাশিত কারনে মনে নীলাভা এসে পড়ে যা তার মনকে জীবনকে উপেক্ষা করে নির্বাক দৃষ্টি ফেলে।একজন পুরুষ সমাজে সব দিক দিয়ে মানিয়ে নিতে পারলেও নারীরা পারে না।তাদের প্রতি চলনে বলনে সামাজিক অবক্ষয়তার বাধা হয়ে তাদের উজ্জীবিত পথকে আটকে দেয়।
অসংখ্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।
এতো সুন্দর গভীর ভাবনাময় কবিতা পেয়ে ছবিটি আঁকা সার্থক হল।
খাদিজাতুল কুবরা
হ্যাঁ ভাইয়া কাকতালীয়ভাবে আমার লেখার সাথে আপনার আঁকা ছবিটি একই অর্থ বহন করছে।
আমি একজন মধ্যবয়সী বিধবার মনের ক্যানভাস এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
বিধবাকে সাদা থানে আবৃত দেখতে সমাজের চোখ আরামবোধ করে, কিন্তু বিধবাই জানে লতিয়ে উঠা গোঁড়ামি তাকে কতটা যন্ত্রণায় মূহ্যমান করে তোলে।
আমার লেখাটিকে অন্তরঙ্গম করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে
সুপর্ণা ফাল্গুনী
“মানুষ পঙ্কিলতায় নিমজ্জিত হয় লালসালু লালসায়,
আর কাপড় বর্ণিল হয় শিল্পের ছোঁয়ায়।” কথাগুলো দারুন লাগলো আপু। আজকাল মনের কালিমায় সবাই যেন রঙিন হতে চায়, সত্যিকার সৌন্দর্য কেউ খোঁজে না। শুভ রাত্রি
খাদিজাতুল কুবরা
ভালোবাসা এবং শুভেচ্ছা জানবেন প্রিয় দিদি ভাই