ঝিরিঝিরি বৃষ্টির উড়নি ফেলে
এই মেঘবর্ষার জ্যোৎস্না চোখে
ঘোর অমাবস্যা।
জ্যোৎস্নার জোনাকি নিস্তব্ধতায়
মিটি মিটি চোখে কী যে দেখ!
মেঘেদের উপত্যকার গিরি পথে
রোঁদেদের উঁকিঝুঁকি,
মায়া কুহেলিকায় মায়া ঘোরে
মায়াঞ্জনে চোখ ফেলে
কী যে কর!!!
সায়ন্তন সাচিঁ মেঘ, সুরাইয়া তুমি,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিবেশে নেমে এসো
এই ধানসিঁড়ির তপ্ত বুকে, বা
শিলা বুকে পিষ্ট কর এ অধর ধরণী।
সত্যিই তুমি কি
বিলোল উপোষী উলূকী?
মেহজাবিন!!!!!!!!!
৪০টি মন্তব্য
শুন্য শুন্যালয়
অনেকগুলো নতুন শব্দ, লিস্টি ধরিয়ে দিচ্ছি দাঁড়ান। পড়তে কিন্তু বেশ সুনিপুষ্ট। জ্যোৎস্না চোখে ঘোর অমাবশ্যা? মেহজাবিন তো রহস্যের মধ্যে রহস্যময়ী মনে হচ্ছে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টির বেশে নেমে আসো সুরাইয়া, তুমি যে শেষ প্যারার অবোধ্য শব্দের মতোই ধোঁয়াটে। মুক্ত করো অজানার পালক।
ছাইরাছ হেলাল
আপনার মন্তব্যটিও নিবিষ্ট পাঠ থেকেই এসেছে। হ্যা, জ্যোৎস্নার চোখে ও থাকে কিছু আঁধিয়া।
রহস্যের কি আর শেষ আছে। শেষে গালাগালি করার চেষ্টা।
মায়া কুহেলিকায়……মায়ারূপ কুয়াশা
মায়া ঘোরে……ঐন্দ্রজালিক মোহ
মায়াঞ্জনে চোখ ফেলে ……কাজল দেয়া চোখ
সাচীঁ…আসল
সুরাইয়া……সপ্তর্ষিমন্ডলের তারকা
উড়ুনি/উড়নি……ওড়না
বিলোল……এলোমেলো
উলূকী……পেচীঁ
উপোষী…অভুক্ত
সরাসরি অর্থ নয়, ভাবার্থ ও ভাবতে পারেন।
শুন্য শুন্যালয়
রহস্যের ঘেরাটোপে পরে ফান্দে পড়িয়া ঘুঘু কান্দে রে র মতো গালাগালি? এ আপনাদের ব্যাপার স্যাপার। তবে মেহজাবীন কে জানা চালু থাকুক, আমরাও আছি পেছন পেছন। স্পর্শে লেখা দারুনত্ব পাবেই স্বাভাবিক।
ছাইরাছ হেলাল
মেঘেদের ফাঁদে আমাদের পড়তেই হয়, আমরা পড়িও। আর গালাগালি এর
একটি অত্যাবশকীয় অংশ।
আরও কিছু লেখায় মেহজাবিন থাকবে বলেই মনে হচ্ছে।
দারুণ হবে কিনা জানিনে, সে আপনারাই চেখে-টেকে নেবেন।
শুন্য শুন্যালয়
মায়া কুহেলিকায়, মায়া ঘোরে, মায়াঞ্জনে চোখ ফেলে!!! ঘোর ঘোর লেখা ভাইয়া। আপনার মেঘবর্ষা কি কথা বলতে পারে? কতো প্রশ্নের উত্তর পাওনা রয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
প্রশ্নের কোন শেষ নেই। অবশ্য শেষ প্রশ্ন বলেও কোন কথা নেই।
মেঘবর্ষা শুধু কথা নয়, অনেক না বলা বলে ফেলতে পারে বলেই মনে হয়। সমস্যা হোল
হাতের কাছে পাওয়া যায় না। তাই মিষ্টি করে কথা ব্লা,গালাগালি………
এসব চালু থাকে।
সীমান্ত উন্মাদ
সায়ন্তন সাচিঁ মেঘ, সুরাইয়া তুমি,
ঝিরিঝিরি বৃষ্টিবেশে নেমে এসো
এই ধানসিঁড়ির তপ্ত বুকে, বা
শিলা বুকে পিষ্ট কর এ অধর ধরণী।
এই লাইনগুলি বেশি ভালো লাগছে, কারন এখানে আমার প্রিয়তমা বৃষ্টির কথা বলা আছে।
শেষ রাতে দারুন একটা কবিতা পড়লাম। বেশ ভালোলাগলো। শুভকামনা জানিবেন নিরন্তর।
ছাইরাছ হেলাল
বৃষ্টি আপনার প্রিয়তমা বুঝি! ভালো লেগেছে জেনে আমিও আনন্দিত।
তবে কবিতা যে হ্য়নি/হয়না তা বেশ করে জেনেও লিখি,লিখি যাই মনের আনন্দে।
সাতকাহন
ভালো লিখছেন, মুগ্ধতা নিয়ে পড়লাম।
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ, অনেক অনেক দিন পর এলেন।
অনিকেত নন্দিনী
মেহ্জাবিন!!! একে ঘিরে লেখা কবিতাগুলো কেমন ঘোরলাগা মনে হয়।
মুগ্ধতা রইলো। -{@
ছাইরাছ হেলাল
আপনি একদম ঠিক ই ধরেছেন, মেহজাবিনকে নিয়ে কিছুটা ঘোর সত্যিই আছে।
আপনার লেখার অপেক্ষা করছি।
মিথুন
মেহজাবীন তাহলে পেঁচি? 😀
এতো সুন্দর করে জোনাকি নিস্তব্ধতার কবিতা লিখলে হবেনা। মায়া মায়া মেহজাবীন কবিতাতেও মায়া ছড়িয়েছে। খুবই সুন্দর একান্ত অনুভূতি………
ছাইরাছ হেলাল
হ্যা,সামান্য গাল পারলাম রেগে গিয়ে। সুন্দর করে আর কই লিখতে পারলাম, কত লেখা যে বাকী রয়ে গেল।
আরও কিছু লিখব মাহজাবিনকে নিয়ে।
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
মেহজাবিন বেচে থাক সুন্দরতম রূপে
বড় ভাইয়ের হৃদয়ে -{@
ছাইরাছ হেলাল
এই গল্পের মত মাহজাবিনের সাথে দেখা হলে হৃদয়ে বেঁধে রাখতাম।
কম কম দেখছি আপনাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
কতোবার যে পড়লাম। কেমন এক নেশা, ঘোর যেনো কাটছেই না। একেকটি শব্দ যেনো একেকটি আবেশাচ্ছন্ন মুহূর্ত। নারী প্রকৃতি, আর অন্ধকার মাখানো মেঘ একসাথে মিশে বর্ষা হয়ে ভিঁজিয়ে দিলো মন। কবিতা যেনো নয়, এ এক নেশা। আবেগ তাড়িত হচ্ছি বারবার।
দারুণ! (y)
ছাইরাছ হেলাল
আপনি এবারে একটু বেশি বেশিই ভাল বলে ফেলছেন কিন্তু!
আবার ধরেও ফেলেছেন সব কিছু সুন্দর করেই।
প্রকৃতিই সত্য, যেখানে সব কিছুই আছে,চাওয়া পাওয়ার মত।
নীলাঞ্জনা নীলা
আপনার প্রতিটি লেখাই অনেক ভালো। কিন্তু এটি যেনো আবেশায়িত করে।
ছাইরাছ হেলাল
আপনি মন দিয়ে পড়েন দেখে আমার ও ভালই লাগে।
মেহেরী তাজ
উইতক্লু ভালো হইছে। ( তার জন্য শুন্য আপুর একটা থাংকু প্রাপ্য)
একে তো কবিতা বুঝি না তার উপর আবার এত্তোগুলা অচেনা শব্দ।
কিন্তু মনে হচ্ছে মেহেজাবীন খুব রহস্যময় একটা নাম।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যি তাঁকে ধন্যবাদ, এরপর এমন করেই লিখে দেব।
সব না বুঝলেও সমস্যা নেই। আমিই কী সব বুঝি নাকি?
কাল্পনিক নামে কিছুটা রহস্য থেকেই যায়।
খেয়ালী মেয়ে
মেঘবর্ষা দারুন লিখেছেন (y) তার মাঝে আবার খুঁজে পেলাম সুরাইয়া মেহজাবিনকে–যাক সুরাইয়া মেহজাবিনের কল্যানে আমরা সুন্দর কিছু লেখা পড়তে পাচ্ছি 🙂
বিলোল……এলোমেলো
উলূকী……পেচীঁ
উপোষী…অভুক্ত—————–উপোষী ছাড়া বাকি ২টার অর্থ নতুন জানলাম 🙂
ছাইরাছ হেলাল
যার কল্যাণেই হোক, লিখে আপনাদের কাছে নিয়ে আসতে পেরেছি সেটিই
অনেক আনন্দের।
আপনি একটু চোখ খোলা রাখলেই আরও অনেক অনেক সুন্দর পছন্দের শব্দ জানতে পারবেন।
শব্দদের প্রতি আমার এক ধরনের মায়াময়তা কাজ করে।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
মেহজাবিনকে নিয়ে আপনার লিখা এর আগেও পড়েছি। ভালো লেগেছে।
কিন্তু আপনার লিখাতে রেসপন্স করতে তেমন সাহস পাই না। অনেক ভারী ভারী শব্দে ভরপুর।
সুন্দর!
ছাইরাছ হেলাল
এ এমন কিছুই না। আপনারা পড়বেন তা জেনেই তো লিখি।
শব্দেরা আমার ভালোবাসায় থাকে। তাই একটু এমন হয়।
আপনাকেও ধন্যবাদ।
সুস্থ থাকুন, তা চাই।
জিসান শা ইকরাম
কিছু নতুন শব্দ পেলাম
ভাবার্থও জানলাম মন্তব্যে………
মেহজাবিনকে আরো বুঝতে হবে আমার।
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই বুঝতে হবে মেহজাবিনকে।
শব্দ প্রীতি আমার থাকেই।
লীলাবতী
লেখাটি সহজ আবার সহজ না,সহজের কঠিন একটি লেখা।
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, তেমন কঠিন না, তবে খুব মজার।
ব্লগার সজীব
অধর ধরণীকে পিষ্ট করবে কেন?ধরনীতে আমরাও আছি,আমাদের মাথার উপর আবার শিলা খন্ড না পরে 😀
ছাইরাছ হেলাল
মাইরালা আম্রে মাইরালা, এই টাইপের।
শীলাদের বিশ্বাস করতে নেই, কখন কোথায় ঠুকে দেয় কে জানে।
স্বপ্ন
কবিতা আমি কম বুঝি কেন?এক লাইন পড়ে অর্থ বুঝে পরের লাইনে খেই হারিয়ে ফেলি 🙁
ছাইরাছ হেলাল
আমিও কিন্তু প্রায় আপনার মতই সব বুঝতে পারি না।
সব বোঝার দরকার ও নাই।
আর্বনীল
কয়েকটা নতুন শব্দ পেলাম। এর মাঝে বিলোল, উলূকী এই শব্দ আগে দেখেছি বা শুনেছি বলে মনে করতে পারছিনা। আর পুরো কবিতায় অদ্ভুত রকমের মাদকতা আছে। বারবার পড়তে ইচ্ছে করে….
এমন কবিতা আরো লিখে যান। শুভকামনা রইল। আর কবিতা শেষে নতুন শব্দের অর্থগুলো লিখে দিলে আমার মত পাঠকের আর বাংলা অভিধান নিয়ে বসতে হবে না। প্লিজ এই দিকটা একটু দেখবেন….
ছাইরাছ হেলাল
একটু অপ্রচলিত শব্দ এসে গেছে। এড়িয়ে যেতে পারিনি।
পরে এমন লিখলে অবশ্যই অর্থ লিখে দেব।
আপনাকে অনিয়মিত পাচ্ছে। আরও লিখুন, আমরা পড়ব বেশি বেশি।
ধন্যবাদ।
বন্দনা কবীর
ভিন্নতর শব্দ চয়নে লেখাটিকে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
ছাইরাছ হেলাল
বাব্বাহ, এ কাকে দেখছি!
আমার দেখছি মহা ভাগ্য।
অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ইমন
বাহ! ভাল লাগলো পড়ে। শুভেচছা নিবেন। -{@
ছাইরাছ হেলাল
পড়ার জন্য ধন্যবাদ।