কি অবাক হচ্ছেন? সেলুনে বই? তাহলে শুনুন- রাজশাহী নগরীতে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে দেশের প্রথম সেলুন ভিত্তিক পাঠাগার। একুশে ফেব্রুয়ারি এই কার্যক্রমের সূচনা হয়।
সেলুন ভিত্তিক বইপড়া কর্মসূচির উদ্যোক্তা সোহাগ আলী। সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতে এসে বেশরি ভাগ সময় অপেক্ষা করতে হয়। অপেক্ষার সেই সময়ই বইপড়া অভ্যাস গড়ে তোলার লক্ষে অভিনব কায়দায় বই পড়ানোর দায়িত্ব নিয়েছে কেন্দ্রীয় কিশোর পাঠাগার। আপনার বাড়ির পাশের সেলুনেই বিনামূল্যে বই পড়তে পারবেন। প্রয়োজনে আপনি বাসাতেও বই নিতে পারবেন।
দিন দিন গণগ্রন্থাগারগুলোতে পাঠক কমছে। বর্তমানে মানুষের কর্মব্যস্ততার মাঝে গ্রন্থাগারে গিয়ে বই পড়ার জন্য পর্যাপ্ত সময় ও সুযোগ পাচ্ছেন না। তাই আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের বিনামূল্যে বই পড়া কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকি যাতে সহজেই পাঠকগণ গ্রন্থাগারে না গিয়ে ঘরে বসেই বই পড়ার সুযোগ পান।
নগরীর ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের তেরখাদিয়া এলাকার ১০টি সেলুনে পরীক্ষামূলকভাবে এ কার্যক্রম শুরু করেছে রাজশাহীর কেন্দ্রীয় কিশোর পাঠাগার।
এমন কিছু খবরে সত্যি মন ভালো হয়ে যায়।
সুত্রঃ নেট থেকে প্রাপ্ত
২৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
চিন্তার অভিনবত্ত্ব দেখে মন ভালো হয়ে গেলো ভাই।
বড় সেলুনে গিয়ে অপেক্ষার সময় গুলোতে পত্রিকা পড়তাম। এখানের কয়েকটা সেলুনে বই রাখা আছে, এমনকি তা বাসায়ও নিয়ে যাওয়া যাবে।
ব্যাতিক্রমী এই খবরটি শেয়ারের জন্য ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
শুভ কামনা।
তৌহিদ
আমিও অবাক হয়েছি ভাইয়া। তবে এর উদ্যোগ যিনি নিয়েছেন তিনি আসলেই প্রশংসার দাবিদার।
জিসান শা ইকরাম
হ্যা অবশ্যই তিনি প্রশংসার দাবীদার।
সাবিনা ইয়াসমিন
অবাক হয়েছি আবার ভালোও লেগেছে। চলমান ব্যস্ত জীবনে মানুষ যখন একটু একটু করে বই বিমুখ হয়ে পরছে/ হচ্ছে, তখন রাজশাহীতে এমন কার্যক্রম আশার আলো দেখিয়েছে। হয়তো এটা দেখে ধিরে ধিরে সারাদেশেই এমন উদ্যেগ নেওয়া হবে। ঢাকায় বই প্রেমীদের জন্যে ভ্রাম্যমান পাঠাগার প্রকল্পটিও একারনেই নেয়া হয়েছিলো। এবং সফলতা পেয়েছে।
ভালো পোষ্ট দিয়েছেন ভাই। শুভ কামনা।
তৌহিদ
জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ুক ঘরে ঘরে। এভাবেই একটু করে এগিয়ে যাক দেশের মানুষের সাহিত্যপাঠ।
শুন্য শুন্যালয়
চমৎকার আইডিয়া। যেসমস্ত জায়গায় বেশি অপেক্ষা করতে হয় সেখানে এই আইডিয়া গুলোর আরো প্রসার হোক, এই আশা করছি, যেমন ডক্টর চেম্বার, হাসপাতাল, পার্লার।
অনেক ধন্যবাদ নিউজটি শেয়ারের জন্য। একদিন আমরাও,
তৌহিদ
অবশ্যই আপু, এমন আইডিয়া অপেক্ষমান সব জায়গায় চালু করা যেতে পারে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
ছাইরাছ হেলাল
বই-বিমুখতা প্রকট থেকে প্রকটতর হচ্ছে, এ কঠিন সময়ে এ এক দারুণ স্বস্তি।
সব জায়গায় চালু হলে মন্দ হয় না, মোবাইলের তোপে যদিও টিকে থাকা কষ্টকর।
তবুও বলব, সাধু সাধু এ প্রচেষ্টা।
তৌহিদ
কিঞ্চিত আশার আলো জেগেছে। একদিন দেখবো অনেক জায়গায় ছড়িয়েছে এমন আইডিয়া। যারা বই পড়তে ভালোবাসে তারা মোবাইলের যুগেও বই পরবে ভাইয়া।
মাহমুদ আল মেহেদী
বই পড়াটা কমে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু আমার কেন জানি মনে হয় মানুষ নিজের প্রয়োজনেই আবার আসিবে ফিরে।
তৌহিদ
অবশ্যই ভাই। শিকড়ের টান কি আর ভোলা যায়!!
রিতু জাহান
দারুন আইডিয়া। আমার মেমন রিয়ান সেলুনে বই নিয়ে যায়। বিশেষ করে কিআ।
সত্যিই অবাক হই, বর্তমানে কিছু কিছু এমন কার্যক্রম দেখে।
খুব স্বপ্ন দেখি এ প্রজন্ম নিয়ে। জানি ওরা পারবেই।
বেশ ভালো একটি পোষ্ট।
তৌহিদ
ধন্যবাদ আপু। মেমনের জন্য ভালোবাসা রইলো।
ইঞ্জা
অবাক হওয়ারই মতোই ব্যাপার কিন্তু বেশ কার্যক।
তৌহিদ
জ্বী দাদা, ব্যাপারটি আশাব্যঞ্জক। বই পড়ার অভ্যাস ঘরে ঘরে ছড়িয়ে পড়ুক।
বন্যা লিপি
অবাক তো হলামই, পাশাপাশি মাথায় এলো, বিউটি পার্লার গুলোতেও এমন ব্যাবস্থা রাখা উচিত। মেয়েরা, মহিলারাও তো বিউটি পার্লাগুলোতে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কাটায় /কাটাই লম্বা সিরিয়াল নিয়ে।আমি একটা পার্লারে যাই। মেয়েটা নিজের অবসরে ক্যাশ কউন্টারে বসে বসে বই পড়ে। মেয়ের সাথে প্রায়ই যাওয়া হয়।আমার বোরিং লাগলে একদিন আমায় বের করে দিলো দুটো বই। ভীষণ ভালো লাগলো জেনে, বললো, “আন্টি আমি সময় পেলেই এখানেই বসে বই পড়ি “………..
আপনাকে ধন্যবাদ এমন একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
তৌহিদ
আপনার আইডিয়া কিন্তু বেশ। সত্যি বলছি আমার একটা পার্লার থাকলে আমি এই ব্যবস্থাই চালু করতাম।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
নিতাই বাবু
দারুণ খবর তো! আপনার লেখা পড়ে জানতে পারলাম। এমনভাবে প্রতিটি সেলুনে হলেই তো আরও ভালো হতো। সময়ও কেটে যেতো, বইও পড়া হতো।
তৌহিদ
আমিও অবাক হয়েছি, ভালোও লেগেছে এমন খবরে। সারা দেশে এমন উদ্যোগ চালু হোক। মানুষের শুভবুদ্ধির উদয় হোক।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ দাদা।
অপার্থিব
নিউজটা পত্রিকায় পড়েছিলাম, ঢাকা শহরের জ্যামে লোকাল বাসে যে পরিমান টাইম নষ্ট হয় তাতে লোকাল বাস গুলোয় মিনি লাইব্রেরী করা দরকার।
তৌহিদ
এই আইডিয়াটাও বেশ ভালো। ধন্যবাদ জানবেন।
আকবর হোসেন রবিন
দারুণ আইডিয়া। কাল চুল কাটতে গেলে, সেলুনে এটা বলবো। প্রচার হোক। পরিবর্তন আসুক।
তৌহিদ
হ্যা ভাই, পরিবর্তন আসুক। এটাই কাম্য।