বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান - এক অপরূপ মোহিনী শক্তি এই নামে। প্রতিটি বাংগালীর মনের মুকুরে ভেসে উঠে রূপকথার এক বীর নায়কের প্রতিচ্ছবি। ভেসে উঠে বাংলার প্রতিটি নির্যাতিত মানুষের প্রতি দরদ ও ভালবাসা সিক্ত একটি মানুষের চেহারা। যে অসাধারণ ধৈর্য, সাহস ও দৃঢ়তা নিয়ে তিনি তাঁর সুদীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামে অসংখ্য অগ্নি-পরিক্ষার মধ্য দিয়ে পাকিস্তানি শাসক ও শোষক চক্রকে রুখে দাঁড়ান তাঁর তুলনা কেবল মাত্র রূপকথা ও পুরানিক মহাকাব্যের অতিমানবিক নায়কদের মধ্যেই পাওয়া যায়। প্রায় এক যুগ ব্যাপী কারাজীবনে তিনি অন্ততপক্ষে দুবার মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়ান। কিন্তু কখনও মুহুর্তের জন্য এতটুকু দমেন নি, টলেন নি। সব রকমের দুঃখ কস্ট এবং বিপদের মধ্যেও তাঁর চেহারায় দেখা যেতো বিজয়ের হাসি। যে অপূর্ব ধৈর্য ও নির্লিপ্ততার মধ্য দিয়ে তিনি তথাকথিত আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার মোকাবেলা করেন তা কেউ কোন দিন ভুলবে না। পাকিস্তানি শাসক চক্র তাঁর জনগনের প্রতি কিছুটা সংযত আচরণ করবে, শুধুমাত্র একথা বিবেচনা করেই ১৯৭১ সালের ২৫ শে মার্চ রাতে তিনি কিভাবে গ্রেপ্তার বরণ করেন তা সমগ্র বিশ্ব জানে। কিন্তু কার্যত তা হয়নি। প্রতিটি ব্যাপারেই দেখা গেছে যে শেষ পর্যন্ত তিনি বিজয়ীর মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। এসব সাফল্যের পিছনে রয়েছে তাঁর অদম্য সাহস, ইস্পাত-কঠোর সংকল্প, আদর্শ ও লক্ষ্যের প্রতি নিষ্ঠা এবং তাঁর জনগনের ঐক্য ও সংহতিতে প্রগাঢ় বিশ্বাস।
বাংলার মানুষ তাঁকে "আমার নেতা , তোমার নেতা- শেখ মুজিব" " মুজিব ভাই" এবং সর্বোপরি "বঙ্গবন্ধু" প্রভৃতি যে নামেই আখ্যায়িত করুক , তিনি প্রতিটি বাংগালী হৃদয়ের মণিকোঠায় সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত। তিনি রূপকথার জীবন্ত নায়ক , বাংগালী সত্তার মূর্ত প্রতীক এবং বাংলার আবাল- বৃদ্ধ -বনিতার ভাবাবেগের উৎস।
একতা সত্য যে , বিগত পঁচিশ বছরের বিপ্লবী অগ্নিপুরুষ বর্তমানে সরকারী ক্ষমতার পুরোভাগে রয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষের কাছে তিনি কেবল প্রধানমন্ত্রীই নন। তিনি তাঁর জনগনের সর্বপ্রকার ধ্যান-ধারনা, আদর্শ ও আশা -আকাঙ্ক্ষার মূর্ত প্রতীক। কারণ একটি ঐক্যবব্ধ জাতির সামগ্রিক প্রতিরোধ শক্তি তিনিই গড়ে তোলেন। কর্মজীবনে তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্বের প্রভাবে ও গতিশীল নেতৃত্বে সবচাইতে বড়ো অবদান হচ্ছে বাংলাদেশের স্বাধীনতা। এটাই তাঁর কর্মজীবনের মূলকথা । এটাই তাঁকে ও তাঁর জনগণকে গৌরবের বিজয়মাল্য ভূষিত করেছে।
Thumbnails managed by ThumbPress
১৬টি মন্তব্য
অপার্থিব
বানান ভুল আমি নিজেও করি কিন্ত শিরোনামে বানান ভুল একটু বেশিই খারাপ দেখায়। “বংগবন্ধু ” ও “স্বারক ” বানান দুটি ঠিক করলে ভাল হয়।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
হ্যাঁ, আমিও অনুরোধ জানাচ্ছি মজিবর ভাইকে।
মোঃ মজিবর রহমান
অপার্থিব দা আমি যেভাবে ঐ স্মারক গ্রন্থে পেয়েছি সেটাই তুলে ধরেছি।
আর কিছু ভুল আমি ঠিক করতে পারি নাই চেস্টা করেও
এই জন্যে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার জন্য অনুরধ রইল।
শুভকামনা রইল।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
বঙ্গবন্ধু! হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী! কিংবদন্তীর নায়ক।
মোঃ মজিবর রহমান
আপু আপনার কাছ থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই কাজে হাত দিয়েছি।
আপনাকে শুভেচ্ছা অবিরত।
মারজানা ফেরদৌস রুবা
(y)
জিসান শা ইকরাম
১৯৭২ সনের প্রথম বিজয় দিবসে প্রকাশিত লেখা আমাদের সাথে শেয়ার করছেন আপনি
ধন্যবাদ আপনাকে।
বঙ্গবন্ধুর তুলনা কেবল বঙ্গবন্ধুর সাথেই হতে পারে।
মজিবর ভাই, লেখা গুলোর লেখকের নাম দিয়ে দিলে আরো ভালো হতো।
মোঃ মজিবর রহমান
জিশান ভাইয়া এই লেখার কোনও নির্দিষ্ট লেখক নায়। মুখবন্ধের পরেই এই একটি প্যারা আকারে দেওয়া ছিল।
ধন্যবাদ আপনাকে।
জিসান শা ইকরাম
আচ্ছা, তাহলে ঠিক আছে।
লিখুন আরো -{@
ইলিয়াস মাসুদ
কিছু মানুষ হয় এমন ভুল করেও তাঁদের তুলনা খুঁজতে নেই
ভাল লাগলো ভাই
মোঃ মজিবর রহমান
ভাল বলেছেন মাসুদ ভাই।
তাঁদের তুলনা তারাই ।
ইমরান হাসান
ভালো লাগলো হাজার বছর এর শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী , আমাদের গৌরব । (3
মোঃ মজিবর রহমান
শুভকামনা রইল ইমরান ভাই।
-{@ -{@
ছাইরাছ হেলাল
তিঁনি তুলনা রহিত।
আপনি এখানে তুলে ধরেছেন তা দেখে ভাল লাগল।
শুন্য শুন্যালয়
তিনি অতুলনীয়, যুগে যুগে বাঙ্গালীর আদর্শ হয়ে থাকবেন। এদেশে একটি নতুন শিশু জন্ম নিলেও বঙ্গবন্ধুর নাম জেনে বড় হোক একজন মা আর বাবার নামের পাশাপাশি।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটির জন্য মজিবর ভাই।
শুভ্র রফিক
বঙ্গবন্ধু তো বঙ্গবন্ধুই।মহান নেতাকে লাখো সালাম