প্রিয়র প্রিয় নামটি উপেক্ষিত
অত্রালিতা
এই নামটি ধরে তোমায় ডাকি?
দূর! এটা কোনো নাম হলো! তুমি একটা আজব! জতোসব আজগুবি টাইপের কথা বলো! আর কোনো নাম পেলেনা?
শ্যামার কথায়, আমি যে শুধু কষ্ট পেয়েছি তাই নয়! পুড়ে ছাই হওয়ার পরে, পুনরায় সেখান থেকে নতুন অঙ্কুরোদগমন হয়ে রৌদ্রের প্রখর তাপে তা নেতিয়ে পরার মতোই, চুপসে গিয়েছিলো আমার মন।
আর এমন টা হবেই না কেনো?
আমি তো শুনেছি বা পরেছি যে,
ভালোবাসলে নাকি দুজনার আবেগ অনুভূতি সব এক হতে হয়। তবে কি এসব কথা শুধু গল্প বা উপন্যাসে ই মানায়? বাস্তবে নয়!
কিন্তু আমি তো চাই। এভাবেই ভালোবাসতে, মিশেযেতে দুজন দুজনায়। ভাবতে ভাবতেই দুচোখের কোনে জল আসলো।
এই কি হলো! তোমার চোখে জল কেনো?
শ্যামার এমন ধমকে আমি একটু আৎকে উঠলাম।
না, কৈ কিছু নাতো!
আসলেই তুমি আজব, কখন কি বলো কি করো বুঝতেই পারিনা!
আসলেই আমি আজব! আর খুব বেশী আবেগ প্রবন মানুষ (মনে মনে ভাবলাম)।
আচ্ছা বলোতো, আমার শ্যামা নামটা কি তোমার পছন্দ না? নামটাতো অনেক সুন্দর তাইনা?
হুম, খু......ব।
তাহলে আমায় ঐ নামে ডাকতে চাইলে কেনো?
কারণ অত্রালিতা আমার মনের রানি!
মানে কি? তবে তুমি এ মেয়ের সাথে, আবার আমার সাথেও.....!
বলেই কাঁদতে কাঁদতে আমার বুকের মাঝে দু'চারটা কিল ঘুসি, সাথে দু'তিনটা চর বসিয়ে ও যখন নিজের ভিতরে জ্বলে ওঠা আগুন নিভাতে পারলো না হন হন করে ত্যাজি হরিনির মতো যতো দ্রুত সম্ভব পা ফেলে চললো শ্যামা।
ঐ খোলা আকাশের দিকে তাকিয়ে নিশ্বব্দে কিছু কথা জানিয়ে রাখলাম তাকে।
" হে আকাশ তুমি জেনে রেখো
আরো একজন আমায় ভূল বুজলো।"
"আমার হৃদয়ের গভীরে থাকা সুপ্ত প্রেম/ ভালোবাসা তাকে দিতে/ বুঝাতে ব্যার্থ হলাম।"
"এর পরেও যদি কেউ ভালোবাসার কথা বলে আমার নিকট উপেক্ষিত হয়, সে যেনো আমায় নিষ্ঠুর, পাষাণ হৃদয় হীন না বলে।
সেদিন যে উপন্যাস টি পরলাম, তার নায়িকা অত্রালিতা চরিত্রটি আমায় এতটাই মুগ্ধ করেছিলো যে মনে মনে ভেবেনিলাম, যদি কভূও প্রেম আসে, তাকে অত্রালিতা তৈরি করেই ভালোবাসবো৷ আর আমিও হবো তার মনের মতো!
সে আর হলোনা!
১৬টি মন্তব্য
আরজু মুক্তা
দারুণ লিখেছেন।
এই মেয়ে, তুমি অত্রালিকা হয়ে, ফিরে আসো।
মোহাম্মদ দিদার
সে ফিরবে না, হয়তো
বেধেছে সুখের নীড়!
মনির হোসেন মমি
দারুণ লিখেছেন। মেয়েরা সব দিতে রাজী শুধু প্রিয়তমের ভাগ ছাড়া। খুব ভাল লাগল।
মোহাম্মদ দিদার
ঠিক বলেছেন প্রিয়জী
ভালোবাসা অহর্নি।
ইঞ্জা
চমৎকার ছিমছাম লেখাতে মুগ্ধ হলাম ভাই।
মোহাম্মদ দিদার
এ আমার বড়ো পাওয়া।
কৃতজ্ঞতা জানবেন প্রিয়জন।
ইঞ্জা
শুভকামনা অনিঃশেষ
নিতাই বাবু
ভুল বুঝাবুঝি একসময় সেরে যায়। যিনি যাকে ভুল বুঝে, সে-ই আবার তাকে বুকে টেনে নেয়! এমন দেখেছি অনেক।
আপনার কবিতায় ভালোবাসা রেখে গেলাম। কবিতা ভালো লেগেছে তাই।
মোহাম্মদ দিদার
এ আমার অনেক বিশাল প্রাপ্তি।
শ্রদ্ধা জানবেন গুনিজন।
মোস্তাফিজুর খাঁন
” শ্যামার কথায়, আমি যে শুধু কষ্ট পেয়েছি তাই নয়! পুড়ে ছাই হওয়ার পরে, পুনরায় সেখান থেকে নতুন অঙ্কুরোদগমন হয়ে রৌদ্রের প্রখর তাপে তা নেতিয়ে পরার মতোই, চুপসে গিয়েছিলো আমার মন। ”
দাড়ুণ লিখেছেন,,, ভাই।।
মুগ্ধ হয়েছি । মুগ্ধ করার মতই লিখেছেন ।
তবে শেষে কষ্ট দিতে ছাড়লেন না ।
মোহাম্মদ দিদার
আপনাদের প্রেরণা, আমার অসীম পাওয়া।
কষ্ট দিতে চাইনি ভাই।
বুক ভরা ভালোবাসা রইলো।
ছাইরাছ হেলাল
লেগে থাকুক, একদিন না একদিন হবেই, আলবাৎ হবে।
সাবিনা ইয়াসমিন
সবই বুঝলাম, শুধু এই লাইনটা বাদে..
” হে আকাশ তুমি জেনে রেখো
আরো একজন আমায় ভূল বুজলো।”
শ্যামাই যদি অত্রালিকা হবে তাহলে আরো একজন টা কে!!
মোহাম্মদ দিদার
ভুলটাতো শ্যামাই বুঝলো!
শাহরিন
ভালোবাসার খুনসুটি পড়তে ভালো লেগেছে।
মোহাম্মদ দিদার
জেনে ধন্য হলাম।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করছি