• “প্রচারেই প্রসার”….বিশ্বায়ন এগিয়ে যাচ্ছে এই স্লোগানে।সবাই ছুটছে নিজেস্ব পণ্যের বন্দনা প্রকাশের প্রতিযোগিতায়।নিচ্ছে নানাবিধ কৌশল।নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টি নন্দন বিজ্ঞাপন। সফল হচ্ছেন কেউ কেউ।বাজারজাত প্রক্রিয়ায় এসব নিতান্তই মামুলী বিষয়। কিন্তু প্রদর্শন হচ্ছে কি পণ্যের গুনগত মান কিংবা ব্যবহারের উপযোগিতা?
    না। পণ্যের থেকে রূপ লাবণ্য ই প্রকাশ পাচ্ছে বেশী। বলার অপেক্ষা রাখে না, তাদের অধিকাংশ ই নারী।
    যাক, এতো দিনে নারীর কিছুটা মূল্যায়ন হলো! তারাও কিছু করে দেখানোর সুযোগ পেলেন! বলা যায়, নারী এখন শেকল ভাঙতে শিখে গেছে।তবে এর পেছনেও হাত রয়েছে কিছু মহান পুরুষের।তারাই নারী অধিকারের বুলি বেশী আওড়ান। বলতে গেলে তারা অনেকটাই সফল।
    নারীদের তার শুধু উদ্বুদ্ধই করেননি, সৃষ্টি করেছেন নানাবিধ কর্ম সংস্থান। নিঃসন্দেহে এটা প্রশংসার দাবী রাখে।

    আবার বিজ্ঞাপন প্রসঙ্গে আসা যাক।বিজ্ঞাপন নারীদের কতোটা সম্মানিত করেছে, তা নিয়ে বিতর্ক ঢের। কিন্তু প্রশ্ন তো এসেই যায়, যখন পণ্যের গুণগত মানের থেকে শরীরী ভাষা প্রাধান্য পায়।তবে কি আধুনিক সভ্য সমাজে নারীও এক পণ্য?
    ক্ষমা চাইছি।
    কিন্তু সত্যকে এড়াই কী করে।সম্ভবত, মডেল নির্বাচনের সময় শারীরিক গঠন বেশ প্রাধান্য পায়।কারণ, দর্শকের চোখ না জুড়ালে পণ্য চলবে কী?
    তাই হয়তো নারীকে ঢেলে দিতে হচ্ছে সাধ্যের সবটুকু।স্বচ্ছলতা, জনপ্রিয়তা আসছে অনায়াসে…কিন্তু সম্মান?
    তপ্ত ঠোঁট, ঘর্মাক্ত নাভী, উন্নত স্তন কতোটা শ্রদ্ধাশীল করে তোলে, তা আমার বোধগম্য নয়।
    এখন প্রশ্ন হলো, শরীর কি শুধু নারীর?
    পুরুষের নেই?
    শুধু নারী দেহ এতোটা টানছে কেনো?
    তবে এটা কি নব্য পুরুষ শাসিত সমাজের “সংস্কার মুখোশ”?
    হলেও হতে পারে!
    লোকশ্রুতি আছে, নারীদের এখনো নাকি কিছু কম্প্রোমাইজ করতে হচ্ছে। “কিছু তো দিতেই হবে…”
    আসলে সমাজ কী প্রত্যাশা করে নারীর কাছে?
    নারীও তো স্বয়ংসম্পূর্ণ একটা মানুষ।কিন্তু তার মেধা বা যোগ্যতার থেকে শরীর এতোটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে কেনো?
    এই প্রশ্নের উত্তর কে দেবে?
    না, কেউ দিতে চাই না।নারী আজ ঘর থেকে বেরিয়ে আসছে…যেটি তার কাছে কারাগার মনে হতো।কিন্তু সে পালিয়ে কোথায় এলো?
    এখানে ব্লাক হোল ছড়িয়ে আছে সর্বত্র।শুধু হা করা পশুর চোয়াল।
    নারী মুক্তি পেলো কই?

    ক’জন সম্মান দিয়ে নারী কাজের মূল্যায়ন করেন, আমার জানা নেই।তবে এখনো নারীর শ্রেষ্ঠ দক্ষতা রূপ।এরচে বড় গ্লানি আর হতে পারে না। যে সমাজ নারীর যোগ্যতা বন্দী করেছে “জিরো ফিগারে”, যে সভ্যতা নারীর সাথে “হট” শব্দটা জুড়ে দিয়েছে….তারা কী করে নারীকে সম্মান করবে?

    নারী এখনো মুক্ত নয়।নারী এখনো তার যোগ্য সম্মান পায়নি।
    নারী যেনো বিজ্ঞাপন।নারী বিকৃত যৌনতার খোরাক।নারী পুরুষের নব্য কারাগারে বন্দী!!

0 Shares

১৫টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ