
নষ্ট দুষিত আবজর্নায় ডুবে আছে যৌবন, হ্যা সেই যৌবন। যে যৌবনের প্রাণোদ্দীপ্ত শক্তি বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে ঢেলে দিয়েছিল বুকের তাজা রক্ত। ৯০ এর গনঅভ্যুত্থানে রেখেছিল সংগ্রামী ভুমিকা। কিন্তু আজ যৌবনের ডামাডোল সে সব দামাল ছেলেরা বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। যুব সমাজের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা। তাদের গ্রাস করেছে ড্রাগের ভয়ংকর রাক্ষস। হিরোইন, পেথেটিন আর ইয়াবা কিংবা চরস গাজা মদে ডুবে থাকা। কবি বলেন- ‘এখন যৌবন যার, যুদ্ধে যাবার তার শ্রেষ্ঠ সময়’। তাই হয়তোবা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসগুলোতে তারা যুদ্ধের মহরা দেয় প্রতিনিয়ত। হ্যা যুবকরা সন্ত্রাসী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে। চরিত্র হারিয়ে কখনো বা হচ্ছে ধর্ষনকারী, খুববেশীদিন হয়নি জাবিতে হয়েছিল ধর্ষনের সেঞ্চুরী। আর এই যৌবন কখনওবা আত্মপ্রকাশ করছে অলিতে গলিতে ছিনতাইকারী হিসেবে। কিন্তু কথা হলো বাংলা মায়ের সে সব দামাল ছেলেরা যারা দেশপ্রেমে ছিল উদ্দীপ্ত কি করে তারা ন্ষ্ট হল? চরিত্র হারিয়ে কীভাবেই বা তাদের জীবন পাপের আবর্জনায় হুমরী খেয়ে পড়লো। এ প্রশ্নের উত্তর কে দিবে? এমনতো হবার কথা ছিল না। এ জন্যতো বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি।
যুবকরা যখন নানা মুখি সমস্যায় দিশেহারা এই সুযোগে অপরাজনৈতিক শক্তি তাদের ব্যাবহার করতে শুরু করেছে নানা ভাবে। নানা প্রলোভনে তাদের করছে বিভ্রান্ত। বিভিন্ন ইস্যুতে তার চাদাবাজি আর সন্ত্রাসে নিজেদের রাজনৈতিক হাতিয়ারে পরিনত করছে। সুখের আশায় লোভের তারনায় য়ৌবন আজ জিম্মী হয়ে আছে। তাদের উদ্ধারে এখনই এগিয়ে আসতে হবে।
যুবকরা বেকার এ সমস্যা সমাধানে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছেনা যে তা নয়। রাজনৈতিক দলগুলো তাদের ম্যানিফোষ্টোতে বেকারদের চাকুরী দেবার অঙ্গিকার করছে। এটা ভালো। কিন্তু যুবদের চরিত্রযে হনন হচ্ছে তার জন্য কে কি পদক্ষেপ নিযেছে। কিছুই না। বরং তাদের চরিত্র ধংসের জন্য তৈরী হয়েছে নানা ব্যবস্থা। ক্যাবল টিভির বদৌলতে অপসংস্কৃতি ঢুকে পরেছে দেশে। তারই করালগ্রাসে আজ যুব সমাজের নৈতিক চরিত্র ধংস হয়ে যাচ্ছে। দেয়ালে দেয়ালে সাটানো নোংরা পোষ্টারগুলো দেখলে বুঝা যায় আমাদের যুব সমাজ কিভাবে আস্তে আস্তে ফেসে যাছ্চে শয়তানি বেরাজালে। ক্যবাল চ্যনোলগুলোতে যে প্রোগ্রাম দেখানো হয় এবং রাস্তায় সাটানো পোষ্টারগুলোর প্রধান আকর্ষন নগ্ন নারী দেহ আর সন্ত্রাস। যা যুব সমাজের কাছে খুব সহজে গ্রহনযোগ্যতা পাচ্ছে। হটকেকের মত তার তা গিলে খাচ্ছে। ডীশ এন্টেনার বদৌলতে নীল ছবির প্রদশনী যে হারে ছরিয়েছে তা রোধ করা না গেলে ধর্ষনের সেঞ্চুরী এদেশে আরো হবে। তাই যুবকদের নিয়ে আমাদের গভীর ভাবে ভাবতে হবে। তাদের সোনার ছেলেরুপে বাংলা মায়ের কাছে ফিরিয়ে দিতে হবে। সে লক্ষে চরিত্র হননের যাবতীয় পথ বন্ধ করতে হবে। এগুলো হলো যত অনিষ্টের মুল। তাই ডালপালা না কেটে মুল উপরে ফেলতে হবে। আর যুবকদের আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে তাদের মাঝে ধর্মীয় মানবিক চেতনা জাগ্রত করতে হবে। জাগ্রত করতে হবে তাদের ভিতর সুপ্ত হয়ে থাকা অনন্য মানুষকে। আর জন্য সমাজের প্রতিটি মানুষ, পরিবার আর রাষ্ট্রকে গঠনমুলক ভুমিকা রাখতে হবে। দয়াময় আল্লাহ যেন যুবকদের দুষিত চরিত্র শোধন করে দেন এই প্রত্যাশা করছি।
১০টি মন্তব্য
ফয়জুল মহী
চলমান সমাজের কথা
আতা স্বপন
ধন্যবাদ
সুপর্ণা ফাল্গুনী
যুব সমাজ নষ্ট হবার পিছনে পরিবার অনেকাংশে দায়ী। সবার আকাশচুম্বী চাহিদা, বড়লোক হবার চাপ, অন্যদের সাথে সর্বদা তুলনা। আকাশ সংস্কৃতি এসব নোংরামি কে উস্কে দিচ্ছে যুবক যুবতী উভয়কেই। ভালো থাকবেন সবসময়
আতা স্বপন
যুব সমাজ ধ্বংস হচ্ছে নানা কারনেই কিন্তু এসব কারণগুলো কারো অজনা নয়। কথা হলো এগুলো জানার পরেও তাদের জন্য কেউ কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না। একধরনের উদাসিনতা কাজ করছে। এমন হতে থাকলে আমাদের আগামী প্রজন্ম হবে একটি দূর্বল প্রজন্ম। এখানে আর আগের মত জ্ঞানী গুনি জন্ম নিবে না। এটাই শংকার। ধন্যবাদ।।
হালিম নজরুল
যুব সমাজ নষ্ট হবার পিছনে পরিবার, পরিবেশ, সমাজ, রাষ্ট্র দায়ী।
আতা স্বপন
এগুলো আমরা সবাই জানি। জানে সমাজের নীতি নির্ধারকরাও। কিন্তু কেউই তাদরে এথেকে পরিত্রানের জন্য কোন উদ্যোগ নেয় না। বড় বড় কথা বলে শুধু। দরকার পারিবারিক সামাজিক রাষ্ট্রিয় উদ্যোগ। সবার সম্মেলিত প্রয়াসেই এ সমস্যা সমাধান সম্ভব। ধন্যবাদ।।
শামীম চৌধুরী
খুব সুন্দর হয়েছে।
আতা স্বপন
ধন্যবাদ
সাবিনা ইয়াসমিন
যুবক/ টিনএজ দের নিয়ে সুচিন্তিত একটা সমাজ ব্যবস্থার পরিকল্পনা খুব জরুরী। দেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ একটি অংশ এই তরুন সমাজ। ইচ্ছেকৃত ভাবেই হোক বা উদাসীনতার কারনেই হোক এদের নিয়ে সঠিক পরিকল্পনা এবং সুষ্ঠু বাস্তবায়নের প্রতি একটা নজরদারি অভাব লক্ষ্য করা যায়। এর জন্যে রাষ্ট্র, জনপ্রতিনিধি, সমাজ, সুশিক্ষা এবং পরিবার থেকে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। একটি জাতির প্রতিনিধিত্ব করে যুব সমাজ। সেটার অবক্ষয় হোক তা আমাদের কাম্য নয়।
সমসাময়ীক ভাবনার আলোকে লেখাটা ভালো হয়েছে স্বপন ভাই। আরও লিখুন।
শুভ কামনা 🌹🌹
আতা স্বপন
তরুনদের আমার বানিয়েছি ক্ষমতা যাওয়ার সিড়ি। রাজনীতির হাতিয়ার। তাদেরকে নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার উপযোগী করে তৈরি করা হচ্ছে।এতে তাদের নৈতিক স্খলন হলেও কারো কিছু যায় আসে না। যুবকদের এ নষ্ট করা চক্রকে সবাই চিনে। কেউ তাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয় না। এটাই হল বাস্তবতা।
ধন্যবাদ।