ইশ কী ঠান্ডা শীতল তুই জল! দিলাম ডুব এক, দুই, তিন।
আমার দূর্দশায় হেসে হেসে খুব যে নাচছিস? তালে তালে স্পন্দন তুলেছিস! মরেছিস তুই টের পাবি দেখিস।
আমি মরলে বুঝি তোর খুব আনন্দ! তোর ছায়া বাঁকিয়ে দেবার কেউ থাকবে?
থাকবে নাতো কী! তুই তো যন্ত্রণার গোলাবারুদ। অতিষ্ঠ হয়ে মাঝে মাঝে কোথায় যে লুকাই খুঁজেই পাইনা যেন।
এমন জ্বালালে দেখিস তোর বুকে হাজার দমকা বাতাসে হু হু ঠান্ডা স্রোত তুলে খুঁজে নেবো বন্ধু কোন।
রঙিন আলোয় তোর বুকেই দুদ্দাম আনন্দ উল্লাসে সময় পেরুবো।
আবার হয়তো একা হবো। লজ্জায় তোর পাশেই ঘুরে ঘুরে হয়তো কিছু বলতে গিয়েও আর বলা হবেনা।
তোর প্রশ্রয়ের জন্য হাহাকারে হয়তো জলচোখে ভরা তোর ঝিকিমিকি চোখে পড়বেনা, কিংবা পড়বে।
এরপর বিস্তৃত হাসির জলে ঢাকা পড়বে অসহ্য দীর্ঘনিঃশ্বাস
পাখি নেমে যাবে জলে ফের আবার, কিছুটা দ্বিধায় নতজানুতে
ডুবে যাবে পাখি ও জল। জলের ক্ষত নেচে উঠবে আবার ও আবার, পুরনো দাগ রেখেই।
৩৩টি মন্তব্য
ছাইরাছ হেলাল
নাহ্, এটি অবশ্যই কোন গল্প নয়,
তবে জল-ও যে এখন ডুবাডুবি করে এই পাখি গল্প না পড়লে/দেখলে জানতেই পারতাম না!!
এত্ত কঠিন লেখায় মন্তব্য করা খুপ-ই অসম্ভব।
শুন্য শুন্যালয়
জানাজানির শেষ নাই, হেতো আপনার লেখা পড়লেই বুঝা যায়। জলের ম্যালা কিছুই জানার আছে, শুধু রাইত জেগে রাত্রি বিশারদ হইলে তো হপেনা।
মন্তব্য অসম্ভব তো হইবোই। লেখেন লেখেন কবিতা লেখেন, অইটা সহজ আপনার জন্য।
নীহারিকা
সত্যিই তো ছায়া বাঁকানোর জন্য হলেও তো একজনকে থাকতে হয়। ভাবিইনি কখনো এভাবে। ছবিগুলো এককথায় দারুন।পরে খোঁজ নিয়েছিলে কি যে এত ডুবাডুবির পর জ্বর টর হলো কি না?
শুন্য শুন্যালয়
আপনি কী আমাকে এখন জ্বরের শুশ্রূষার ছবি দিতে বলবেন আপু? আচ্ছা দেখি পাই কিনা 🙁
নীহারিকা
তা তো চাইবোই। ঘটনার শুরু দেখবো, শেষ দেখবো না?
শুন্য শুন্যালয়
হা হা তবে তো দিতেই হয়। তবে সব শেষ কিন্তু আবার শেষ না 🙂
জিসান শা ইকরাম
ছবি গল্প হতে যাবে কেন?
বা ছবি কিভাবে গল্প হয়?
ছবি তো ছবিই।
খুব ডুবাডুবি চলছে দেখতেই পাচ্ছি,
জল জলের মাঝে কেমনে ডুবাডুবি করে! বড়ই চিন্তার বিষয়।
আমার পাখি ছিল, নিয়ে গেছেন তা,
পাখি বাদ দিয়ে আমার এখন জল, তাও নিয়ে নেয়ার পায়তারা চলছে,
এটি কিন্তু ঠিক না।
সব ছবিই ভাল হয়েছে, তবে উপর থেকে নীচে, ৫ এবং ৬ নং ছবি দুটো বেশি ভাল লাগছে।
শুভকামনা রাশি রাশি।
শুন্য শুন্যালয়
এত্তো চিন্তা কইরা লাভ কী? ডুবাডুবি হইতেই পারে জল পাখি যেমনে খুশি তেমনে।
পাখি আপনার কবে ছিলো? কোন বছর?
আর জল? জল আপনার? কই আমিতো জানিনা। মেমোরিতে দিস্টাব ভাইসাব। আপনি তাইলে এইবার অন্যকিছুতে মন দ্যান। আমি নিমুনা বলতেছিনা অবশ্য 🙂
ইঞ্জা
জলখেলি ভালো লেগেছে আপু, সপ্নের মতোই লেখা আর ছবি। 😀
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ ভাইয়া 🙂
ইঞ্জা
শুভেচ্ছা আপু
মনির হোসেন মমি(মা মাটি দেশ)
কিছুই বলার নেই শুধু হিংসে হচ্ছে।যেমন ছবি তেমনি কথা।মাশাল্লাহ্ (y) -{@
শুন্য শুন্যালয়
হিংসা করতে নেই ভাইয়া। হিংসা ভালু না 🙂
আগুন রঙের শিমুল
//ডুবে যাবে পাখি ও জল। জলের ক্ষত নেচে উঠবে আবার ও আবার, পুরনো দাগ রেখেই। //
…. ফেরেনা রে ফেরে না 🙂
শুন্য শুন্যালয়
পাখি ফেরে হয়তো জলের রং বদলায় তখন। 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
সবশেষের ক্যাপশনটায় এসে থমকে গেলাম। শূন্য থেকে শুরুর রূপ দেখিয়ে দিলে শুন্য আপু।
ছবিব্লগে তুমি সেরা, সে কথা তো জানোই।
যেমন ছবি, তেমনই ক্যাপশন। মন ছুঁয়ে যায় প্রতিবারই। -{@
অনেক ভালো রেখো আপু। -{@
শুন্য শুন্যালয়
একটা পরামর্শ দাও নীলাপু। এখন থেকে ছবিতে একটা বা দুইটা শব্দের ক্যাপশান দিয়ে ছবিব্লগ দিতে চাই। তাতে কী খারাপ হবে?
মৌনতা রিতু
ছবি যেন শুধু ছবি নয়,
এ যেন,,,,,,,,,,
এতো কথা বলেরে!
দারুন হয়েছে।
শুন্য শুন্যালয়
আইচ্ছা ভাবীজান। তুমি বলছো তাইলে ভালোই হয়েছে।
বাবু
ছবি যেন শুধু ছবি, তাই ছবি কোনো গল্পও নয়। ছবি বাস্তব কথা বলে। দারুণ পোস্ট, ভালো লেগেছে দিদি।
যদি কিছু মনে ন-করেন, একটা কথা জিজ্ঞেস করি ।
দিদি আমি আমার পোস্টে ছবি আপলোড করতে পারছিনা কেন? এখানে ছপবি আপলোড করতে হলে ছবির সাইজ কতটুকু হওয়া দরকার? মন্তব্যের বক্সে জিজ্ঞাসা করেছি বলে ক্ষমাপ্রার্থনা করছি।
বাবু
পড়ুন এখানে ছবি
শুন্য শুন্যালয়
ছবির সাইজ ৭০ কিবি এর উপরে গেলে আপলোড হবেনা। ছবি রিসাইজ করে নিতে হবে। vso resizer দিয়ে 600/400 করে দিলে ৭০ এর নিচে চলে যাবে ছবি। পিক্স আর্ট দিয়েও মোবাইলে রিসাইজ করা যায় ছবি।
ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্যের জন্য।
মেহেরী তাজ
আচ্ছা তুমি যখন বলছো মেনে নিলাম ইহা শুধুই কিছু ছবি কোন গল্প নয়।
কিন্তু ছবি গুলাও যে নিজে নিজেই গল্প বলে যাচ্ছে।
শুন্য শুন্যালয়
ছবি গল্প বলছে জানলে কী আর কষ্ট করে ক্যাপশান দেই? কী জ্বালাতেই না পড়ি ক্যাপশান নিয়া। তুই ছবিব্লগ কবে দিবি? কবেএএএএএএএএ?
মোঃ মজিবর রহমান
চ্ছবি ছবিই গল্প হবে কেন আপু? তবে যার অন্তর চক্ষু আছে সে গল্প তৈরি করবে। যেমন আপনি। ছবির সাথে দারুন দারুন ক্যাপশন। ভাল থাকুন।
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। এমন করে আপনারা বলেন বলেই তো হাবিজাবি নিয়ে চলে আসি।
শিপু ভাই
নিচ থেকে তিন নাম্বার ছবিটা বেস্ট আমার চোখে।
ছবির সাথে একান্ত কথামালা….
(3
শুন্য শুন্যালয়
অনেক ধন্যবাদ শিপু ভাই।
মিষ্টি জিন
এগুতে তো আমি ছবি ই মনে করেছিলাম, তুমি না বললে বুঝতাম না যে এ ডুবাডুবির গল্পো।
ডুবাডুবি কর ,যদি ঠান্ডা লাগে খবর আছে তাহলে। 😀
পাঁচ নাম্বার ছবিটা বেশী ভাল লেগেছে।
ভালো থেকো।
শুন্য শুন্যালয়
জানিতো তোমরা কিচ্ছু বুঝতারোনা তাই ধরায় দিলাম আর কী 🙂
তুমিও ভালো থেকো মিষ্টি আপু।
আবু খায়ের আনিছ
যেমন ছবি তেমন ছবির বিষয়বস্তু, সাথে বর্ণনা। অসাধারণ।
শুন্য শুন্যালয়
ধন্যবাদ আনিছ ভাইয়া। পরীক্ষা শেষ হয়নি তোমার? দেখিনা যে।
আবু খায়ের আনিছ
এই তো আপু চলে এসেছি, আশা করি এখন থেকে নিয়মিত থাকতে পারব।