স্বাতীর মত জ্বলে আছ দূর আকাশে জ্বলজ্বল করে,
সজল সলজ গ্রহান্তরে, নেই অভিযোগ অভিমান অভিযান।
লেপ্টে আছে কাঙ্খা ও স্বপ্ন হৃদস্পন্দনের নীরব কোলাহলে স্তব্ধতার মত
গোপনাশ্রমের নিভৃত পাতাল রাজ্যে; শূন্য পথের গভীর শিহরণে,
নিষ্প্রাণ সপ্রাণে চুইয়ে পড়া গড়িয়ে যাওয়া এক স্বেচ্ছা পালক।
পোষ না মানা পাথর প্রাণ, ডানা মেলা বেদুইন প্রাণ
তপ্ত বালুতে মুখ লুকায় মরূদ্যানের খোঁজে।
নিশীথ আঁধারের নিরবধিময়তায় কালান্তরিত হয়েছি ইচ্ছে মৃত্যুর হাত ধরে
কাব্য রচনায় ব্যর্থ নিমগ্ন দেহপসারি,
বেহুলারা আর ভাসায় না ভেলা, প্রেমের নদীতে নিথর ভালবাসায়
ব্যথার নীলাভ নীল ঘূর্ণিতে মৃত্যুরা পিরিচে ঢেলে দিচ্ছে হিংস্র হলাহল;
সবুজের লণ্ঠন হাতে খুঁজছেনা আর কেউ এবেলার অবেলায়, গোল গোল চোখ মেলে।
Thumbnails managed by ThumbPress
৪৩টি মন্তব্য
জিসান শা ইকরাম
সহজ করে কঠিন কথা
আবার কঠিন করে সহজ কথা
মাথা চুলকাচ্ছি স্বাতী আসলো কোত্থেকে আবার ^:^
অনিকেত নন্দিনী
স্বাতী তো নক্ষত্র। সপ্তর্ষিমণ্ডলের পাশেই এর অবস্থান। হিন্দু পুরাণে বলা হয়ে থাকে স্বাতী নাকি বশিষ্ঠ’র স্ত্রী। এই কবিতায় ‘স্বাতী কি নক্ষত্র না নারী তা কবিই ভালো জানেন।
ছাইরাছ হেলাল
উফফ,
অবশ্য পরস্ত্রীর পাণি স্পর্শ প্রাথমিক ভাবে বাহুল্য বর্জিত ভাবেই কাঙ্ক্ষিত(মনে মনে)
যদিও সে কথা মুখে স্বীকার করে শেষ বেলায় পাতকী হতে পারব না।
অতএব নক্ষত্র খুব ই নিরাপদ এ যাত্রায়।
অনিকেত নন্দিনী
স্বাতীকে নিয়ে এত্তোকিছুর পর কিনা কবি বলেন তিনি ভাবছেন স্বাতী এলো কোত্থেকে! মরি মরি! কথাবার্তায় কেমন পরস্ত্রীর দিকে আকর্ষণী মনোভাব টের পাচ্ছি মনে হচ্ছে। ;?
শাক দিয়ে মাছ ঢাকার মতো স্বাতী নক্ষত্রের আড়ালে স্বাতী বৌঠানকে লুকানো হচ্ছে কিনা তা দেখার জন্য কড়া নজর রাখতে হবে বুঝতে পারছি। :p
ছাইরাছ হেলাল
চৌক্ষে চৌক্ষে রাখুন, আসুবিধা নেই, তবে পাতকী হব না।
রাধিকা কিছুতেই পরস্ত্রী হতে পারেন না!!
অনিকেত নন্দিনী
দুষ্টজনে কহে “কানাই করলে লীলাখেলা আর আমরা করলে ভাজালুচি” :p
ছাইরাছ হেলাল
জীবন বড়ই প্যারাময়!
অনিকেত নন্দিনী
এই প্যারা মিষ্টির দোকানের প্যারা সন্দেশ হইলে কত্তোই না ভালা হইতো!! ;?
ছাইরাছ হেলাল
সব কিছু এই প্যারা ভেবেই খেয়ে চলছি,
অনিকেত নন্দিনী
সামলে!
ডায়াবেটিস না হয়ে যায়। :p
ছাইরাছ হেলাল
আল্লাহ ক্ষমাশীল।
অনিকেত নন্দিনী
প্রতিটি মানুষের কৃতকর্মের জন্য সে নিজেই দায়ী। :p
ছাইরাছ হেলাল
আমিও ভাবছি স্বাতী এলো কোত্থেকে!!
আবু খায়ের আনিছ
সবই হারিয়ে আবার খোজে চলা।
প্রথম প্রথম বুঝতে অনেক কষ্ট হলেও এখন অনেকটা সহজ হয়ে গেছে ভাইয়ার লেখাগুলো।
ছাইরাছ হেলাল
যাক, বুঝে ফেলেছেন এটা ভাবতে ভালো লাগছে।
ব্লগার সজীব
আমারো এমন একটি নক্ষত্র লাগপে, এমন কেউ থাকলে আমি আপনার মত লিখতে পারতাম 🙂 খুবই ভালো লেগেছে ভাইয়া।
ছাইরাছ হেলাল
ছায়া পথে নক্ষত্রের কোন অভাব পড়েছে বলে তো মনে হয় না।
খপ করে ধরে বগলদাবা করে ফেলুন,
এরপর লেখা হড়হড় করে বেড়িয়ে আসবে, এর থাকে কুটি গুন ভালু ভালু লেখা,
মুহাম্মদ আরিফ হোসেইন
একান্ত অনুভূতি এত জটিল ভাষায় লিখলেন!!
;(
ছাইরাছ হেলাল
অনুপায় আমি,
এমন ই যে লিখি প্রায় ই।
আমির ইশতিয়াক
অনুভূতিগুলো ভাল লাগল।
ছাইরাছ হেলাল
ধন্যবাদ আপনাকে।
ইলিয়াস মাসুদ
মৃত্যুরা পিরিচে ঢেলে দিচ্ছে হিংস্র হলাহল…
এমন লেখাই পড়তে মন চাই
কমলার মত কোয়া এড়িয়ে শব্দ অনাবৃত করতেই আনন্দ
দারুণ হেলাল ভাই
ছাইরাছ হেলাল
দেখুন শব্দদের অনাবৃতকরণ সাবধানে করতে হবে,
শুন্য শুন্যালয়
বুঝতে পারিনি পুরোটা, এত কঠিন কেন? 🙁
স্বাতীর অভিমান না থাকলে সজল হবে কেন?
নীরব/কোলাহল, নিষ্প্রাণ/সপ্রাণ, পাথর প্রাণ/ডানা মেলা বেদুইন প্রাণ— আপনার লেখা পড়লে এপিঠের ওপিঠটা না জানলেও চলবে। গন্তব্যে পৌঁছাবেন কি করে? বাড়ি থেকে বের হলে দু পা গিয়ে এক পা ফিরে আসেন।
স্বাতীর কথা বলতে গিয়ে কি নিজের কথা চলে এলো? নাকি নিজেকেই এখানে স্বাতীর মত বলতে চেয়েছে কবি? ;?
সবুজের লন্ঠন হাতে কেউ খুঁজছেনা কেন? সবুজ রঙ হারায়না বলেই জানি।
মৃত্যু দেখি আজকাল ভালই অতিথি আপ্যায়ন করতে শিখেছে। মৃত্যুর বাড়িমুখো না হয়ে জীবনেই কিছু খুঁজুন। এত সবুজ থাকতে মরুর রাজ্যে গিয়ে মরুউদ্যান খোঁজার দরকার কি?
ছাইরাছ হেলাল
নয় নয় করে সাত সাত টি কঠিন প্রশ্নবাণ ছুঁড়ে দিলেন!! এত্ত কঠিন মন্তব্য ক্ষুদ্র জীবনে এই ই প্রথম,
শেখালে উত্তর দিতে পারব, নচেৎ অসম্ভবের বাড়ীতে দাওয়াত দিচ্ছি।
এত্ত সবুজ আর কৈ পাইলাম!! কেউ তো ধারে ও একটু সবুজ দেয় না, কী আকাল আইল আয়লার এ দেশে।
আপনি এখানে নিজের কথা পাইলেন কই!!
কেউ সজল হলে কি অন্যদের আর ফ্যা ফ্যা করা লাগে না করে!!
উত্তর না শেখালে আর পারছি না, ভাই।
শুন্য শুন্যালয়
মনে হয় আপনার আগের পোস্টের ঝুড়ি ভরা প্রশ্নের বদ আছর।
শুরুতে—“স্বাতীর মত জ্বলে আছ” অর্থাৎ কাউকে উদ্যেশ্য করে কিছু বলছেন।
শেষের প্যারাতে—“কালান্তরিত হয়েছি ইচ্ছে মৃত্যুর হাত ধরে” অর্থাৎ লেখকের নিজের কথা। আমি কিন্তু কই নাই ছাইরাছ ভাউ এর কথা 🙂 কাব্য রচনায় ব্যর্থ, এ আপনি হতে পারেন না কিছুতেই।
বেহুলারা আর ভেলা ভাসাতে যাবে কেন, এন্টিভেনম তো এখন পাওয়া যায় অনেকটা সহজেই।
মন্তব্য করে এখন নাকি আবার মন্তব্যের উত্তরও শিখিয়ে দিতে হবে 🙁 আসলেই আয়লার এই দেশ।
ছাইরাছ হেলাল
তাবিজ-তুবিজ দেন্না ক্যা, গলায় না কোমরে পড়ব তা নিয়ম কানুন সহ দিন।
এই রে সেরেছে এবার, এতদিন ছিলেন দাঁতের দাক্তার!! এখন ওঝা!!
দক্ষিণা ছাড়া যা পাওয়া যায় তাতেই তথাস্তু।
রিডার্স ব্লক না রাইটার্স ও ব্লক, আপনার মত ঝানু লেখিয়েরা এ যন্ত্রণা বুঝবেন না।
কিছুই তো শেখালেন না, মন্তব্য করা ও না,
অবশ্য যা করেছেন তা ন্যায়ত ই করেছেন, গরু মারা বিদ্যা কে আর কাকে শেখায়!!
ভাইয়া, আপনার কামরূপ ভ্রমণ লইয়া এট্টু কিছু ল্যাহেন!!
পইড়া পরাণ জুড়াই।
অরুনি মায়া
এই স্বাতী কে? কোত্থেকে এল? বাড়ি কই? বংশ পরিচয় কি? এইসব কি হচ্ছে এখানে ? কঠিন করে লিখেছেন যেন কিছু না বুঝতে পারি তাইনা? কিচ্ছু বুঝি নাই | যাই স্বতী রহস্য আগে উদ্ধার করে আসি :@ ^:^ (-3
ছাইরাছ হেলাল
আরে ধ্মকি ধামকি দেম ক্যা!!
স্বাতী অইল নক্ষত্র, হের লগে ইট্টি আলাপ দেই, আপনে নাই এই ফাঁকে।
কঠিন তো কিচ্ছু লেহি নাই!! খুপ ই সোজা।
তা স্বাতী আপনার আত্মীয় লাগে বুঝি?
রহস্য উদ্ধারে আমারে লগে লইতে পারেন!!
অরুনি মায়া
আমি নেই তাই এই ফাঁকে ……
নাহ পৃথিবীতে প্রেম বলে কিছু নেই ;(
ছাইরাছ হেলাল
ফাঁক-ফোকর না রাখাই ভাল।
প্রেম-প্রুম খুপ কঠিন আইজ কাইল।
মরুভূমির জলদস্যু
আমার কাছে কেমন সব ঝাপসা মনে হলো
ছাইরাছ হেলাল
আপনার কাছে না, আমার কাছেও খুব ই ঝাপসা লাগতেছে।
নাসির সারওয়ার
আহা, কি সুন্দর ছাপা ছবি। বড়ই সৌন্দর্য।
ভাবছি একটু জল ঢেলে দিলে ক্যামন হয়!!
ছাইরাছ হেলাল
ইস, আপনি খুপ বেরসিক,
পানি-পুনি দিতে চান, কবি হইয়াও।
নাসির সারওয়ার
পানি-পুনি দিয়াও যদি এত্তু নতুন রূপ লইতো এই ছবিখানা!
ছাইরাছ হেলাল
আপনি কুবি বলিয়াই এত্ত সোন্দর ছবি দ্যাখতাছেন।
পানি-পুনি দিলেন বলেই ছবি এখন নড়েচড়ে বসেছে।
ভোরের শিশির
‘স্বাতী’ অর্থ জানার চেষ্টা করছিলাম। অনিকেত আপুর বক্তব্যে ধারণা নিলাম।
এই প্রথম আপনার এই কবিতাটির প্রতিটি লাইন মনে হচ্ছে কেটে কেটে বসানো। প্রতি লাইনেই আলাদা আলাদা করে ভ্রমণ করিয়েছেন শব্দের ভিন্নতায় কিন্তু এক করে পড়া সময় ভ্রমণটা থমকে থমকে এগিয়েছে আমার ভাবনায় 🙁
মূলভাব বুঝতে অনেক কষ্ট হচ্ছে তবুও বুঝতে পারছি না মূলভাব ;(
ছাইরাছ হেলাল
অবশ্যই থমকানো আছে,
আছে মাথার উপ্রে দিয়া নেয়াও।
আউল ফাউল ভাবনার নাও বেয়ে চলা।
লীলাবতী
স্বাতী নামটা আমার খুব প্রিয় একটি নাম। লেখা ভাল লেগেছে। ভাল না লাগার কোন পথ আপনি রাখেন না।
ছাইরাছ হেলাল
এই নক্ষত্রটি আমার প্রিয়।
আপনি ভাল বলছেন। এত দিন পরে এসে পড়ছেন এটা আরও ভালো লাগছে।
শুভ্র রফিক
আমি আপনার কথা বলার যে স্টাইল তার প্রেমে পড়ে যাচ্ছি।এক কথায় অসাধারণ।
ছাইরাছ হেলাল
না, এগুলো তেমন কিছুই না।