তোমাকে আমি ভালবাসি
আগেও বলেছি
হ্যাঁ, এখনও বলছি।
কিন্তু কখনও কি বলেছি
আর কাউকে ভালবাসি না আমি?
তুমি কেন ধরে নিচ্ছ তা?
আমি জানি তুমি চলে যেতেই পারো;
হ্যাঁ তাই হয়েছে
অনেক
আমি জেনেছি, দেখেছিও!
আমি জানি
আমার যায়গা কোথায় হতে পারে
যদি!
যদি হারিয়ে যাই আমি চিরতরে!
ওত দরকার হবে না
শুধু এটুকুই ভাবি না কেন?
যদি আমার কন্ঠ থেমে যায়!
যদি আমার হাত থেমে যায়!
যদি আমি অসাড় হয়ে পড়ি
যে কোন কারণেই হোক না কেন!
আমি আমাকে বড্ড ভালবাসি
আমি আমাকে পেতেই তোমার কাছে এসেছিলাম
হ্যাঁ এখনও আসি!
সময়ে পৃথিবী বদলায়
আমি তুমি সেও!
আমি কোথায় বদলে যাচ্ছি যেন
অটো চেইন রিএকশানের মতো
আমি কি সময়ে ভাসছি?
আমি কোথায় চলেছি
কোথায়!
কোথায় চলেছি?
আমি জানি না কেন?
আমি জানি না।
আমি জানি না।
৩৬টি মন্তব্য
তানজির খান
সবকিছু সব সময় জানতে নেই ভাইয়া। কিছুটা রহস্য নিজেই নিজের কাছে হয়ে থাকুন।
চলার পথ অচেনা হলেও আনন্দময় হউক সেই কামনা রইল।
অরণ্য
তানজির, ভাল বলেছেন “সবকিছু সব সময় জানতে নেই”।
পথ চলা থামবে না, এটা আমি জানি। কতটা আনন্দময় হবে তা জানিনা। আমার কাছে এখন আনন্দের চেয়ে শান্তি শ্রেয়।
ভাল থাকবেন তানজির।
তানজির খান
দারুণ একটা কথা বলেছেন ভাইয়া ”আনন্দের চেয়ে শান্তি শ্রেয়।”
আগে ভেবে দেখিনি। এখন মনে হচ্ছে শান্তি আর আনন্দের মাঝে কোথাও পার্থক্য আছে। হয়তো আনন্দ শর্ট টার্ম এসেট আর শান্তি লং টার্ম এসেট!!!!
আবু খায়ের আনিছ
সব জানতে নেই, তাহলে বাচাঁর আগ্রহ হারিয়ে যাবে। কিছু অজানা থাকুক না, মন্দ কি?
অরণ্য
ঠিকই বলেছেন। আমিও এত জানতে চাইনা ইচ্ছে করেই; তবুও কেন জানি এসে গেল আজ।
কিছুটা অজানা থাকা মন্দ নয় এবং তা কিছু ক্ষেত্রে তা রাখাই উচিত মনে হচ্ছে এখন।
ভাল থাকবেন আনিছ ভাই।
আবু খায়ের আনিছ
আপনিও ভালো থাকবেন ভাইয়া।
অরুনি মায়া
আমি আর তুমির মাঝে সে এসে গেলে সব কিছুই বদলে যায়
অরণ্য
“সে” এসে গেলেই সবকিছু বদলে যায়। আমরা কি সুন্দর যুক্তি খুঁজে বেড়াই নিজেকে বুঝ দেবার জন্য। ফাইনালি নিজেকে হেরে যেতে দেই কি করে!!
আপনি ঠিক ধরেছেন।
বনলতা সেন
এতো দেখছি বেশ ঝামেলার বিষয়। এটি এত জরুরী কেন তাই বুঝতে পারিনি।
কেমন আছেন আপনি।
অরণ্য
আসলে এত জরুরীও ছিল না। সোনেলা ঘর-২ এ মন্তব্য করতে গিয়ে মনে হলো কিছু একটা লিখি।
ব্যস্, এই দশায় পেয়ে গেলাম নিজেকে।
আছি, কালবৈশাখীর পরের অরন্যের মত। কিছু গাছের ডালপালা ভাঙ্গা; তবে সাথের বৃষ্টিতে গাছগুলোর অনেক কাজে এসেছে। ঘাস-গুল্মরা এবার দারুন খুশি।
জিসান শা ইকরাম
ভালবাসা খুবই খারাপ
যন্ত্রণা দেয় সারাক্ষণ
কুট কুট করে কোন পোকা কামড়াতে থাকে মস্তিস্কে
ঘুণে পোকা বাসা বাঁধে হৃৎপিণ্ডে………
কোন সে নারী যে আমাদের অরণ্য ভাইকে এমন কষ্টের লেখা লেখাচ্ছে?
জানলে তাঁকে সবাই ধরে বুঝাতাম………
আশা হত হয়না মানুষ
নারীর প্রতিরোধ ক্ষমতা অসীম নয়
একটি সময়ে তা ভেঙ্গে যাবেই যাবে।
সময় একটি বড় ফ্যাক্টর ভাই
সময়কে এড়ানো যায় না।
লেখাটি আমাকে স্পর্শ করে গেলো
ভালো লিখেছেন।
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, মজা পেলাম এ মন্তব্যে। সোনেলা ঘর-২ এ গিয়ে অফিস টাইমেই মনে হলো কিছু একটা লিখি সোনেলায়। ব্যস্!
কিন্তু আমার ভাল লাগছে অন্যখানে। আপনি কবি হয়ে উঠছেন, আরেক যায়গায়ও বলেছি। এখানেও বলছি।
“আশাহত হয়না মানুষ
নারীর প্রতিরোধ ক্ষমতা অসীম নয়
একটি সময়ে তা ভেঙ্গে যাবেই যাবে।” (y)
ভাল থাকবেন জিসান ভাই।
জিসান শা ইকরাম
আমি কবে কবি হলাম আবার!!
কবিতা আমার বিচরন ক্ষেত্র নয় অরণ্য ভাই।
সোনেলা ঘর-২ এ আপনার মন্তব্য দেখলাম যে কিছু লিখবেন
আমার পোষ্ট দেয়া সার্থক 🙂
শুভ কামনা।
অরণ্য
জিসান ভাই, এ লেখা অনেকের নাকি ভাল লাগেনি। সে হতেই পারে।
কিন্তু হ্যাঁ, আপনার সোনেলা ঘর-২ লেখা পড়েই কেন জানি মনে হলো আমার সোনেলায় কিছু বকবক করে আসি। আপনার ওখানে ও মন্তব্য করে এসেই বকবক শুরু করে দিলাম। 🙂
ভাল থাকবেন জিসান ভাই।
জিসান শা ইকরাম
একটি লেখা আসলে অনেকে পড়ে
এরপর যে যার অবস্থানে থেকে বিচার করে।
কারো ভালো না লাগলে সে যদি অকপটে বলে দেয়,
তাহলে বুঝতে হবে সে আপনার প্রকৃত বন্ধু।
লুকাচ্ছেন না তিনি কিছুই আপনাকে
অথচ আপনাকে সন্তষ্ট করার জন্য ভালো লেগেছে বলতে পারতেন
বন্ধু বলেই বলেননি।
যাক আমার একটি পোষ্ট থেকে আপনার এই লেখার সৃষ্টি
ভাবতেও ভালো লাগে এটা।
শুভ কামনা।
শুন্য শুন্যালয়
এটাকে ঠিক লেখা বলে মনে হচ্ছেনা, যেন একা একাই বকবক করছিস। হয়েছে কি রে তোর?
সময়ে আমরা সবাই বদলাই, হ্যাঁ এটাই সত্য আবার মিথ্যেও। আমরা বদলাই কেন বলছি? আমরা কিন্তু আমাদের কেই খুঁজে নেই, হয়তো ভিন্ন একজনে। তাতে করে নিজের বদল খুব একটা হয়না।
চিরতরে হারাবার ভাবনা টাই তো বেশি ভালো ছিল, কি সব উলটাপালটা ভাবছিস। আমরা সবাই নিজেদের কেই ভালোবাসি, সময়ের আঙ্গিকে নিজেকে খানিক পরিবর্তন করে নেয়াই ভালো, নিজেকে সুখী করবার চেষ্টাই করি না কেন যেকোন ভাবে।
লেখাটা বকবকানি হিসাবে ভালো, কিন্তু আমার একদম ভালো লাগেনি। এতসব জানতে চাইওনা 🙁
অরণ্য
শুন্যের ভাল লাগেনি; কিন্তু অরন্যের কিছু করার ছিল না। এ কিছুই না, অরন্যের বকবকানি বা নিজেই নিজের সাথে কথা বলা। অন্যভাবে বললে গাছের ডালে ডালে বাড়ি খাওয়ার শব্দ বা ক্লান্ত দুপুরে অশথ গাছের পাতায় পাতায় গল্প বলা। আর সেই তো অরন্য!
শুন্য শুন্যালয়
অরণ্য প্রশান্তির জায়গা। তার নিজেরও একা কথা বলা থাকে, ভেবে দেখেনি।
কোথায় আর চলবি? যাযাবরেরও ঠিকানা থাকে।
নীলাঞ্জনা নীলা
অরণ্যের দিন-রাত্রি আলো-হাওয়ায় মাখা থাকে, এটুকুই জানি। সবুজের ছায়ায় যে সতেজতা সেটা তোমার লেখায় পাই। কিন্তু আজ সেটা পাইনি। বেশ রাগ হচ্ছে, ঝাড়ি দেবো যদি না সতেজ অরণ্যের নতূন কোনো লেখা খুব তাড়াতাড়ি না আসে। এখন যদি বলো ঝাড়ি খেতে মজা, তাহলে ঝাড়ি না, সোজা আড়ি। বুঝলে? মনে থাকে যেনো!
যাক একটা গান শোনো, এই গানটা আমি আর আমার ভাই রানা দুজনে মিলে গাইতাম। আজ সেটা পেয়ে গেলাম। মনে হলো তোমাকে দিই। একধরণের ঘুষ বলতে পারো। নতূন লেখা সেই রকম অরণ্যের লেখা চাই। -{@
https://www.youtube.com/watch?v=Jb3J_Ao-Zn8
অরণ্য
নীলা আপু, আমি ঘুষ খাই না। তুমিও আমাকে ঘুষ দিতে চাইবে আমি জানি। ও ঘুষ নয়, ঘুষের মতো। অনেক ভালবাসা আছে তাতে আমি জানি। ঘুষে ভালবাসা থাকে না, বাধ্যবাধকতা থাকে; ঘৃণাও থাকে।
এক কালবৈশাখীতে ডালপালা কিছু ভাংলেও একটা দারুন কাজ হয়েছে। সবুজ আরো বেড়েছে বৃষ্টিতে পাতার ধুলা সরে গিয়ে। 🙂
কালবৈশাখীর পরে বর্ষা আসবে আমি জানি। হুম! নতুন পাতা আসবে আরও। অরন্য আরও সবুজ হবে তখন।
ভাল থেকো নীলা আপু।
তোমাকে একটা গান শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে, আগেও করে থাকতে পারি।
আমার প্রিয় জয়তীর গাওয়া তোমার বুড়োর গান – ঐ যে ঝড়ের মেঘের কোলে।
https://www.youtube.com/watch?v=WiZAr050T80
এবার মন ভাল হয়েছে? 🙂
অনেক শুভ কামনা আমার প্রিয় নীলা আপুর জন্য। -{@
নীলাঞ্জনা নীলা
কি হচ্ছে এসব! আমার জানালায় হীরের মতো জলের বিন্দু। পর্দা উড়িয়ে নিচ্ছে, মাত্রই জানালা আটকে দিলাম। বুড়ো আমাকে মেরেই ফেলবে। একদিন শুনবে নীলা আর নেই বুড়োর গান শুনতে শুনতে একেবারে পৌঁছে গেছে।
তুমি আমার মন সবসময়ই ভালো করিয়ে দাও। কিন্তু নতূন লেখাটা দাওনা রে ভাইয়া। ঘুষ আমিও দিইনা, নেইওনা। নাও গান শুনছিলাম যা, শুনে দেখো।
https://www.youtube.com/watch?v=cdvPoNjhGmI
আর অনেক ভালোবাসা। -{@ (3
অরণ্য
নীলা আপু, তোমাকে ফের আরেকটা গান শেয়ার করতে ইচ্ছে করছে তোমার বুড়োর।
আধেক ঘুমে নয়ন চুমে…
https://www.youtube.com/watch?v=xnMCbD_oHMM
(y)
অরণ্য
তুমি জানো, আমি পুরো ভাসছি গানটিতে… ! 🙂
নীলাঞ্জনা নীলা
এসব ঠিক না কিন্তু সবুজ অরণ্য। এখানে বৃষ্টি, আর ওদিকে দিচ্ছো বুড়োর গান। সকালে ডিউটি। তবে আধেক ঘুমের সাথে অনেক অনেক স্মৃতি জড়ানো। আমার একলা দুপুর, সব্জীবাগান, ফুলের বাগানে একা একা ঘুরে ঘুরে গুনগুন সময়টা ছিলো এই গানের সাথে। বিশেষ করে চৈত্রের দুপুরে ঘুঘুর ডাক আমায় টেনে নিতো বাগানের নৈঃশব্দে। এ গানটা শুনি কম, জীবনের সেরা মুহূর্তগুলো ওখানে থেকে গেছে কিনা!
তবে আমার প্রিয় একটি গান সেটা দিচ্ছি শোনো।
https://www.youtube.com/watch?v=cJiwIA0Dpfs বুড়োর এই গান প্রথম যেদিন শুনি, সেদিন খেলাঘর কি বুঝিনি :p মজার স্মৃতি হলো মামনিকে বলেছিলাম আমার কেন খেলাঘর নেই? 😀 :D)
অরণ্য
“মামনি, আমার কেন খেলাঘর নেই?” :D)
আমি তোমার মত ওত বুঝিনা গান। কিন্তু গান আমাকে দোলায়।
আমি ক’দিন ধরে বেশ শুনছি গানটি। আমার গানপাগল বন্ধু তার ভাইরাস ছড়িয়েছে আমার মধ্যে।
তোমার ভাল লাগতে পারে।
ঝর ঝর বরিষে…
https://www.youtube.com/watch?v=Ha-Q8Y74IZ4
নাসির সারওয়ার
আহারে, এই ভালো মানুষটারে তুমি নামক কে যেনো আউলা ঝাউলা বানায়ে দিচ্ছে। কিছূ একটা করা দরকার। কিন্তু সেটা যা কি !!!
অরণ্য
নাসির ভাই, মন্তব্যটি অফিসে আসার সময় মোবাইলে পড়েছি। পর পর দুটি মন্তব্য, আপনার এবং নীতেশদার, পড়ে কোথায় যেন চাঙ্গা চাঙ্গা একটা ভাব অনুভব করছি। কিছু একটা করা দরকার – এই কাজটি এই মন্তব্য অনেকটাই করে দিয়েছে; বাকিটা অরন্যের। 🙂
সুন্দর একটা দিন যাক সবার। (y)
নীতেশ বড়ুয়া
‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ মানেই যে অন্যকে ভালবাসি না তা কি বলেছি? আহা!!! কথায় কিন্তু যুক্তি আছে। এমন ভাবিনি আগে!!
অরণ্য
নীতেশ দা, আপনারা দুজন আমার দিনটাকে চনমনে করে দিলেন। কি পেয়েছি ওত বলতে নেই। তবে আমি পেয়েছি – দারুন; টনিক ওয়াটার বা আরেকটি গাঢ় কোন ড্রিংকসের মতো।
আমি চলব আমার মতো
ইচ্ছে আমার যেখানে যতো!
ভাল থাকবেন নীতেশ দা।
নীতেশ বড়ুয়া
হাহহা… চলছে চলুক ইচ্ছে গাড়ী, যা পেয়েছি তাতেই খুশী…
ভাল থাকবেন অরণ্য ভাই। -{@
অরুণিমা
অভিমানী লেখা।থেমে যাওয়া যাবেনা দাদা।
অরণ্য
অরুনিমা আমি আর থামতে চাই না। নিশ্চিত থাকুন।
আপনার নাম আমি জানতাম না। এক্সপাইরি অফ লাভ এ আপনার নাম এসে গেছে। আমি তখন একটা নাম খুঁজছিলাম। পরে আমি খুব মজা পেয়েছি সত্যি সত্যি এক অরুনিমাকে দেখে। 🙂
ভাল থাকবেন অরুনিমা। (y)
রাত্রি রায়
কি হবে এতোকিছু জেনে? ভালোবাসার জন্য ভালোবাসা থাকলেই হলো। যদিও ভালোবাসা নিয়ে এতো বেশী লেখা তাই বুঝতে পারিনা ভালোবাসা কোনটা? লেখাটি কি আত্মকথন? বেশ অগোছালো। সময়কে নেবেন নাকি ফেলে দেবেন এ ভাবনা ছেড়ে দিয়ে চলুন।জানা হয়ে যাবে যা জানার ইচ্ছে মনে।
অরণ্য
আপনাকে লিখতে ইচ্ছে করছে “হ্যাঁ, এটি আত্মকথন।” ভাল পরামর্শ দিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে।
লীলাবতী
এই ভালোবাসাটাই যত নষ্টের মুল।একারনেই ভালোবাসার মধ্যে নেই আমি। বাঁশও নেই তাই বাঁশিও নেই 🙂 ভালো লেগেছে কবিতা ভাইয়া।
অরণ্য
ভাত পচে পান্তা হয়। পান্তা থেকে দেশি মদও হয়, অনেকেই খুব ভাল খায়। মাতাল হয়। নষ্টও হয় অনেকে। শেষটা খারাপ হলেও হতে পারে ভেবে ভাতের পাশ দিয়েই যাবেন, তা ঠিক নয়।
লীলাবতী, মানুষ ভালবাসে। আপনিও মানুষ। বাঁশ দিয়ে বাঁশিই বানাতে হবে, তার কোন মানে নেই। ও বাঁশ আপনার খুঁটি বা মইও হতে পারে।
ভাল থাকবেন।