অপমানিত আমি

খসড়া ২১ আগস্ট ২০১৩, বুধবার, ০২:২৫:১৪অপরাহ্ন বিবিধ ২২ মন্তব্য

আমি বোধ হয় এখন কিছুটা মাতাল। । আমার হাতে ভদকা। স্মিনফের সচ্ছ্ব ভদকা।সুদৃশ্য গ্লাস হাতে। আমি পাড় মাতাল হতে চাইছি কিন্তু সত্যিই কি কেউ মাতাল হয়। হাত পা অর্থাত শরীর নিয়ন্ত্রনে না থাকতে পারে কিন্তু মস্তিস্ক কি নিয়ন্ত্রন হীন হয়। কি জানি আমার তো হচ্ছে না। হয়ত আমি এখনও নির্জলা মদ গলায় ঢালতে পারি নাই তাই। ঠান্ডা পানিতে মিশিয়ে এক পেগকে আড়াইশ মিলিলিটার করে গিললে হয়ত মাতাল হওয়া যায় না।
আমি আজ পুরোপুরি মাতাল হতে চাই। সম্পুর্ন স্মৃতি ভুলতে চাই। দু:স্বপ্নের মত যা জ্বলছে আমার হৃদয় জুরে।

হ্যা আমি অপমানিত। খুব খুব খুব।
বাজারে গেলাম হাতে মোবাইল চোক্ষে চশমা। পুরাই ফিটফাট। একটি সুন্দরি মহিলা দেখি মাছের বাজারে ঘুর ঘুর করছে বেশ স্মার্ট। তার পাশে চলে গেলাম। তিনি মাছ দেখেন ,আমিও দেখি।তিনি দরদাম করেন আমি আরও কম বলি। সুযোগ বুঝে আমি তাকে বলি ---নেবেন তিনি হাসেন ---- না না ঠিক আছে আপনি নেন। এ ভাবেই বেশ ছিল। কিন্তু বেরসিক বিধাতা পাঠালেন তার এক অবতার।এক কুলি মাথায় বরফ সরেন সরেন বলে আসছে পিছনে র ড্রামে পাঙাশ লাফাচ্ছে সামনে শোল মাগুরের দাপাদাপি, তারপাশেই ইয়া বটি। আমার পিছনে সুন্দরি কারন আমার পাশে একটি সারমেয়। কুলির হাকে ডাকে আমি নড়তে না পাড়ায় সুন্দরী আমার পিছনে চিতকার করছেন ----- আরে সরেন আমি মাছের উপর পরে যাব তো। খুব চিকন হবার চেষ্টা করে বেকেচুড়ে একটি ড্রেন ঢাকা নড়বড়ে পাথরের উপর পা দিয়ে এ্যক্রোবেটস এর চুড়ান্ত খেলা দেখিয়ে নিজেকে বাহবা দেবার আগেই পতন একেবারে সারমেয়র উপর। উনি ঘেউউউ করে লাফ দিয়ে উঠলেন। আমি দুই হাত ড্রেনে দিয়ে মুখ বাঁচালাম। ব্যগ ,হাত কর্দ্মাক্ত। ৫০ টাকা দামের সানগ্লাস ড্রেনে।

উঠে দাঁড়ালাম , উনি হাসি চাপানোর চেষ্টা না করে হি হি করে বলে যাচ্ছেন ----- কুকুরটাকে ধরতে গিয়েছেন কেন? সব জলাঞ্জলি দিয়ে বাড়ির পথ ধরলাম। এক রিক্সা ওয়ালা দাত দেখিয়ে বলল -----স্যার হাত সাবুন দিয়া ধুইয়া আসেন তারপর রিক্সায় উঠেন। রাগে গা জ্বলে গেল। বেটাকে থাপ্পড় মারতে যেয়েও বাদ দিয়ে পন করলাম হেটেই বাড়ি ফিরব।

রাস্তা ছেড়ে মাঠদিয়ে ধিরে ধিরে আসছি। মেজাজ ও কিছুটা ঠান্ডা হচ্ছে। মনে মনে ঘটনা পর্যালোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নিলাম গুরুজনের কথাই ঠিক। নারী সকল অনিষ্ঠের মূল।
একটি সিদ্ধান্তে আশার পর প্রফুল্ল চিত্তে মাঠে গাছের নিচে বসলাম।কারন একটু পরেই মহিলা কলেজের মেয়েরা দলবেঁধে বেড় হবে। দেখেই যাই। পিচ্চিরে ডেকে এক প্যাকেট বাদামও নিলাম। সানগ্লাসের অভাব খুব অনুভব করছি।

ঘুমায়ই গিয়েছিলাম নাকি? পিছনে ঠেলা খেয়ে ঘুরে দেখি এক গরু আমার গেঞ্জী চাবাচ্ছে মনের সুখে আর মেয়ে গুলি ফিরে ফিরে সেই দৃশ্য দেখছে আর ফিকফিক করে হাসছে।

এই অপমানের পর আর বেচে থাকার কি খুব দরকার আছে। নাই রে ভাই তাই মরার আগে একটু মাতাল হইতে চাই, নইলে যে মরতে ভয় পাই।

^:^

0 Shares

২২টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ