বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট

খসড়া ১০ মে ২০১৮, বৃহস্পতিবার, ১১:৩৫:১৬অপরাহ্ন এদেশ ৯ মন্তব্য

অনেক দিন পর ব্লগে এলাম। চেষ্টা করবো নিয়মিত আসতে। আসলে এখন খুব অলসেমী লাগে লেখাপড়া করতে। আর লিখতে তো অনিহা। লেখা ছাড়াই যদি থাকা যেত তবে আমি জীবনে কোন পরীক্ষায় কোন দিনই দ্বিতীয় হতাম না।

আজ মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপন করা হচ্ছে। এটা আমাদের এক বিশাল পাওয়া। যার স্বপ্ন এই স্বাধীন বাংলাদেশের মানূষ লালন করা দূরের  কথা ভাবতেও পারেনি। যাই হোক দুঃখের কথা দিয়ে শুরু করি। সন্ধ্যা থেকে ডিস লাইন নাই। রাত নয়টা ফোন করলাম ওরা বললো আপনার বাসার মেশিন জ্বলে গেছে ঝড়ে। কালকের আগে ঠিক হবে না। মনটাই খারাপ হয়ে গেল।

এবার লিখি বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে কিছু তথ্য। আগেই বলছি নিচের লেখাটা বুলবুল ভাইয়ের। উনি ব্লগার নন। আমি তা শুধু কপি পেস্ট করলাম। ধন্যবাদ।

নতুন দিগন্তে বাংলাদেশ

মহাকাশে ৫০ দেশের ওপর দুই হাজারের বেশি স্যাটেলাইট আছে। আর কিছুক্ষণ পর মহাকাশে উৎক্ষেপণ হচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ বঙ্গবন্ধু ওয়ান স্যাটেলাইট। বঙ্গবন্ধু-ওয়ান হল যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট। টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করাই এর প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস। এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায়নি সেসব জায়গায় এই স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত।
শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
১৫ বছরের জন্য রাশিয়ার কাছ থেকে অরবিটাল স্লট কেনা হয়েছে। তবে বিএস ওয়ানের স্থায়িত্ব হতে পারে ১৮ বছর পর্যন্ত। ৩.৭ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির ডিজাইন এবং তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। আর যে রকেট এটাকে মহাকাশে নিয়ে যাচ্ছে সেটি বানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেসএক্স। উৎক্ষেপণ হচ্ছে ফ্লোরিডার লঞ্চপ্যাড থেকে।
শুরুতে বাজেট ধরা হয় ২৯৬৭.৯৫ কোটি টাকা। শেষ পর্যন্ত ২৭৬৫ কোটি টাকায় পুরো প্রকল্প বাস্তবায়ন সম্ভব হল। এর মধ্যে ১৩১৫ কোটি টাকা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকার আর বাকিটা বিদেশি অর্থায়ন।
আর্থ স্টেশন থেকে ৩৫ হাজার ৭৮৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে স্যাটেলাইটটির কক্ষপথে যেতে সময় লাগবে ৮-১১ দিন। আর পুরোপুরি কাজের জন্য প্রস্তুত হবে ৩ মাসের মধ্যে।
এরপর প্রথম ৩ বছর থ্যালাস অ্যালেনিয়ার সহায়তায় এটির দেখভাল করবে বাংলাদেশ। পরে পুরোপুরি বাংলাদেশী প্রকৌশলীদের হাতেই গাজীপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়া আর্থ স্টেশন থেকে নিয়ন্ত্রিত হবে এটি।

0 Shares

৯টি মন্তব্য

মন্তব্য করুন

মাসের সেরা ব্লগার

লেখকের সর্বশেষ মন্তব্য

ফেইসবুকে সোনেলা ব্লগ